
ফের বাড়ল পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। ৩৫ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম ১০৮.৮৫ এবং ৩৫ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দাম ৯৩.৯২। আগামীকাল থেকে এই মূল্য কার্যকর হবে।
এদিকে শনিবারও সকাল ৬টা থেকে ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বেড়ে পেট্রোলের নতুন দাম ১০৮ টাকা ০১ পয়সা। ৯২ টাকা ২২ পয়সা থেকে বেড়ে ডিজেলের নতুন দাম দাঁড়ায় ৯৩ টাকা ০১ পয়সা ।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে তিন বার বাড়লো পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শুক্রবার প্রতি লিটারে ৮৪ পয়সা বেড়েছে পেট্রোলের দাম এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে। শুক্রবার কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা এবং লিটারপ্রতি ডিজেল ৯২ টাকা ২২ পয়সা ছিল। রবিবার সকাল ৬ টার পর একপ্রস্থ বেড়েছে পেট্রোল- ডিজেলের দাম।
জানা গিয়েছে ক্রুড ওয়েলের দাম বৃদ্ধির জন্য এই বৃদ্ধি। যদিও গত কয়েকদিন একই দাম থাকার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই ৮৪ পয়সা বেড়েছিল পেট্রোলের দাম, ৮০ পয়সা বেড়েছিল ডিজেলের দাম। এই দাম বৃদ্ধির ফলে ১০৭.১৮ পয়সা, ডিজেলের দাম ৯২.২২ পয়সা ছিল। সূত্রের খবর এই দাম আরও বাড়বে। ফলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পেট্রোল পাম্প ডিলাররা, আগামী দিনে ১২৫ টাকার বেশি হয়ে যেতে পারে পেট্রোলের দাম।
গত ছদিনে প্রায় পাঁচবার বেড়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হবে বলে আশঙ্কা করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। ভোট পরবর্তীতে সেই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধিই পাচ্ছে। গত ছদিনে প্রায় চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। আজ পেট্রোলের দাম ৫২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১০৮ টাকা ৫৩ পয়সা। ডিজেলের দাম ৫৬ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৩ টাকা ৫৭ পয়সা। পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের।
তেল ভরাতে আসা মানুষজন জানান, রাজ্য সরকার যদি কিছুটা ছাড় দিত, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কিছুটা হলেও কমত। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে সংসার চালাতে সুবিধা হত। যাঁরা প্রত্যেকদিন বাইক নিয়ে বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে অফিসে যাতায়াত করেন, তাঁদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। যেখানে আগে ১৫ লিটার তেল ভরা হত, সেখানে ১০ লিটার ভরেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
করোনাকাল কাটিয়ে মধ্যবিত্তরা যখন ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন, তখন পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের। সমস্যায় রয়েছে নিত্য বাইক বা গাড়ি চালানো ব্যক্তি থেকে ট্যাক্সি ড্রাইভাররা।
ফের বাড়ছে পেট্রোল -ডিজেলের দাম। শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১০৭ টাকা 18 পয়সা থেকে বেড়ে পেট্রোলের নতুন দাম ১০৮ টাকা ০১ পয়সা । ৯২ টাকা ২২ পয়সা থেকে বেড়ে কাল ডিজেলের নতুন দাম ৯৩ টাকা ০১ পয়সা।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে তিন বার বাড়লো পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শুক্রবার প্রতি লিটারে ৮৪ পয়সা বেড়েছে পেট্রোলের দাম এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে। শুক্রবার কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা এবং লিটারপ্রতি ডিজেল ৯২ টাকা ২২ পয়সা ছিল।
জানা গিয়েছে ক্রুড ওয়েলের দাম বৃদ্ধির জন্য এই বৃদ্ধি। যদিও গত কয়েকদিন একই দাম থাকার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই ৮৪ পয়সা বেড়েছিল পেট্রোলের দাম, ৮০ পয়সা বেড়েছিল ডিজেলের দাম। এই দাম বৃদ্ধির ফলে ১০৭.১৮ পয়সা, ডিজেলের দাম ৯২.২২ পয়সা ছিল। সূত্রের খবর এই দাম আরও বাড়বে। ফলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পেট্রোল পাম্প ডিলাররা, আগামী দিনে ১২৫ টাকার বেশি হয়ে যেতে পারে পেট্রোলের দাম।
আগামীকাল থেকে প্রতি লিটারে ৮৪ পয়সা বাড়ছে পেট্রোলের দাম এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ পয়সা করে বাড়ছে। শুক্রবার থেকে কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা এবং লিটারপ্রতি ডিজেল ৯২ টাকা ২২ পয়সা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে ক্রুড ওয়েলের দাম বৃদ্ধির জন্য এই বৃদ্ধি। যদিও গত দু'দিন একই দাম থাকার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই ৮৪ পয়সা বাড়বে পেট্রোলের দাম, ৮০ পয়সা বাড়বে ডিজেলের দাম। এই দাম বৃদ্ধির ফলে ১০৭.১৮ পয়সা, ডিজেলের দাম ৯২.২২ পয়সা। সূত্রের খবর এই দাম আরও বাড়বে। ফলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পেট্রোল পাম্প ডিলাররা, আগামী দিনে ১২৫ টাকার বেশি হয়ে যেতে পারে পেট্রোলের দাম।
ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। ফলে পর পর দুদিন বাড়ল পেট্রোপণ্যের দাম। বুধবার পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৮৩ পয়সা বেড়ে হল ১০৬ টাকা ৩৪ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯১ টাকা ৪২ পয়সা। ফলে মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। উল্লেখ্য, সোমবার রাতেই ঘোষণা হয়েছিল, পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের দিশাহারা অবস্থা।
পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, এর ফলে বহু মানুষ যেমন তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন, তেমনি অনেকেই এটাকে ভবিতব্য বলেই ধরে নিয়েছেন। তাঁদের সাফ কথা, এ যে হবে, তা তো জানাই ছিল। এসব নিয়েই চলতে হবে।
মঙ্গলবার থেকে বেড়ে গেল পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। সোমবার রাতের দিকে এই ঘোষণা করা হয়। বর্ধিত মূল্য কার্যকর আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই। এমনটাই জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
নতুন যে ঘোষণা হয়েছে তাতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি গড়ে ৮৩ পয়সা করে। পেট্রোলের দাম বেড়ে হলো ১০৫ টাকা ৫১ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়ে হল ৯০ টাকা ৬২ পয়সা। সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। গৃহস্থের ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা। ফলে ৯২৬ টাকার গ্যাস বেড়ে হল ৯৭৬ টাকা। পেট্রোলের দাম অনেক আগেই ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এবার ডিজেলের দাম সেই দিকেই এগোচ্ছে। শুধুমাত্র কমার্শিয়াল গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা কমেছে। উল্লেখ্য শিল্পক্ষেত্রে যারা একসঙ্গে বাল্ক ডিজেল কেনেন তাদের ক্ষেত্রে ডিজেলের দাম ইতিমধ্যে লিটার পিছু ২৫ টাকা বেড়েছে।
এমনিতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেশজুড়ে গেরুয়া ঝড় ওঠায় আশঙ্কা ছিল, যে কোনো মুহূর্তে জ্বালানির দাম কেন্দ্র বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হল।
কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কারণ যাই হোক না কেন এর ফলে ফের সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি খরচের বোঝা চাপল এবং এর ফলে ফের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হলো। বিশেষত আমাদের রাজ্যে পরিবহণে ফের নতুন করে সমস্যা দানা বাঁধতে পারে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন বাস মালিকরা। সরকার ভাড়া না বাড়ালেও মালিকরা নিজেরাই বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। এবার মালিকরা তাদের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জোরালো ভাবে তুলবেন, এমন আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের (Russia invadwes Ukraine) আবহে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১১০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। এই দামবৃদ্ধির খেসারত দিতে হতে পারে মধ্যবিত্তকে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Price) মুল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়ে রাখল জেপি মরগ্যান। আর্থিক এই উপদেষ্টা সংস্থার দাবি, 'আগামি সপ্তাহেই পরিবহণ জ্বালানির দাম বাড়াতে পারে ভারতে।' নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলতি বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহ। প্রায় চার মাস পেট্রোল-ডিজেলের দরে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। এই অবস্থানের নেপথ্যে কিছুটা কাজ করেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোট। কিন্তু ১০ মার্চ ফল ঘোষণার সঙ্গেই মিটছে ভোটপর্ব। তাই মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়াতে পারে কেন্দ্র। এমনটাই আশঙ্কা আমজনতার।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে একসময় প্রায় ১১৪ ডলার দাঁড়িয়েছিল ব্যারেলপিছু অপরিশোধিত তেলের দাম। এই মুহূর্তে সেটা ১১০ ডলার। ভারতের ক্ষেত্রে এখন বিশ্ববাজার থেকে ১০২ ডলার ব্যারেলপিছু অপরিশোধিত তেল কিনতে হচ্ছে।
তাতেও রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থাগুলোর প্রায় ৬ টাকা লিটারে লোকসান হচ্ছে। সেই লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে লিটারপিছু প্রায় ১০ টাকা পরিবহণ জ্বালানির দাম বাড়াতে হবে। এমনই এক প্রস্তাব গিয়েছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে। যদি সেই প্রস্তাব কেন্দ্রে মেনে নেয়, তাহলে ধাপে ধাপে, না একেবারেই ১০ টাকা প্রতি লিটার বাড়বে পেট্রোল-লিটার? সেই প্রশ্নের জবাব অনেক সম্ভাবনার অতলে লুকিয়ে।
কারণ, ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো এখন যুদ্ধের আবহে তেল উত্তোলনে ঝুঁকছে না। বরং সংরক্ষিত থাকা অপরিশোধিত তেলে দাম বাড়িয়ে বাজারে ছাড়বে বলে ঘোষণা করেছে। এই অবস্থা চলে থাকলে অচিরেই ১৫০ ডলার লিটারপিছু ছুঁতে পারে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম।
পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের রামগঙ্গা এলাকায় জাল ডিজেল তৈরির কাজ চলছে রমরমিয়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বর্তমানে ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। তার উপর করোনার ফের বাড়বাড়ন্ত। এই সময় মৎস্যজীবীদের ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় বন্ধ। আর এরই মধ্যে তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে পাথরপ্রতিমা ব্লকের রামগঙ্গায় কেরোসিন তেলের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে চলছে ডিজেল তৈরির কাজ। বর্তমানে রামগঙ্গা এলাকায় এই দু'নম্বর ডিজেলের বাজার রমরমা। আসল ডিজেলের তুলনায় এই ডিজেলের দাম অনেকটাই সস্তা। তাছাড়াও এই তেল মিলছে বাকিতে। তাই নৌকার মাঝি থেকে আরম্ভ করে মৎস্যজীবীরা এই দু'নম্বরি তেলের দিকেই ঝুঁকছে। তবে এবিষয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে চায়নি।
উল্লেখ্য, গত এক মাস আগেও খাবারের দোকানের আড়ালে চলছিল এই ডিজেল তৈরির রমরমা কারবার। পাথরপ্রতিমা থানার পুলিসের তাড়া খেয়ে কিছুটা দূরে গোপনে আবারও কারবার শুরু করা হয়েছে। জানা যায়, এই কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু রথী মহারথী। একটি চায়ের দোকান থেকে উদ্ধার ১০ থেকে ১২ ব্যারেল তেল। পুলিসের চোখে ধুলো দিয়েই হত এই কারবার, এমনটাই অভিযোগ। তবে ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
আকাশছোঁয়া তেলের দাম। শখের বাইকে প্রতিদিন পেট্রোল ভরতে খরচ প্রায় ২৫০ টাকা। সঙ্গে তেল পুড়িয়ে বিশ্ব উষ্ণায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। এই দুই থেকে মুক্তি পেতে ঘোড়াই কিনে ফেললেন এক যুবক। এখন সেই ঘোড়ায় চেপেই প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারছেন তিনি। পাশাপাশি নব প্রজন্মের অনেককেই অশ্বারোহী করে তুলতে সাহায্যও করছেন ওই যুবক।
বর্তমানে ঘোড় সওয়ারি হিসাবে পরিচিত ওই যুবক। চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল বলাগড় রোডের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী দীপককুমার রায় ও গৃহবধূ মিনতি রায়ের পুত্র অলোককুমার রায়। বছর ঊনত্রিশের অলোক বছর আটেক ছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে একটি কোম্পানির হেভি ইকুইপমেন্ট অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। ২০২০-র করোনাকালে সেখানকার পাট চুকিয়ে দেশে ফেরেন অলোক। তবে সেখান থেকে একটি জিনিস তিনি নিয়ে এসেছেন হুগলীতে। তা হলো ঘোড়ার প্রতি ভালোবাসা।
বাইক প্রেমী অলোকের একাধিক নামিদামী বাইক রয়েছে। আর তা দিয়েই নিত্য প্রয়োজনের কাজকর্ম সারতেন তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিকালে পেট্রোলের উর্দ্ধমুখী দামের জেরে বাইক প্রেমে ভাটা পরতে শুরু করে অলোকের। তখনই অলোকের সৌদিতে শেখা পরিবেশ সচেতনতায় ঘোড় সওয়ারির কথা মাথায় আসে।
প্রথমে চলতি বছর জন্মাষ্টমীর দিন কলকাতার হেস্টিংস থেকে ২লক্ষ ২০হাজার টাকা দিয়ে কাটিয়াওয়ারা প্রজাতির একটি ছেলে ঘোড়া কিনে নিয়ে আসেন অলোক। ঘোড়ার নাম দেন রাজু। পেট্রোলের টাকায় ঘোড়াকে খাওয়ানো শুরু করেন তিনি। প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অলোকের ঘোড়া পোষ মানাতে বেশীদিন সময় লাগেনি। এরপরই অলোকের কাছে ঘোড় সওয়ারির প্রশিক্ষন নিতে বেশকিছু নব প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ভর্তি হন। চাহিদা দেখে চলতি মাসের কালী পুজোর দিন হেস্টিংস থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে আরও একটি ঘোড়া কিনে আনেন অলোক। মারোয়ারি প্রজাতির মেয়ে জাতের এই ঘোড়ার নাম দেন মুসকান। মুসকানের বয়স সাড়ে চার বছর।
ঘোড় সওয়ারি অলোক কুমার দে জানান, বাইকের পেট্রোল কিনতে প্রতিদিন যা খরচ হত। আর উল্টে তেল পুড়িয়ে পরিবেশ দূষনের ভাগীদার হতাম। একটি ঘোড়া পিছু প্রতিদিন ৩০০টাকা খরচ করলেই যখন যথেষ্ট তখন বাইক রেখে পরিবেশ বান্ধব ঘোড়া চাপাই ভালো। কারণ এভাবে চলতে থাকলে মাটির তলার তেলও অদূর ভবিষ্যতে শেষ হয়ে যাবে। তখন আগেকার দিনের মত ঘোড়া-ই বিকল্প হয়ে উঠবে।
অলোকের কাছে প্রশিক্ষণরত এক তরুনী সঞ্জনা মজুমদার বলেন, কলকাতা ছাড়া হর্স রাইডিং শেখার উপায় নেই। তাই ইচ্ছা থাকলেও উপায় ছিল না। কিন্তু এলাকায় এধরনের সুযোগ পেয়ে তাঁর বাবা-ই এখানে ভর্তি করে দিয়েছে।
অলোকের ভাবনাকে কেউ পাগলামি বলুক আর যাই বলুক না কেন। একটা কথা স্পষ্ট, পেট্রোলের দাম বাড়ায় বিরোধী নেতারা যখন একদিনের জন্য সাইকেল কিংবা গরুর গাড়িতে চেপে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন তেলের দামের আগুনে পুড়ে শখের বাইক গ্যারেজ বন্দি করে দু'দুটো ঘোড়া কিনে নজির সৃষ্টি করলেন অলোকবাবু।
পেট্রোলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ডিজেল। এবার রাজ্যে ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১০০ র ঘরে ঢুকে পড়ল। কোথাও কোথাও তা লিটারপ্রতি ১০০ টাকাকেও ছাপিয়ে গেল। বেশ কয়েকদিন যাবত বেড়েই চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম, যা কার্যত লাগামছাড়া জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে উৎসবের মরশুমেও ছাড় মেলেনি পেট্রোলের দামে। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নাস্তানাবুদ হয়েছে দাম বৃদ্ধির জেরে। এবার পেট্রোলের দামের পাশাপাশি শনিবার ডিজেলের দামে মাথায় হাত। এভাবে বাড়তে থাকলে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা ভেবেই মানুষ আতঙ্কিত। মূলত বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
যদিও করোনা অতিমারীর সময় থেকেই পেট্রোলের দাম বাড়তে থাকে। একদিকে লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। কেউ আবার বেতন ঠিকমতো পাননি। তারইমধ্যে জ্বালানির দামে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। তেল সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বারবিশায় ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে ডিজেলের দাম হয়েছে লিটার প্রতি যথাক্রমে ১০০ টাকা ৭ পয়সা ও ১০০ টাকা ৫ পয়সা। একই দিনে পুরুলিয়ার ঝালদায় ডিজেলের দাম হয়েছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৪ পয়সা।
এই কয়েকদিনে পেট্রোলের দাম তো আগেই ১০০ পার করেছে। তেমনি পাল্লা দিয়ে রাজ্যে বাড়ছে ডিজেলের দাম। শনিবার আলিপুরদুয়ারের আইওসি পাম্পে ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৭ পয়সা। কলকাতাও বেশি দূরে নেই। আইওসি পাম্পে শনিবার ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ৮ পয়সা। এই দুই জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। এর আগেও পেট্রোলের দাম বাড়ায় বারবার কলকাতার রাজপথে আমজনতা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই সবার নজর।
যদিও এতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনওরকম তাপ- উত্তাপ আছে বলে সাধারণ মানুষের মনে হচ্ছে না। এভাবে যদি দিনের পর দিন দুই জ্বালানির দাম বাড়তেই থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের সামনে বড়সড় বিপদ আসন্ন, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লিঃ উৎসবের মরশুমেও বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। ষষ্ঠীর পর নবমীতেও ফের বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের দাম। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে।
বৃহস্পতিবার মহানবমীর সকালে পেট্রলের দাম বাড়ল ৩৫ পয়সা। তার ফলে রাজধানী দিল্লিতে পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়াল ১০৪ টাকা ৭৯ পয়সা। লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৯৩ টাকা ৫২ পয়সা। মুম্বইতে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম যথাক্রমে ১১০ টাকা ৭৫ পয়সা এবং ১০১ টাকা ৪০ পয়সা। ভোপালে পেট্রলের দাম ১১৩ টাকা ৩৭ পয়সা। ডিজেল এর দাম ১০২ টাকা ৬৬ পয়সা।
কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ৪৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ৬৩ পয়সা। চেন্নাইতে পেট্রলের দাম ১০২ টাকা ১০ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯৭ টাকা ৯৩ পয়সা।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে সমস্যায় আমজনতা। দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।
Price of petrol & diesel in #Delhi is at Rs 104.79 per litre & Rs 93.52 per litre respectively today.
— ANI (@ANI) October 14, 2021
Petrol & diesel prices per litre-Rs 110.75 & Rs 101.40 in #Mumbai, Rs 113.37 & Rs 102.66 in #Bhopal, Rs 105.43 & Rs 96.63 in #Kolkata, Rs 102.10 & 97.93 in Chennai respectively pic.twitter.com/rtbOqschPD