
সাতসকালে ডাঙায় কুমির। ঘুম ভেঙে সাতসকালেই কালনাবাসীর চোখ কপালে। মঙ্গলবার সকালে কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আতঙ্ক ছড়ায়। কার্যত বাড়ির উঠোনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বিশালাকার কুমিরকে। যা দেখে নিমেষে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কালনা থানার পুলিশকে। খবর পৌঁছয় বনদফতরেও।
সূত্রের খবর , সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ কুমিরটিকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন কয়েকজন। তারপরই কার্যত ঘুম উড়ে যায় গ্রামবাসীর। কুমিরটিকে যেন কোনওভাবে মানুষ আঘাত না করে এবং মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর ছিল পুলিশের। জলের কুমির ডাঙায় দেখে ফটো তুলতে ভিড় জমান এলাকাবাসী।
'জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ' এই প্রবাদ প্রবচন কম-বেশি শোনা যায়। আর এই প্রবাদ বাক্য যে কতটা সত্যি তা সুন্দরবনবাসীরা প্রায়শই দেখতে পান। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটল আজ, মঙ্গলবার কাটোয়া ভাগীরথীর তীরবর্তী এলাকাতে। পূর্ব বর্ধমানে অগ্রদ্বীপ কালিকাপুর গ্রামে বিশাল আকৃতির কুমির। কুমির দেখতে ভিড় জমান ওই এলাকার গ্রামবাসীরা। সাত ঘণ্টা পর ধরা পড়ে কুমিরটি। গ্রামবাসী ও বনদফতরের চেষ্টায় কুমিরটিকে জাল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। উদ্ধারের পর আপাতত রাখা হয়েছে কাটোয়ার বন দফতরের অফিসে।
বুধবার ভোরবেলা অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর ফেরিঘাট খুলতে এসে অভিজিৎ হালদার দেখেন লম্মা একটা কিছু শুয়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখেন, একটি কুমির। কুমিরটি প্রায় ১২ফুট লম্বা। এর পর গ্রামের মানুষকে খবর দেন। খবর যায় বনদফতরে। বেলা ১০.৩০ নাগাদ প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর কুমিরটিকে বাগে আনেন বনদফতরের কর্মী ও গ্রামবাসীরা।এরপর গাড়িতে করে কুমিরটিকে এনে রাখা হয় কাটোয়ার বনদফতরের অফিসে।
বর্ষার জল বাড়তেই কাটোয়ার ভাগীরথীতে কয়েকদিন আগে দেখা মিলেছিল ঘড়িয়ালের।এবার বিশাল আকৃতির কুমিরের দেখা পাওয়াতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গ্রামের পুকুরের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটি কুমির (crocodile)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ালো এলাকায়। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ থানার ফটিকপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিস ও বনদফতরের কর্মীরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় একজন গ্রামবাসী বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় গ্রামের ঢালাই রাস্তাতে দেখতে পান একটি কুমির শুয়ে রয়েছে। লাইট মারার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরটি রাস্তার পাশে থাকা গৌরহরি শাসমলের পুকুরে নেমে যায়। তারপর ওই ব্য়ক্তির চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতর ও কাকদ্বীপ থানায়। শনিবার দিন রাতেই ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
এরপর ওই পুকুরের পাশে থাকা একটি গাছে লাইট বেধে, তা জ্বালিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীরা ও পুলিস কর্মীরা রাতে পাহারা দেয়। রবিবার, সকালবেলায় বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই পুকুরটিতে তল্লাশি চালায়। পুকুরটিতে জাল ফেলা হয় এবং বোম ফাটানো হয়। কিন্তু কুমিরটিকে আর দেখা যায়নি।
গ্রামবাসীদের অনুমান, বজ্রপাত সহ প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে কুমিরটি অন্যত্র চলে গিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।
গোসাবার মন্মথনগরে পুকুরে ঢুকে পড়ল কুমির (Crocodile)। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবা থানার অন্তর্গত বিপ্রদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্মথনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্তোষ বর্মন নামে এক ব্যক্তির পুকুরে ঢুকে পড়ে কুমিরটি। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় পুরো গ্রামে।
জানা গিয়েছে, হঠাৎ গ্রামবাসীদেরই কয়েকজন লক্ষ্য করেন, সন্তোষের বাড়ি লাগোয়া, তাঁর পুকুরের পাড়ে, একটি বিশাল কুমির শুয়ে রয়েছে। আতঙ্কে শিউরে উঠলে সম্বিৎ হারাননি তাঁরা। দ্রুত খবর পাঠান গোসাবা রেঞ্জে। কিন্তু গ্রামবাসীদের আওয়াজে কুমিরটি পুকুরের জলে নেমে নেমে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, মন্মথনগর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। সেই নদী থেকে উঠেই সম্ভবত মন্মথনগর গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল কুমিরটি। খবর পেয়ে গোসাবা রেঞ্জের কর্মীরা পৌঁছন সেখানে। কুমিরটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত তার হদিশ না মিলছে, আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের মানুষ।
জনবহুল রাস্তায় হেঁটেচলে বেড়াচ্ছে চার ফুট লম্বা কুমির (Crocodile)। আর তা দেখেই আতঙ্ক গ্রামবাসীদের মধ্যে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সুদা গ্রামের ঘটনা। জল ছেড়ে কুমিরটি ডাঙায় উঠে এসে দিব্যি মানুষের সঙ্গেই ঘোরাফেরা করছে রাস্তায়। এই দেখে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা খবর দেন বন দফতরে (Forest division)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কুমিরটি উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, গ্রামের খুব কাছেই রয়েছে মোহনী নামের একটি বাঁধ। সেই মোহনী বাঁধ থেকেই গ্রামের ভিতর ঢুকে পড়েছে কুমিরটি, দাবি বন দফতরের কর্মীদের।
বন দফতর সূত্রে খবর, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া বন্য প্রাণীদের আটকের চেষ্টা করা অনুচিত। এতে গ্রামবাসীদের প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকতে পারে। তাই জনবসতির ভিতর কুমির ঢুকে পড়লে দেরি না করে বন দফতরে জানানো দরকার, এমনটাই দাবি বন দফতরের।
কুমিরের সঙ্গে বক্সিং (Boxing) এক যুবকের। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) এই অবাক করা কাণ্ড। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) ফ্লোরিডায়। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একটি নৌকার মধ্যে উঠে পড়েছিল এক বিশাল কুমির (Crocodile)। কুমিরটিকে বারবার তাড়ানোর চেষ্টা করছেন এক যুবক। ওই যুবককে কুমিরের অনেকটা কাছে যেতে দেখা গেল। যে কোনও মুহূর্তে কুমিরটি আক্রমণ করতে পারত ওই যুবকটিকে। এটা জানার পরেও ঝুঁকি নিয়ে কুমিরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
Dude tries to flip and fist fight a gator pic.twitter.com/HUOsYTrmga
— Humans Are Metal (@HumanAreMetal) April 7, 2023
কুমিরটিকে তাড়ানোর নানা রকম চেষ্টা করলেও কিছুতেই নৌকা থেকে নামছিল না। তারপর দেখা গেল, যুবক কুমিরের সঙ্গে ‘বক্সিং’ শুরু করছেন। রীতিমতো বক্সিং করার পর অন্য এক যুবক এসে কুমিরের লেজ ধরে উল্টে ফেলে দিল জলের মধ্যে। ‘@হিউম্যানআরমেটাল’ নামে টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নেটনাগরিকরা যুবকের এই ধরনের কাজের জন্য নানান মন্তব্য করেন এবং অনেকরকম প্রশ্ন তুলেছেন।
এরকম বহু ভিডিও সমাজমাধ্যমের পাতায় ঘোরাঘুরি করে। যা দেখে সত্যি অবাক হওয়ারই কথা।
পুকুরে কুমির (Crocodile)! পুকুর ঘিরে রয়েছেন উৎসুক স্থানীয়রা। দিগম্বর (South 24 Parganas) পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর আবাদ এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলা গরুকে ওই পুকুরে জল খাওয়াতে নিয়ে যায়। পুকুরে গিয়ে ওই মহিলা দেখেন পুকুরেরে পাড়ে শুয়ে আছে কুমির। তৎক্ষণাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে এলাকার প্রচুর মানুষ পুকুরের কাছে ভিড় করেন কুমিরটিকে দেখার জন্য।
জানা গিয়েছে, পুকুরটির মালিক বাসুদেব ঘোড়া। বনদফতর এবং ঢোলাহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়ারও পুকুরের কাছে আসে। বনদফতরের কর্মীরা পুকুরের জাল দেওয়া শুরু করেন। প্রথমে জাল থেকে বেরিয়ে যায় কুমিরটি। তবে দ্বিতীয়বারে অতি সাহসিকতার সঙ্গে জলে ডুবে কুমিরটিকে ডাঙ্গায় তোলেন দুই বনকর্মী।
বন দফতর সূত্রে খবর, কুমিরটি আনুমানিক ৫ ফুট লম্বা। কুমিরটিকে ধনচি অথবা ভাগবতপুর এলাকায় ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। কুমিরটি ধরা পড়ায় বেশ খুশি এলাকার মানুষজন। এমনকি স্থানীয়রা ধন্যবাদও জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকদের।
এক মত্ত ব্যক্তি (Drunk Person) জোড়া কুমিরের(Two Crocodiles) কাছে যেতেই অবিশ্বাস্য ঘটনা! সেই ঘটনার ভিডিও(Video) ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল(viral)। এই ভিডিও ৯ মার্চ টুইট করা হয়েছে, ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। ভাইরাল এই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক জলা এলাকার মাঝখানে ছোট দ্বীপের মতো একটি জায়গায় দুটি কুমির শুয়ে রোদ পোহাচ্ছিল। আচমকা এক মত্ত ব্যক্তি অন্যমনস্ক হয়ে দুটি কুমিরের দিকে যান। ওই ব্যক্তি এতটাই মত্ত ছিলেন যে সামনে শুয়ে থাকা 'যমদূত'কে দেখতেই পাননি।
देशी दारू की ताक़त..! 😄😄🤣 pic.twitter.com/rOIIFn2X7x
— Hasna Zaroori Hai 🇮🇳 (@HasnaZarooriHai) March 9, 2023
তিনি নেশায় বুঁদ হয়ে টলতে টলতে জলা পেরিয়ে কুমিরকে টপকে ছোট ওই দ্বীপে পৌঁছেও যান। এদিকে মানুষ দেখে তাড়া না করে উল্টে তড়িঘড়ি লাফিয়ে জলের মধ্যে চলে যায় কুমির দুটি। এমনকি এত সামনে দু’টি কুমিরকে দেখেও একে বারের জন্যও ভিডিওয় ঘাবড়াতে দেখা যায়নি ওই ব্যক্তিকে।
প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বামনাবাদ পদ্মা নদীতে কুমিরের (crocodile) দেখা মিলেছিল। তারপর থেকেই সেই কুমিরকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে বামনাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের কিছুটা দূরেও। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই সীমান্তবর্তী এলাকার চাষী এবং মৎস্যজীবীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কুমির দেখার পর বামনাবাদ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিকারিকরা বিষয়টি জানায় জেলা বন দফতরকে। তারপর শনিবার বহরমপুর রেঞ্জের আধিকারিক এবং তার টিম পদ্মা নদীতে (Padma River) নেমে পরিদর্শন করেন। শনিবারও সেই কুমিরকে দেখা গিয়েছে। সেই সময় বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
তাঁরা জানান, কুমিরটি নিরাপদ জায়গায় রয়েছে। যে জায়গায় কুমিরটি আছে সেখানে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। লাল পতাকা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও চাষী এবং মৎস্যজীবীদের সেই জায়গায় যেতে বারণ করা হয়েছে। যদিও সীমান্ত এলাকার চাষী এবং মৎস্যজীবীদের দাবি, কুমিরটিকে অবিলম্বে ধরে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হোক। তাহলে তাঁরা পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে পারবেন। তার কারণ অনেকেই পদ্মা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
শীত (winter) শুরু হতে না হতেই সুন্দরবনের (Sundarbans) জঙ্গলে দেখা মিলল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger)। শুক্রবার কলকাতা থেকে এক দল পর্যটক সুন্দরবন বেড়াতে আসেন। সেখানে যাদবপুর (Jadavpur) থেকে বেড়াতে আসেন ১৭ জনের দল। ভ্রমনে বেড়িয়েই দেখা মেলে জলজ্যান্ত দুটি রয়েল বেঙ্গলের। যেই দেখা সেই তার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটকরা। গত বছর শীতের মরশুমে একাধিকবার জঙ্গলে দক্ষিণরায়ের দেখা মিলেছিল। শীতের আমেজ আসতে না আসতেই আবারও রয়েল বেঙ্গল দর্শনে পর্যটকরা খুশি। তবে এবার বাড়তি পাওনা জোড়া বাঘের। নদীর চড়ে দুই বাঘের লড়াই। প্রায় ২ মিনিটের সেই ছবিই ক্যামেরাবন্দি হয়।
অন্যদিকে, কুমিরাতঙ্ক গ্রাস করেছে নদিয়াবাসীদের। নদিয়ার নাকাশিপাড়া কাশিয়াডাঙায় রাস্তার উপর একটি প্রকাণ্ড কুমির দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, বলা যায় বেশ কয়েক মাস ধরেই একটি কুমিরকে দেখা যাচ্ছে এই এলাকায়। এর আগে ধুবুলিয়ায় তারপরে চরকুর্মীর ঘাটে। দিন ৫-৬ আগে একটি কুমির দেখা যায় আবার ভাগীরথীর তীরে। কিন্তু এরপর শনিবার ফের স্থানীয়রা কাশিয়াডাঙ্গা জল প্রকল্পের কাছে রাস্তার উপরে কুমিরটিকে দেখতে পেয়ে আত্মরক্ষার জন্য সকলে মিলে বেঁধে ফেলে। খবর যায় বন দফতরের কাছে। এরপর বনদফতরের কর্মীরা গিয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করে।
উত্সবের মরশুমেই দেখা মিলল এক কুমিরের (crocodile)। ভর দুপুরেই রায়দিঘির (Raidighi) মনি নদীতে কুমির ভেসে ওঠে। আর তা দেখতেই ভিড় জমান এলাকায় কৌতুহলী মানুষরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রায়দিঘির ২৩ ও ২৪ এর লাটের সীমান্তবর্তী মনি নদীতে একটি কুমিরকে ভেসে ওঠতে দেখা যায়। কুমিরটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৭ থেকে ৮ ফুট। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁধে ওঠে কুমিরটি রোদ পোহাচ্ছিল। সেই সময়ই নজরে আসে এলাকার মানুষদের। এরপর স্থানীয় মানুষজন একত্রিত হয়ে ওই কুমিরটি দেখতে গেলে তা আবার জলে নেমে যায়।
এলাকার মানুষেরা জানান, এর আগে কয়েকবার এই ডাঙাতে কুমির ওঠা দেখেছিলেন স্থানীয়রা। তবে বারে বারে কুমির ওঠার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। কবে বন দফতর কোনও সুরাহা বের করবেন সেইদিকেি তাঁকিয়ে তাঁরা।
কুমিরের (crocodile) আতঙ্কে এখন পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলা প্রশাসন। দেবীপক্ষের সূচনা মহালয়ার (mahalaya) তর্পণে মানুষের ঢল নামে পূর্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) ধাত্রীগ্রামের মালতিপুর ঘাটে। কিন্তু সেখানে জল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে সতর্ক করছে বনদফতরের কর্মীরা। সঙ্গেই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের (Swapan Debnath) হাতজোড় করে অনুরোধ, জলে যাতে কেউ না নামেন।
মাস কয়েক হল ভাগীরথীর মালতীপুর ঘাটে মানুষ দুটি কুমিরের দেখা পেয়েছিল। এরপর বনদফতরকে জানানো হলে কয়েক মাস ধরে পাহারার ব্যবস্থা করে বনদফতর। এখনও পর্যন্ত কুমির দুটিকে ধরা যায়নি বলে চিন্তার ভাঁজ বনদফতরের। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে মালতিপুর ঘাটে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাইকিং করে সচেতন করা। তর্পন করতে জলে কেউ যাতে না নামেন।
তবে রবিবার সকাল থেকে এত মানুষ তাঁদেরকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বনদফতর ও নাদন ঘাট থানার পুলিস। সেই কারণেই জল বোমা ফাটানো হয় জলে, যাতে কুমির দূরে সরে যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদফতরের প্রধান নিশা গোস্বামী দাঁড়িয়ে থেকে গোটা ঘটনার তদারকি যেমন করছেন, তেমনই রাজ্যের মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়ক স্বপন দেবনাথ হাত জোড় করে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে অনুরোধ জানান, "জলে নামবেন না। জলে কুমির আছে।"
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও ভাগীরথীদের তর্পনের জন্য তাঁরা জলে নামাতে চিন্তায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদফতর ও প্রশাসন।