ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত প্রলয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ ওমান এবং বেহরিনে। বড় রাস্তা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সর্বত্র জলে ডুবে গিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতেই এই অবস্থা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও বহু জায়গা জলে ডুবে রয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলিতে। একেবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেনজির পরিস্থিতি দুবাইয়ে।
গত কয়েক দশকে এমন বর্ষণের সাক্ষী থাকেননি দুবাই বাসী। রাস্তা দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতের মতো জল। শপিং মলের ছাদ বেয়ে নামছে জলের ধারা। উঁচু উঁচু হাইরাইজ বিল্ডিং ঝড়ের দাপটে অস্থির। সেখানকার বাসিন্দারা রীতিমতো থরহরি কম্প অবস্থায় রয়েছে।
বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে দুবাইয়ে। এতটাই বর্ষণ হয়েছে সেখানে। এর আগে কখনও এমন বৃষ্টির কথা ভাবতেই পারেনি দুবাই। রুক্ষ-শুষ্ক মরু অঞ্চল দুবাই। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে অসংখ্য ভারতীয় থাকেন। প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়া বহু বিমান উড়তে পারছে না। অনেকেই দেশে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভারতে আসার জন্য যাঁরা বিমানবন্দরে আটকে রয়ছেন তাঁদের সুবিধার্থেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব ভারতীয় পর্যটকরা আটকে রয়েছেন সেখানে তাঁদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এই ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
চলতি মাসের ১ তারিখে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপ্লব সরকার ও তাঁর ভাগ্নে দেবাশিস সরকার। পরিবারের দাবি, দুবাইয়ে ভালো কাজের আশায় জন প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে তাঁরা সেখানে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই কাজের কথা শুনতেই মাথায় হাত পড়ে তাঁদের। ফিরে আসার কথা বললে দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি! এই অবস্থায় এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি তাঁরা পরিবারের সদস্যদের জানান।
এরপরেই বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের শরণাপন্ন হন মামা ও ভাগ্নের পরিবারের সদস্যরা। সুকান্ত মজুমদারের আশ্বাসে স্বস্তিতে সরকার পরিবার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সবাইকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করব।
বাংলার সরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি নিয়ে অনেক বড় বড় দাবি করলেও বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় না। তাই এই রাজ্যের বাসিন্দাদের কাজের জন্য ভিনরাজ্য এমনকি বিদেশেও পাড়ি দিতে হয়। সেখানে গিয়ে মাঝে মধ্যেই প্রতারণার শিকার হতে হয় তাঁদের। রাজ্যের কর্মসংস্থানের এই বেহাল দশার দায় কি বাংলার সরকারের নয়? প্রশ্ন রাজ্যবাসীর।
আগামী মঙ্গলবার মহুয়া মৈত্রকে তলব করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সেদিন থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও তলব করা হোক। এরপরই তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন নিশিকান্ত দুবে। তাঁকে 'দুবাই দিদি' বলে এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষও করেন বিজেপি সাংসদ।
মহুয়াকে আক্রমণ করে নিশিকান্ত দুবে লেখেন, "দুবাই দিদি কয়েকজনকে ক্রস এক্সামিনেশনের কথা বলেছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সাক্ষীরা আইন-আদালত থেকে সুরক্ষিত। জাতীয় নিরাপত্তা ও দুর্নীতি নিয়ে জবাব দরকার। এখানে তো যুদ্ধক্ষেত্রের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিশিকান্ত দুবে লিখতে গিয়ে একটি টাইপো হয় মহুয়া মৈত্রের। তিনি 'দুবাই' লিখে ফেলেন। নিশিকান্ত দুবে লেখেন, "এথিক্স কমিটির চিঠিতে আমার নামের বানানে দুবের বদলে দুবাই করে দেওয়া হয়েছে। ওর মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি।"
রাজ্যে বিনিয়োগ করতে চলেছে দুবাইয়ের বহুজাতিক সংস্থা লুলু। সেরকমই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, দুবাইয়ে লুলু গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লুলু-র সঙ্গে বৈঠক আশাপ্রদ। সব ঠিক থাকলে নিউটাউনে বিশ্ব মানের শপিং মল খুলতে পারে লুলু গোষ্ঠী। এছাড়াও রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে লুলু-র সঙ্গে। ২০২৩ সালের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা।
শুক্রবার গোষ্ঠীর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরফ আলির সঙ্গে একান্তে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বাংলায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মমতা জানিয়েছেন, শপিং মল ছাড়াও বাংলায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র খুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থা। পোলট্রি ও ডেয়ারি প্রকল্পেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখামে লুলু-র শপিং মল রয়েছে, বিশ্ববাংলার জন্য আলাদা কাউন্টার খোলা হতে পারে। ওই কাউন্টারে শুধু বিশ্ব বাংলারই জিনিস থাকবে। এক্স হ্যান্ডেলে এমনই ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবারই আমিরশাহির বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ুদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আরব আমিরশাহির বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
রাজ্যে আটটি হোটেল খুলতে চলেছে আইটিসি। দুবাইয়ের বাণিজ্য সম্মেলেন থেকে ঘোষণা করলেন আইটিসির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরী। এদিন ওই বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েই বাংলার জন্য বড় ঘোষণা করলেন আইটিসি কর্তা। একইসঙ্গে বাংলা পর্যটন ক্ষেত্র নিয়েও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এদিন দুবাইয়ের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে সঞ্জীব পুরী জানান, বাংলায় আইটিসির পাঁচটি হোটেল রয়েছে বর্তমানে। তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে দু’টি হোটেল। এছাড়াও আরও ৮টি হোটেল খুলবে আইটিসি। তাঁর কথায়, পর্যটনের সব কিছুরই উপাদান রয়েছে এখানে। পর্যটনে, শিক্ষাক্ষেত্রেও গোটা দেশে নিজের উৎকর্ষতা প্রমাণ করেছে। বাংলা থেকেই দক্ষ কর্মী নিয়োগ করবেন তাঁদের সংস্থায়, একথাও জানিয়ে দেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবারই দুবাইয়ের লুলু গোষ্ঠী-র সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে ওই সংস্থা বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে নিউটাউনে বিশ্বমানের শপিং মল গড়ে তুলতে পারে ও সংস্থা।
দুবাইয়ে প্রবাসী বাঙালিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবাইয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "সারে জাহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্তা হামারা।"
শুক্রবার দুবাইয়ের হোটেলেও মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মতো তাঁর রাজ্যে বিনিয়োগের আবেদন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করলে, তা উত্তর পূর্ব রাজ্য ও বাংলাদেশের দরজাও খুলে যাবে, এমনই জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ওই বক্তৃতায় জানান, রাজ্যে সব পরিকাঠামো তৈরি। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে আমিরশাহির মন্ত্রীদের আমন্ত্রণও করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমিরশাহির মন্ত্রী থানি এই সম্মেলনে এসে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ জনসংখ্যার নিরিখে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য।" বাংলার সঙ্গে দুবাইয়ের নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশমন্ত্রক এই সফরে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে অনুমতি দিয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-এর বৈঠকের জন্য মুম্বই আছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুমতিপত্র পেয়েছে নবান্ন। সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্পেনের উদ্দেশে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দুবাই হয়ে তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা ২৩ সেপ্টেম্বর। বাণিজ্য সংক্রান্ত বৈঠক করতেই দুই দেশে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচিতে আছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ, বার্সেলোনা। দুই শহরের সঙ্গে বাঙালি ফুটবলপ্রেমীদের আত্মিক যোগ আছে। রিয়েল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার এল ক্লাসিকো এখনও খুবই কাছের। পাশাপাশি আইএসএলে প্রথম দল অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা। তাও মাদ্রিদের ক্লাবের অনুপ্রেরণায়। স্পেন থেকে দুবাই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। দুবাই থেকে কলকাতা ফিরবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেউ বিদেশে গেলে বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয়। ভারতের প্রতিনিধি হিসেবেই তিনি স্পেন ও দুবাইয়ে যাবেন। নিরাপত্তায় নিশ্চিত করবে বিদেশমন্ত্রক।
মূলত মাঝারি ও বড় শিল্পের উপরই গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। নতুন আঙ্গিকে বিনিয়োগ আনতেই এবার দুবাই ও স্পেন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে এর আগে বণিকমহলের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। নবান্নের আশা, শিল্পায়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন ও দুবাই সফর আশাপ্রদ হবে।
আদালতে ইডির পেশ করা তথ্যে অভিষেকের নাম, সেই ভয়েই কি দেশ ছাড়ল অভিষেক! এই নিয়েই বুধবার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মাধ্যমে। এর পরে অভিবাসন সূত্রে খবর মেলে চিকিৎসার জন্য দুবাই গিয়েছেন তিনি।
অভিবাসন সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতা থেকে দুবাই গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাই এমিরেটসের বিমানে চেপে দুবাই উড়ে যান অভিষেক। উল্লেখ্য, বাঁ চোখের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ধরেই ভুগছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেই চোখের চিকিৎসা করাতে এর আগেও দুবাইয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। প্রথমে দুবাইয়ে, তারপর সেখান থেকে আমেরিকায় তাঁকে যেতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের বিদেশ ভ্রমণও চোখের চিকিৎসার জন্যই। ১০ দিনের মধ্যেই দেশে ফেরার কথা তাঁর।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ইডির কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, অনুমতি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পরেও কেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হল? এমনকি, এই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানো নিয়েও। এদিন শীর্ষ আদালতের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ যাত্রা আটকানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। ৮ অগস্ট চিকিৎসার জন্য অভিষেকের আমেরিকা যাওয়ার কথা আছে বলেও আদালতকে জানিয়েছিলেন সিব্বল।
দুবাইতে (Dubai) কাজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৪৫ জন বাঙালি (Bengali)। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ (Social Media) মাধ্যমে তাঁরা করুণ আর্তি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সেই ভিডিও। জানা গিয়েছে, ওই ৪৫ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায়। সোমবার সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। সেই খবর দেখে বুধবার সকালে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর প্রতারিতদের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠালেন। আর দুবাইতে আটকে পড়া সকলকে ফেরাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করলেন তিনি।
আটক ওই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, নদিয়ার একজন এজেন্ট নাজমুল তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেয় দুবাই শহরে কাজ দেবে বলে। গত একমাস আগে তাঁদেরকে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে রেখে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। কোনও রকম কাজও দেয় না বলে অভিযোগ। বর্তমানে অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এরফলে বাড়ি ফেরার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবার পরিজনেরা।
দুবাই (Dubai) যাওয়ার পথে বাঁধা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পত্নী (Wife) রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় দুবাই যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে এলে তাকে বাধা দেয় অভিবাসন দফতর। সূত্রের খবর আদালতের রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নীকে বাধা দেওয়া হয়। এর পাল্টা তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলা করে সুপ্রিমকোর্টে যেতে পারেন।
সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে লুক আউট নোটিশ জারি করে ইডি। সেজন্যই তাঁকে বিমানবন্দরে আজকে দেওয়া হয় বলে খবর। এদিন সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য অভিষ্যেক বন্দোপাধ্যায়য়ের স্ত্রী বিমানবন্দরে গেলে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এরপর কিছুক্ষন অপেক্ষা করে রুচিরা বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
দুবাইয়ের শারজা জেল থেকে ছাড়া পেলেন মুম্বইয়ের এক অভিনেত্রী ক্রিসান পেরেইরা। চরস জাতীয় নিষিদ্ধ মাদক বহনের অভিযোগে বিমানবন্দরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এই ঘটনায় প্রায় দুই মাস দুবাইতে হাজতবাস করতে হয় অভিনেত্রী ক্রিসানকে। যদিও তদন্তে জানা গিয়েছে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। এই কাজ নাকি তাঁরই প্রতিবেশীর। মাদক পাচারের ব্যাপারে অভিনেত্রী কিছুই জানতেন না।
মাদক পাচার তার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত বেকসুর প্রমাণিত হয়েছেন ক্রিসান। এদিকে মেয়েকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তাঁর মায়ের কর্তৃত্ব কিছু কম নেই।
ক্রিসানকে মাদকচক্রে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পিছনে ছিলেন মুম্বইয়ের দুই বাসিন্দা অ্যান্থনি পল এবং রাজেশ বুভাত। এদের মধ্যে একজন হলেন অভিনেত্রীর প্রতিবেশী। তাঁদেরকে পাল্টা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। রাজেশ পেশায় ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার এবং অন্যদিকে পল মালাদ এলাকায় একটি বেকারি দোকান চালান। ঘটনাটি ক্রিসানকে ফাঁসানোর একটি পরিকল্পিত ফাঁদ।
পুলিস জানতে পেরেছে , হলিউডের এক ওয়েব সিরিজে কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল ক্রিসানকে। এই ফাঁদেই পা দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর মাকেও ঠকানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire) দুবাইয়ের (Dubai) একটি আবাসনে। ঘটনায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে কেরলের এক বাসিন্দা-সহ চার দম্পতিও রয়েছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে দমকম বাহিনী। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে দুবাই অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি দল। জানা গিয়েছে, আল রাসের একটি বহুতলের ৪ তলায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকা গুলিতে।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মর্গে উপস্থিত থাকা ভারতীয় সমাজকর্মী নাসির ভাতানাপল্লি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত ৪ জনকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেরলের এক দম্পতিও রয়েছেন। বাকি ২জন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ওই বহুতলেই কাজ করছিলেন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ৪ ভারতীয়ের পাশাপাশি ৩ জন পাকিস্তানি এবং এক নাইজেরিয়ান মহিলারও মৃত্যু হয়েছে।
দুবাইয়ের প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রাথমিক তদন্ত করে জানায়, ওই বহুতলে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। তবে এই ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিলাসবহুল গাড়ির দাম যে আকাশছোঁয়া হয়, তা সবারই জানা। তবে এবারে গাড়ি নয়, গাড়ির নম্বর প্লেট নিলামে (Auction) বিক্রি হয়েছে, যার দাম শুনলে আপনি আকাশ থেকে পড়বেন। 'P7' এই সেই গাড়ির নম্বর প্লেট। জানা গিয়েছে, এই নম্বর প্লেটের দাম ৫৫ মিলিয়ন দিরহাম, ভারতীয় মুদ্রায় ১২৩ কোটির সমান।
সম্প্রতি দুবাইয়ে একটি 'মোস্ট নোবেল নম্বর অকশন' বলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল 'এমিরেটস অকশন'। জানা গিয়েছে, এই গাড়ির নম্বরটি একটি বিরল গাড়ির। এত দামে আগে কখনও কোনও গাড়ির নম্বর প্লেটের নিলাম হয়নি। ইতিমধ্যেই এই নম্বর প্লেটটি রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম তুলে নিয়েছে। নম্বরটির নিলাম ১৫ মিলিয়ন দিরহাম থেকে শুরু হয়ে শেষে ৫৫ মিলিয়ন দিরহাম-এ গিয়ে দাঁড়ায়। তবে কত দামে P7 নম্বর প্লেটটি নিলাম করা হয়েছে, তা জানা গেলেও কে এটি কিনেছে তাঁর বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এই নম্বর ছাড়াও আরও অনেক নম্বর প্লেট বিক্রি করা হয়েছে। তবে শীর্ষে রয়েছে P7 নম্বরটি। এই নিলামে যত টাকা উঠে এসেছে তা সব One Billion Meals campaign-এ যাবে। এই ক্যাম্পেনের উদ্যোক্তা দুবাইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন রাশিদ। বিশ্ব ক্ষুধাসূচক প্রতিকারের উদ্দেশেই রমজানের মাসে এই ক্যাম্পেনের আয়োজন করা হয়েছে।
বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগ থেকে গায়েব প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport)। এই বিষয়ে ওই যাত্রী সহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যাগ স্ক্যান করার সময়ই ব্যাগের ভিতরে টাকা দেখতে পান দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দরের কর্মীরা। বিমান অবতরণের পর নেমে ব্যাগ (Bag) খুলতেই টাকা উধাও। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ওরলির বাসিন্দা অমরদীপ কপূর সিং(৫৮)। ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫ মিনিটে বিমানে উঠে ছেলেকে নিয়ে দুবাই (Dubai) যাচ্ছিলেন তিনি। লাগেজ হিসেবে ছিল একটি ব্যাগ, যাতে রাখা ছিল ৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সেই টাকায় উধাও হয়ে যায়। দুবাই থেকে ফিরে বিমানবন্দর ও থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তবে বিমানে যাত্রার সময় যাত্রীদের হাতে একটি ছোট ব্যাগ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনকি অন্যান্য মালপত্রের স্ক্যান হওয়ার পর তা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিমানের মালপত্র রাখার জায়গায়। এই পুরোটার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্মীদের হাতে। সেই সময় ব্যাগ খুলে নগদ বার করে নেওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই টাকা রাখা ব্যাগকে বিমানবন্দর কর্মীরাই বিমানে তোলেন। এই গোটা পথের মধ্যেই কোথাও ব্যাগ খুলে টাকা বার করে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশই এতে যুক্ত বলে অনুমান পুলিসের। তবে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
একদিকে টলি থেকে বলি সকলে মেতে উঠেছেন ভালোবাসা দিবস (Valentine's Day) উদযাপন করতে। আর সেদিনই প্রকাশ্যে এল সানি লিওনির (Sunny Leone) একটি ভিডিও। ভ্যালেন্টাইন্স ডে সেলিব্রেশনের কোনও ভিডিও নয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অসুস্থ বলি অভিনেত্রী। আর বর্তমানে তিনি রয়েছেন দুবাই-এ (Dubai)। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঘাড়, মাথা কিছুই নাড়তে পারছেন না সানি। ব্যথা নিয়েই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করলেন ‘রাগিণী এমএমএস ২’ তারকা। তিনি ভিডিও করে শো করতে পারবেন বলে বার্তা দিলেন। ভিডিওতে বুড়ো আঙুল তুলে বোঝালেন, তিনি একদম ঠিক আছেন, সব করতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, সানির মেরুদণ্ডে তিনটি ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত। সেকথা ভিডিও পোস্ট করে নিজেই লিখেছেন সানি। তবে শেষে বললেন, ‘বাট দ্য শো মাস্ট গো অন।'ভিডিও যিনি করছিলেন, তার প্রশ্ন ছিল সানিকে, ‘ঘাড়ে ওটা কী যন্ত্র বসিয়েছেন?’ সানির জবাব, ‘এটা একটা ট্র্যাকশন মেশিন। মাথা সোজা রাখে। ঘাড়ের ওপর মাথার চাপটা এর উপর চলে যায়।’
যদিও ঘাড়ে কীভাবে আঘাত লাগল তা স্পষ্টভাবে জানাননি। দ্রুত তাঁর অনুষ্ঠান সেরে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন সানি। ভিডিওতে জানালেন সে কথাও।