দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র।দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা পাওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পর পুলিসের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Birbhum) জেলার বোলপুরের কীর্ণাহারে। এ বিষয়ে এখনও অবধি কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নি। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা মিলছে না, সে বিষয়ে বারংবার প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ হয় নি, সে কারণেই সোমবার স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার বোলপুরের কীর্ণাহারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশ কয়েকদিন ধরেই চিকিৎসকের অভাব, অভিযোগ সেকারণেই বহু রোগী চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এছাড়া অভিযোগ আপদকালীন চিকিৎসাও তাঁরা পাচ্ছেন না। এই অভিযোগেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা, পাশাপাশি প্রতিবাদ ও অবরোধ করে করে রাখা হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া রাস্তা। এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে, সুমন্ত অধিকারী জানান, সামান্য চিকিৎসা অবধি পাওয়া যায় না এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, এমনকি কোনও মুমূর্ষু রোগীও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঠিকমত চিকিৎসা পাওয়া যায় না। ফলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগীরা।
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের রোগী অসহায়তার (Patient Harass) অভিযোগ উঠছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj)। বেশ কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল টাকার অভাবে শববাহী গাড়ি না পেয়ে, হাসপাতালের সহায়তা না পেয়ে নিজের ৫ মাসের মৃত বাচ্চাকে ব্যাগে নিয়ে বাড়ি ফেরে এক অসহায় বাবা। এই অমানবিক চিত্র আগেই দেখেছে গোটা রাজ্য। যা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই নিন্দার ঝড় উঠেছিল রাজ্য-রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তারপরেও খুম ভাঙেনি প্রশাসনের। তাই ফের রোগীর পরিবারকে অসহায়তা করার অভিযোগ উঠছে কালিয়াগঞ্জে। তবে এবার অভিযোগ উঠছে খোদ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই রোগীর পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস (police)। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নির্যাতিত ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের শিমূলতলা এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ পাল। তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা চলছিল এক চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের কথা মতই তাঁর স্ত্রীর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। তবে চিকিৎসকের কথা মতো রায়গঞ্জের পরীক্ষা সেন্টার থেকে এই পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলি না করে কালিয়াগঞ্জের একটি পরীক্ষা সেন্টার থেকে করানো হয়। শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে ওই চিকিৎসক সেই রিপোর্ট না দেখেই ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের তরফে। রোগীর পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি বলেই রোগীকে দেখননি চিকিৎসকের। উপরন্তু রোগী ও রোগীর স্বামী গোবিন্দ পালকে ব্যাপক হয়রানি করা হয়।
তবে এই ঘটনায় ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের দাবি, রোগী কোথা থেকে পরীক্ষা করবে সেটি তার নিজেস্ব ব্যাপার। রোগী নাম লেখানোর পরেও নাম কেটে দেন। কিন্তু পরে তিনি নিজের স্ত্রীকে নিয়ে চেম্বারে আসেন। তাই আগামী সপ্তাহে নাম লিখিয়ে তাঁদের চিকিৎসকের চেম্বারে আসতে বলেন চিকিৎসকের। এ ছাড়া আর কোনও ঘটনা ঘটেনি চেম্বারের ভিতরে, এমনটাই দাবি করছেন চিকিৎসক।
রাজ্যের চিকিৎসায় (Treatment) এবার অভিনব ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister)। এবার চিকিৎসকদের (Doctor) পাশাপাশি ডিপ্লোমা চিকিৎসকের প্রস্তাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে, বিশেষ করে জেলাস্তরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাত নিয়ে বার বার কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে, সমালোচনা হয়েছে। এবার সেই চিকিৎসকের অভাব মেটাতে নতুন টোটকা মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডাক্তারদের ডিপ্লোমা কোর্সের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন ডিপ্লোমা কোর্স হয়, তেমন ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার ভাবনা মমতার।
কিন্তু কেন হঠাৎ এই ডিপ্লোমা কোর্সের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর? সেই কথাও নিজেই জানালেন তিনি। এদিন নবান্নের বৈঠক থেকে মমতা জানালেন, এর ফলে যাঁরা এমবিবিএস কোর্স করে ‘অরিজিনাল ডাক্তার’ হচ্ছেন, তাঁদের পাশাপাশি সমান্তরাল একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যাবে। যেভাবে হাসপাতাল বাড়ছে, বেড বাড়ছে, রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই পরিস্থিতিতে এই ডিপ্লোমা পাশ ডাক্তারদের অন্তত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘এতে পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণে আমরা যে অরিজিনাল ডাক্তার পাচ্ছি, তাদের অনেকটা সময় যাচ্ছে… পড়াশোনা করতে হচ্ছে, পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বেড বাড়ছে… যদি সমান্তরালভাবে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে অন্তত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কাজে লাগানো যায়, তাহলে মনে হল ভাল রেজাল্ট দেবে।’ যদিও ডাক্তারদের জন্য এই ডিপ্লোমা কোর্স ঠিক কী রকম হবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
বৈঠকে উপস্থিত আমলাদের উদ্দেশে মমতা জানতে চান, এমন কোনও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না। উল্টোদিক থেকে উত্তর আসে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, তিন-চার জনের একটি কমিটি গঠন করে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। হাসপাতালগুলির সেমিনার হলে, বা সরকারি কোনও কনভেনশন সেন্টারে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে জানান মমতা।
মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলো কসবার (Kasba) লিফ্ট (Lift) ছিঁড়ে আহত হওয়া চিকিৎসকের (Doctor)। কসবার নার্সিংহোমে সম্প্রতি লিফ্ট ছিড়ে আহত হয়েছিলেন এক চিকিৎসক দম্পতি। গুরুতর জখম অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। মঙ্গলবার সকালেই মারা গেলেন তিনি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম চৈতালি মিত্র। কসবায় চৈতালি ও তাঁর স্বামী একটি নার্সিং হোম চালাতেন। ওই নার্সিংহোমের উপরেই তাঁদের ফ্ল্যাট। সোমবার চতুর্থ তল থেকে লিফ্টটি ছিঁড়ে পড়ে। গুরুতর আহত হন চৈতালি এবং তাঁর স্বামী। ওই নার্সিংহোমে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’জনেরই অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চৈতালির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সোমবার সকালে লিফ্ট ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটে ওই নার্সিংহোমে।। কসবা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিসের প্রাথমিক ধারণা, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ছিঁড়ে পড়ে লিফ্ট। পুলিশের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন কিছু চিকিৎসক (Doctors)। গর্ভস্থ সন্তানের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার (Brain Surgery) করে নজির গড়লেন তাঁরা। এমনটা হয়তো এর আগে কখনও ঘটেনি। ফলে এই প্রথম যে, ভ্রূণ অবস্থাতেই মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল মার্কিন চিকিৎসেকর একটি দল। এ যেন এক মিরাকল! চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক যেন অন্য যুগের সূচনা করল এই সার্জারি। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ মা ও তাঁর গর্ভস্থ শিশু।
জানা গিয়েছে, গর্ভস্থ শিশুটির মস্তিষ্কে রক্তজালকের বিরল কিছু সমস্যা দেখা যায়। যাকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয়, 'ভেনাস অফ গ্যালেন ম্যালফরমেশন' (Vein of Galen Malformation)। বোস্টন চিলড্রেনস হসপিটালে এই অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কী এই অসুখ? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণ ভাবে মস্তিষ্কের ধমনীগুলি ক্য়াপিলারির মাধ্যমে শিরার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ক্যাপিলারিগুলি রক্তস্রোতের গতি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু এই শিশুর মস্তিষ্কের ধমনীগুলি সরাসরি শিরার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। ফলে, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রে প্রয়োজনের তুলনায় অনের বেশি রক্ত প্রবাহিত হয়। যা থেকে পরে শিশুর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
আরও জানা গিয়েছে, ওই শিশুটি মাতৃগর্ভে ঠিকঠাক ভাবেই বেড়ে উঠছিল। কিন্তু একদিন আলট্রা সাউন্ড পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কের সমস্যার কথা। এরপরই দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার আলট্রাসাউন্ডের সাহায্য নিয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণটির অস্ত্রোপচার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death) হয় এক যুবকের। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত না করিয়েই এবং ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য করার তোড়জোড় শুরু হয় বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা (North 24 Parganas) থানার অন্তর্গত শ্রীপুর এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার পরেও, এমনকি ডাক্তারকে (Doctor) সমস্ত ঘটনার কথা বলার পরেও, ডাক্তার তাঁদেরকে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাক্তার ঠিকভাবে ওই যুবকের চিকিৎসাও করেননি।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম মিশন ঢালী (১৯)। সে তাঁর মামার বাড়িতেই থাকতো দীর্ঘদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মামার বাড়ির লোকজন হঠাৎই দেখতে পান সে ঘরের ভিতরে মৃত অবস্থায় রয়েছে। তাঁকে ঘর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই যুবককে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমনকি ময়নাতদন্ত না করেই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। তাঁর মামার বাড়ির লোকজন মৃত দেহটি বাড়িতে নিয়ে আসার পর শেষকৃত্য করার জন্য তোড়জোর শুরু করেছিল।
তবে এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু জেনেও কীভাবে একজন ডাক্তার ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহটিকে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেন।
এক চিকিৎসককে (Doctor) খুনের অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে নলহাটি থানার পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের পাঁচজনের নাম গোড়া খাঁ, রাজেশ শেখ, অভিষেক সালুই, তারক কর্মকার ও সুখেন কর্মকার। ধৃত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বাড়ি নলহাটিতে এবং সুখেন কর্মকারের বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়াতে।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২৪ এপ্রিল বীরভূমের নলহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়ি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় মদনলাল চৌধুরী নামে এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই খুনের তদন্তে নেমে রবিবার পাঁচজনকে আটক করে পুলিস।
এই বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাদের পুলিসি হেফাজতে নিয়ে ওই চিকিৎসকের খুনের তদন্ত করবে পুলিস। এমনকি এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তারও তদন্ত করা হবে। এমনকি গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এবার কাটমানি (Allegations) নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের (Doctor) বিরুদ্ধে। চিকিৎসকের প্যাথলজি ল্যবে পরীক্ষা না করায় অসভ্য আচরন ও চেম্বার থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) বাশুলীতলা এলাকায়। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের সিঙাতলা এলাকার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ কর্মকার নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তাই একজন চিকিৎসককে দেখাচ্ছিলেন তিনি। সেই চিকিত্সক তাঁকে কিডনি স্পেশালিষ্ট দেখানোর পরামর্শ দেন। সেই মতো মালদহের চিকিৎসক ডাঃ কাঞ্চন সাহাকে দেখান তিনি। আগের চিকিত্সক নরেন্দ্রবাবুকে বিভিন্ন রকমের শাররীক পরীক্ষা করাতে দেন। আর সেগুলি পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক কাঞ্চন সাহা তাঁর নির্ধারিত ল্যবে নিয়ে যান। ল্যাবে গিয়ে রোগীর সঙ্গে থাকা তাঁর দিদি জয়ন্তী সাহা চিকিৎসককে বলেন, তাঁরা অন্য জায়গায় পরীক্ষা করাবেন। এরপরই চিকিৎসক তাঁর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন কেড়ে নেয় এবং অসভ্য আচরন করে চেম্বার থেকে বের করে দেয়। তারপরেই রোগীর দিদি ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি। তিনি বলেন, ইংরেজবাজার পুরো এলাকাতে চিকিৎসার নামে একটি দালাল চক্র কাজ করছে। যার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এমনকি এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও।
বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসেবে লোকসভার টিকিট পাওয়া এক চিকিত্সকের (Doctor Death) অস্বাভাবিক মৃত্যু। হাত পা বাঁধা অবস্থায় লজের একটি ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকে চিকিত্সকের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নলহাটি থানার পুলিস (Police)। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিকও। মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের নাম ডাক্তার মদনলাল চৌধুরী। সোমবার নলহাটি চার নম্বর ওয়ার্ডের রেল গেটের কাছে একটি বেসরকারি লজের উপর নিজের ঘর থেকেই হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিস। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি ওই বেসরকারি লজের ভিতরে ডাক্তারের ঘরে চাবি আনতে গিয়েই তাঁকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তাঁর দাবি, যখন তিনি ঘরের মধ্যে ঢুকছিলেন তখন ঘরের দরজা ভেজানো অবস্থায় ছিল। ডাক্তারকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি দৌড়ে নিচে নেমে এসে পাশের একটি দোকানে ঘটনাটি জানান। পরে তাঁরাই পুলিসে খবর দেয়। স্থানীয়দের দাবি, হাত-পা-মুখ বেঁধে রেখে ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনায় এসডিপিও ধীমান মিত্র জানান, পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে দেহটি দেখেছেন। দেহে কিছু রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। তবে তদন্ত এগোলেই ঘটনাটি পরিস্কার হবে, জানান তিনি। বিজেপি নেতা বিল্পব ওঝা জানিয়েছেন, এই জোনে একজন খুব ভালো নামকরা ডাক্তার ছিলেন তিনি। সর্বোপরি তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে দু'বার এই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এমনকি এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত নিবিড় যোগাযোগ ছিল। আর এরকম একজন মানুষকে দিনের বেলায় তাঁর নিজের ঘরেই খুন করা হয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন আগেও উঠেছে আর এখনও উঠছে।
চলতি মাসের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে আবহাওয়া অনেক শুষ্ক রয়েছে এবং তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিবেশে তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে কী করা উচিত? শুনুন চিকিত্সক কুণাল সরকার কী বলছেন:
বছরে তিনটি মাস আমাদের গরম থাকে এবং এই গরমে আমরা অভ্যস্ত। তবে গরম সহ্য করতে অভ্যস্ত হলেও আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। কারণ হঠাত্ করে আমরা এখন প্রায় ঘরের মধ্যে আছি কিংবা কেউ কেউ বাতানুকূল পরিবেশের মধ্যে আছি। তবে আজ থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর আগে আমরা এত পরিমাণ বাতানুকূল পরিবেশের মধ্যে ছিলাম না। যেটা এখন খুবই বেড়েছে। তাই এখন আমরা ঘরের ভিতর থেকে যখন বাইরে বেরাচ্ছি তখন একটা সম্পূর্ণ আলাদা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসছি। আর যখন আমরা এই আলাদা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসছি তখন আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কারণ বাড়িতে আছি ২৩ ডিগ্রিতে কিন্তু যখন বাইরে বেরাচ্ছি তখন তা ৪০ ডিগ্রি হয়ে যাচ্ছে। তখন আমাদের এই তাপামাত্রার তারতম্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু অসুবিধা হতে পারে। কারণ আমাদের ব্রেনের বিশেষ কিছু কিছু সেন্টার আছে যেখান থেকে আমাদের এই তাপমাত্রা মানিয়ে নেওয়ার কাজগুলো করে।
তাই তিনি জানিয়েছেন, যখন আমারা ঘর থেকে বাইরে বেরবো তখন যেন সরসরি রোদে না দাঁড়িয়ে, ছায়াতে দাঁড়াই। এখন উত্তপ্ত রোদে অর্থাত্ ৩৮-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খোলা আকাশের নিচে না দাঁড়ানোই উচিত। এমনকি শুধু ছায়াতে দাঁড়ালেই হবে না সঙ্গে শরীরের ফ্লুয়েডের পরিমাণ বাড়াতে হবে। খেতে হবে অনেক জল। এই কয়েকটি বিষয় খুব ভালো করে মেনে চলতে হবে বাচ্চা-বড় সবাইকেই।
ডাক্তারের দেখা নেই। রোগীদের ভরসা সেই ফার্মাসিস্ট। অর্থাত্ অসুখ জানাতেই কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিচ্ছেন ফর্মাসিস্টরা (Pharmacist)। ছবিটা মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad) কান্দি ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। কোথায় গেলেন ডাক্তাররা? কেনই বা ফার্মাসিস্ট ওষুধ দিচ্ছেন? প্রশ্ন করতেই বেজায় চটে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংবাদমধ্যমের ক্যামেরায় হাত দিয়ে বাধা দেওয়া হয় খবর সংগ্রহে।
ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে আসা রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশিতেই হাসপাতালে আসেন ডাক্তাররা। অগত্যা ভরসা ফার্মাসিস্ট। এমনকি কিছু কিছু রোগীরা অন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান।
তবে এই বিষয়ে একজন ফার্মাসিস্ট জানান, হাসপাতালের দুটি ডাক্তারের মধ্যে একজন ট্রেনিং-এ গিয়েছেন এবং অপরজনের শরীর অসুস্থ। স্থানীয়দের অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি তুলতেই তিনি জানান, ডাক্তার তো নেই তাই দিতে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে, জানান কান্দি ব্লকের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ সাহা।
শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও সরকারের গা ঢিলেমি মনোভাব। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার। কোথাও ভগ্নদশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তো কোথাও দেখা নেই চিকিত্সকের। এমন অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।
মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনের কারণে মৃত্যু (Death) অন্তত পাঁচ জনের। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন ডাক্তার। পাশাপাশি একটি পোষ্য কুকুরও পুড়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। মর্মান্তিক এই ঘটনা শুক্রবার রাতে ধানবাদ (Dhanbad) ব্যাঙ্ক মোড় এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালের।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত চলেছে উদ্ধারকাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালের মালিক তথা চিকিৎসক বিকাশ হাজরা, তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক প্রেমা হাজরা এবং পরিচারিকা তারা দেবীর। এছাড়া মারা গিয়েছেন নার্সিং হোমের মালিকের ভাগ্নে সোহান খামারি। মোট ৫ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। আর সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক পোষ্যেরও। আগুন লাগার ঘটনায় কয়েক জন আহতও হয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে হঠাৎই ওই হাসপাতালের স্টোর রুমে আগুন লাগে। আর হাসপাতালটি বাড়ির একটি অংশ জুড়ে ছিল। ফলে গোটা বাড়িতেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় ঝাড়খণ্ড পুলিস এবং দমকলবাহিনী। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিস।
উন্নয়ন হয়েছে নাম মাত্র। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শুধুই হয়েছে উদ্বোধন, তারপর সবই বন্ধ। এমনই অভিযোগ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাগদা (Bagda) বিধানসভায় লক্ষাধিক মানুষের। বাগদা-সহ এর আশেপাশের একাধিক এলাকার মানুষ জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার (Emergency health services) প্রয়োজনে দিনরাত বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) ছুটে আসেন৷ স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল, প্রসূতি মহিলাদের (pregnant woman) জন্য সিজার ওয়ার্ড চালু করার। এরপরই বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ বৈঠকের পর চালু হয় এই পরিষেবা৷ কিন্তু কয়েক মাস পরই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্ষুব্ধ বিরোধী দল সহ সাধারণ মানুষ৷
বাগদা ব্লক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজন চিকিৎসক নিয়ে এই বিভাগটি চালু হয়েছিল৷ তবে বর্তমানে একজন চিকিৎসক উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যাওয়ায় প্রসূতিদের জন্য সিজারের ওয়ার্ডটি প্রায় বন্ধের মুখে৷ তবে দ্রুত চিকিৎসক এনে পরিষেবা আগের মতোন সচল করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের৷ বিশ্বজিৎ বাবু আশ্বাস দেন, দ্রুত স্বাভাবিক হবে এই পরিষেবা৷
প্রসঙ্গত, গত ১৭ই নভেম্বর ২০২১ মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাগদা হাসপাতালে সিজার ওয়ার্ডের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়াও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটা করে গত ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ উদ্বোধন করেছিলেন বাগদার বিধায়ক। কিন্তু কয়েক মাস পরের থেকেই বন্ধ হয়ে পরে আছে সিজার ওয়ার্ডটি।
ফল কাটার ছুরি নিয়ে দুই চিকিৎসকের উপর হামলা এক রোগীর (Patients attack Doctor)। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) যবৎমল জেলার শ্রী বসন্তরাও নায়েক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা। ঘটনায় জখম হয়েছেন দুই চিকিৎসক। এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন চিকিৎসকেরা।
জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার রাতে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন এক রেসিডেন্ট চিকিৎসক। হঠাৎই তাঁর উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন ওই রোগী। সহ-চিকিৎসকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি ছুটে আসে অন্য এক চিকিৎসক। তখনই রোগীর হাতে জখম হয় ওই চিকিৎসকও।
যবৎমলের পুলিশ সুপার পবন বানসোড় বলেন,"অভিযুক্ত রোগীর নাম সুরজ ঠাকুর। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ‘দু’দিন আগে নিজেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন সুরজ। তার পর ওই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রোগীকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’
৪ ডোজ অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করে আত্মহত্যা (Suicide) করেন ২৪ বছর বয়সী এক মহিলা ডাক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে ভোপালের (Bhopal) সরকারি গান্ধি মেডিকেল কলেজের (জিএমসি) হস্টেলে। পুলিস জানিয়েছে, অ্যানেস্থেশিয়া ড্রাগ দিয়ে ইনজেকশন দেন নিজেকে। এর ফলে ওই মহিলা ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওই মৃত মহিলা ডাক্তারের নাম আকাঙ্খা মাহেশ্বরী (Akansha Maheshwari)। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। পুলিস তাঁর ঘর থেকে খালি ইনজেকশনের শিশি এবং একটি সিরিঞ্জশুদ্ধার করেছে। কোহ-ই-ফিজা থানার ইনচার্জ বিজয় সিসোদিয়া বলেছেন, 'মহিলা নিজেকে ২.৫ মিলি অ্যানেস্থেশিয়ার চারটি ডোজ দিয়েছিলেন।'
একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে ঘর থেকে। সেখানে লেখা ছিল, তিনি মানসিকভাবে শক্তিশালী নয় এবং উত্তেজনা সহ্য করতে অক্ষম। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন ব্যক্তিগত কারণে তিনি জীবনের এই কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য কেউ দায়ী নয়। এমনকি বাবা-মার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাও চেয়েছেন।
হস্টেলের অন্যরা জানান, বুধবার সকাল থেকে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। যখন তাঁরা সন্ধ্যায় ফিরে আসে, তখনও দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী এবং মেডিকেল ম্যানেজমেন্টকে জানায় বিষয়টি। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। ওই মহিলাকে ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, তিনি গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ছিলেন এবং প্রায় এক মাস আগে জিএমসিতে যোগদান করেছিলেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। পুলিস একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।