বিশ্বকাপের শুরুতেই শুভমন গিলকে নিয়ে অনিশ্চয়তার অন্ধকার ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। সোমবারই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান ম্যাচে খেলতে পারবেন না দলের তারকা ক্রিকেটার। এমনকি অসুস্থতার জন্য দলের সঙ্গে দিল্লিও যেতে পারেননি গিল। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে এল আরও বড় দুঃসংবাদ। ডেঙ্গি আক্রান্ত শুভমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্লেটলেট কমে যাওয়ায় গিলকে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি যা তাতে পাকিস্তান ম্যাচেও খেলার সম্ভাবনা আরও কমে গেল গিলের। চেন্নাইয়ের হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে বোর্ডের মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণেও আছেন শুভমান। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কোনও কিছু জানানো হয়নি।
চেন্নাইয়ে আসার পরই বুধবার থেকে জ্বর আসে শুভমন গিলের। বৃহস্পতিবার জ্বর আরও বাড়ে। জ্বরে কাবু তারকা ক্রিকেটারের তড়িঘড়ি রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। সেখানেই জানা যায় যে শুভমন গিল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দলের সঙ্গে মাঠেই আসতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে গিলের পরিবর্তে প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন ঈশান কিষাণ। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন। ফলে ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হলে চাপ বাড়বে মিডল ওর্ডারের উপর। এই পরিস্থিতিতে সোমবারই জয় শাহ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েদেন আফগানিস্তান ম্যাচে খেলতে পারবেন না গিল।
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ওপর কার্যত ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (Indian cricketer)। এর নেপথ্যে রয়েছে, তারকা ক্রিকেটারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের ফলপ্রকাশের সিদ্ধান্ত। ভক্তদের জন্য বিরাট এই টেস্টের যে ফলপ্রকাশ করেছিলেন তা একেবারেই ভালভাবে নেয়নি বিসিসিআই (BCCI)। বিরাটকে সতর্ক করেছে বিসিসিআই। শুধু তাঁকেই নয়, এমন ভুল যেন আর কোনও ক্রিকেটার কখনওই না করেন, সে বিষয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত সবার কাছে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে বোর্ড।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত ইয়ো-ইয়ো টেস্টের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ১৬। করেছিলেন বিরাট কোহলিই। এবার নিজের সেই পুরনো রেকর্ডই ভেঙে দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ১৭.২ ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পূর্ণ করলেন বিরাট। যা শুধু ভারতের নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও একটি বিশেষ রেকর্ড।
গত বছরেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের। আর এর মধ্যেই শিখর ধাওয়ানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশার। এই অভিযোগ তুলে আদালতের কাছে আবেদন শিখরের। ভারতীয় ক্রিকেটার আদালতে জানিয়েছেন, 'তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী যাতে কুৎসা না ছড়াতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশ দিতে হবে। বিচ্ছেদের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করছেন প্রবাসি বাঙালী তথা প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়।'
দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালতে শিখরের আরও অভিযোগ, আয়েশা তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এতে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিখর। দলের মধ্যেও শিখরের নামে কুৎসা রটিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। শিখরের আবেদনে সাড়া দিয়ে দিল্লির আদালতের বিচারক হরিশ কুমার বলেন,‘আয়েশার নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি রয়েছে। আয়েশা চাইলে আদালতে আসতে পারেন। কিন্তু এভাবে কারও সম্মানহানি করা যায় না।’
শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁকে না দেখা গেলেও কিছুদিন পরে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলতে দেখা যাবে শিখরকে।
ব্যবসা করার টোপ দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Fraud Case) অভিযোগ। ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক চাহারের (Dipak Chahar) স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রতারকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চাহারের স্ত্রী জয়া ভরদ্বাজ। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন একটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক।
পুলিসের কাছে চাহারের স্ত্রীর অভিযোগ, ২০২২ সালে ধ্রুব পারিক ও কমলেশ পারিক নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। যারা জয়াকে ব্যবসার প্রস্তাব দেন। এদের মধ্যে কমলেশ আগে হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। ব্যবসা শুরু করার নাম করে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর জয়ার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেন, ওই দুই অভিযুক্ত। পরে বহুবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা সত্বেও খোঁজ মেলেনি ওই অভিযুক্তদের।
এরপরই আগ্রার হরি প্রভাত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চাহারের স্ত্রী জয়া। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তদের। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীপক চাহার ও জয়া ভরদ্বাজের। ২০২২ সালের ২ জুন আগ্রায় বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। ওই বছরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় খেলেছিলেন চাহার। সেই ম্যাচে পায়ে চোট পাওয়ায় ২০২১ সালের আইপিএল থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল তাঁকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিলেন না চাহার। এখনও সেই ধারা বজায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেটের বাইরেই রয়েছেন দীপক চাহার।
মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিল উদীয়মান ক্রিকেটার (Cricketer) রোহিত যাদব(১৮)। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে টি এর জয়সোয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় জেরে এলাকায় শোকের ছায়া। পরিবার সূত্রে খবর, বাংলা জুনিয়র ক্রিকেট দলে নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে উদীয়মান এই ক্রিকেটার। রোহিত বাংলার অনূর্ধ্ব ১৬ দলে প্রথম একাদশে মনোনীত হয়েছিলেন। পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে সে খেলা চালিয়ে রাখতে বন্ধুদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু সে ক্রিকেট খেলে তেমন একটা টাকা উপার্জন করত না। তাই টাকা শোধ না করতে পারায়, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছে রোহিত।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে রোহিতের ঘর থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিস। এরপর তাকে টি এর জয়সোয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে বিষ জাতীয় বা অ্যাসিড জাতীয় কিছু জিনিস খেয়েই আত্মঘতী হয়েছে রোহিত।
দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডে (Delhi-Uttarakhand) নিজের বাড়ি ফেরার পথে রুরকির কাছে দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant injured)। ডিভাইডারে ধাক্কা মারে ঋষভ পন্থের বিএমডাবলু গাড়ি। ভারতের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। গাড়িতে আগুনও ধরে গিয়ে দুমড়ে গিয়েছে বলে খবর।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাথায় এবং পায়ে চোট নিয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে দেহরাদুনের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিসকে প্রাথমিক বয়ানে পন্থ জানান, গাড়ির স্টিয়ারিং সিটে বসে সম্ভবত চোখ লেগে যাওয়ায় এত বড় দুর্ঘটনা। বড় কিছু হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে বেড়িয়ে আসেন। উত্তরাখণ্ডের এক পুলিসকর্তা জানান, এই উপস্থিত বুদ্ধি না দেখালে আরও বড় বিপদ হতে পারতো ভারতীয় ক্রিকেটারের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভারতীয় এই ক্রিকেটারের এমআরআই করা হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর থেকে দেশে ফিরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন পন্থ। সেই সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা।