Breaking News
Weather: ফের চড়বে পারদ, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, কতদিন চলবে জানুন...      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে     

CvAnandBose

Bratya Basu: ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপাল বোসের

ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।

উল্লেখ্য, ৩০ শে মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সরাসরি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তিনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের।

এই ঘটনার পর টুইটে পাল্টা খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’

3 weeks ago
Cooch Behar: হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, কোচবিহারে হামলা প্রসঙ্গে বললেন রাজ্যপাল বোস

হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। যে কোনও মূল্যে হিংসা দমন করা হবে। উত্তরবঙ্গে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোচবিহারে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ জারি রয়েছে। গতকাল রবিবার কোচবিহারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়।

ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত উত্তেজনা বাড়ছে। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক বনাম উদয়ন গুহ চর্চা বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। রবিবার সন্ধ্যার পরে একটি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা দেখা যায়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর গাড়ির উপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় বিজেপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

দিনহাটা থেকে কোচবিহারে যাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। ঘুঘুমারি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছেছিল। সেই সময় বিজেপির একটি র‍্যালি চলছিল সেখানে। সেই র‍্যালির কিছু লোকজন মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা চালায়। গাড়ির ভেঙে দেয়। এমনই অভিযোগ উদয়ন গুহর। ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও কোচবিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিক বনাম উদয়ন গুহ হাতাহাতি হয়ে গিয়েছিল। রাস্তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রী এভাবে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি করবে। এটা কল্পনাও করা যায় না। তৃণমূল - বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে গিয়ে মহকুমা শাসকের মাথা ফেটেছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গিয়েছিলেন সেখানে। হিংসা দমন করার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন। বিস্তারিত রিপোর্টও তিনি চেয়েছিলেন প্রশাসনের কাছ থেকে। কিন্তু তারপরেও হিংসা একইভাবে চলছে। গতকাল রবিবারের ঘটনা তারই প্রমাণ। বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এই অবস্থায় রাজ্যপাল ফের বার্তা দিলেন। জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার জন্য রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সকালে তিনি নামেন। রাজ্যপাল বলেন, "আমরা যে কোনও মূল্যে হিংসাকে দমন করব। এটা লম্বা প্রক্রিয়া। কিন্তু আমরা এটা করব।" নির্বাচন এলেই কোচবিহার জেলায় একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসে। অতীতে এই ঘটনা একাধিকবার দেখা গিয়েছে। এবারও কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে? প্রশ্ন উঠছে।

3 weeks ago
Governor: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে 'গো ব্যাক' স্লোগান, দেখানো হল কালো পতাকা

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চরম ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে দেওয়া হল 'গো ব্যাক' স্লোগান। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে সরব হন TMCP ও AIDSO-এর কর্মী সমর্থকেরা।

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বহুদিন ধরে আটকে রয়েছে। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় তার দাবি জানান তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিস। একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির পর বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন তাঁরা। যদিও সেই জায়গা থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা। বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে আসেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কনভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন TMCP ও AIDSO-র পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্রনেতা অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড রাজ্যপাল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। 

পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করলেও পুলিসি হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল। পরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান।

3 months ago


Governor: সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল বোসের

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বৃহস্পতিবারই তিনি ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, এবার সন্দেশখালির গোটা ঘটনা নিয়ে নবান্নের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।

সন্দেশখালি সরগরম হয়ে আছে শুক্রবার সকাল থেকেই। তদন্ত করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা হতে হল ইডির আধিকারিকদের, সঙ্গে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে একই ঘটনা ঘটল সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে। এই ঘটনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন রাজ্যপাল। ঘটনাজুড়ে ইডির তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনা নিয়ে এবার নবান্নর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে হামলার এই গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা কী- তাও রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফ থেকে।

এরাজ্যের দুর্নীতির তদন্ত করতেই আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁদের খেতে হয়েছে মার। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এমন ঘটনার প্রতিবাদে সরব তো হয়েছেনই, সঙ্গে তাঁর বৃহস্পতিবারের ভিডিও বার্তার পর তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও তলব করেন। তবে দিন  গড়িয়ে গেলেও শনিবারেও কোনও সাড়া পাওয়া গেল না রাজ্যের তরফে। আর ঠিক এর পরেই সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল রিপোর্ট তলব করলেন নবান্নের কাছে। এখন দেখার, নবান্ন কী রিপোর্ট দেয় রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে।

4 months ago
Governor: 'তদন্তকারী আধিকারিকরা ব্রেভ হার্ট', আক্রান্ত ইডি অফিসারদের হাসপাতালে দেখতে এসে বললেন রাজ্যপাল বোস

শুক্রবার সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় শাসকদলের নেতা তথা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতেই গ্রামবাসীরা ইডি আধিকারিকদের ওপর চড়াও হয়। তিনজন আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ফলে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে সল্টলেকের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবারে সেখানেই দেখা করতে এলেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

জানা গিয়েছে, রাজকুমার রাম নামে এক ইডি আধিকারিক গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন।  ফলে আরও কয়েক দিন সল্টলেকের হাসপাতালে রাখা হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে। তাঁকে এখন এইচডিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণে রাখতে চান তাঁকে। এমনটাই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে সব থেকে বেশি আঘাত লেগেছে রাজকুমারের। আক্রান্ত বাকি দুই ইডি আধিকারিকও ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে তাঁদের দেখতেই এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

এর পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই এদিনের ঘটনায় কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যপাল বোস। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বলেন, 'এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য লজ্জার। যা হয়েছে, তাতে গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বাংলা আক্রান্ত হয়েছে। গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। কোনও মূল্যেই এটিকে বরদাস্ত করা যায় না। এই পচন আমরা থামাবই। দেশের সংবিধান আছে। আইন ব্যবস্থা আছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে বাংলায় না চলে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সবরকম পদক্ষেপ করব।' এর পর তদন্তকারী আধিকারিকদের 'ব্রেভ হার্ট' বলে উল্লেখ করে বলেন, 'তাঁরা আইন-শৃঙ্খলার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত। আমরা তাঁদের কাছে ঋণী। বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য, তাঁরা যে ত্যাগ করছেন, তা মনে থাকবে।'

4 months ago


CV Anand Bose: সন্দেশখালির ঘটনার দায় একমাত্র এ রাজ্যের সরকারের, দাবি রাজ্যপালের

সন্দেশখালির ঘটনায় এবারে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিকে তলব রাজ্যপালের। আর এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করছেন তিনি। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তল্লাশি চালাতে গিয়ে মার খেতে হয় ইডির আধিকারিকদের। এই ঘটনা নিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য। এবার এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ঘটনার তীব্র নিন্দার পাশাপাশি সরকারের প্রতিও ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল। বার্তায় তিনি হুঁশিয়ারিও দিলেন, 'উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে ফল ভোগার জন্য যেন প্রস্তুত থাকে রাজ্য সরকার।'

শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরই দেখা গেল রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিকে তলব করেছেন তিনি। আজই বিকেল ৪ টের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি, এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর। পাশাপাশি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বাংলার রাজ্যপাল।

শুক্রবার সকাল থেকেই সরগরম হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত করতে গিয়ে মার খেয়ে আক্রান্ত হতে হচ্ছে ইডির আধিকারিকদের। হাত তোলা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের গায়ে। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েই এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেই ভিডিও বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির ঘটনার দায় একমাত্র এ রাজ্যের সরকারের। সরকার তাঁর নূন্যতম কর্তব্য ভুলে গিয়েছে। এমনভাবেই রাজ্য সরকারকে তাঁর বার্তার মাধ্যমে বিঁধলেন রাজ্যপাল। বললেন, যেকোনও উপায় জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। এমন বার্তায় সরব রাজ্যপাল।

শুক্রবার সকালেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের আবেদন শোনা গিয়েছিল। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপালের এই বার্তা প্রকাশ্যে এল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল বলে বারবার চিহ্নিত হয়ে এসেছেন। এবারেও সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ  বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

4 months ago
Marathon: 'প্রতিযোগীরা থামবে না, আমি থামব,' রেড রোডে ম্যারাথন উদ্বোধনে রাজ্যপাল

অন্য মেজাজে রাজ্যপাল। ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসী দেখছেন এক অন্যরকম রাজ্যপালকে। যখন যেখানে প্রয়োজন, রাজ্যপাল হাজির হয়েছেন ঘটনাস্থলে। এবার টাটা স্টিলের উদ্যোগে রাজভবনের অনতিদূরে রেড রোডে উদ্বোধন হয় ম্যারাথনের। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে। উদ্বোধন মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল জানান, "ভারত দৌড়চ্ছে, কলকাতা দৌড়চ্ছে, বাংলা দৌড়চ্ছে, দৌড়চ্ছে পুরো পৃথিবী। আমরা সকলে দৌড়চ্ছি  একতা, শান্তি,সম্প্রীতির জন্য।” তবে রাজনীতি, খেলাধুলার মধ্যে প্রবেশ করলে গন্ডগোল বাধে, তাই সকলের মধ্যে ‘স্পোর্টসম্যান’ স্পিরিট থাকা প্রয়োজনীয় বলেই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস।

এখানেই শেষ নয়, রাজ্যপাল এদিন সকালে উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে ধরা দেন একেবারেই অন্য মেজাজে। তিনি যাচ্ছিলেন বলে, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিযোগীদের আটকে দেয়। তবে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল নিজে থেমে যান প্রতিযোগীদের জন্য। বলেন, "প্রতিযোগীরা নয়, আমি থামবো তাদের জন্য।" এরপর প্রতিযোগীদের সঙ্গে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে তাঁকে যেতে দেখা যায় রাজভবনের দিকে।

এর আগেও, মনে আছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে যখন মারামারি, গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়? রাজ্যপাল সশরীরে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। তারপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা হোক কিংবা উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা- সব ক্ষেত্রেই রাজ্যপালকে দেখা গেছে বিপর্যয়গ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। এবার রাজ্যের সর্বোচ্চ নাগরিক হয়েও, ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সাথে একসঙ্গে রাজভবনে ফেরার দৃশ্য চোখে লেগে থাকল রাজ্যবাসীর।

4 months ago
Tata Marathon: কলকাতায় আয়োজিত হল টাটা স্টিল ম্যারাথন, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

রবিবার ভোরবেলায় আয়োজিত হল টাটা স্টিল কলকাতা ম্যারাথন (Tata Steel Kolkata Marathon)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আজ রাজ্যপালের হাত ধরেই এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়েছে। তিনিই ছিলেন প্রতিযোগীদের 'চিয়ার লিডার'। রবিবার ভোর সাড়ে ৫ টা নাগাদ শুরু হয় এই ম্যারাথন। জানা গিয়েছে, ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ।

এদিন টাটা ম্যারাথন উদ্বোধন করার পর যখন সেই অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তখন ওনার ফেরার জন্য ওই প্রতিযোগীদের আটকে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন উনি নিরাপত্তারক্ষীদের বলেন যে, তিনি দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতিযোগীরা আগে যাক।

এদিকে, ম্যারাথনের জন্য ছুটির রবিতে সকাল থেকে বন্ধ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সঙ্গে চলছে যান নিয়ন্ত্রণও। রাত ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ রেড রোড। ভোর চারটে থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ মেয়ো রোড, মেয়ো রোড, নিউ রোড, কুইন্স ওয়ে, লাভার্স লেন, ডাফরিন রোড, এজেসি বোস রোড( এক্সাইড থেকে হেস্টিংস রোড) সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।

4 months ago


Meeting: বকেয়া টাকার দাবি, শেষমেশ নাছোড়বান্দা অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল

১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কৃষিভবনে আটক করা হয় অভিষেক সহ অন্যান্য সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে অভিষেক (Abhisekh Bandopadhyay) রাজভবন অভিযানের ডাক দেয়। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার অভিষেক রাজভবনে গেলে সেখানে ছিল না রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। ততক্ষনে তিনি দিল্লি সফরে গিয়েছেন। এর পরেই বাধে বিপত্তি। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরণায় বসেছিল অভিষেক। দীর্ঘ ৪ রাত ধরনা দেওয়ার পর শেষমেশ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের দেওয়া সময়েই ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজভবনে বৈঠক করতে ঢুকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৪টের সময় তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিতদের চিঠি নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নিজেদের দাবি জানাবেন অভিষেকেরা। রাজ্যপালের সঙ্গে এই বৈঠকের জন্য গত পাঁচ দিন ধরে ধর্নায় বসেছেন অভিষেক।

সূত্রের খবর, ধরনা চলাকালীন তিস্তায় হড়পা বাণে বন্যা আকারে ধারণ করে কোচবিহার, কালিম্পঙ, ও জলপাইগুড়ি জেলায়। এরপরেই ওই এলাকায় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল বোস। এরপরেই অভিষেকের দাবিতে সাড়া দিয়ে দার্জিলিংয়ে রাজভবনে বৈঠকের আহ্বান করেন। অভিষেক যদিও কলকাতাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে অনড় ছিলেন, এরপর রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, ও দুই সাংসদ কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র যান দার্জিলিংয়ে রাজভবনে বৈঠক করতে। বৈঠক শেষে অবশ্য কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপাল অভিষেকের সঙ্গে দেখা করবেন বলেছেন। যদিও এরপরেই রবিবার রাতে কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল বোস। তখনিই অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা প্রবল হয়। এরপর  সোমবার রাতে চিঠি নিয়ে ও ৩০ জনপ্রতিনিধি নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ঢুকেছেন অভিষেক।

কেন্দ্রের বকেয়া টাকা সুদ-সহ আদায় করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। তিনি ধর্নামঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী টাকা মেটাতে দেরি হলে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয়। সেই সুদের নিয়ম অনুযায়ী আমরা সব টাকা কেন্দ্রের থেকে আদায় করব। বঞ্চিতদের টাকা পাইয়ে দেব। অভিষেক ধর্নার শুরু থেকেই জানিয়ে আসছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সামনে তিনি দু’টি প্রশ্ন রাখতে চান। এক, এই ২০ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেছেন কি না। দুই, যদি করে থাকেন, তা হলে কোন আইনের কোন ধারায় তাঁদের টাকা দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে? রাজ্যপালের মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও পৌঁছে দিতে চান বলে জানিয়েছেন।

7 months ago
CV Bose: 'হ্যাঁ পালিয়ে এসেছি,' তৃণমূলের রাজভবন অভিযান প্রসঙ্গে কড়া জবাব রাজ্যপালের

'ওঁরা ঠিকই বলছেন, হ্যাঁ পালিয়েই তো এসেছি। দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছি।' সংবাদমাধ্যমকে ঠিক এমনই জবাব দিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজভবন অভিযানের কথা পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। দিল্লিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিসের ব্যাবহার, এবং অভিষেক সহ অন্যান্য সাংসদদের আটক করার অভিযোগে দিল্লি থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় অভিষেক। অথচ এই দিনেই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে, বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছেন।

এরই পাল্টা, রাজভবন অভিযানের দিনই তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাঁদের কথায়, রাজ্যপাল 'পালিয়ে' গিয়েছেন। এদিন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারও জবাব দিলেন সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা প্রবন এলাকা গুলি ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। মানুষ ভোগান্তির শিকার। এরপরেই সাংবাদিকরা রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেন, তৃণমূলের মন্তব্য নিয়ে, এরই পাল্টা রাজ্যপাল বলেন, 'ওঁরা ঠিকই বলছেন, হ্যাঁ পালিয়েই তো এসেছি। দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছি। যখনই শুনেছি, বাংলার মানুষ সমস্যায় রয়েছেন, তখনই আমি পরের ফ্লাইট ধরে দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছি। এটা একদম ঠিক। '

7 months ago


TMC: রাজ্য-রাজ্যপাল জট কাটিয়ে অবশেষে শপথ নেবেন ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল

অবশেষে জট কাটিয়ে শপথ নিতে চলেছেন ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় নির্মলচন্দ্রকে শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এতেও মিটেছে না রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্ক। সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তার পরিবর্তে উপস্থিত থাকতে পারেন বিধানসভায় শাসকদলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। ৮ সেপ্টেম্বর নির্মলচন্দ্র ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু আটকে ছিল তাঁর শপথগ্রহণ। গত শনিবার নির্মলচন্দ্রকে শপথগ্রহণ করাতে চেয়ে তাঁর ধূপগুড়ির বাড়িতে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিষদীয় দফতর সেই শপথগ্রহণের অনুমোদন না দেওয়ায় নতুন বিধায়কের শপথ আটকে যায়।

তার পরেও রাজ্যপাল স্বয়ং তফসিলি বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, রাজভবনের দরজা সব সম্প্রদায়ের জন্য খোলা, জনমানসে সেই বার্তা দিতেই তফসিলি বিধায়ককে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেযেছিলেন তিনি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিধানসভায় সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন। তাই প্রয়োজনে আপনি বিধানসভায় এসে ধূপগুড়ির বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে যান।’’ যদিও এই পর্বে পরিষদীয় দফতরও চেয়েছিল উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে বিধানসভাতেই শপথগ্রহণ করান স্পিকার। নিজেদের সেই মনোভাবের কথা রাজভবনকেও বুঝিয়ে দিয়েছিল পরিষদীয় দফতর।

কিন্তু শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রে জানা যায়, রাজ্যপাল নিজেই ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাবেন।

7 months ago
CV Bose: 'মুখ্যমন্ত্রীকে টেনশন দিতে চাই না,' গোপন চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্যে কিসের ইঙ্গিত!

একাধিক ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপাল তরজা অব্যাহত। নবান্ন ও দিল্লিতে রাজ্যপালের পাঠানো গোপন চিঠি নিয়েও জোর চর্চা চলছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরের আগে তাঁকে আর টেনশন দিতে চাননা। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পর তাঁদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে নবান্নর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভামঞ্চে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। তারপরেই মুখবন্ধ খামে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও চলছে জোর জল্পনা।

কী রয়েছে ওই চিঠিতে? এ বিষয়ে সোমবার রাজ্যপালের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "গোপন বিষয় গোপন থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশ যাচ্ছেন। তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাইনা।"

এবিষয়ে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপালকে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা আলোচনা করার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনা করবেন তিনি। কোনও জুনিয়র অ্য়াপয়েন্টির সঙ্গে কথা বলবেন না বলেই জানিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি একান্ত কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

7 months ago
Governor: গোপন চিঠিতে কি রয়েছে! তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল বোস

কী রয়েছে রাজ্যপালের গোপন চিঠিতে? তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। তিনি বলেন, যেটা গোপন সেটা গোপন থাকাই ভালো। এটা যিনি চিঠি দিলেন আর যিনি চিঠি পেলেন তাঁদের মধ্যেই গোপন থাক। শুধু চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কী রয়েছে তা বলতে পারবেন যিনি চিঠি গ্রহণ করেছেন তিনিই।

তবে এখানেই তিনি থেমে যাননি। ইঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রী ও নাম না করেই ব্রাত্য বসুকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন,  জুনিয়র অ্যাপয়েন্টির কথার উত্তর দেব না। কোনও আলোচনার প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হবে। এখন এটা নিয়ে আলোচনা করার সময় নয় কারণ, মুখ্যমন্ত্রীকে টেনশন দিতে চাই না। তিনি বিদেশ যাচ্ছেন, বিদেশ থেকে ফিরলে এটা নিয়ে আলোচনা হবে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। রাজ্যে উচ্চশিক্ষার হাল ফেরানো থেকে শুরু করে নির্বাচনী সন্ত্রাস, রাজ্যপালের ভূমিকায় বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। কখনও মহিষাসুর তো কখনও রাজ্যপালের পোশাক নিয়ে তুলনা। একে এক শিকার হতে হয়েছে শাসক দলের কটুক্তির। আর এবার ফের রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে মহম্মদ বিন তুঘলকের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারই পাল্টা হিসেবে মিডনাইট অ্যাকশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। হুঁশিয়ারি মতোই শনিবার রাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে  দুটি গোপন চিঠি দেওয়া হয় রাজভবনের তরফে। কী রয়েছে চিঠিতে? তা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। সোমবার সে প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন রাজ্যপাল। আর তাতেই স্পষ্ট রাজ্যপাল যে একেবারেই হার মানার পাত্র নন।

এদিকে রাজ্যপালের মিডনাইট অ্যাকশনের হুঁশিয়ারির পরেই তড়িঘড়ি রাজভবনে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।  সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ওটা মুখ্যসচিব ও প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বৈঠক ছিল। এদিকে রাজ্যপালের মন্তব্যে সরব শাসক শিবির। আশ্চর্য ব্যাপার! রাজ্যপালের পোস্ট তো টেনশন দেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি। কটাক্ষ তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের। পাশাপাশি রাজ্যপালকে গুণ্ডা বলেও সম্বোধন করেন তিনি।

শাসক শিবিরের পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। এটা স্পষ্ট যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে টেনশন  আছে। মন্তব্য বিজেপি নেতার। এখন কী রয়েছে চিঠিত? রাজ্যপালের কথা মতো কোন নতুন টেনশনেই বা পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার? সে উত্তর দেবে সময়েই।

8 months ago


CV Bose: 'নিয়োগ নিয়ে চিন্তা, কারও হতাশা নিয়ে নয়,' ব্রাত্যকে কটাক্ষ রাজ্যপালের

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চলছেই। শুক্রবার রাতে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। সরকার মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল মিথ্যা কথা বলছেন। এবার ফের এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল। জানালেন, তাঁর চিন্তা নিয়োগ নিয়ে। কারও হতাশা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।

১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জানান, রাজ্যপাল মিথ্যা বলছেন। ১৫ জন রেজিস্ট্রারকে শো-কজও করেছে শিক্ষা দফতর। এই টানাপোড়েনের জেরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নুপূর দাস পদত্যাগ করেছেন।

কয়েকজন শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিতও ছিলেন না। সেই সব রেজিস্ট্রারকেও শো-কজ করতে পারে শিক্ষা দফতর। এদিকে শনিবার এই নিয়ে রাজ্যপাল সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি নিয়োগ নিয়ে চিন্তিত। রাজ্যের দফতরে কারও হতাশা নিয়ে একেবারেই ভাবতে চান না।

8 months ago
Governor: 'আজ মধ্যরাতের মধ্যে কী করি দেখুন।' ব্রাত্যকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল

‘আজ মধ্যরাতের মধ্যে কী করি দেখুন।’ রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘বিন তুঘলক’ কটাক্ষের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপরে কি উচ্চশিক্ষা নিয়ে রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘত নতুন কোনও উচ্চতায় পৌঁছতে চলেছে? এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

শনিবার বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘আমার কাজে আমি খুশি। আজ মধ্যরাতের মধ্যে কী পদক্ষেপ করি দেখুন।’

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আগে ওনাকে আলাউদ্দিন খিলজি ভাবতাম, এখন দেখছি উনি বিন তুঘলক।’ রাজ্যপালকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এদিন রাজ্যপালের পালটা মন্তব্যে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। তবে কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন রাজ্যপাল?

উপাচার্য নিয়োগের একচ্ছত্র এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যপালের। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ব্যক্তিদের উপাচার্য পদে বসানোর হয়েছে। এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে জবর ধাক্কা খাওয়ার পর ফের আদালতে যাওয়ার সাহস এখনো দেখিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাতে দু-পক্ষের সঙ্গেই দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে বাম ও কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই সংঘাতের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির।

8 months ago