
শরিফুল রাজের (Shariful Raaz) সঙ্গেও বিয়ে টিকল না পরীমণির (Porimoni)। এতদিন কেবল আলাদা থাকতেন, এবার আইনি পথে হেঁটে রাজকে ডিভোর্স (Divorce) দিলেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে একথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী খোদ। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর একেবারে গোপনে বিয়ে সেরেছিলেন দুই তারকা। বিয়ের ১০ মাসের মধ্যে মা হন পরীমণি। এরপরেই তাঁদের বিচ্ছেদের শব্দ ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। যদিও ছেলের জন্য বারংবার এক হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। তবে শেষরক্ষা হল না। অনেক জল্পনা শেষে আইনি বিচ্ছেদের কারণও প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী।
সামাজিক মাধ্যমে একটি সুদীর্ঘ পোস্ট দিয়ে পরীমণি তাঁর মনের সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, 'সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!'
পরীমণির দাবি, তিনি যে স্বাভাবিকভাবে শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ করছেন, এটাও একপ্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। নয়তো অভিনেত্রীর সঙ্গে যে অন্যায়গুলি হয়েছে তার জন্য রাজের জেল হওয়া উচিৎ বলেই মনে করেন পরীমণি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, রাজের থেকে খোরপোষ নিচ্ছেন অভিনেত্রী? সামাজিক মাধ্যমের পোস্টেই তিনি স্পষ্টত জানিয়েছেন, 'আমার ছেলের যাবতীয় খরচ মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি একা বহন করবো। এতদিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মায়ের।'
প্রাক্তন ক্যাবিনেট মিনিস্টার প্রমোদ মহাজনের ছেলে রাহুল মহাজন (Rahul Mahajan)। একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো আয়োজিত 'স্বয়ংবর'-এ অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই জনপ্রিয়তা পাওয়া। যদিও তার আগে একটি বিয়ে করে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এরপর ২০১০ সালে ওই অনুষ্ঠান থেকেই বাংলার মেয়ে ডিম্পি গাঙ্গুলিকে বিয়ে করেছিলেন রাহুল। সেই বিয়েও ভেঙে গিয়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ সালে অভিনেত্রী নাতালিয়া ইলিনাকে বিয়ে করেছিলেন। এবার রাহুলের তৃতীয় বিয়েও ভাঙনের মুখে।
বিয়ে ভাঙলে অনেকেই খোরপোশের দাবি করেন। পরপর তিনটি বিবাহ বিচ্ছেদে কত টাকা খোরপোশ দিতে হল রাহুলকে? সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, 'আমি বিচ্ছেদের খোরপোশ হিসেবে একটি পয়সাও কখনও দিইনি। শ্বেতা,ডিম্পি, নাতালিয়া সকলের সঙ্গেই আমার মিউচ্যুয়াল ডিভোর্স হয়েছে।' অন্যদিকে তৃতীয় বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বেশ ভেঙে পড়েছেন রাহুল।
সংবাদমাধ্যমকে রাহুল বলেন, 'আমি কখনও এই ভেবে বড় হয়নি যে আমার একাধিকবার বিচ্ছেদ হবে। কেউ চাই না সম্পর্ক শেষ হোক। এই প্রক্রিয়া ব্যথার। কখনও সম্পর্ক কাজ করে না, নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়। মানুষ দোষ খোঁজে। কিন্তু কখনও এমন কিছু হয়, যার কোনও কারণ থাকে না।' রাহুল সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এখন মনোবিদের পরামর্শ নিচ্ছেন।
অভিনেতা ফারদিন খান (Fardeen Khan)। একসময় বলিউডে অভিনয় করেছেন হাতে গোনা ৩০ থেকে ৩২টি ছবিতে। ইদানিং তাঁকে আর দেখা যায় না সিনেমার পর্দায়। বাড়িতে, সন্তানদের সঙ্গেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান তিনি। এবার ব্যক্তিগত জীবনেও নেমে এলো ঝড়। শোনা যাচ্ছে, ১৮ বছরের দাম্পত্যের পর স্ত্রী নাতাশা মাধবনীর (Natasha Madhvani) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) দিকে যাচ্ছেন তিনি।
বলিউডের জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজের কন্যা নাতাশা। ২০০৫ সালে তাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ফারদিন। ১৮ বছর একসঙ্গে পথ চলেছেন, জীবনে এসেছে সন্তানও। সেই বিয়ে ভার সামলাতে না পেরে শেষের পথে। শোনা যাচ্ছে, দম্পতির মধ্যে নাকি মতবিরোধ চলছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি আলাদা থাকছেন তাঁরা। নাতাশা বেশিরভাগ সময় থাকেন লন্ডনে। অন্যদিকে ফারদিন থাকেন নিজের দেশেই। যদিও তারকা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সামাজিক মাধ্যমে। তবে শোনা গিয়েছে, তাঁরা নাকি যৌথভাবেই বিচ্ছেদ করছেন।
বিদেশে উড়ে গিয়ে ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন রণবীর সিং (Ranveer Singh) এবং দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone)। তারপর থেকে ভক্তদের কাছে প্রিয় জুটি হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, একে ওপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান দেখে ভক্তরা কেবল মুগ্ধ হয়েছেন। গত কয়েক মাসে তাঁদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভিন্ন চর্চা শুরু হয়েছে। দম্পতির সম্পর্ক নাকি ভালো যাচ্ছে না, এমন গুঞ্জনেই ছয়লাপ হয়েছিল নেট দুনিয়া।
এই প্রসঙ্গের সূত্রপাত এক অনুষ্ঠান থেকে। সাধারণত জনসমক্ষে একে অপরের হাত ধরে থাকেন তারকারা। তবে সেই অনুষ্ঠানে রণবীর দীপিকার দিকে বেশ কিছুক্ষণ হাত বাড়িয়ে দিলেও অভিনেত্রী হাত ধরেননি। এমনকি একসঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেননি। দম্পতির মাঝে দাঁড়িয়েছিলেন প্রকাশ পাডুকোন, অর্থাৎ দীপিকার বাবা। এইটুকুই দর্শক দেখেছেন। এই অনুষ্ঠানের অন্দরমহলে কী হয়েছে, দর্শক দেখেননি।
রণবীর সেই অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দীপিকার প্রশংসা করেন। দীপিকাও হাসিতে লুটিয়ে পড়ার জোগাড়। এই কিছুদিন আগে মার্জার সরণিতে হেঁটেছিলেন রণবীর। দর্শক আসনে দীপিকাকে বসে থাকতে দেখে, এক মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন। এরপর স্ত্রীয়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে চুমু খেয়েছেন। শনিবারে এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক গাড়িতে পাশাপাশি বসে রয়েছেন দম্পতি। দীপিকার মুখে একগাল হাসি নিয়ে কি যেন বলছিলেন রণবীরকে। অন্যদিকে রণবীর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন দীপিকার দিকে। অর্থাৎ রটছে মানেই যে ঘটছে, সবসময় তা হয় না।
চলতি বছরের ২৯ জুন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নবনীতা দাস (Nabanita Das) আচমকাই ঘোষণা করেন তাঁর ও স্বামী জিতু কমলের (Jeetu Kamal) সম্পর্কে ভাঙন এসেছে। তাঁদের খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদ (Divorce) হতে চলেছে। এরপরই তাঁদের অনুরাগীদের মন ভেঙে যায়। তবে জিতু বিচ্ছেদ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও তিনি একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করেছেন। যা দেখে বোঝাই যায় তাঁর মনের অবস্থা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও এমনই এক পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করলেন, যা দেখার পর চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা।
জিতু বৃহস্পতিবার ফেসবুকে কিছু লাইন লিখে শেয়ার করেছেন। অনুরাগীদের একাংশের দাবি, তাঁদের এই বিচ্ছেদ হওয়ার পিছনে জিতুর কোনও দোষ নেই। জিতু লেখেন, 'আমি ভাবুক, ইচ্ছুক নই/ আমি প্রেমিক, বিকৃত নই/ আমি চিন্তন, চিরন্তন নই/ আমি সৃষ্টিশীল, সৃষ্টিকর্তা নই/ আমি দোষারোপ, দোষী নই।।।' আর এই লেখা পোস্ট করার পরই জিতুর মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় তাঁর ভক্তরা। এই লাইনগুলোর মাধ্যেমে তিনি আসলে কী বার্তা দিতে চােয়েছেন, সেই নিয়েই ধন্দে রয়েছেন নেটিজেনরা। তবে তাঁর অনুরাগীদের একটাই আশা, জিতু ও নবনীতার এই সম্পর্ক যাতে না ভাঙে।
বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন, ঘর ভাঙছে অজয় দেবগণ (Ajay Devgan) ও কাজলের (Kajol)। ইতিমধ্যেই নাকি তাঁদের বিচ্ছেদের আবেদন পৌঁছেছে আদালতে। যদিও এই গুঞ্জনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কাজল বা অজয়। তাঁরা ব্যস্ত রয়েছেন নিজের কাজ নিয়ে। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে কয়েকটি ভিডিও নিয়ে। কাজল এবং অজয়ের জনসমক্ষে আসার নানা ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। সেই ভিডিও দেখে নেটিজেনদের ধারণা, তারকা দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ ভালো নেই।
এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে নাকি মন খারাপ মেয়ে নাইসা এবং ছেলে যুগের। সম্প্রতি অভিনেতা একটি ছবিতেই বুঝিয়ে দিলেন পরিবার নিয়ে তাঁর অবস্থান। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অজয়। সেই ছবি দেখে বোঝা গিয়েছে, স্ত্রী কাজল, মেয়ে নাইসা, ছেলে যুগ এবং ভাইপো দানিশকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছেন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সবথেকে বেশি শান্তির।'
এই ছবি ও ক্যাপশন দেখে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'ভালো হয়েছে আপনি এই ছবি দিয়েছেন। না হলে সামাজিক মাধ্যমের লোকজনেরা আপনার ডিভোর্স করিয়েই দিত।'
গত দু'দিন ধরে টলিপাড়ায় জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতাকে (Nabanita Das) নিয়ে চলছে জোর চর্চা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবনীতার একটি পোস্টেই শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। তিনি ফেসবুকে জানিয়েছেন, তাঁর জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদ হতে চলেছে। কারণ তাঁরা একসঙ্গে ভালো নেই। কিন্তু অপরদিকে জিতুকে দেখা যায় একেবারে বিপরীত স্রোতে হাঁটতে। তিনি উল্টে নবনীতাকে সারাজীবন আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর শনিবারও ফের এক পোস্ট শেয়ার করলেন জিতু। যা দেখেও নেটপাড়ায় তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ (Divorce) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
বিচ্ছেদ নিয়ে ঘোষণার পরই জিতু ফেসবুকে পর পর দু'দিন পোস্ট করেছেন। আর আজ তিনি একটি ছবি শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। না, এই ছবিতে তিনি একা নন, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী নবনীতা দাস। হাত জোড় করে প্রার্থনা করছেন দু'জনেই। আর ক্যাপশনে লেখা 'Nam Myo ho renge kyo'। আর এই ছবি দেখতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ভক্তরা। তিনদিন ধরে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে এক ধোঁয়াশা থাকায় তাঁদের অনুরাগীদের মনও খারাপ। তবে তাঁরা শেষে এটাই চাইছেন যে, যাই হোক না কেন, তাঁদের যেন এই বিচ্ছেদ না হয়। ভক্তদের একটা বড় অংশ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে লিখেছেন, এই ফ্রেমটা বারবার দেখতে চান। এভাবেই যেন তাঁরা সারাজীবন একসঙ্গে সুখে থাকেন। তবে নবনীতার সঙ্গে সম্পর্ক কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে এই পোস্টে কোনও ইঙ্গিত দেননি জিতু।
টলিপাড়ায় (Tollywood) ফের ভাঙনের সুর! বৃহস্পতিবার থেকে টলিউডে জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাসের (Nabanita Das) বিবাহ-বিচ্ছেদ (Divorce) নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। গতকাল দুপুর নাগাদ হঠাৎ ফেসবুকে পোস্ট করেন নবনীতা। তারপরেই হইচই পড়ে যায় টলিপাড়ায়। এই খবর শুনে তাঁদের অনুরাগীদের মনও ভেঙে যায়। তবে নবনীতার সেই পোস্টের পর জিতুও তাঁকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক পোস্ট করেছিলেন। যা দেখে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে এখন ধোঁয়াশায় প্রত্যেকেই। কিন্তু এবারে ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ফের এক পোস্ট জিতুর। তবে কার উদ্দেশে লেখা তা নিয়েই ফের শুরু জল্পনা।
শুক্রবার জিতু কমল ফেসবুকে একটি মহাদেবের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশানে লিখেছেন, 'গোপনীয়তা বজায় রাখো। ঘুরে বেড়াও কিন্তু কাউকে বলো না। একজন সঙ্গী খুঁজে নাও, কিন্তু কাউকে বলো না, সুখে থাকো কিন্তু কাউকে বলো না। মানুষ সুন্দর জিনিসগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।' তবে এই পোস্টে উল্লেখ নেই তাঁর 'বাচ্চা বউ'-এর। কিন্তু নেটিজেনরাও বুঝতে ভুল করেননি যে, এই পোস্ট আর কেউ নয়, নবনীতার জন্যই।
নবনীতা তাঁর বিচ্ছেদ সম্পর্কে মুখ খুললেও এই কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন জিতু। বরং তিনি আরও নবনীতাকে সারাজীবন আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে তাঁদের মধ্য়ে আদৌ বিচ্ছেদ হচ্ছে কিনা তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট পর্দার অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das) পোস্ট। আর সেই দেখেই শুরু জল্পনা। নবনীতা ও জিতুর (Jeetu Kamal) বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) হতে চলেছে। এমনটাই জানালেন নবনীতা। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁদের অনুরাগীদের মন একেবারে ভেঙে পড়েছে। টলিপাড়ার এক 'কিউট' ও 'পাওয়ার কাপল'-দের মধ্যে অন্যতম হল জিতু ও নবনীতার জুটি। বেশ কয়েক মাস আগেই তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে নানা গুঞ্জন রটেছিল। তবে কি এবারে সত্যি তাঁদের ছাড়াছাড়ি হতে চলেছে। একাধিক প্রশ্ন নেটিজেনদের মনে।
২০১৯ সালের মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জিতু ও নবনীতা। নবনীতাই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিলেও পরে জিতুও প্রেমে পড়ে যান। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবেই একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁরা। গত মাসেই তাঁদের বিয়ের চার বছরও পূর্ণ হয়েছে। বিবাহ-বার্ষিকী উদযাপন করতে দু'জনেই উড়ে গিয়েছিলেন লন্ডন। কিন্তু তার একমাসের মধ্যে কী এমন হল তা নিয়েই চিন্তিত তাঁর অনুরাগীরা।
নবনীতা এদিন ফেসবুকে লিখেছেন, 'টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবেনা... একজনের জন্য বানানো Green tea আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবেনা... Towel শেয়ার হবেনা, Sun screen ভাগাভাগি হবেনা.... কিছুই আর একসাথে হবেনা... প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক...ভালো থাকো Jeetu Kamal।'
অন্যদিকে জিতুও নিজের ফেসবুকে নবনীতাকে 'বাচ্চা বউ' বলে সম্বোধন করে লিখেছেন, 'তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাবো।' ফলে এবারে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। তাঁদের আদৌ বিচ্ছেদ হচ্ছে কিনা, নাকি পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি, তাই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন আসছে নেটিজেনদের মনে।
বলিউডে আমির খানের বিপরীতে গজনী সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী আসীন (Asin Thottumkal)। তারপর বলিউডে বেশ কিছ সিনেমায় অভিনয় করলেও তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে আসীন বলেছিলেন, যোগ্য পাত্র পেলে বিয়ে করে সংসার করবেন তিনি। খিলাড়ি কুমার তাঁর বন্ধুর সঙ্গে আসীনের অপ্রত্যাশিত আলাপ করিয়েছিলেন।
এরপর ২০১৬ সালে অক্ষয়ের বন্ধু ব্যবসায়ী রাহুল শর্মার সঙ্গে বিয়ে করে শুধুমাত্র সংসারী নয়, ঘোরতর সংসারী হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁদের ছোট্ট কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে শোনা গিয়েছিল, দম্পতির মধ্যে নাকি বনিবনা হচ্ছে না। এদিকে আসীন তাঁর স্বামীর সঙ্গে আপলোড করা ছবি ডিলিট করে দেন সামাজিক মাধ্যম থেকে। তাঁর এই পদক্ষেপে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের আগুনের ঘি পড়েছিল। তবে আর জল্পনা নয়, অভিনেত্রী নিজেই মুখ খুললেন এই বিষয়ে।
আসীন সামাজিক মাধ্যমে স্টোরিতে লেখেন, 'গরমের ছুটির মাঝখানে রীতিমতো একে অপরের মুখোমুখি বসে প্রাতঃরাশের মজা নিচ্ছি এবং কিছু পরিকল্পিত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর জানতে পারলাম।' অর্থাৎ অভিনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, জল্পনা যাই হোক না কেন রাহুলের সঙ্গে এখনও যৌথ যাপনে রয়েছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং অভিনেত্রী কুশা কপিলা (Kusha Kapila) বিচ্ছেদ (Divorced) ঘোষণা করলেন। স্বামী যোরাবর আহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ সময় প্রেম করেছিলেন। তারপর ৬ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তাঁরা। তবে কুশার সঙ্গে যোরাবরের সম্পর্ক যে ভালো নেই সেই গুঞ্জন আগেই ছড়িয়েছিল। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে কুশা তাঁর বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন।
কুশা জানিয়েছেন, 'যোরাবর এবং আমি যৌথভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না কোনও দিক থেকেই। কিন্তু আমরা জানি আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসে এটাই ঠিক ঠিক সিদ্ধান্ত। যে ভালোবাসা এবং জীবন আমরা একসঙ্গে পেয়েছি তা আমাদের কাছে সবকিছু। কিন্তু বর্তমানে আমরা জীবন থেকে যা চাই তাতে কোনও মিল নেই। আমরা এই বিয়েতে সবকিছু দিয়েছি শেষ পর্যন্ত।'
কুশা সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর নানা কন্টেন্ট নেটিজেনরা খুব পছন্দ করেন। সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সিনেমা সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে বহু ফলোয়ার। কুশার সঙ্গে স্বামীর বিচ্ছেদ নিয়ে দুঃখিত নেটিজেনরাও। যদিও কুশার পোস্টে কমেন্ট করার উপায় নেই। নিজের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আর বোধহয় কিছুই শুনতে চাইছেন না তিনি।
অভিনেত্রীদের (Actress) বিচ্ছেদকে (Divorce) বিশেষ গুরুত্ব দেয় না সমাজ। ভাবখানা এমন যেন অভিনেত্রীদের বিচ্ছেদই ভবিতব্য। এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁদের বিয়ে বিশেষ সুখকর হয়নি। সমাজ থেকে নানা কটূ কথা ছুটে গিয়েছে তাঁদের দিকে। তবে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেননি অভিনেত্রীরা। বরং গুরুত্ব দিয়েছেন মাতৃত্বে। অভিনয় জীবন সামলে সন্তানকে মাতৃস্নেহে বড় করে তুলেছেন, এমনই কিছু অভিনেত্রী আপনার পরিচিত।
২০০৪ সালে প্রবাল বসুর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনে এসেছিল পুত্রসন্তান প্রোনীল। তবে সেই বিয়ে সুখকর হয়নি। আইনি বিচ্ছেদ না হলেও, স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকেন রচনা। ছেলে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করলেও। অধিকাংশ সময় রচনা নিজের কাছেই সন্তানকে রাখেন। কাজের বাইরে ছেলের জন্যই রাখেন নিজের অধিকাংশ সময়।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র স্বামী শিলাদিত্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মেয়ে 'মাইয়া'কে নিয়ে একাই থাকতে শুরু করেন। মেয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করছে। মাঝেমধ্যেই মেয়েকে নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরতে যান।
রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে সেই বিয়ে সুখের হয়নি। বিয়েতে যখন চরম বিপর্যয় তখনই সন্তানসম্ভবা হন অভিনেত্রী। এরপর সন্তান অন্বেষা আসে জীবনে। মেয়েকে একই বড় করে তুলেছে অভিনেত্রী। অন্বেষাও জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছে।
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার বিয়ে করেছিলেন প্রথম সিনেমার সহ অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়কে। ছেলে 'সহজ' জন্ম নেয়। তবে রাহুলের সঙ্গে সম্পর্ক টাল খায় প্রিয়াঙ্কার। যদিও সম্পর্কের প্রভাব পড়েনি সহজের উপর। সময় পেলেই সহজের সঙ্গে সময় কাটান প্রিয়াঙ্কা। সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে গরমের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি (Porimoni) আবারও চর্চায়। চতুর্থ স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে বিপর্যয় এসেছে। দিন কয়েক আগেই ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়ে স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন পরীমণি। কিন্তু ১০ জুন ছেলে রাজ্যের ১০ মাস পূর্তিতে আবারও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল পরীমণি ও রাজকে। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে ঝামেলা মিটিয়ে ছেলের জন্য আবারও এক হলেন তাঁরা?
সামাজিক মাধ্যমে পরীমণি সম্প্রতি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য লিখেছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, আপনাদের মধ্যে অনেকের মতো আমিও খুশি হয়ে যাই খবরের এসব শিরোনাম দেখে! সব ভুলে আবার এক হলেন……কিন্তু সব কি আর সবসময় এক হয়? আমরা দশ তারিখটা (যেটি আমাদের জীবনের অনেক স্পেশাল দিন। আমাদের বাচ্চার পৃথিবীতে আসার দিন এটি) সেলিব্রেট করেছি মাত্র। আগামী দিনেও করবো। যেখানে আমরা জীবনের অন্য কোন ইস্যু টানবো না।'
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন ১০ জুন রাজ এসেছিলেন ছেলের ১০ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে। অনুষ্ঠান শেষে তিনি চলে যান। অর্থাৎ পরীমণি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ হচ্ছেই। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে শরিফুল রাজের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক অভিনেত্রীর কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। এরপরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরীমণি।
বিচ্ছেদ হয়ে গেল সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন (Rajeev Sen) এবং অভিনেত্রী চারু আসোপার (Charu Asopar)। বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৯ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন তাঁরা। সুস্মিতা সেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছিলেন ছোট ভাইয়ের। কিন্তু সেই বিয়ে সুখকর হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না রাজীব-চারুর। অশান্তি এত বাড়ে যে সামাজিক মাধ্যমেও একে ওপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁরা।
চারু রাজীবের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। রাজীবও একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ করেছিলেন তাঁকে। এমনকি সেই সময়েই বিচ্ছেদের মামলা করেন তাঁরা। কিন্তু এমন সময় সন্তানসম্ভবা হন চারু। পরবর্তীকালে তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। মা বাবার সমান আদর পেয়েছে মেয়ে জিয়ানা। কিন্তু চারু ও রাজীব দাম্পত্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারলেন না।
৮ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচ্ছেদ হল রাজীব ও চারুর। বিচ্ছেদের পর রাজীব ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে তাঁর ও চারুর একটি রোম্যান্টিক ছবি আপলোড করেন। ক্যাপশনে লেখেন, 'এখানে কোনও বিদায় নেই। শুধুমাত্র দুজন মানুষ যারা একে অপরকে ধরে রাখতে পারল না। ভালোবাসা থাকবে। আমরা সবসময় আমাদের মেয়ের কাছে মা-বাবাই থাকব।
কিন্তু প্রশ্ন ছিল, তাহলে তাঁদের সন্তান কার কাছে থাকবে? এই বিষয়ে চারু এবং রাজীব দু'জনেই বলেছিলেন তাঁরা যৌথভাবে কন্যা জিয়ানাকে বড় করে তুলতে চান। তবে রাজীবের প্রতি অভিযোগ থাকলেও ননদ সুস্মিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ চারু। এর আগে চারু বলেছেন, তিনি চান তাঁর সন্তান জিয়ানা, পিসির মতোই লড়াই করতে শিখুক।
এখন বিয়ে হলেই প্রথমে বর ও কনে মেতে ওঠে প্রি-ওয়েডিং (Pre-Wedding) ও পোস্ট-ওয়েডিং শ্যুটে। বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, কিন্তু প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করবে না এমনটা কমই দেখা যায়। কিন্তু এবারে এমন এক ঘটনা ঘটলো যা আগে হয়তো দেখা যায়নি। প্রি-ওয়েডিং শ্যুটের পর ফটোগ্রাফারের (Photographer) থেকে ফেরত চাওয়া হলো টাকা। তবে কেন এমন ঘটনা, তার কারণ জানলে অবাক হবেন। সেই ফটোগ্রাফার ও ওই ব্যক্তির কথোপকথনের মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে।
I swear my life is a movie 🤦🏽♂️🤣 you can't make this stuff up.
— LanceRomeoPhotography (@LanceRomeo) April 11, 2023
ThaboBesterArrested Musa xoli Boity #NOTA
Pretoria East Dr Pashy #RIPAKA Ananias Mathe Venda #AskAMan Bonagni Fassie Midrand Stage 5 Andile Costa #DrNandipha Gayton Langa Penuel pic.twitter.com/3RKTkY1OkD
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার এক মহিলার ৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছে কিন্তু তাঁর বিয়ের ৪ বছর পর ডিভোর্স হয়েছে। ফলে তিনি তাঁর সেই ফটোগ্রাফার ল্যান্স রোমিওকে মেসেজ করেছেন, যিনি তাঁদের বিয়েতে ফটোশ্যুট করেছিলেন। তাঁকে মেসেজ করে বলেছেন, তাঁকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল ফটোশ্যুট করার জন্য, সেটা তিনি ফেরৎ চান। ল্যান্স প্রথমে এই মেসেজটি দেখে মনে করেছিলেন যে, হয়তো তিনি মজা করছেন। কিন্তু সেই মহিলা সত্যিই ল্যান্সের থেকে টাকা চাইতেই ল্যান্সও স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ফটোশ্যুটের পর টাকা ফেরৎ দেওয়া হয় না।
তাঁদের মধ্যেকার সেইসব মেসেজের স্ক্রিনশট করে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করতেই ভাইরাল হয়েছে এটি। ল্যান্স নিজেই ক্যাপশনে লিখছেন, তাঁর জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়।