
ফের জাতীয় সড়কে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক যুবকের। সেই সঙ্গে আহত আরও দুই যুবক। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আদিল মমিন (১৮)। বাড়ি উত্তর দারিয়াপুর মোমিন পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে জাতীয় সড়কের ওপর একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে একটি আলু বোঝাই লরি এসে ধাক্কা মারে ওই বাসটিকে। বাসটিকে ধাক্কা মারার পর বাসের সঙ্গে লরিটিও পাশের গর্তে পড়ে যায়। আর সেই সময় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিল আদিল মমিন। তখনই লরির ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে জখম ওই দুই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। মিড ডে মিলের চাল স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সেই রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সময়মত স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা। শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হচ্ছে না মিড ডে মিল। তার উপর স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে মিড ডে মিলের চাল। এমনই অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুক্রবারের রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, মিড ডে মিলের চাল চুরি হচ্ছে। যত সংখ্যক মিড ডে মিল পরিবেশন করা হয়, তার থেকে বেশি সংখ্যা দেখানো হয় খাতায়-কলমে। তবে কী বিরোধীদের অভিযোগে শিলমোহর? প্রশাসনের একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। এখন স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ৫০। খাতায় কলমে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও কোনওদিন উপস্থিত থাকে ৮-১০ জন। কোনও দিন তারও কম। আর বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ২। তাও ২ শিক্ষকের মধ্যে নেই সুসম্পর্ক। সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে গোটা বিদ্যালয় জুড়ে। যদিও অভিযোগ সামনে আসতেই স্কুলের টিচার ইনচার্জের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের। মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রেই যদি দুর্নীতি হয় তাহলে শিশুরা কী শিখবে? অভিযোগের শেষ কোথায়? প্রশ্নগুলো থেকেই যায়।
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও ৪ জনকে গ্রেফতার এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিস। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। চার ধৃতদের নাম আলি আকবর মণ্ডল, কাজি আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন মণ্ডল ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। প্রত্যেকেরই বাড়ি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা এলাকায়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় আমডাঙা থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অভিযুক্তরা। বোমার আঘাতে রূপচাঁদের ডান হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওইদিন রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজন। তার বেশ কয়েকদিন পর গ্রেফতার করা হয় আরেক অভিযুক্তকে। তবে অধরা ছিল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি আকবর মণ্ডলই নাকি বোমা ছুঁড়েছিল রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ঝালদা পুরসভার কুরশি কার! কখনও তৃণমূলের, কখনও বা কংগ্রেসের। কিন্তু শেষমেশ এই কুর্শিতে কে বসবে সেটা ঠিক করতে হবে ৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে, এমনটাই নির্দেশ হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরসভার দুটি পৃথক মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন জাস্টিস সিনহা নির্দেশ দেন, ৮ই ডিসেম্বরে মধ্যে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট করতে হবে। এমনকি যাতে সাধারন মানুষের কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেই জন্য বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, এই আস্থা ভোট শেষ হবার আগে পুরসভা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এছাড়া তিনি আরও নির্দেশ দেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে অর্থাৎ ১২ই ডিসেম্বর আস্থা ভোট সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে জেলা শাসককে।
২০২২ সালে পুরভোট শেষ হলেও, ঝালদা রাজ্যের একমাত্র পুরসভা যেখানে কুর্শির দখল নিয়ে লড়াই এখনও চলছে। কখনও মন, কখনও মতি, ঠিক সেরকম ভাবেই দল বদলান ঝালদার কাউন্সিলরদের কেউ কেউ। ফলে পুরসভার নিয়ন্ত্রক শক্তিও বদলে যায় যখন তখন। মোট ১২টি আসন এই ঝালদা পুরসভায়। গত পুরভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেস এখানে যথাক্রমে ৫টি করে আসনে জেতে। নির্দল পায় বাকি ২টো। এই নির্দলই বারবার খেলা ঘুরিয়েছে ঝালদার। বিশেষ করে শীলা চট্টোপাধ্যায় কখনও কংগ্রেসে সমর্থন দিয়েছেন, কখনও তৃণমূলে। হাইকোর্টের নির্দেশে গতবার আস্থা ভোটে এই শিলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে ৭-০তে জয় লাভ করে কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। কিন্তু শিলা ফের তৃণমূলে যোগদান করলে কংগ্রেস অনাস্থা আনে।
শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু ও বিপ্লব কয়াল। এদিন কংগ্রেস কাউন্সিলরদের পক্ষে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের অপসারণ চেয়ে পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলর ও দুই কংগ্রেস কাউন্সিলরের দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নারদা মামলায় (Narada Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নারদা মামলায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার নারদা মামলায় হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেই তিনজনকেই একই কথা বলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিন জনই মন্তব্য করেন ও জানান যে, সবের পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত দাবি করেন, 'নারদা মামলায় ববি হাকিমের কোনও যোগ নেই। মুকুল রায় মির্জা কে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এত বছর ধরে মামলা চলছে কোনও সঠিক রিপোর্ট নেই। সরকারি আইনজীবীরা লিখিতভাবে জমা দিন, আমরা রিপোর্ট জানাব।' ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
টলিউড থেকে বলিউড চারিদিকে বিয়ের মরশুম। এবারে আজ অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বলি অভিনেতা রণদীপ হুডা ও মডেল লিন লাইশরাম। মণিপুরের ইম্ফলে মণিপুরী রীতি মেনেই বিবাহ সম্পন্ন হল তাঁদের। সেই বিয়ের ছবিই এখন প্রকাশ্যে। এদিন রণদীপ এবং লিন দুজনকেই মণিপুরী পোশাকে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
কিছুদিন আগেই সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে রণদীপ হুডা জানিয়েছিলেন যে, তিনি ২৯ নভেম্বর দীর্ঘদিনের বান্ধবী লিন লাইশরামের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন। সেই মতই আজ তাঁদের মণিপুরী বিয়ে সম্পন্ন হল। জানা গিয়েছে, মেইতেই রীতি মেনে এই বিয়ে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাকি সব বলি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে বিয়ের পোশাক একেবারেই আলাদা। কারণ মণিপুরী রীতি মেনে বিয়ে করায় তাঁদের পরনে দেখা গিয়েছে মণিপুরী ঐতিহ্যবাহী পোশাক। মণিপুরের সাবেকি সাদা পোশাক পরেই বিয়ে করতে বসেন অভিনেতা। কপালে ছিল তিলক, সঙ্গে মাথায় ছিল পাগড়ি। অন্যদিকে লিন লাইশরাম সাবেকি মণিপুরী সাজেই সেজে ছিলেন। গা ভর্তি সোনার গয়না।
সমাজমাধ্য়মে যে ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মণিপুরী রীতি মেনে বিয়ে সারছেন তাঁরা। আবার এদিন বিয়ের আগে আশীর্বাদ নিতে ইপুধৌ মার্জিং খুবামলেন এবং ইম্ফলের শ্রী শ্রী গোবিন্দজী মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারকা জুটি।
ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। কয়েকমাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। আর এই নিয়েই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল, যার ফলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
র্যাগিং-এর শিকার হয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ফের একই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মেইন হোস্টেলেই র্যাগিং-এর শিকার হয়েছে এক পড়ুয়া। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'হোস্টেলে থাকতে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। এই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।' এমনই কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।
কুন্তলের জন্য 'ফেঁসে' গিয়েছেন। কুন্তলই কালীঘাটের কাকুর নামে টাকা তুলত তাঁর কাছ থেকে। বিস্ফোরক দাবি করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারও হল না আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার। তবে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস।
প্রাইমারি টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় আলিপুর আদালতে মঙ্গলবারও হল না সুরাহা। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার। তবে বুধবারই জামিন মিলবে নিশ্চিত তাপস। আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে এদিন একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করলেন তাপস মণ্ডল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ জবাব, 'সব দোষই কুন্তলের। তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে চালু করছে কুন্তল ঘোষ।' সাংবাদিকদের প্রশ্ন, 'শুধুই কি কুন্তল টাকা নিয়েছিল, নাকি আরও অনেকেই এই চক্রে?' টাকা শুধু কুন্তলই নিয়েছিল। যে টাকা কুন্তলকে দেওয়া হয়েছে তার হিসেব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের পেশ করছেন। এমনকি কাদের টাকা সেই বিষয়ও জানানো হয়েছে দাবি অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের। লক্ষাধিক টাকা কুন্তলকে দিয়েছে বলেও বিস্ফোরক তাপস।
তাপস মণ্ডলের আরও দাবি গোপাল দলপতি তাঁর লোক। তাঁর টাকা নিয়েই কুন্তলকে দিয়েছে। এখন কুন্তল গোপালকে জড়াচ্ছে কেন। এবিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই তাপসের। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, 'কালীঘাটের কাকুর নাম বলেছিলেন, আর কারোর নাম আছে?' তাপস এর উত্তরে বলেন, 'না, কালীঘাটের কাকুর নাম করেই কুন্তল টাকা তুলেছে আমার কাছ থেকে। সব টাকাগুলো কালীঘাটের কাকুকেই দিত।' তবে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক ছাড়া অন্য কেউ আর জড়িত কিনা সে বিষয়ে সদুত্তর দিলেন না তাপস।
ঘর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের রেলকলোনী এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জীবন হালদার (৩৬)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফরাক্কা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান জীবন হালদার নামের ওই ব্যক্তি। তারপর এদিন সকালে অনেকবার ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে।
আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে গ্রাহকের হাতে খুন হল ফিল্ড রিকভারি অফিসার। লোনের টাকা আদায় করে ব্যাঙ্কে জমা দেন তিনি। অভিযোগ, সেই লোনের কিস্তির টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত গ্রাহক নিমেশ ঘোষ। সোমবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা থানার নওপুকুরিয়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ফিল্ড অফিসারের নাম জাহাঙ্গীর আলম। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার জাহাঙ্গীর আলম নিমেশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে লোনের ২৫০০ বকেয়া টাকা চাইতে যান বেলডাঙা থানার নত্তপুকুরিয়া এলাকায়। কিন্তু লোনের টাকা দিতে নারাজ হন তিনি। অভিযোগ, লোন টাকা দিতে না চাওয়ায় প্রথমে বচসা শুরু হয়। এরপর লোনের টাকা আদায় করতে না পেরে সেখান ফেরার পথে পিছন দিক থেকে নিমেশ ঘোষ নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে তিনি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন জাহাঙ্গীর আলম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বেলডাঙা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই ব্য়ক্তি বছর চারেক থেকে আরোহণ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জ্বর হওয়ায় তেরো দিন আগে সে বাড়িতে ছুটিতে এসেছিলেন। গত শনিবার বাড়ি থেকে সে বেলডাঙায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাত্র ছ'মাস আগে সে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তারপর এই মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গোটা এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোরতর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। সেই সঙ্গে এই পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাড়ি থেকে জোরপূর্বকভাবে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভোর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। অভিযোগ, নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ির থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক খড়গ্রাম থানার বাসিন্দা।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে রাখে অভিযুক্ত ওই যুবক। তারপর সেখানেই রাতভোর যৌন নির্যাতন করা হয় এবং শনিবার ভোরবেলায় নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে নির্যাতিতা নাবালিক তার নিজের বাড়িতে যান এবং সম্মানহানির কারণে গায়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। এরপর স্থানীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
নৃশংস এই ঘটনার জেরে অভিযুক্ত ওই যুবক সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিস। ঘটনার জেরে মৃতার পরিবার সহ প্রতিবেশীরাও ক্ষোভে ফুঁসছে।
রবিবার সাতসকালে ফের দুর্ঘটনা শহরে। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেট আবারও সাক্ষী হল পথ দুর্ঘটনার (Road Accident)। জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় বছর ১৯-এর এক যুবকের। গাড়ির চালক পালিয়ে গেলেও পরে ধরা পড়ে পুলিসের হাতে।
কলকাতায় দুর্ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটে একটি গাড়ি, বেপরোয়া গতিতে একটি স্কুটিতে এসে ধাক্কা মারে। স্কুটিতে ছিল ৩ জন বাইক আরোহী। যাদের কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় স্কুটি চালকের। ১৯ বছরের যুবক ফায়জান আনসারি প্রাণ হারায় দুর্ঘটনার জেরে।
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়জানকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুজন, তাঁরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতালের মধ্যেই চোখে জল, হাহাকার পরিবারের সদস্যদের।
৩০৭ গ্রাম হেরোইন সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ফরাক্কা থানার পুলিস। শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছ থেকে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুভাষ মন্ডল (৪০) ও সঞ্জিৎ মন্ডল (৩৫)। দুজনের বাড়ি মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার চড়সুজা পুর। শনিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে দশ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়ে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। দুজনের ব্যাগ তল্লাশি করে ৩০৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে দুই জন অভিযুক্তকে হেরোইন সহ গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানার পুলিস। পুলিসের অনুমান, মুর্শিদাবাদ থেকে মাদকগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।
তবে কোথা থেকে, কী উদ্দেশ্যে ওই দুই ব্যক্তি ফরাক্কায় হেরোইন নিয়ে এসেছিল তার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
ফের বলিপাড়ায় বাজতে চলেছে বিয়ের সানাই। মণিপুরী গার্লফ্রেন্ড লিন লাইশরামের (Lin Laishram) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডা (Randeep Hooda)। ২৫ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ইনস্টাগ্রামে সেই খবর সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা। চলতি মাসেই বসবে তাঁদের বিবাহ বাসর। মণিপুরের ইম্ফলে আগামী ২৯ নভেম্বর বিয়ে করবেন তাঁরা। তারপর মুম্বইতে রিসেপশনের আয়োজন করা হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, বলিউড অভিনেতা রণদীপ বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। কিন্তু কবে, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। এবারে সমস্ত জল্পনার অবসান করে অবশেষে শনিবার, রণদীপ হুডা তাঁর ইনস্টাগ্রামে বান্ধবী লিন লাইশরামের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনক্ষণ দিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, 'আমাদের কাছে উত্তেজনাপূর্ণ খবর রয়েছে।'
অভিনেতা পোস্টটিতে লিখেছেন, 'মহাভারতে অর্জুন যেখানে মণিপুরের যোদ্ধা এবং রাজকুমারী চিত্রাঙ্গদাকে বিয়ে করেছিল সেখানেই আমরা আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের আশীর্বাদ নিয়ে বিয়ে করছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আগামী ২৯ নভেম্বর আমাদের বিয়ে। মণিপুরের ইম্ফলে এই অনুষ্ঠান হবে। তারপর মুম্বইতে রিসেপশন। আমাদের এই নতুন সফরে আপনাদের আশীর্বাদ চাই।' তাঁরা দুজনেই এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, 'আপনাদের জন্য আমাদের কাছে দারুণ সুখবর আছে।'
মিড ডে মিলে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ। রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রিপোর্ট যৌথ রিভিউ কমিটির। সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্যকে বিঁধতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হাতিয়ার সেই রিপোর্ট। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ১৬ কোটির মিড ডে মিলে দুর্নীতি হয়েছে। ১০০ কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ। জেলা থেকে আসা রিপোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রের রিপোর্টও মিলছে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, অতিরিক্ত পড়ুয়া দেখানো হচ্ছে রাজ্যের তরফে। পড়ুয়া উপস্থিতির হারও বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।
কখনও সাপ, কখনও বাঙ কিংবা টিকটিকি। প্রতন্ত গ্রামে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের বাচ্চাগুলো যখন দুপুরের খাবারটা মুখে তুলতে বসে, তখন তাতে দেখতে পায় ঝলসে যাওয়া টিকটিকি, সাপ-ব্যাঙদের। অনেকে খেয়েও ফেলে, অসুস্থও হয়। মিড ডে মিলে এভাবে সরীসৃপদের ঝলসানো দেহ পাওয়া গত কয়েক মাসে কার্যত নিত্য নৈমিত্তিক খবর হয়ে উঠেছে বাংলায়। সে খবর বারবার প্রকাশিত হয়েছে। কাঠগড়ায় উঠেছে প্রশাসন। খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিলেছে, তবুও রোজনামচায় পরিবর্তন আসেনি। মিড মিল ইস্যুতে রাজ্যকে বারবার বিঁধেছেন বিরোধীরা।
এবার কেন্দ্রের তরফ যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতন। শিক্ষা, রেশন, চাকরি, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোতে যে দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে, সে অধ্যায়ে নবতম সংযোজন মিড ডে মিল। বাচ্চাদের খাবারেও দুর্নীতি! রিপোর্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে জমা পড়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে। যত সংখ্যক উপস্থিতির হার দেখানো হয়েছে, তার থেকে কম রয়েছে উপস্থিতি। কর্মদিবসের হারেরও গড়মিল। সেখানেও বেশি করে দেখানোর কথা রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ১৬ কোটি মিড ডে অতিরিক্ত ‘এস্টিমেশনে’ চলে গিয়েছে। এই মিড ডে মিলের দাম ১০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইতিমধ্যেই CAG কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সিবিআই-কেও মিড ডে মিল দুর্নীতিতে তদন্তের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।