সাতসকালে সল্টলেকের জিসি ব্লকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতি। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা এবং বিধায়ক সুজিত বোস। দম্পতির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। সত্যিই কি আত্মহত্যা, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র এবং তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। যদুনাথবাবু পেশায় চিকিৎসক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে কাজ করতে এসে যুগলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন বাড়ির কাজের লোক। চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস আধিকারিকরা। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসও।
তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে আসেন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা। তাঁর দাবি, দেহগুলির পাশ থেকে রান্নায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রী মন্দিরা মিত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন ডঃ জেএন মিত্র। ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রী মন্দিরা মিত্র-র মৃত্যু হলেও অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন স্বামী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে সন্দিহান পুলিস। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানা।
রেজিস্ট্রেশন জাল করে দিনের পর দিন ডাক্তারি করা অভিযোগ। ঘটনায় সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে গ্রেফতার হয় ওই ভুয়ো ডাক্তার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ভুয়ো ডাক্তারের নাম অরবিন্দকুমার গুপ্ত। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃহস্পতিবার ধৃত ওই ভুয়ো ডাক্তারকে জঙ্গিপুর মহুকুমা আদালতে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অরবিন্দকুমার গুপ্ত কলকাতার এক বিখ্যাত ডাক্তারের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর জাল করে ফরাক্কার একটি নার্সিংহোমে বেশ কয়েক বছর ধরে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখছিলেন। অরবিন্দ নিজেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, কলকাতার চিকিৎসক অরবিন্দকুমার গুপ্ত অন্য়ের ডকুমেন্ট ও ডাক্তারি ডিগ্রি জাল করে ডাক্তারি করতেন।
বুধবার ফরাক্কার সেই নার্সিংহোম ছেড়ে অরবিন্দকুমার সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আরএমও হিসেবে যোগদান করতে যান। তখনই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সেই ডাক্তারের কাছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চান। কিন্তু উনি রেজিস্ট্রেশন নম্বরের যে কাগজটি দেখান সেটা দেখেই কার্যত সন্দেহ হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। তারপরেই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সত্যতা যাচাই করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ওই ভুয়ো ডাক্তার কলকাতার একজন বিখ্যাত ইএনটি স্পেশালিস্টের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জাল করে প্রাকটিস করছিলেন। তারপরেই বিষয়টি সামশেরগঞ্জ থানায় জানানো হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ওই ভুয়ো ডাক্তার অরবিন্দ কুমার গুপ্তকে আটক করে নিয়ে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।
নেশার প্রতিবাদ করায় জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এনআরএস মেডিকেল কলেজের ঘটনা। এ ঘটনায় এখনও অবধি ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এন্টালি থানার আধিকারিকরা। এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, নেশার প্রতিবাদ করায় জনা দুয়েক জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এনআরএসে নতুন নির্মীয়মান বিল্ডিং-এর শ্রমিকরা। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন এন্টালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এনআরএস হাসপাতালের নতুন নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে কিছু শ্রমিক অশালীন কাজ করছিল ও নেশা করছিল। তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ জানায় কিছু জুনিয়র চিকিৎসকরা। তখন ওই শ্রমিকরা তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপর জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তাররা এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। চিকিৎসকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
কালীপুজোর রাতে খোদ হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। অভিযোগ একদল জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালের।
অভিযোগ, রাত ১০টার কিছু পরে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাল্টা দাবি, হাসপাতালে বাজি নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। এমনকী, তাঁরা শব্দ বাজি নয়, ফাটিয়েছেন সবুজ বাজি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাসপাতালের লেডি ডক্টর্স হস্টেলের সামনে শব্দবাজি ফাটাতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। পরে জানা যায়, তাঁরা এই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে বাজির প্যাকেটও। যদিও এইগুলিকে সবুজ বাজি বলেই পাল্টা দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনার পর তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে বাজি ফাটানো যে নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। হাসপাতালের মধ্যে কারা বাজি ফাটিয়েছেন, সেই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএসের সুপার ইন্দিরা দের বক্তব্য, এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানাবেন।
এ যেন ঠিক উলটপুরাণ। একদিকে যখন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দাপিয়ে বেরাচ্ছে দালালরাজ। দালালচক্রের দাদাগিরিতে অতিষ্ট রোগীর পরিজন। ঠিক সেইসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের অভিযোগ উঠল রামপুরহাটের একটি দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। সোমবার সেই চক্রের বিরুদ্ধে রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দারস্থ হন আইএমএ রামপুরহাট শাখার চিকিৎসকরা। সুরাহা না হলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, পরিবারের পাশাপাশি বেশ কিছু লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে চিকিৎসকের ওপর। অভিযোগ, বিভিন্নভাবে চিকিৎসকদের থেকে মোটা টাকা দাবি করা হয়। ডাক্তাররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগ চিকিৎসক তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের।
চিকিৎসকদের হেনস্থা? দালালরাজের কোপে খোদ চিকিৎসক? কয়েকদিন আগে রামপুরহাট শহরের একটি নার্সিংহোমে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ১১ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় চিকিৎসকের কাছে। অভিযোগ, টাকা না দিলে পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রয়েছেন রামপুরহাটের চিকিৎসককূল।
জেলায় জেলায় বাড়ছে দালালরাজের দৌরাত্ম্য। নিস্তার মিলছে না চিকিৎসকদেরও। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।
ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, সোমবার এ ঘটনায় বিচারপতি আরও নির্দেশ দেয় পরবর্তী শুনানির মধ্যে সিআইডি-কে নিম্ন আদালতে বাড়তি চার্জশিট জমা দিতে হবে। সূত্রের খবর, প্রজ্ঞাদীপা হালদার পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর সাথে কৌশিক সর্বাধিকারি নামে এই আর্মি হাসপাতালের ডাক্তারের বিবাহ হয়। তারপর চলতি বছরের ২০ জুন প্রজ্ঞাদিপাকে তার স্বামীর ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর মৃতার পরিবার ব্যারাকপুর পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। জুন মাসের ২৩ তারিখে তার স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয়।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন ওই মৃতা। আত্মঘাতী হওয়ার একটি পত্রও পাওয়া গেছে। তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। কিছু প্রমাণ আছে। এর পরিপেক্ষিতে, মামলাকারির আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, মৃতা প্রজ্ঞাদিপা হালদারকে খুন করা হয়েছে, অথচ পুলিস খুনের ব্যাপারকে চেপে গিয়ে পুরো ঘটনা টিকে একটি দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছেন। ঘটনার দিনের ভিডিওগ্রাফী পুলিশের কাছে আছে, কিন্তু তিনি তা আদালতের সামনে আনতে চাইছেন না। তিনি এও জানান যে অভিযুক্ত হলেন তার স্বামী যিনি একজন আর্মি হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি ময়নাতদন্তকারি চিকিৎসককে ফোন করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রভাবিত করার জন্য বলেছিলেন। সেই তথ্য প্রমাণ রয়েছে মামলাকরীদের কাছে।
অভিযোগ, এসবের পরেও এত সময় পেলেও এ ঘটনায় এখনও চার্জশিট দেয়নি সিআইডি। হাইকোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার কথা বলে সময় নেওয়া হয়েছে। অথচ নিম্ন আদালতে নতুন চার্জ সিট দেওয়ার কোনো আবেদন করা হয়নি। এটা খুব অদ্ভুত নতুন করে তদন্ত হচ্ছে, অথচ নতুন চার্জশিট দেওয়ার ব্যাপারে আদালতে কোনও আবেদন করে নি। আরও চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা, নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ জানানো হল না। এরপরেই মামলাকারীর অভিযোগে ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানির মধ্যে সিআইডি কে নিম্ন আদালতে বাড়তি চার্জশিট জমা দিতে হবে এমনই নিদেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
জ্বরে আক্রান্ত যুবতীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক (Doctor) তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) প্রাক্তন সভাপতির (Former President) বিরুদ্ধে। বনগাঁর (Bangaon) গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই খবরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বছর ২৪-এর ওই যুবতী থানার দারস্থ হন এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার৷
যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ওই যুবতী ও পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। ওই যুবতী কলেজ পাস করে বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি টিউশনি করেন৷ একদিন সন্ধ্যায় টিউশনি করে ফেরার পথে তাঁর জ্বর বেশি থাকায় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন৷ সে সময় চেম্বারে কেউ ছিলনা৷ অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎই অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে ওই যুবতী কোনওভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির লোকের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করেন গ্রামের বাসিন্দারা৷ পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও যুবতীর পরিবারের লোকেরা স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে গিয়ে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি 'অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ অর্থের জোরে, ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছেন৷ এবার তাঁর শাস্তি চাই।'
চিকিৎসক (Doctors) ঈশ্বরের সমান, এমনটা সবসময় বলতে শোনা যায়। এবারে তার এক প্রমাণও পাওয়া গেল হাতে-নাতে। মাঝ আকাশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে দু'বছরের একরত্তি। আর বিমানের (Flight) মধ্যে উপস্থিত কিছু চিকিৎসকের দল কিছুক্ষণের মধ্যেই সুস্থ করে তুলল তাকে। এই খবর ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সারা দেশবাসী। জানা গিয়েছে, রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার একটি বিমান। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এক দুই বছরের শিশুকন্যা। তার নাড়ি স্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ও হাত-ঠোটও নীল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখনই মাঝ আকাশে জরুরি অস্ত্রোপচার করে তাকে নতুন করে জীবন পাইয়ে দেয় চিকিৎসকের দল।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী বিমানটিতে এক শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অবিলম্বে বিমানটির নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা হয়। কিন্তু তাতে অনেকটা সময় লাগলে চিকিৎসকরা মাঝ আকাশেই তার চিকিৎসা শুরু করেন। শিশুটিকে বাঁচাতে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে ইন্টারকার্ডিয়াক রিপেয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে গলায় ফুটো করে আইভি ক্যানুলা বসান। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়, যাকে চিকিৎসকের পরিভাষায় অরোফারিনজিয়াল এয়ারওয়ে বলা হয়।
এখানেই শেষ নয়, শিশুটি ফের একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডেফাইব্রিলেটর দিয়ে বিদ্যুতের শক দিয়ে শিশুটির হৃৎপিন্ড সচল রাখা হয়। এরপর শিশুটি স্থিতিশীল হয়। পরে নাগপুরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করলে, শিশুটিকে পিডিয়াট্রিশিয়ানের হাতে তুলে দেওয়া হয় পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু-দিল্লি বিমানে উপস্থিত ছিলেন এক চিকিৎসকের দল। তাঁরা ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ভাস্কুলার অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি-র কনফারেন্স থেকে ফিরছিলেন। চিকিৎসকদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন অ্যানথেসিস্ট ও কার্ডিয়াক রেডিওলজিস্ট। তবে চিকিৎসকরা যেভাবে একরত্তির জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে, তা সত্যিই মিরাকলের থেকে কম কিছু নয়।
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর (Death) ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল সোনারপুর হাসপাতালে। ঘটনার জেরে আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে পালালেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম শুভ নস্কর (১৯)। বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকার সুভাসগ্রামের চন্ডীতলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সোনারপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এরপর পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে, পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃত রোগীর পরিজনেরা।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় বিষাক্ত পোকামাকড় কিংবা সাপে কামড়েছে বলে মনে করে ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অভিযোগ, পর্যবেক্ষণে রাখার পরিবর্তে দুটি ইনজেকশন দিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ওই যুবককে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আবার নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রোগীর পরিবারের লোকজন। ডাক্তারদের উপর ভুল চিকিৎসা করার অভিযোগে হাসপাতালের সামনে চড়াও হন রোগীর পরিজনেরা।
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ভর্তি না করার পাল্টা দায় চাপিয়েছে পরিবারের উপর। মৃতের পরিবারের দাবি চিকিৎসকদের গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের (Hospital) চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভেবে অভিযোগ, বিক্ষোভ তোলেন রোগীর পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ইসলামপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা সুস্থ হয়ে শনিবার ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু রবিবার শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করার পরিবর্তে কিছু ওষুধ লিখে দেয় এবং তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে গিয়ে রোগীকে দেখানোর প্রস্তাব দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের পরিবর্তে ব্যক্তিগত চেম্বার করে সেখানে রোগী চিকিৎসার অনৈতিকতার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
যদিও পরে পুলিস হাসপাতালে এসে বিক্ষোভে সামিল হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে সরকারি চিকিৎসকদের অনৈতিকভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ পরিজনেরা।
স্ত্রীকে খুন করে পুলিসের কাছে নিজেই আত্মসমর্পণ (Surrender) করল চিকিৎসক স্বামী। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা অশান্তির জেরেই এই খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃতার নাম রত্নতম বালা। তিনি একটি বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত। আর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম অরিন্দম বালা। এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার অন্তর্গত মন্ডপ ঘাটা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগদা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযুক্তের ভাই অনির্বাণ বালা জানান, বছর দুই আগে অরিন্দম বালার সঙ্গে বারাসতের বাসিন্দা রত্নতম বালার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই দু'জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। ভাই অনির্বাণ বালা আরও বলেন, বৌদি বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতেন৷ গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে দাদা বৌদি একসঙ্গে বাড়িতে আসে। সবাই রাতে একসঙ্গেই খাওয়া দাওয়া করে। তারপর ভোরবেলা নামাদ দাদা বলে সে একটি ভুল কাজ করে ফেলেছে, বৌদিকে নিজের হাতে খুন করেছে। ঘরের মধ্যে অনেক ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর অরিন্দম বালা বাগদা থানাতে পুলিসকে ফোন করে ডেকে দাদা নিজেই আত্মসমর্পণ করে।
এক-দুটো নয়, পরপর সাত নবজাতক (New Born) শিশুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক নার্সের (Nurse) বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, পরে আরও ছয় নবজাতক শিশুকে হত্যা করার চেষ্টা করারও অভিযোগ উঠেছিল। তাকেই এবারে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামী সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ব্রিটেনের (Britain) এক হাসপাতালের। সূত্রের খবর, সেই নার্সকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য় করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত নার্সের নাম লুসি লেটবি (Lucy Letby)। সে উত্তর-পশ্চিম ইংল্য়ান্ডের চেস্টার হাসপাতালে কাজ করত। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্য়ে একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসকই লুসির উপর প্রথমে সন্দেহ করেন। সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে তার বাড়ি থেকে কিছু চিঠি পাওয়ার পরে লুসি লেটবিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছিল, লুসি নবজাতকদের হাওয়া ভরা ইনজেকশন, বেশি করে দুধ খাইয়ে ও ইনসুলিন দিয়ে হত্যা করত। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ আনা হলেও সে সবকিছুই অস্বীকার করে। তবে তার বাড়ি থেকে যে চিঠিগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে লেখান ছিল, 'আমিই শয়তান, আমিই সবকিছু করেছি।' ফলে সেই সময় থেকে এই মামলা চলছে। অবশেষে শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সোমবার তার সাজাও ঘোষণা করা হবে।
চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর (Doctor Beaten) করে বান্ধবীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ি ড্যামে। এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় গুড়গুড়িপাল থানায়। পুলিস (Police) প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করে ওই তরুণীকে। পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই চিকিৎসককে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের হাউস স্টাফ চিকিৎসক তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ি ড্যামে। হঠাৎ সন্ধ্যেবেলা মুখে গামছা বেঁধে দুই ব্যক্তি মোটরবাইকে করে হাজির হয় তাঁদের সামনে। দুষ্কৃতীরা চিকিৎসকের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়ে। এরপরেই চিকিত্সককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। এরপর তাঁর বান্ধবাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর চিকিত্সকের চিত্কার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে এবং গুড়গুড়িপাল থানায় খবর দেন।
স্থানীয়দের দাবি, তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনার তদন্তে নামেন। ঘটনাস্থলে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ একাধিক ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। এমনকি মেদিনীপুর পুলিস লাইন থেকেও নিয়ে আসা হয় বিশাল বাহিনী। পুলিস আশেপাশের প্রতিটা গ্রামে ওই তরুণীর খোঁজ চালায়। প্রায় চার ঘণ্টা পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিস। শুধুমাত্র চিকিত্সকের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ নাকি দুষ্কৃতীতাণ্ডব চালানোয় উদ্দেশ্য ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
উল্লেখ্য এলাকাবাসীদের আরও দাবি, রাত বাড়লেই ফুলপাহাড়ি ড্যামে বাড়ছে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। বাড়ছে অসামাজিক কাজকর্মও। তাই অবিলম্বে ওই এলাকায় পুলিসি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলছেন এলাকাবাসীরা।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট প্রকৃত অর্থে আশার আলো জাগিয়ে তুলল চিকিৎসকদের মনে। গত ৬দিন ধরে কলকাতার উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের তরফে তাঁর মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ৭৯ বছর বয়সী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গত ৬দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ইন্টারমিটেন্ট নন ইনভ্যাসিভ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি সজাগ রয়েছেন। চিকিৎসক ও ভিজিটর্সদের কথায় সাড়া দিচ্ছেন।
যা অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত বলেই মনে করছে বিশিষ্ট চিকিৎসকমহল। উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক ডাক্তার জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করেন। এরপরই ইসিজি করানো হয়। রিপোর্টে সব স্পষ্ট নয়। বুকে কি জল জমেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর! তা জানতেই বৃহস্পতিবার আলট্রা সাউন্ড করানো হয়। সেই রিপোর্টও স্বস্তির বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী পদক্ষেপ কি হবে! তা আগামী শনিবার চিকিৎসকদের কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে ঠিক করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যদিও বুদ্ধদেব বাবুর চিকিৎসক কমিটির এক চিকিৎসকের মতে, সব পরিস্থিতি ও রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকলে আগামী শনিবারই তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার অনেকটা ভাল আছেন। কথাও বলেছেন। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের কাছে বাড়ি ফেরার 'আবদার'-ও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। দু'কামরার ফ্ল্যাটেই তিনি সুস্থ থাকবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের। যদিও, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনও কয়েকদিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর দুপুরেই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, নিশ্বাস ঠিক রাখতে ওইদিন রাতেই তাঁকে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও। একটানা অনেকক্ষণ বাইপ্যাপ সাপোর্ট রাখতে হচ্ছে না তাঁকে। মাঝেমাঝেই তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেই সময় নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বুদ্ধদেবের সোডিয়াম-পটাশিয়াম রিপোর্টও ভাল বলে জানা গিয়েছে। ক্রিয়েটিনিন আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আপাতত পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ চলবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এই অ্যান্টিবায়োটিক তাঁর কিডনির যাতে কোনও ক্ষতি না করে, সেই ব্যাপারে কড়া নজর রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের।