মাকে ফোন করেও মেলেনি উত্তর। বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর মায়ের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। পুলিস সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউরী (৪২) এবং মৃত মহিলার নাম লিলি বাউরী (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলে রোহিত বাউরীর দাবি, "পাশেই মামার বাড়ি। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সারা না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় বাবার দেহ এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।" যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি হত।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। গত কয়েকদিনে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই নীলকন্ঠ বাউরী দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব' লিখে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। তবে কি পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস।
ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের মামলা। তবে কি নতুন বছরেও জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে! জানা গিয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। ফলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবেন তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে প্রশ্ন তুললেন গরু পাচার কাণ্ডের অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি বলেন, "গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছে, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছে। আমি গোটা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই, তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?"
অন্যদিকে অনুব্রতর জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করলেন ইডি, সিবিআইয়ের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তাঁর হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারির দেওয়া বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে। অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন, অভিযোগ রাজুর।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবো আমরা।' জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দেওয়া সমস্ত চার্জশিট আদালতে জমা করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
কুন্তলের জন্য 'ফেঁসে' গিয়েছেন। কুন্তলই কালীঘাটের কাকুর নামে টাকা তুলত তাঁর কাছ থেকে। বিস্ফোরক দাবি করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারও হল না আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার। তবে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস।
প্রাইমারি টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় আলিপুর আদালতে মঙ্গলবারও হল না সুরাহা। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার। তবে বুধবারই জামিন মিলবে নিশ্চিত তাপস। আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে এদিন একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করলেন তাপস মণ্ডল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ জবাব, 'সব দোষই কুন্তলের। তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে চালু করছে কুন্তল ঘোষ।' সাংবাদিকদের প্রশ্ন, 'শুধুই কি কুন্তল টাকা নিয়েছিল, নাকি আরও অনেকেই এই চক্রে?' টাকা শুধু কুন্তলই নিয়েছিল। যে টাকা কুন্তলকে দেওয়া হয়েছে তার হিসেব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের পেশ করছেন। এমনকি কাদের টাকা সেই বিষয়ও জানানো হয়েছে দাবি অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের। লক্ষাধিক টাকা কুন্তলকে দিয়েছে বলেও বিস্ফোরক তাপস।
তাপস মণ্ডলের আরও দাবি গোপাল দলপতি তাঁর লোক। তাঁর টাকা নিয়েই কুন্তলকে দিয়েছে। এখন কুন্তল গোপালকে জড়াচ্ছে কেন। এবিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই তাপসের। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, 'কালীঘাটের কাকুর নাম বলেছিলেন, আর কারোর নাম আছে?' তাপস এর উত্তরে বলেন, 'না, কালীঘাটের কাকুর নাম করেই কুন্তল টাকা তুলেছে আমার কাছ থেকে। সব টাকাগুলো কালীঘাটের কাকুকেই দিত।' তবে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক ছাড়া অন্য কেউ আর জড়িত কিনা সে বিষয়ে সদুত্তর দিলেন না তাপস।
ফের শিরোনামে উঠে এলো জগদ্দল। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। ঘটনার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতেই পথেই মৃত্যু হয় ওই কর্মীর। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম ভিকি যাদব (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিংয়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকি যাদবের বাড়ির সামনে বাইকে করে তিনজন লোক এসে তাঁর খোঁজ করতে থাকে। এরপর ভিকি তাঁর নিজের পরিচয় দিতেই এলোপাথারি গুলি চালানো হয় তাঁর ওপর। মোট ১১ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তার মধ্যে ৯ টি গুলি গিয়ে লাগে ভিকির শরীরে। গুলির লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভিকি। তারপর স্থানীয়রা গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে ভিকি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
পুলিসের অনুমান, রাজনৈতিক কোনও কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে যারা গুলি করেছে তারা ভাড়া করা লোক বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এন আর এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকি যাদবের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরই তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে মৃতদেহ। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে গোটা এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, গতবছর ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় ভিকির আত্মীয় বিজেপি কর্মী আকাশ যাদবের। সেই কারণে অনেকবারই সিবিআই তদন্তের জন্য ডেকেছে ভিকি যাদবকে। আকাশ যাদব খুনের অন্যতম সাক্ষী এই ভিকি। এখন প্রশ্ন উঠছে আকাশ যাদবের খুনের সঙ্গে কি কোনও ভাবে ভিকির খুনের সংযোগ আছে। নাকি ভিকির খুন কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা! তা জানতেই তদন্তে নেমেছে পুলিস।
গতসপ্তাহে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ গোটা রাজ্যে। তৃণমূল নেতা খুনের পর তাঁর অনুগামীরা প্রতিশোধ স্পৃহায় অভিযোগ এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করে। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তের এলাকায় বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেসময় বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ৩টি মামলা শুরু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন নস্করকে খুনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিআইএম সমর্থক পরিবারের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে তিন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে আমানুল্লাহ জামাদার, নজরুল মন্ডল ও আকবর ঢালি নামে এই তিন ব্যক্তিকে দোলুয়াখাকি গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
গত সোমবার দিওয়ালির দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। সেসময় তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালান দুষ্কৃতীরা। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও এলাকার সংগঠনের অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন সইফুদ্দিন। তাঁর স্ত্রী এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে দুজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় একজনের। অন্য অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা খুনে সিপিআইএম প্রার্থী জড়িয়ে থাকার বিষয়টি সামনে আসতেই প্রতিহিংসায় দুষ্কৃতীরা দোলুইখাঁকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দলুইখাঁকি গ্রামে মূলত সিপিআইএম সমর্থকদের বাস। খুনের ঘটনায় এই নিয়ে দুজন গ্রেফতার হলেও বাড়িতে আগুন ও গ্রামে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গতকাল অবধি দোষীদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। এবার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩।
জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় এবার পুলিসের জালে মাস্টারমাইন্ড আনিসুর লস্কর সহ মোট ৫ জন। ঘটনার প্রায় ৩ দিন পর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তদের। পুলিস জানিয়েছে, নদীয়ার হরিণঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃত ওই ৫ জনকে আনা হল বারুইপুর পুলিস সুপার অফিসে। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা খুনের পাঁচ অভিযুক্ত।
জয়নগরের (Joynagar) তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের তদন্তে নয়া নয়া তথ্য উঠে আসছে পুলিসের কাছে। প্রকাশ্যে এসেছিল এই খুনের 'মাস্টারমাইন্ড'-এর নাম। পুলিস সূত্রে খবর, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে আনিসুর লস্কর নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে জয়নগরকাণ্ডে ধৃত শাহরুল শেখ যে 'বড়ভাই'-এর কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জানা গিয়েছে, তাঁর নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই। আরও এক তথ্য জানা গিয়েছে যে, সোমবার গুলি চালানোর সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মোট চারজন। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত শাহরুল শেখ ছাড়াও যার বাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, দলুয়াখাকির সেই বাসিন্দা মুসিবুর রহমান, আর এক বাসিন্দা জাকির লস্কর এবং যাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, সেই সাইবুদ্দিন লস্কর। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যাদের নাম উঠে এসেছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস। অবশেষে গ্রেফতার হল তারা।
সোমবার ভোরে জয়নগরে তৃণমূল নেতার খুন ও দলুয়াখাকি ঘটনায় তোলপাড় পুরো রাজ্য়। তারপর এই ঘটনার তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে প্রকাশ্যে এসেছে 'বড় ভাই' আলাউদ্দিন সাঁপুই-এর নাম ও অন্যদিকে জানা গিয়েছে মূলচক্রী আনিসুর লস্করের নাম। পুলিস সূত্রে খবর, বড় ভাই আলাউদ্দিন সাঁপুই মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় সিপিএম নেতা হিসাবেই আলাউদ্দিন পরিচিত। আবার মাস্টারমাইন্ড আনিসুর লস্করের নাম প্রকাশ্যে আসার পর জানা গিয়েছে, তার নাম এফআইআর-এও উল্লেখ রয়েছে। দলুইখাকি গ্রামের সিপিএম কর্মী হিসেবেই পরিচিত আনিসুর লস্কর। এছাড়াও নাসির নামে আরও একজনের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এই খুনের কাণ্ডে যাদের নাম উঠে এসেছে, তারা প্রত্যেকেই সিপিএমের সমর্থক বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের।
এই ঘটনায় যাদের যাদের নাম পাওয়া গিয়েছিল তাদের খোঁজে, জয়নগর ছাড়াও কুলতলি মন্দিরবাজার, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার ও কলকাতার বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশির কাজে লাগানো হয়েছিল একাধিক থানার পিসি পার্টি ইনচার্জদের। অবশেষে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হল পুলিস।
পোড়া কাঠামো নিয়ে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাকি গ্রাম। অবশেষে স্থানীয় বামপন্থী নেতাদের তত্ত্বাবধানে গ্রামে ঢুকেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মহিলারা। সোমবারের তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুন, অতঃপর গ্রামে বামপন্থী পরিবারদের উপরে হিংসার সর্বনাশা আগুন, ক্ষত এখনও দগদগে। দু'দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁদের বাড়ি ফেরানোর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁদের ঘর ফেরাতে দু'দিন লেগে গেল কেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে অভিযোগ, গ্রামবাসীরা ঘরে ফিরলেও বামপন্থী নেতাদের এদিন বাধা দিয়েছে পুলিস। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের গ্রামে ফিরলেও ঘর ফিরবে কি? সেই প্রশ্নই উঠছে।
সোমবার জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুনের পর বদলার আগুনে জ্বলে ওঠে ৫ কিলোমিটার দূরের বামপন্থী গ্রাম দলুয়াখাকি। এক কাপড়ে, শুধু প্রাণটুকু আগলে দক্ষিণ বারাসতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পোড়া গ্রামের মহিলারা। এর পর মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের ভিটেয় ফেরাতে চেষ্টা করে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন বাম প্রতিনিধি দল। কিন্তু কাঁটার মতো পথ আটকায় পুলিস। তবে বুধবার গ্রামে ঢোকার রাস্তায় পুলিসের বাধা সত্ত্বেও দলীয় নেতৃত্বদের পিছনে ফেলে ত্রাণ সামগ্রী আগলে দলুয়াখাকিতে প্রবেশ করেন মহিলারা।
কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজন বাংলাদেশি পর্যটকের। ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে তাঁরা যে হাউজ বোটে ছিলেন, সেটি-সহ মোট পাঁচটি হাউজ বোট ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের একটি হাউস বোটে আগুন লাগে। সেখান থেকে দ্রুত আশপাশের আরও ৪টি হাউজ বোটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পাঁচটি হাউজবোট। আগুনের মধ্যে আটকে পড়ে ঝলসে মারা যান ওই বাংলাদেশী পর্যটকরা। এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার৷ প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।
কাশ্মীরের অন্যতম আকর্ষণ ডাল লেকের হাউজ বোটে থাকা। ভূস্বর্গের আনন্দ নিতে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশি পর্যটকরা৷ তাঁদের কেড়ে নিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
দীপাবলির আগে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের জায়গা ডাল লেক। শনিবার ভোরে শ্রীনগরের এই টুরিস্ট হাবে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে ছাই কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। কাশ্মীরি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নৌকাগুলিতেও। আগুনের গ্রাসে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৫টি হাউসবোট এবং তিনটি ঘর। তবে এই ঘটনায় এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।কীভাবে, ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্বাভাবিকভাবেই হাউসবোডে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পর্যটকদের মধ্যে। কারণ শীতের মরসুমেই পর্যটকরা ভিড় জমায় ভূ-স্বর্গে। বহু পর্যটকই ডাল লেকে হাউসবোটে থাকে। ঐতিহাসিক এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সেই কারণে ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
মাছ চুরি করা নিয়ে অশান্তি। আর তার জেরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার গোতানের কামারহাটি গ্রামে।
জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। মন্ত্রীর বাড়ির পুকুর থেকে মাছ চুরি করার অভিযোগ ওঠে আদিবাসী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এদিকে তাঁকে পালটা মারধর করার অভিযোগও ওঠে ওই পুকুরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে পালটা মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ির কাচ, বারান্দা ও দরজা ভেঙে দেয় একদল জনতা।
সোমবার ওই আদিবাসী যুবককে মারধর করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় আরামবাগ হাসপাতালে। এরপর সোমবার রাতে গ্রামে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলেও মঙ্গলবার ফের তাঁরা জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের জামিন পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবারও পুজো কাটবে জেলেই। গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। উল্লেখ্য, 'প্রভাবশালী তত্ত্বে'ই অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই (CBI)। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর।
গত বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে আপাতত বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর করা মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজু অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, "অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে বেরোলে যা ইচ্ছে তাই করবে, ক্ষতি হবে তদন্তে। বিচারপতিদেরও হুমকি দিচ্ছে।"
শুনানি শেষে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী সিবিআইকে কাউন্টার হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে। ফলে এবারও অনুব্রতর পুজোও কাটবে তিহাড় জেলেই।
দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের শুনানি। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। এখন তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। কিন্তু বুধবারও তাঁর জামিনের শুনানি পিছিয়ে গেলে অনুমান করা হচ্ছে, এই পুজোও তাঁকে কাটাতে হবে জেলেই। পরবর্তী শুনানি ১৯ অক্টোবর।
আদালত সূত্রে খবর, অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অন্য মামলায় ব্য়স্ত রয়েছেন। মামলায় আরও খানিকটা সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। তাঁদের আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। এর পরই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
একসময় বলা হত, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দাপটেই বীরভূমে (Birbhum) বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দৃশ্যটা একেবারেই উল্টো। দেখা গিয়েছে, তাঁরই ছবি সরানো হচ্ছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে। বিগত কয়েকদিন থেকেই এই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, নানুরের হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। আর এই ছবি মুছে ফেলার নেপথ্যে রয়েছেন কাজল শেখ। প্রায় এক বছর ধরে গরু পাচারকাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঠিকানা এখন তিহাড় জেল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অস্তিত্ব ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে 'বীরভূম বাঘ'-এর।
গরু পাচারকাণ্ডে তিহাড় জেল অনুব্রত মণ্ডলের এখন ঠিকানা হলেও এখনও তাঁকে তার পদ অর্থাৎ বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি। কিন্তু তাঁকে দল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এমনটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ সম্প্রতি নানুরের হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মোছা হয়েছে তাঁর ছবি। দেখা গিয়েছে, হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা রয়েছে ও তাঁর পাশেই স্থান পেয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের ছবিও। তার নীচেও লেখা ছিল, অনুব্রত মণ্ডল, কেষ্টা জিন্দাবাদ। কিন্তু সেই ছবিই এখন সাদা রং-এ ঢেকে ফেলা হয়েছে। অথচ তৃণমূল নেত্রীর ছবি অক্ষতই রয়েছে। আর এর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে যে, তবে কি তাঁকে দল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে!
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, এমনটা করার পিছনে কাজল শেখের হাত রয়েছে। কিন্তু কাজল ঘনিষ্ঠরা এই দাবি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বীরভূম থেকে কেষ্টর দাপট 'ফিকে' হয়ে যাচ্ছে, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
হাসপাতালের পর এবার কলেজে ভর্তির জন্যও দালালরাজ। কলেজে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। পূর্বে কলেজে ভর্তির জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতালগুলিতে দালালরাজের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রোগী ভর্তিতে টাকা চাওয়ায় সম্প্রতি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই আবহেই রাজ্য তথা দেশের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই এবার ভর্তি হওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ টিএমসিপি-র দুই নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস-এর ওডিশি নৃত্য বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ অনন্যা সরকার নামে এক ছাত্রীর। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতা ইন্দ্রজিৎ দোলই ও অভিজিৎ দাসের দিকে। অভিযোগ, সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়ক, এমনকি পুলিসও তাদের হাতে আছে বলেও নাকি রীতিমতো শাসানো হয় ওই ছাত্রীকে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে ফোন করা হলে তাঁদের ফোন পাওয়া যায়নি।
এ যেন ঠিক উলটপুরাণ। একদিকে যখন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দাপিয়ে বেরাচ্ছে দালালরাজ। দালালচক্রের দাদাগিরিতে অতিষ্ট রোগীর পরিজন। ঠিক সেইসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের অভিযোগ উঠল রামপুরহাটের একটি দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। সোমবার সেই চক্রের বিরুদ্ধে রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দারস্থ হন আইএমএ রামপুরহাট শাখার চিকিৎসকরা। সুরাহা না হলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, পরিবারের পাশাপাশি বেশ কিছু লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে চিকিৎসকের ওপর। অভিযোগ, বিভিন্নভাবে চিকিৎসকদের থেকে মোটা টাকা দাবি করা হয়। ডাক্তাররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগ চিকিৎসক তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের।
চিকিৎসকদের হেনস্থা? দালালরাজের কোপে খোদ চিকিৎসক? কয়েকদিন আগে রামপুরহাট শহরের একটি নার্সিংহোমে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ১১ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় চিকিৎসকের কাছে। অভিযোগ, টাকা না দিলে পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রয়েছেন রামপুরহাটের চিকিৎসককূল।
জেলায় জেলায় বাড়ছে দালালরাজের দৌরাত্ম্য। নিস্তার মিলছে না চিকিৎসকদেরও। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।