Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

DAAgitation

DA Agitation: ডিএ-এর দাবিতে টানা ১৪০ ঘণ্টার বেশি অনশন করায় অসুস্থ এক আন্দোলনকারী

৩৬৫ তম দিনে পড়ল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নাছোড় আন্দোলন। এছাড়াও হকের মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এই আন্দোলনে টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। সুরাহা না মেলায় ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। আর এদের মধ্যেই একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হকের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন পড়ল ৩৬৫ তম দিনে। অর্থাৎ একদিকে যেমন তাঁদের ধরনার ১ বছর অতিক্রান্ত। অন্যদিকে টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। ক্রমশই ৪ অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য (৬৪) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর শরীরে কিটোন বডি পজিটিভ আসে।শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শহীদ মিনারের পাদদেশে, বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতাসহ স্বচ্ছ নিয়োগ এবং অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার ধরনা, অবস্থান বিক্ষোভ, আন্দোলনেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। বরং উল্টো চিত্রই দেখা গিয়েছে। বহুবার রাজ্য সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এদিন শহীদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চের পাশেই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সদস্যরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস। পাশাপাশি সংঘবদ্ধ হয়ে সংকল্প করলেন, সার্বিক উন্নতি এবং উন্নয়নের দিক  থেকে পিছিয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গকে, ফের সামনে সারিতে আনার।

এদিন এ প্রসঙ্গে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি জানালেন, 'ভারতের ইতিহাসে এরকম স্বৈরাচারী কোরাপ্টেড সরকার ভারতবর্ষ এর আগে দেখেনি।' তবে পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে সরকারি ক্ষেত্রে লাগাতার ধর্মঘটের পাশাপাশি সুরাহা না মিললে আগামী লোকসভা ভোট বয়কটের ডাকও দেবেন প্রয়োজনে।

হকের দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘ ১ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের এ বিষয়ে কেন টনক নড়ছে না? এ প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চের পাশেই রেড রোডে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। তারপরেও প্রশাসনের চোখে এ দৃশ্য পড়ছে না কেন? আর কত আন্দোলনের পরে সুরাহা মিলবে? এসব প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

3 months ago
DA Protest: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! নবান্নের সামনে ধরনায় বসেই 'নৈতিক জয়' বললেন আন্দোলনকারীরা

নবান্নের (Nabanna) সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) ধরনায় বসতে অনুমতি দেয়নি রাজ্য পুলিস। তবে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে শর্তসাপেক্ষে ধরনায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে শুক্রবার সকাল থেকেই নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ধরনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনায় বসতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু এদিন সেই সময়সীমা কমিয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্তই ধরনা করতে পারবেন তাঁরা। ফলে তাঁরা নবান্নের সামনে ধরনায় বসতে পারছেন বলে এটিকে আন্দোলনকারীরা 'নৈতিক জয়' বলেই উল্লেখ করেছেন।

জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। এর পরই শুক্রবার বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ৪৮ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি করা যাবে। শনিবার বিকেলে উঠে যেতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরও কার্যত উৎসবের আমেজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চে।

এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে ডিএ ঘোষণা করেছেন। তারমধ্যেই গতকাল রাত থেকেই ধরনা বা আন্দোলনকারীরা এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাতে ওনারা খুশি নন মনে হয়। আমরা এই নির্দেশের পরিবর্তন বা স্থগিতাদেশ চাইছি।' এরপরই বিচারপতির মন্তব্য, 'আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি ২২ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনার অনুমোদন রয়েছে। আজ অফিস দিন। রবিবার গুরুত্বপূর্ণ দিন। গতকাল রাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। তবে শনিবার রাতে বিক্ষোভ শেষ করো। বিকাল চারটার মধ্যে বিক্ষোভ শেষ করতে হবে।'

4 months ago
DA Protest: নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিলেন বিচারপতি মান্থা

অবশেষে নবান্নের (Nabanna) সামনে ধরনায় বসতে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), তবে রয়েছে কিছু শর্ত। নবান্নের সামনে ধরনায় বসতে চায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Agitation)। এবারে বৃহস্পতিবার সেই আবেদনেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনায় বসার অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা। তবে বিচারপতির তরফে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এদিন শর্তসাপেক্ষে নবান্নের বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলার শহীদ মিনারের সামনে দীর্ঘদিন ধরে ধরনা চালাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এবার নবান্নের সামনে বাসস্ট্যান্ডে ধরনায় বসতে চান তাঁরা। এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিস। এরপরই হাইকোর্টে যায় তাঁরা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হয়। আর তখনই তিনি এই কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেন। আদালতের শর্ত, ট্রাফিক সচল রাখতে হবে, পুলিসকে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে। ট্রাফিক-এর সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিন দিন ধরে অবস্থান করবেন তারা। শব্দদূষণ যাতে না হয় সেদিকেও দেখতে হবে।

এদিন পুলিসের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, নবান্ন বাসস্ট্যান্ড অত্যাধিক স্পর্শকাতর এলাকা। ওখানে প্রচুর ব্যস্ত রাস্তা। শিবপুর পুলিস স্টেশনের মধ্যে পড়ে। একাধিক মানুষ ওখান দিয়ে যাতায়াত করেন। আর ওটা স্ট্যান্ড না ওটা বাস টার্মিনাস। ৪০০ জন ব্যক্তি ওখানে থাকবে। কীভাবে আমরা সামলাবো?'

আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর বলেন, 'আলাদা দিনের ব্যবস্থা করে দিন। ছুটির দিন লোক কম বেরোয়। পুলিস ব্যাবস্থা নিক। ১ লাখ স্কোয়ারফুট জায়গা আর আবেদনকারীরা তো মাত্র ২০০০০ স্কোয়ারফুট চাইছে। তবে বাস টার্মিনাস যেন বন্ধ না হয়। ট্রাফিক সচল থাকতে হবে। বিক্ষোভকারীদের সেদিকে নজর রাখতে হবে।'

দু'পক্ষের সওয়াল জবারের পর অবশেষে ধরনায় অনুমতি দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা অর্থাৎ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, রাজ্য সরকারের লজ্জা নেই, তাঁদের আওয়াজ এবার সরাসরি নবান্নের ১৪ তলায় পৌঁছতে চান তাঁরা। তবে এরপরেও যদি সুরাহার পথ না বেরোয় তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে বলেই জানান আন্দোলনকারীরা।

4 months ago


DA: '১০ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসুন', ডিএ আন্দোলনকারী-রাজ্যকে বার্তা হাইকোর্টের

ডিএ আন্দলনের (DA Agitation) জট কাটাতে পদক্ষেপ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে রাজ্য। এক জনস্বার্থ মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। জানা গিয়েছে, সংগঠনের পাঁচজন সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব।

যেহেতু বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চকে আপাতত কর্মবিরতি না করার পরামর্শ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। আপাতত জট কাটাতে সমঝোতার জন্য বসবে রাজ্য এবং ডিএ আন্দোলনকারীরা। এমনটাই উচ্চ আদালতের নির্দেশ।

ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট বা কর্মবিরতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জানা গিয়েছে, ডিএ মামলায় চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করে দু'পক্ষকে আগামি ১০ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে হবে। 

12 months ago
Nausad: ডিএ মঞ্চে নৌশাদকে ধাক্কা তৃণমূলকর্মীর, গ্রেফতার

শহিদ মিনার ডিএ আন্দোলন (DA Agitation) মঞ্চে শেখ আবদুল সালামের হাতে আক্রান্ত বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (MLA Naushad Sidiqqui)। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সালাম তৃণমূলকর্মী এবং হাওড়ার বাসিন্দা। শনিবার সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গ দিচ্ছেন আইএসএফ বিধায়ক। জামিনের পর মুক্ত হয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াবেন। সেই মোতাবেক এদিন সকালে শহিদ মিনার মঞ্চে (Sahid Minar) হাজির হয়েছিলেন। বেলার দিকে তিনি যখন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন, তখন টুপি পরা এক ব্যক্তি তাঁর সামনে চলে আসেন। তাঁর হাতে একটি হেলমেটও ছিল।

সেই ব্যক্তি নৌশাদকে প্রশ্ন করেন, 'আপনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করছেন?' বিধায়ক জবাব দেন, 'শুধু সংখ্যালঘু কেন, সংখ্যাগুরুদের জন্যও করবো।' এই জবাব শুনে নিজের জামা তুলে একটি ব্যান্ডেজ দেখান সেই ব্যক্তি। তারপরেই নৌশাদকে ধাক্কা দেন ওই টুপি পরা ব্যক্তি। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই ব্যক্তির দিকে ছুটে যান ডিএ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।

যদিও নৌশাদ তখন সেই ব্যক্তির গায়ে হাত দিতে অন্যদের বারণ করেন। 'এটা একটা নাটক ওকে কিছু করো না' বলে চিৎকার করতে থাকেন আইএসএফ বিধায়ক। তারপরেও কয়েকজন মিলে অভিযুক্তকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেন। জানা গিয়েছে, বিধায়ককে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ব্যক্তিকে। সংবাদমাধ্যমকে আইএসএফ বিধায়ক জানান, 'এই ঘটনার তদন্ত করবে পুলিস। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কারা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, পুলিস দেখবে।' তৃণমূল এই ঘটনা সমর্থন করে না বলে জানান দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। প্রবল সমালোচনায় সরব বিরোধী শিবির। 

one year ago


Meet: অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্বে খোদ মমতা, সংখ্যালঘু সেলেও রদবদল

ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা আন্দোলন (DA Agitation), নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে লাগাতার ধর্না আন্দোলন। পাশাপাশি সাগরদিঘির (Sagardighi Bye Poll) ফল এবং একের পর এক তৃণমূল নেতার (TMC Leader) জেল যাত্রা। এই আবহে সামনেই কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। আর তাই অনুব্রত-হীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। যেহেতু বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই দলের ত্রুটি-বিচ্যুতি ঢাকতে তৃণমূলকে এবার বাড়তি সময় দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বৈঠকে (Kalighat Meeting) এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, জেলা ধরে ধরে প্রতি শুক্রবার হবে সাংগঠনিক বৈঠক। এদিন দলের সুপ্রিমো একাধিক দায়িত্ব ভাগ করে দেন। আগামি পঞ্চায়েত ভোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিনের বৈঠকে যুব সংগঠন শক্তিশালী না করতে পাড়ার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, মালা রায় এবং বিধায়ক অতীন ঘোষ, পরেশ পালকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। পুরনো ফরম্যাট মেনে জেলাভিত্তিক পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব এদিন ভাগ করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলা দেখার দায়িত্বে গৌতম দেব। কোচবিহার জেলা বিশেষভাবে দেখার জন্য পার্থপ্রতিম রায়, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উদয়ন গুহকে নির্দেশ। সাগরদিঘি ভোটের প্রভাব তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলে। তরুণ মোশারফ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির দায়িত্ব। উত্তর দিনাজপুর মালদা-মুর্শিদাবাদ দেখার দায়িত্বে দুই সংখ্যালঘু মুখ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও মোশারফ হোসেন।

বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও। দক্ষিণ দিনাজপুর দেখবেন তাপস রায়, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ার দায়িত্বে মলয় ঘটক। মানস ভুঁইয়া দেখবেন দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা। জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম দেখবেন হাওড়া-হুগলি, উত্তর দিনাজপুর আর বীরভূম দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের সঙ্গে নদীয়া জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে অরূপ বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান , এঁরা কেউ অবজারভার নয়। এঁদের উপর সংগঠন দেখার দায়িত্ব।  

one year ago
DA: ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় বাঁকুড়ার স্কুল তালাবন্ধ স্থানীয়দের, ফুল এনে ক্ষমাপ্রার্থী অভিভাবকরা

স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের ফুলের তোড়া দিয়ে ক্ষমা (apologized) চাইলেন অভিভাবকরা। ডিএ (DA) ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার প্রতিবাদে গত ১১ মার্চ স্কুল তালাবন্ধ করেছিলেন স্থানীয় মানুষ। সেই জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইলেন অভিভাবকরা। বাঁকুড়ার(Bankura) সারেঙ্গা ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ ডিএ-সহ স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সরকারি দফতরে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। সেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক। ফলে স্কুল সেদিন বন্ধ ছিল। পরের দিন শিক্ষকরা স্কুলে যোগ দিতে গেলে দেখেন স্কুলগেট তালাবন্ধ। দীর্ঘক্ষণ শিক্ষকরা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে অভিভাবকদের একাংশের হস্তক্ষেপে স্কুল খুলে পঠনপাঠন স্বাভাবিক করা হয়।

এই ঘটনার চার দিন যেতে না যেতেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি, ১১ মার্চ স্কুলে তালা দেওয়ার সঙ্গে অভিভাবকদের কোনও যোগ ছিল না। এলাকার কিছু মানুষের প্ররোচনাতেই ওই কাজ করেছিলেন তাঁরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি এমন অসম্মানজনক ঘটনায় অভিভাবকরা মর্মাহত। যার ফলেই এই ক্ষমাপ্রার্থনা।

অভিভাবকদের এমন উদ্যোগে খুশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্কুলের এক শিক্ষক অজয় রাউত্ জানান,'সেদিনের ঘটনার সঙ্গে একজন অভিভাবকও যুক্ত ছিলেন না। হাতে গোনা কয়েকজন এসেই স্কুলে গেটে তালাবন্ধ করে দিয়েছিল। আজ গ্রামের অভিভাবকরা এসে নিজেদের ভুল স্বীকার করায় ভালো লাগছে। আমরা সবাই চায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অভিভাবকদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।' 

one year ago
DA: '৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণা হয়েছে, নন্দলালেরা আর কী চান', খোঁচা মমতার

এখন এই মুহূর্তে আমার কাছে টাকা নেই, যখন আসবে দেব। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। একাধিক প্রকল্পের বকেয়া বাকি। ডিএ আন্দোলন (DA Agitation) নিয়ে এভাবেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ১ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি টাকার মহার্ঘ ভাতার জন্য খরচ। টাকা তো গাছ থেকে পড়বে না। কেন্দ্রীয় সরকারের (Modi Government) সঙ্গে তুলনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) আছে।

ইতিমধ্যে ৩ শতাংশ + ৩ শতাংশ মোট ৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। আর কী চান নন্দলালেরা? এভাবেই কটাক্ষ ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, 'কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো রাজ্যের থেকে আলাদা। আর কেন্দ্রের সরকার কত দিন ছুটি দেয়? আমরা দুর্গাপুজোয় দশ দিন ছুটি দিই। ছট পুজোয় ছুটি দিই।' এদিকে, এদিন বিধানসভা থেকে বেড়িয়ে ডিএ ধর্নামঞ্চে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি জানান, 'রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতেই হবে। অনেকের মতো আমরাও আপনাদের পাশে আছি। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে আপনারা মামলা জিতেছেন। আজ না হোক, কাল প্রাপ্য ডিএ দিতে হবে। শর্ত ছাড়া আমরা আপনারা পাশেই রয়েছে।'

one year ago


DA: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ, বকেয়ার দাবিতে এবার সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটের ডাক

দাবি না মেটা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, বাড়বে প্রতিবাদের ঝাঁঝ। এই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ডিএ-র (DA Agitation) দাবিতে আন্দোলনরত সরকারী কর্মীরা। এবার ধর্মঘটের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। আগামি ৯ মার্চ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকার পোষিত অফিসে এই ধর্মঘটের (Bandh in Government office) ডাক দেওয়া হয়েছে। মূলত বকেয়া ডিএ প্রদান, কেন্দ্র-রাজ্যের ডিএ ফারাক কমানো এবং শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে শহিদ মিনারের (Sahid Minar) পাদদেশে চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ।


পাশাপাশি তাঁরা অনশন আন্দোলন করছেন। এবার সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াতে ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন তাঁরা। এমনটাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি। তাঁরা জানান, 'ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ে এভাবে আন্দোলনের পথে হাঁটতেই হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কিছু করতেই হবে। আমরা যা করছি গণতান্ত্রিক পরিসরে থেকেই করছি।' ইতিমধ্যে রাজ্য বাজেটে ৩% ডিএ ঘোষণা করেছে সরকার, মার্চ থেকেই কার্যকর সেই মহার্ঘ ভাতা।

কিন্তু তারপরেও ডিএ প্রদানের শতাংশ নিয়ে অসন্তোষ সরকারি কর্মীদের মধ্যে। তাই দাবি আদায়ে শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চ থেকেই আরও বড় আন্দোলনের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। ৯ মার্চ ধর্মঘট কী আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর প্রথম ধাপ? এই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে রাজনৈতিক মহলে।

one year ago