ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু (death) হয়, আহত প্রায় ৩৮০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইকুয়েডরে (Ecuador) ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮।
সূত্রের খবর, ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে ৪৪টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের উদ্ধারের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, শনিবার ইকুয়েডরে ভূমিকম্প হয়। আচমকাই কম্পনে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। এমনকি স্কুল, কলেজ, চিকিৎসা কেন্দ্রেও ফাটলের সৃষ্টি হয়। এমনকি ইকুয়েডরের পাশাপাশি কেঁপে উঠেছে পেরুর উত্তরাংশও।
আমেরিকান জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ইকুয়েডরের বালাও শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মাটি থেকে ৬৬.৪ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয় এই ভূমিকম্প। উপকূলবর্তী এলাকাতেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। তবে এর ফলে এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তবে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো লাসো টুইট করেছেন, এই দুর্যোগে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে সরকার।
অভিজ্ঞ ভ্যালেন্সিয়ার দাপটে কার্যত উড়ে গেল ২০২২ বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) আয়োজক দেশ কাতার (Qatar)। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের ফলাফল ২-০। প্রথম গোল এলো পেনাল্টি থেকে। রবিবার আল বায়েট স্টেডিয়ামে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল কাতার সমর্থক। প্রথম ম্যাচে মাঠে হাজির ছিলেন ৬৭ হাজার ৩৭২ জন দর্শক। নিরাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হল কাতার সমর্থকদের। ম্যাচের শুরু থেকেই পাসিং ফুটবলের উপর জোর দিয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ইকুয়েডর (Ecuador)। স্বাভাবিক ভাবেই তাল কাটে কাতারের। কাতার গোল রক্ষক আল সাহিবের মাথা গরমের কারণে ১৬ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে যায় ইকুয়েডর। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অন্তনিয় ভ্যালেন্সিয়া ভুল করেননি দলের প্রথম গোলটি করতে।
এরপর ফের ৩১মিনিটে প্রিকিয়াডোর লম্বা পাস কাতার বক্সের ভেতরে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার মাথা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। প্রথমার্ধের ২-০ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কাতার। শুরু থেকেই ৪-৪-২ ফর্মে খেলে বাজিমাৎ করল ইকুয়েডর। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্স রেফারির কাজ দেখল দর্শকরা। ম্যাচের শুরুতেই ইকুয়েডরের একটি গোল বাতিল হয় এই প্রযুক্তির ফলে। আয়োজক কাতারের পক্ষে নজর করা ফুটবল খেলতে সেভাবে দেখা যায়নি। ফলে গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ শক্ত হয়ে গেলো আয়োজকদের জন্য।