লোকসভা ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর এলাকায় পুলিসের জালে ধরা পড়ে ওই নেতা। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাইকের টুল বক্স থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম রিপন শেখ। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে বড়ঞা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হলদিয়া ফরাক্কা রাজ্যসড়কের উপর নাকা চেকিং চালায় বড়ঞা থানার পুলিস। সেই সময় সন্দেহজনক একটি বাইক আটক করে তল্লাশি চালিয়ে টুল বক্স থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করে বড়ঞা থানার হেফাজতে রাখেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিন ধৃতকে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিস।
কেরলে কাজে গিয়ে আত্মঘাতী হল মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। জানা গিয়েছে মৃৃতের নাম আমিনুল শেখ (২২)। বাড়ি ইসলামপুর থানার সুপারিগুলা গ্রামে। অভিযোগ, প্রেম ঘটিত কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, কাজের উদ্দেশ্যে কেরলে পাড়ি দিয়েছিলেন আমিনুল শেখ। সেখানে প্লাইবোর্ড কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওই প্লাইবোর্ড কোম্পানিতে কাজ চলাকালীন অসমের বছর উনিশের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আমিনুল। প্রায় দেড় বছরের সম্পর্কে থাকার পর দিন কুড়ি আগে কেরল থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় ওই কিশোরী।
অভিযোগ এরপর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন আমিনুল। শনিবার আত্মঘাতী হন। আমিনুলের সঙ্গীরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামের বাড়িতে মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি আসন রয়েছে। মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবার লড়বেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপি অগ্নিমিত্রা পল। এছাড়া, ব্যারাকপুর থেকে লড়বেন অর্জুন সিং। বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু চমক রয়েছে। তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রাম আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
একনজরে বাংলার প্রার্থী তালিকা
জলপাইগুড়ি - ডাঃ জয়ন্ত রায়
দার্জিলিং-রাজু বিস্তা
রায়গঞ্জ-কার্তিক পাল
জঙ্গিপুর-ধনঞ্জয় ঘোষ
কৃষ্ণনগর-অমৃতা রায় (রানিমাতা)
ব্যারাকপুর-অর্জুন সিং
দমদম-শীলভদ্র দত্ত
বারাসত- স্বপন মজুমদার
বসিরহাট- রেখা পাত্র
মথুরাপুর-অশোক পুরকায়েত
কলকাতা দক্ষিণ- দেবশ্রী চৌধুরী
কলকাতা উত্তর-তাপস রায়
উলুবেড়িয়া- অরুণ উদয় পাল চৌধুরী
শ্রীরামপুর-কবীর শঙ্কর বোস
আরামবাগ- অরূপ কান্তি দিগর
তমলুক-অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (প্রাক্তন বিচারপতি)
মেদিনীপুর-অগ্নিমিত্রা পল
বর্ধমান পূর্ব- অসীম কুমার সরকার
বর্ধমান-দুর্গাপুর- দিলীপ ঘোষ
বিজেপির এই প্রার্থীতালিকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, যাঁরা প্রাথী হয়েছেন, তাঁদের সবারই জন্যই দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে।
আগামী ২৫ মার্চ, সোমবার দেশজুড়ে হোলি বা দোলযাত্রা। গোটা ভারতের মানুষ মেতে উঠবেন রঙের উৎসবে। আর পূর্ব রেল সূত্রে খবর এই দোলযাত্রা উপলক্ষ্যেই বাতিল একাধিক ট্রেন। সোমবার মেন লাইন, হাওড়া শাখা, সার্কুলার রেল, সিসিআর লাইন, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বাতিল থাকছে ট্রেন।
এর মধ্যে শিয়ালদহ মেন লাইনে যে সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে শিয়ালদহ - বর্ধমান, শিয়ালদহ-রানাঘাট, রানাঘাট-গেদে, শিয়ালদহ-গেদে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, নৈহাটি-রানাঘাট, শিয়ালদহ-শান্তিপুর, রানাঘাট-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর এবং শিয়ালদহ- নৈহাটি রুটের ট্রেন।
এছাড়াও দোলের দিন সোমবার, বনগাঁ শাখার যে সব ট্রেন বাতিল, তার মধ্যে রয়েছে বারাসাত-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-বারাসাত, শিয়ালদহ-হাবড়া, শিয়ালদহ-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-দমদম ক্যান্ট, শিয়ালদহ-মধ্যমগ্রাম, শিয়ালদহ-দত্তপুকুর, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, বারাসাত-হাসনাবাদ। এমনকি সোমবার বাতিল থাকছে ব্যারাকপুর-মাঝেরহাট, হাসনাবাদ-মাঝেরহাট, শিয়ালদহ- বারুইপুর, শিয়ালদহ-বজবজ ছাড়াও একাধিক শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন।
দোলের দিন অর্থাৎ সোমবার বাতিল থাকছে হাওড়া ডিভিশনেও একাধিক ট্রেন। তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-বর্ধমান, হাওড়া- তারকেশ্বর, হাওড়া - শ্রীরামপুর ছাড়াও একাধিক ট্রেন। দোল উৎসবের কথা মাথায় রেখেই রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবারেও বাংলায় ৭ দফায় ভোট হবে৷ শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই তালিকায় চমক, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। সুকৃতি ঘোষাল বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বিমান বসু বলেছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। তাই বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পূর্ণ বামেদের৷ এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
প্রসূন গুপ্ত : সেই কবেই ২০টি আসন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এ রাজ্যের জন্য। ইতিমধ্যে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ এখনও ২৩ আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। ভোট একেবারে শিয়রে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কবে ঠিক হবে?
ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রধান বিরোধী রাজ্য প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরও এক বিরোধী বামেরা কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে, দেওয়াল লিখে প্রার্থীর প্রচার শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বামেরা ব্যতিক্রম বিজেপি এবং কংগ্রেস। যদিও বাংলায় কংগ্রেস দু তিনটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও শক্তিশালী নয়। তাদের নিয়ে বিজেপির চিন্তাও নেই কিন্তু প্রার্থী তো দিতে হবে।
সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ কে টিকিট দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখানে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দিলীপবাবু কে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়াতে বলা হয়েছে যা ঘোরতর আপত্তি দিলীপের। সংকট রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, আসানসোল, দমদম, বারাসত সহ ১০/১২ টি আসনে প্রার্থী ঠিক করাই যাচ্ছে না। অবিশ্যি উত্তর কলকাতা পাচ্ছেন তাপস রায়, ব্যারাকপুর পেতে চলেছেন অর্জুন সিং।
এই রাজ্য ছাড়াও অনন্য রাজ্যও বেশ সমস্যা প্রার্থী নিয়ে। শনিবার বিকেলে অথবা গভীর রাতে অমিত শাহ্ এবং নাড্ডা তৃতীয় বারের জন্য বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারের সাথে। আশাকরা যাচ্ছে রবিবারের মধ্যে ঠিক হতে পারে। রাজ্যে মূল সমস্যা গোষ্ঠীদন্দ নিয়ে। প্রার্থী ঠিক হলে দ্বিতীয় সংকটও মেটাতে হবে শাহ্কেই।
বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ময়দানে প্রচারের ঝড় তুলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বঙ্গের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলোতে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার বাকি আসনগুলোর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ফের দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই বাংলার বাকি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির প্রার্থী তালিকার পদ্ধতিগত দিকটি ব্যাখ্যা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি বাংলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাকি ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসছে।
বারাসতে- প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর
বর্ধমান-দুর্গাপুরে- দিলীপ ঘোষ
মেদিনীপুর- ভারতী ঘোষ
দমদম- শীল ভদ্র দত্ত
ব্যারাকপুর- অর্জুন সিং
দক্ষিণ কলকাতায়- বৈশাখী ডালমিয়া
যদিও সম্ভাব্য তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা স্পষ্ট হবে বলেই মত গেরুয়া নেতৃত্বের।
চোলাই মদ সহ গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৬০ লিটার চোলাই মদ। আবগারি দফতর এবং সুতি থানার পুলিসের যৌথ অভিযানে বানচাল হয়েছে পাচারের ছক। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে সুতি থানার সরলা কিশোরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন মিলন মাঝি এবং সত্যবান সরকার। তাদের বাড়ি সরলা কিশোরপুর এবং বসন্তপুর। আজ, বুধবার চোলাই মদকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিস। চোলাই মদ কারবারের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে চোলাই মদ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ।
রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর বিবাদ মঙ্গলবার রাতে দেখেছে দিনহাটাবাসী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। একে অপরের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশ বুধবারও রয়েছে। আজই দুপুরে দিনহাটা পৌঁছবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। তিনি পুলিসের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি নিজেও কোচবিহারে যাচ্ছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে গাড়িতে কোচবিহারের দিনহাটা যাবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপালের দিনহাটা যাওয়া প্রসঙ্গে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি লিখেছে, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় শুনলাম আপনি দিনহাটা আসছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবশ্যই নিয়ে আসবেন। রাজ্যপাল এসে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এমনই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
গতকালের ঘটনায় ৪৫ বিজেপি কর্মী, নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। গতকাল রাতে ঝামেলা মিটলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এলাকায়। পুলিসও ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার এই অভিযোগ করেন উদয়ন গুহ। সমস্ত ঘটনার জন্যই বিজেপিকে দায়ী করল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বিজেপি এলাকায় ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। এমন অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপিও একই অভিযোগ আনছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
পাচারের আগেই নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল বোতল সহ গ্রেফতার এক ব্য়াক্তি। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১৮৬ টি ফেনসিডাইল বোতল। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শফিকুল শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানার উত্তর চর মাঝার দেয়ার এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পাঠিয়ে, পাঁচ দিনের দিনের জন্য় পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে রাণীনগর থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে এক ব্য়াক্তিকে আটক করে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা একধিক ফেনসিডাইল বোতল। তারপরেই ওই ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে এতগুলো নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ কোথায় পাচারের জন্য় নিয়ে যাচ্ছিল ওই ব্য়াক্তি এবং কোথা থেকেই নিয়ে এসেছিল ? তা জানতে ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে রাণীনগর থানার পুলিস।
সপ্তাহের শেষ দিনে চরম রেল বিভ্রাট। শনিবার সকাল থেকেই ব্য়হত শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল ট্রেন। এছাড়াও বাতিল হয়েছে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় একাধিক ট্রেন। এর ফলে স্টেশন গুলোতে পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। রেল বিভ্রাটে চরম হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে নিত্য় যাত্রীদের।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য দমদম জংশনে ৫২ ঘণ্টার নন ইন্টারলকিং কাজের প্রয়োজন। সেই কারণে আজ, শনিবার রাত বারোটা থেকে এই কাজ শুরু হবে। এরফলে এদিন ও রবিবার প্রায় ১৪৩ টি লোকাল ট্রেল বাতিল করা হয়েছে। সোমবার ভোর ৪ টের পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন ও বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুর পথে চালানো হবে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য়, যে ট্রেনগুলি বাতিল হয়নি সেগুলিও দেড়িতে চলায় এবং যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষকে। এরই মধ্যে শনিবার রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের চাকরির পরীক্ষা ছিল। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল গত সোমবার। বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে রেল কলোনির বন্ধ কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালায়। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম অংশুমান সিং(১৭)। এমপি বিলাস স্কুলের এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। বাড়ি বেহালা পাঠকপাড়ায়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে গত সোমবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল অংশুমান। মঙ্গলবারও অংশুমান বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন অংশুমানের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওরকম ভাবে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সেই বন্ধুরাও কেউ ফোনে পাচ্ছিল না অংশুমানকে।
এরপরই পরিবারের লোকজন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেহালা গোলশাপুর রেল কলোনির বদ্ধ বিল্ডিং গুলিতে খোঁজ করতে গিয়ে ৩৫ নম্বর বিল্ডিং-এর চার তলায় অংশুমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকার মানুষজন। তড়িঘড়ি অংশুমানকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
কীভাবে কী কারণে এই মৃত্যু পরিবারের লোকজন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অংশুমান অনলাইন গেম খেলায় আসক্ত ছিল। বেশ কয়েক মাস ধরে তার কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল বন্ধু দের কাছে। পরিবারকে কিছুই জানায়নি। সোমবার অংশুমান-এর বন্ধু মারফত তাঁরা তা জানতে পারেন।
মুরগির দোকানের মালিকের সঙ্গে ধার বাকি নিয়ে বচসা। তার জেরে হাঁসুয়ার কোপে মৃত্য়ু হল এক যুবকের। ঘটনায় গ্রেফতার মুরগি ব্য়বসায়ী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুরাতন ডাকবাংলা সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম মঙ্গল (৩০)। বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার বাবুপুর এলাকা।
জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের পুরাতন ডাকবাংলার মুরগির দোকানের ব্যবসায়ী হিরু। আর মঙ্গল নামের ওই যুবক বিভিন্ন জনকে সুদে টাকা দিতেন। তাঁর কাছ থেকেই সুদে টাকা নিয়েছিলেন হিরু। এদিনই সেই টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছিল দু'জনের মধ্য়ে। টাকার জন্য় হিরুর উপরে অতিরিক্ত চাপ দেয় মঙ্গল। তখনই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। হঠাৎই হিরু নামে ওই ব্যবসায়ী মঙ্গলকে হাঁসুয়ার কোপ দিয়ে বসে। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরবর্তীতে সেখানেই মৃত্য়ু হয় তাঁর।
এরপর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিস গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্য়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইডি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে, সেজন্য আগাম জামিনের আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন। সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷
রাজ্য পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ মতো এখন শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে। ইডিও মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইডি যেন তাঁকে গ্রেফতার না করে। সেই কারণেই আগাম জামিনের আবেদন জানান শেখ শাহজাহান।
ইডি কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায়। হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের সূত্রে তারা শেখ শাহজাহানের নাম জানতে পেরেছে। তার নিজের হাতে লেখা চিঠি থেকে শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। সওয়ালে দাবি করেছে ইডি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাদের মারধর করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। পরে আবার তল্লাশি চালাবার আগেই সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এমনই আদালতে দাবি করেছে ইডি।
এখন চার দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। চলতি সপ্তাহতেই ফের তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে। এদিকে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকেও সিবিআই গ্রেফতার করেছে। গতকাল, সোমবার সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।