দুই ট্রাক চালকের মধ্য়ে বচসার জেরে প্রাণ গেল এক চালকের। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুন করা হয় ট্রাক চালককে। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মাধাইপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত চালকের নাম মইনুদ্দিন মণ্ডল (৪১)। নদীয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, দু'জন চালকই একই মালিকের গাড়ি চালাত। সোমবার রাতে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মাধাইপুর এলাকায় ওই দুই ট্রাক চালকের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। তখনই মইনুদ্দিন মণ্ডল নামের ওই ট্রাক চালককে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় আরেক চালক। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়ে অভিযুক্ত চালকের সন্ধানেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। তবে কী কারণে বচসা হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি।
কারখানার ভিতের লরি চাপা পড়ে মৃত্য়ু হল এক শ্রমিকের। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের বামুনাড়া শিল্পতালুকে। ঘটনাকে ঘিরে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ। দেহ আটকে রেখে মৃত শ্রমিকের পরিচিতরা ঘাতক লরিতে ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম সুজয় বিশ্বাস (২৭)। বাড়ি দুর্গাপুরের গোপালপুরের উত্তরপাড়ার সন্ন্যাসীতলায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বামুনাড়া শিল্পতালুকে এক বেসরকারি ইস্পাত কারখানার ভিতরে এক শ্রমিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় একটি পণ্যবাহী লরি চাপা দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কারখানায় ছুটে আসে স্থানীয়রা। অভিযোগ সেই সময় লাল রঙের একটি স্করপিও গাড়ি করে মৃত শ্রমিকের মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল কারখানার কর্তৃপক্ষ। সেটা দেখতে পাওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। এরপরই শুরু হয় ঘাতক লরিতে ভাঙচুর, এমনকি ভাঙচুর করা হয় লাল রঙের স্করপিও গাড়িটিও। এরপর উত্তেজিত জনতা শ্রমিকের মৃতদেহটি কারখানার ভিতর রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয়।
যদিও কারখানার কর্তৃপক্ষ তাঁর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পাওয়ায় শ্রমিকের মৃতদেহটি তোলা হয় কারখানার ভিতর থেকে। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়।
ছেলে মানসিক ভারসাম্য়হীন। আর্থিক অভাবে হয়নি চিকিৎসা। তাই নিরুপায় হয়ে ছেলের পায়ে শিকল বেঁধে রেখে দিয়েছে মা বাবা। দুর্গাপুরের কাঁকসার বিদবিহারের দন্ডেশ্বর গ্রামে দেখা মিলেছে এক হত দরিদ্র পরিবারের ছবি। সেই গ্রামের দয়াময় বাউরি ও তাঁর স্ত্রী সহ তিন ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বাস করেন।
এরপর বড়ছেলে অভিজিৎ বাউরি ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। একাধিকবার চিকিৎসার পর সাময়িক সুস্থও হলেও আর্থিক সমস্যার জেরে যথাযথ চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন অভিজিৎ একটু সুযোগ পেলেই চলে যায় এদিক-ওদিক। ছেলেকে খুঁজতে ঘুম উড়ে যায় দিনমজুর বাবা-মায়ের।
অভিজিৎ-এর বাবার দাবি, ছোটো থেকে ভালো ছিল আমার ছেলে। স্থানীয় স্কুলেও পড়াশোনা করত। রোজগারও করা শুরু করেছিল। কিন্তু ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। চিকিৎসা করানো হয়েছে তখন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন আর চিকিৎসার খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রচারে এসে ছেলের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে, আশ্বাস দিয়েছিলেন অনেকে। আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায় না।
দুই বছর আগে ঝাড়গ্রামে চলে গিয়েছিল অভিজিৎ। কোনওক্রমে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাঁকে। আর ছেলেকে হারাতে চান না। তাই ছেলের পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছেন।" যদিও বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল সরকার বলেন, "বিষয়টি তার অজানা ছিল। তিনি বিষয়টি জানার পর পাশে থাকা হবে বলেও আশ্বাস দেন।"
ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে উঠেছে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ। ঘটনায় উত্তপ্ত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। মৃতের পরিবার পরিজনেরা হাসপাতাল সুপারের রুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতদেহ নিতে নারাজ পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গেলে পুলিসকে ঘিরেও তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার পরিজনেরা।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সোনি তুড়ি (১৯)। বাড়ি দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত শিমুল তলা এলাকায়। গত বুধবার গর্ভবতী অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তারপর বৃহস্পতিবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শুক্রবার রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় সোনি মারা গিয়েছেন।
এরপরই উত্তেজনায় উত্তাল হয়ে ওঠে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব হয় মৃতার পরিবার পরিজন। মৃতার পরিবার পরিজনের দাবি, চিকৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রিয়জনের। এমনকি পুলিস মৃতের পরিবার পরিজনকে বোঝাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিসও। এছাড়াও মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে মৃতের পরিবার পরিজন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য়ের পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অনুমদিত ই-টিকিট বিক্রির ট্রাভেল সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসল সরকারি পরিবহন সংস্থা। টার্মিনিটেড করা হল দুর্গাপুরের সরকারি পরিবহন সংস্থার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস ক্লাবকে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ওই বেসরকারি ট্রাভেল সংস্থা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ই-টিকিটের প্রিন্সিপাল বিক্রয় এজেন্ট ছিল। অভিযোগ, গত ২০১৮ থেকে ২০২১ এই তিন বছরে ওই সংস্থা সরকারি পরিবহন সংস্থার আই.ডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনৈতিক কিছু কাজ করে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২১ আর্থিক বর্ষে ৭ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা এই সংস্থা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কোশাগাড়ে জমা দেয়নি।
এরপর চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই বেসরকারি ট্রাভেল সংস্থার বিরুদ্ধে। তারপরেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই বিষয়ে। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকারি পরিবহন সংস্থা।
চলতি মাসের ৫ তারিখ একটি চিঠি ইস্যু করে জানিয়ে দেওয়া হয় গত ২৭ নভেম্বর ওই সংস্থাকে টার্মিনিটেড করা হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে এতো বড় আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েও কেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা একটা সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি করে ফেললো? তাহলে কি কোনও প্রভাবশালীর ভয়েই কি এই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে এতো দেরি? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ট্রাভেল সংস্থার কর্তারা।
মধ্যরাতে সিপিআইএমের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো ঘটনার বৃত্তান্ত। চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাত তখন ২ টো বেজে ৭ মিনিট। হঠাৎই বাড়ির ভারী লোহার গেট ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙলো সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ পরিবারের সদস্যদের। এরপর ফের রাত ২ টো বেজে ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় দরজা ভাঙার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কাঁকসার গুরুদ্বারা রোডে মধ্যরাতে সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দরজা ভেঙে ওপরে উঠে আরও একটি দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় দশ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে যদিও কিছু নিতে পারেনি দুষ্কৃতী দল। কিন্তু সশস্ত্র এই দুষ্কৃতী দল কি কারণে এসেছিলো? তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের সদস্যরা।
সম্ভবত খুনের উদ্দেশেই ৯ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওমপ্রকাশ আগরওয়াল।
দুষ্কৃতী তাণ্ডবের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় তোলপাড় কাঁকসা অঞ্চল জুড়ে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে পানাগড় চেম্বার অফ কমার্সের চিফ অ্যাডভাইজার সহ বাম নেতারা।
বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিনজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃত তিনজন সম্পর্কে দিদা ও দুই নাতি, নাতনি। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কাঁকসার পানাগড় সারদাপল্লী এলাকায়। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধার নাম সীতা দেবী (৭০)। আর দুই নাতি নাতনির নাম সিমরান বিশ্বকর্মা (২৩) ও সোনু বিশ্বর্কমা (২২)। এই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা কাঁকসার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ কালো হেলমেট পড়ে কেউ একজন সীতা দেবীর বাড়িতে আসে। কিছুক্ষণ পর বেরিয়েও যায় সে। তারপর অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির তিন জায়গায়। মৃতদের মধ্যে একজন বাথরুমে আর দুইজন ঘরের মধ্য়ে পড়ে ছিল। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিস সহ ফরেন্সিক টীম যায়।
তবে সাতসকালে বাইকে করে কে এলো আবার বেরিয়েও গেলো সেটা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দূষণের কবলে খোদ দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিস। নোংরা আবর্জনা স্তূপে পরিণত হয়েছে সরকারি এই অফিসের দোরগোড়ায়। যেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বারংবার সতর্কবার্তা জানিয়েছে দুর্গাপুর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিস। সেখানে খোদ দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবনের সামনেই এখন ডেঙ্গি আতঙ্ক।
দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবন বার্তা দেয় জনসমাজের পরিবেশ রক্ষার জন্য। কিন্তু আজ সেই ভবনের দুয়ারেই ময়লা আবর্জনার স্তুপ। যার ফলে পথ চলতি মানুষের দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিক বর্জনের জায়গায়, খোদ পরিবেশ ভবনের বাইরে প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি।
দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবনের সামনেই রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস, জিএসটি অফিস, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু এতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মাঝেও সহবস্থান আবর্জনার স্তুপ। স্থানীয়েদের দাবি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিসের সামনে ময়লা আবর্জনায় স্তূপ তৈরী হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাটাই এখন ভীষণ সমস্য়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চারিদিকে যে নোংরা আবর্জনার স্তূপ, সেখানেই মাছি ঘুরছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ডেঙ্গি আতঙ্কও বেড়ে চলেছে।
সমস্ত অভিযোগ মেনে নিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের দু'নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার। তিনি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে পুরো দায়ভার এড়িয়ে যান।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রুগী মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার রোগীর পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে রোগীর পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম, আশীষ গাঙ্গুলি (৫৮)। দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর এলাকার বাসিন্দা। এক বেসরকারি কারখানার কর্মী ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে আচমকা মাথা ঘুরিয়ে যাওয়াই দুর্গাপুর ইএস আই হাসপাতালে ভর্তি হন আশীষ গাঙ্গুলি। এরপর এদিন সন্ধ্য়েতে আশীষবাবুকে দেখে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। তখন বেশ ভালোই ছিলেন তিনি। এরপর বাড়ি ফেরার পর যখন পরিবারের লোক রোগীর খবর নেওয়ার জন্য় হাসপাতালে ফোন করে। অভিযোগ, বারংবার ফোন করা হলেও হাসপাতালের কেউ ফোন ধরেনি। তারপর সন্দেহ হলে অন্য় রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, আশিস বাবু অজ্ঞান অবস্থায় বেডে রয়েছেন। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে এসে পরিবারের লোকজন দেখেন আশীষ বাবু সাড়া শব্দ দিচ্ছেন না।
নার্সদের বারংবার বলা সত্ত্বেও ডাক্তার ডাকেননি বলে অভিযোগ। এরপর পরিবারের লোকজন হাসপাতালের চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন, এবং মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়া মাত্রই পুলিসকে ঘিরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মাছের জালে আটকে পড়ল এক বিশাল আকারের অজগর। জালে আটকে পড়তেই ছটফট করছে অজগরটি। রবিবার সকালে কাঁকসার তেলিপাড়া এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পানাগড় বন বিভাগে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্থানীয়রা জলাশয়ের সামনে যেতেই নজরে আসে মাছের জালে আটকে ছটফট করছে একটি অজগর। মনে করা হচ্ছে খাবারের সন্ধানে জলাশয়ে নেমে মাছের জালে আটকে গিয়েছে বিশাল আকার অজগর। স্থানীয়রা আরও জানান, সাধারণত বর্ষাকালে জল জমে যাওয়ায় অনেক জায়গায় গর্ত তৈরী হয়, আর সেখানেই খাবারের সন্ধানে মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে অজগর। এর আগে জালে অজগর আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনদফতর কর্মীরা পৌঁছে জাল থেকে অজগর সাপটিকে উদ্ধার করে। সুস্থ অবস্থাতেই অজগর সাপটিকে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানান বনদফতরের কর্মীরা। এরপর সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অজগর সাপটিকে দেখার জন্য এলাকাবাসীরা ভিড় জমায় সকাল থেকে।
দুর্গাপুরে পাচারের আগেই উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক মিশ্রিত কাফ সিরাপ। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জাতীয় সড়কে অভিযানে নামে বেঙ্গল এসটিএফ। আটক করা হয় পাচারে ব্য়বহৃত একটি ট্রাক। এসটিএফের হাতে গ্রেফতার রাজস্থানের এক বাসিন্দা। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ওই অভিযুক্তের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক মিশ্রিত কাফ সিরাপ পাওয়া যায়। প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার বাজারমূল্যের ফেনসিডাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এসটিএফ সূত্রে খবর, বহুমূল্য পোরসেলীনের কাপ-প্লেট বোঝাই ট্রাকে করে লুকিয়ে গোপনে নিষিদ্ধ মাদক মিশ্রিত কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু পাচারের আগেই পাচারকারীদের সমস্ত ছক ভেঙে দেয় বেঙ্গল এসটিএফ। মাদক আইনের মামলা রুজু করে দুর্গাপুর থানায়।
কোচিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া। নিখোঁজের একদিন পর রহস্যজনকভাবে রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ওই পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত পড়ুয়ার নাম বিতান ঘোষ (১৭)। দুর্গাপুরের অমরাবতী সিআরপিএফ গ্রুপ সেন্টারের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর একটি ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিতান সিটি সেন্টারের ওই কোচিং সেন্টারে যায়। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে বিকেলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় বিতান। তারপর সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বিতান বাড়ি ফিরছে না দেখে বিতানের মা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাত গড়িয়ে এলেও বিতান বাড়ি না ফেরায় দুর্গাপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হয় বিতানের মা এবং পরিবারের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই কোচিং সেন্টারের পরীক্ষায় বিতানের রেজাল্ট খারাপ হয়। বুধবার বিতানের মায়ের কাছে খবর পৌঁছতেই বিতানকে বকুনি দেয় তাঁর মা। তারপর বৃহস্পতিবার সকালেও কোচিং সেন্টারে যায় বিতান। এরপর শুক্রবার সকালে কোচিং সেন্টারের ড্রেস পড়ে থাকা অবস্থায় বিতানের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজের রেল লাইনের পাশ থেকে। দুর্গাপুর রেল পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কোচিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে কিভাবে বিতানের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে বেশ দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য.. পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire) আসানসোল (Asansol) দুর্গাপুর (Durgapur) উন্নয়ন পর্ষদ ভবনে। দমকলের প্রায় ১৫ টি ইঞ্জিনের চেষ্টার পরেও সকাল ১১ টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ দুর্গাপুর এডিডিএ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা পর্ষদের সেকেন্ড ফ্লোর দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ধীরে ধীরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পর্ষদের বাকি অংশে। পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় জিনিসপত্র।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রানীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক। চক্রান্ত করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ স্থানীয়দের।
সঠিক সময়ে দমকল পৌঁছলেও পর্যাপ্ত জলের যোগান না থাকায় আগুন নেভাতে হিমশিম খান দমকল কর্মীরা। পরবর্তীতে খবর দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় অধীনস্ত সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ডিটিপিএস ও ডিভিসি-র দমকল দফতরকে। ৪০টির মতো গাড়িকে জল আনা নেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এটি তিনতলা বিল্ডিং। তিন নম্বর ফ্লোরেই আগুন লেগেছে। নিচে একটি সমবায় ব্যাঙ্ক ও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক আছে। মনে করা হচ্ছে, এই অগ্নিকান্ডে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুরুত্বরপূর্ণ সরকারি নথিও পুড়ে গেছে বলে মনে করা হয়েছে।
এমন বিধ্বংসী আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন মহকুমা শাসক ও জেলা শাসক। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য?
সিভিভিও (CVV) দেননি, ওটিপিও (OTP) দেননি। তবুও হাতছাড়া ব্যাঙ্কে জমানো টাকা? বাজারে নয়া আর্থিক প্রতারণা (Financial fraud) থেকে সাবধান। বেশি কিছু নয়। শুধুমাত্র আধার কার্ডের (Aadhaar Card) বায়োমেট্রিক চুরি (Biometric theft) করেই গুম হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ঠিক এমনই কায়দায় প্রতারিত হয়েছেন দুর্গাপুরের (Durgapur) ইলেকট্রিকের সরকারি ঠিকাদারী সংস্থার কর্ণধার বিবেকানন্দ মুখার্জি। ঘটনায় তাজ্জব সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
কিন্তু কীভাবে হচ্ছে এই অপরাধ? জানা গিয়েছে, ঠিকাদারী সংস্থার নানা কাজের বরাত পেতে বিবেকানন্দ বাবু নিজের আধার কার্ড জমা করছেন বিভিন্ন জায়গায়। যেখানে লুকিয়ে রয়েছে এই অপরাধের মূল সূত্র। বিবেকানন্দ বাবুর আধার কার্ডের লিঙ্ক ধরেই তাঁর বায়মেট্রিক হ্যাক হয়ে যায়। গত শুক্রবার রাত্রি ৮.৩৫ মিনিট নাগাদ প্রথম বিবেকানন্দ বাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। আর সন্ধে ৮.৩৬ মিনিট নাগাদ রাষ্ট্রয়ত্ত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ১০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এই ব্যাবসায়ীর আশঙ্কা আরও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও হয়তো হ্যাকাররা টাকা তুলে নিয়েছে।
ইতিমধ্যে দুর্গাপুর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাইবার পুলিস খতিয়ে দেখছে পুরো ঘটনাটি। কিন্তু আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক হ্যাক করে টাকা চুরির ঘটনায় তোলপাড় দুর্গাপুর। সরকার আর ব্যাঙ্ককে আরও সতর্ক হতে হবে, প্রয়োজনে সচেতনার ক্যাম্প করতে হবে, অভিমত আই. টি সেক্টরের কর্মী সিদ্ধার্থ মুখার্জীর।
কিন্তু, এর থেকে বাঁচবেনই বা কীভাবে? একমাত্র উপায়, ওয়েবসাইট বা এম আধার অ্যাপের মাধ্যমে লক করে রাখতে হবে যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য। প্রয়োজনে কিছুক্ষণের জন্য চালু রেখে ফের লক করে রাখতে হবে সেই তথ্য। একশো দিনের কাজ থেকে আরও সরকারি নানা সুযোগ সুবিধে পেতে আধার কার্ড লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। প্রশ্ন, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এই সম্পর্কে কতটা জানবেন?
দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহার কুনুর নদী (Kunur River)এক সময় বাসিন্দাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল। এই নদীর জলে এলাকার প্রতাপপুর, কাঁটাবেরিয়া সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ চাষবাস করতেন। কিন্তু সেই কুনুর নদীর জল (water pollution) আজ অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার চাষীদের কাছে। অভিযোগ, বেসরকারি গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থার বর্জ্য মিশছে নদীর জলে। চাষের জমিতে জল ব্যবহার করলে কমছে মাটির উর্বরতা। বন্ধ্যা হয়ে পড়ছে জমি। জল দূষণের কারণে সংকটের মুখে কৃষকদের রুজি রোজগার। তারপর আবার কুনুর নদীর সেতুও দুর্বল। ভেঙে গেছে সেতুর রেলিংও। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও তুলেছেন অনেকে।
চাষবাস হচ্ছে না, অথচ চাষবাসের উপর নির্ভরশীল এই কুড়িটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার মানুষ। যাঁরা অনেকে পরিস্থিতির শিকার হয়ে পেশা বদলে ফেলেছেন, আবার অনেকে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, কুনুর নদীর সেতু দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে নদীর সেতুর রেলিং। বেহাল হয়ে পড়েছে নদীর উপরের রাস্তা। তা সত্ত্বেও আজ ভারী যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতাযাত করছে, এতে বিপদ আরও বাড়ছে।
গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থা কারখানা তৈরির জন্য এলাকার বেশ কিছু জমি ১৫ বছরের জন্য লিজে নেয়। অভিযোগ, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জমিদাতারা পুনর্নবীকরণের টাকা পাননি। অভিযোগ, শুধুমাত্র শাসকদল ঘেঁষা জমিদাতারাই টাকা পাচ্ছেন। বিজেপি করার অপরাধে বঞ্চিত একাংশ জমিদাতা।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বেশ কিছু মানুষ কুনুর বাঁচাও আন্দোলনে নামেন। এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও উঠেছে। অভিযোগ উঠছে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার অপরাধে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ, 'কুনুর বাঁচাতে যতদূর যেতে হয় ততদূর যাব। যে মুখ্যমন্ত্রী জমি আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছেন, আর তাঁর জামানায় কিনা ক্ষতির মুখে চাষিরা।'
যদিও এইসব বিজেপির নাটক বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব, দলের লাউদোহা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বিষয়টি জানি চাষীদের পাশে আছি। বিজেপির নাটকের প্রয়োজন নেই।'
কুনুর নদীর একটা ইতিহাস প্রেক্ষাপট আছে। অনেক লেখা রয়েছে এই নদীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু কালের নিয়মে আজ এই নদী হাজারো প্রশ্নের মুখে। এর গতি কোথায় থামবে জানা নেই কারোর। তবে কুনুর বাঁচাও কমিটি বলছে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে কুনুরকে।