
তাপস রায় (উপ-মুখ্যসচেতক/বিধানসভা): মাঝে মাঝে ভুলে যেতে ইচ্ছা করে যে আমিও একজন আইনজীবী এবং কলকাতা হাইকোর্টের। যখন নিয়মিত রাজনীতির ফাঁকে কাজের সূত্রে হাইকোর্টে যেতে হত তখন সওয়াল জবাবের মাঝে মুগ্ধ হয়ে শুনতাম তৎকালীন মাননীয় বিচারপতিদের অর্ডার। এজলাস গমগম করতো। আজকেও নিয়মিত না হলেও ব্রিফ নিয়ে হাজির হতে হয় আদালতে কিন্তু ওদিনের আকর্ষণ আজ আর টানে না। কত কিছুই হচ্ছে, কত অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা চলেছে এজলাসে। এটা ঠিক মাননীয় বিচারপতিরা অনেক ক্ষেত্রে শুনানিতে পুরাতন প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসাবে নিয়ে আসেন, আনা উচিতও। কিন্তু উদাহরণের সুধাকরণের আস্থা থাকে কি? সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের রেষারেষিতে বারবার পুরাতনী উদাহরণ এসেছে কিন্তু সবটাই তৃণমূলের ত্রুটি খুঁজে।
আমার মনে পরে যায়, ৯০ এর গোড়ায় কলকাতা পুরসভার ভোটে বৌবাজার কেন্দ্রের একটি ওয়ার্ডে আমি প্রার্থী ছিলাম। সারাদিন ধরে শুধু বোমাবাজি এবং এক সময়ে আমাকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছিল, স্বাভাবিক ভাবে সিপিএমের জয় হয়েছিল। তারপর ৯১ এর বিধানসভার নির্বাচনে আমি বিদ্যাসাগর কেন্দ্রের প্রার্থী হই, যদিও সেই কেন্দ্রটি আজ বিলীন হয়ে গিয়েছে। দিনভর বোমাবাজি আর ছাপ্পা ভোট চললো। রাত ৯টার পরেও আমার বুথ এজেন্টদের বের করে আনতে পারি নি। পরে অনেক আহতকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করতে হয়েছিল। পরদিন কাগজে ছাপা হয়েছিল 'কলকাতায় অসময়ের কালী পূজো", এতো বোমাবাজি এর আগে বা পরে কলকাতার মানুষ দেখে নি। কার্যত পরাজয় এবং সিপিএম বাহুবলি লক্ষী দের জয়। কিন্তু কোথায়, আজকের আদালতে তার পুরাতনী উদাহরণ?
শুক্রবার কত অপ্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিলেন তাঁর এজলাসে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। প্রসঙ্গ ছিল কোনও এক সরকারি কর্মচারী করোনাতে মারা গিয়েছেন তো তাঁর স্ত্রী কি ভাবে সরকারি সাহায্য পাবেন ইত্যাদি। বিচারপতি গাঙ্গুলি বললেন যে, চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হলে সরকার ২ লক্ষ টাকা দেয় কিন্তু কোভিড মৃতদের কি হবে? প্রথমত যেবারে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে সে সময়ে কিছু মানুষ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ মদ খেয়ে মারা যায়। একটি মর্মান্তিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের গ্রেফতার করার আদেশ দেন এবং ওই মৃতদের অসহায় পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ করে টাকা দেন। বেচারা পরিবারের রোজগেরে ব্যক্তি মারা গিয়েছে কাজেই অসহায় পরিবারে যাতে পথে না বসে সেই কারণেই অর্থ সাহায্য কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে নিয়মিত নিয়ম এই টাকা প্রদানের। অথচ বিচারপতি তাই বললেন। এ ছাড়া বললেন, কে একজন ভাইপো আছে, তার চারতলা বাড়ি। কোটি টাকার বাড়ি। এতো টাকা আসে কোথা থেকে। .... কি বলছেন বিচারপতি? এর মধ্যে ভাইপো আসছে কোথা থেকে? তার কোটি টাকার বাড়ি থাকে যদি, তার সঙ্গে কোভিড মৃত্যুর কি সম্পর্ক ? ভাইপো বলতে তিনি কাকে বোঝাচ্ছেন?
এসব কথা তিনি আইনত বলতে পারেন কি? প্রসঙ্গান্তর হওয়ার যুক্তি কোথায়? তিনি এর আগেও মিডিয়ার খবর হয়েছেন ব্যক্তিগত ভাবে। ফের কি মিডিয়ার খবর হওয়ার জন্যই অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছেন বারবার। আর যাই হোক এ সমস্ত বিচারালয়ে বিচারপতির কাছে আশা করা যায় না। আইনজীবী হিসাবে আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি।
(অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত )
কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া নির্দেশের আগেই আদালত থেকে রক্ষাকবচ পেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে ইডির দায়ের করা এফআইআর অবশ্য খারিজ করেনি আদালত।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হওয়ার পরে ইডি কোনও তথ্য প্রমাণ আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। এদিন হাই কোর্ট জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের ইসিআইআর খারিজের আবেদন অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।
স্কুল নিয়োগ মামলা থেকে রেহাই পেতে ইডির এফআইআর খারিজ চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এই মামলার সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির অফিসে ইডির তল্লাশির বিষয়টিও যুক্ত ছিল। এই মামলায় শুক্রবার অভিষেককে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আদালতে কিছুটা স্বস্তি রাজ্যের। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই-এর হাতেই রাখল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে রাজ্য সিআইডি-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তে নামার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সিআইডি নথি হস্তান্তর করেনি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। যদিও নির্দেশনামায় সেই অর্থ ৫ লক্ষ করা হয়।
এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তাতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। তবে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মূল মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতির নির্দেশ, ৫০ কোটির আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগামী ১৮ অক্টোবর তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট আদালতে দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আদালতের আশা, এই দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই ও ইডি গুরত্ব দিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে। কালপ্রিট যে কাউকেই কিনতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার শুনানিতে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য তিন দিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। বুধবার দুপুরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মতই এদিন দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জমা দিলেন তার হলফনামা। ইতিমধ্যেই লিখিত বয়ান আদালতে জমা করেছে সব পক্ষই। শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রাখল আদালত।
এদিনের মামলায় রাজ্যের আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা পুলিসের পক্ষ থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অফিস থেকে যে ১৬ টি ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে ফরেনসিক রিপোর্ট এই আদালতে জমা পড়েছে। আদালত এ বিষয়ে শুনানিও গ্রহণ করেছে। কিন্তু ইডির পক্ষ থেকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিস তাদের হেনস্থা করছে। একই বিষয় নিয়ে দুটি আদালতে কি করে আবেদন জানায় ইডি? বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, আমার সহযোগী বিচারপতির এজলাসের বিষয় নিয়ে আমি কখনই নির্দেশ জারি করতে পারি না, আপনারা প্রয়োজনে আপিলে যেতে পারেন।
প্রসঙ্গত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের যৌক্তিকতার মামলায় ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেয় CFSL কলকাতা। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, CFSL রিপোর্ট ফাইলের পেনড্রাইভ থাকবে কলকাতা পুলিসে। ১৯ সেপ্টেম্বরের সব পক্ষকে দিতে হবে হলফনামা। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সময় নিয়ে বুধবার জমা দেন হলফনামা। এবার সমস্ত পক্ষের হলফনামা খতিয়ে দেখে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পরবর্তী শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত নেয় হাইকোর্ট, সেটাই দেখার।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট বিতর্ক মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই। বুধবার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে কেস ডায়েরি জমা দিলেও সেই কেস ডায়েরি দেখে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সরাসরি সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'আপনারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন? সিবিআই-এর কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো?' ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির।
এই নিয়ে টানা ৩ দিন বিচারপতির ক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তীব্র সমালোচনা বিভিন্ন মহলে। সিবিআই যদি এতদিন ঠিকভাবে কাজ করত, রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়ত। বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতা এবার সিবিআই-কেই প্রমাণ করতে হবে। জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কি তদন্ত করতে জানে না? নাকি তাকে তদন্ত করতে বাধা দিচ্ছে তার মনিবরা? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিকে নারদা প্রসঙ্গ তুলে সিবিআই-কে খোঁচা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার।
যদিও বিচারপতির কোনও মন্তব্য, কোনও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বারবার মুখ পুড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে কি সত্য উদঘাটন করতে সত্যিই ব্যর্থ হচ্ছে সিবিআই? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত! বিভিন্ন দফতর থেকে সরকারি আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে (HighCourt) মামলা লড়ছেন বেশ কিছু সংখ্যক আইনজীবী। অথচ তারা কখনই ছিলেন না সরকারি প্যানেলে। আর এই সমস্ত ভুয়ো সরকারি আইনজীবীদের কথা জানেই না রাজ্য। মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে আসার পর বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের তলব উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা শাসক, অফিস অফ লিগাল রিমেমব্রান্সারের এক গুচ্ছ অফিসারকে। আর বিচারপতির প্রবল ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল রাজ্যকেও।
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এর আগে বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি ঘটেছে, যেখানে এই ভুয়ো আইনজীবীদের বিষয়টি নজরেই আসেনি। এই চক্রে নিশ্চিতভাবে আর্থিক লেনদেন আছে, না হলে বেআইনি ভাবে কেউ যুক্ত থাকলে কেউ মদত দেবে কেন? ডিভিশন বেঞ্চে অন্তত ৩১ টি মামলা রয়েছে, একাধিক মামলা রয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চেও। সব মামলা প্রত্যাহার করে নতুন করে দায়ের করা হোক। তবে রাজ্যের পদক্ষেপের আশ্বাস ও প্রভাবশালী আইনজীবীদের অনুরোধ উপরোধে প্রবল অসন্তোষের কথা জানালেও এই মুহূর্তে কোনও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটেনি হাইকোর্ট।
এদিন মামলার শুনানির শুরুতেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ১১ সেপ্টেম্বর যিনি মামলা দায়ের করেন, তিনি প্যানেলেই নেই? তার মানে দাঁড়াচ্ছে জুডিসিয়াল অফিসারও এই প্রতারণায় অভিযুক্ত। এদের সবার হেফাজতে নিয়ে জেরা হওয়া উচিত। এটা কোর্টের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। অভিযুক্ত আইনজীবী সুবীর পালকে বিচারপতি বলেন, আপনার এই কাজের জন্য ২ জন বিচার বিভাগীয় অফিসারের চাকরির ভবিষ্যত অনিশ্চিত। হাইকোর্ট, জিপি, প্রশাসনিক বিভাগ সবাইকে আপনি বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছেন।
রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লিগাল রিমেমব্রান্সার সব আইনজীবীদের প্রচার করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, এই ভাবে মামলা না দায়ের করার জন্য। দফতর থেকে সুশোভন সেনগুপ্তর কাছে বলা হলে তিনি সই করার জন্য সুবীর পালের কথা বলেন। বিচারপতি বলেন, তার মানে সুশোভন ও সুবীর বেআইনি ভাবে এই মামলায় দাঁড়িয়ে পড়েছেন। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ওই আইনজীবী সহ যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে লিগাল রিমেমব্রান্সার থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই সব বিতর্কিত মামলা তুলে নিয়ে নতুন করে মামলা করার জন্য রাজ্যকে অনুমতি দেওয়া হোক। এর পরেই বিচারপতি বলেন, এর আগে এমন বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি করেছি, যেখানে এমন যোগ আছে বলে এখন বোঝা যাচ্ছে। জাতীয় সড়কের পাট্টা মামলাতেও তাহলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এখন মনে হচ্ছে সেই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত।
এরপরেই উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা শাসক, অফিস অফ লিগাল রিমেমব্রান্সারের এক গুচ্ছ অফিসারকে তলব এবং এমন ধরনের সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নতুন ভাবে দায়ের করার নির্দেশ দেন। এখন দেখার, হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর প্যানেলে না থাকা ভুয়ো সরকারি আইনজীবীদের হাইকোর্টে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কতটা কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য।
অস্বস্তি বহাল সায়গল হোসেনের। কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন। বুধবার জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানির সময় সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, যেহেতু মূল মামলা দিল্লিতে,তাই এই আদালত এই মামলা শুনতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সায়গল হোসেন জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ২০২২ সালের জুন মাসে গরুপাচার মামলায় বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর মধ্যেই, গত জুন মাসে আসানসোল সিবিআই আদালতে সিজার লিস্ট জমা করে সিবিআই। প্রায় ১ কোটি টাকার নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ৩টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ৭টি জমির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ওই সম্পত্তিগুলি সায়গল হোসেনের মা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে। ৭টি জমির মধ্যে একটি সিউড়িতে বাকি ৬টি ডোমকলে রয়েছে। জমিগুলির বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যদিও সিবিআই-এর দাবি, এই মূল্য কম করে দেখানো হয়েছে। জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে আছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। শুধুমাত্র জমি নয়, সায়গলের স্ত্রীর নামে আরও ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ওই ৩টি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই মূল মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই সিবিআই-এর আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলের।
অস্বস্তি বহাল সায়গল হোসেনের। কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন। বুধবার জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানির সময় সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, যেহেতু মূল মামলা দিল্লিতে,তাই এই আদালত এই মামলা শুনতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সায়গল হোসেন জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
২০২২ সালের জুন মাসে গরুপাচার মামলায় বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর মধ্যেই, গত জুন মাসে আসানসোল সিবিআই আদালতে সিজার লিস্ট জমা করে সিবিআই। প্রায় ১ কোটি টাকার নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ৩টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ৭টি জমির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ওই সম্পত্তিগুলি সায়গল হোসেনের মা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে।
৭টি জমির মধ্যে একটি সিউড়িতে বাকি ৬টি ডোমকলে রয়েছে। জমিগুলির বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যদিও সিবিআই-এর দাবি, এই মূল্য কম করে দেখানো হয়েছে। জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে আছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। শুধুমাত্র জমি নয়, সায়গলের স্ত্রীর নামে আরও ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ওই ৩টি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই মূল মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই সিবিআই-এর আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলের।
ফের আদালতে ধাক্কা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি ও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার শুনানিতে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বাড়তি আরও তিন দিন সময় চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। যদিও তার আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, আজকের মধ্যে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল। ফলে আরও তিন দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। এর পরেই বুধবার দুপুরের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। অন্যদিকে এদিনই আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বুধবার বিকেলেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের যৌক্তিকতার মামলায় হাইকোর্টে পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেয় CFSL কলকাতা। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, CFSL রিপোর্ট ফাইলের পেনড্রাইভ থাকবে কলকাতা পুলিসে। ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির আগে সব পক্ষকে দিতে হবে হলফনামা। সেই নির্দেশ ইডির পক্ষ থেকে পালন করা হলেও অভিষেকের আইনজীবী ৩ দিনের অতিরিক্ত সময়ের জন্য আবেদ জানান। যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অভিষেক মনু সিংভির আবেদনে সাড়া না দিয়ে বুধবার বিকেলের মধ্যেই লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। দ্রুত শুনানির আর্জি জানান বিরোধী শিবিরের নেতারা।
মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে এবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল সিবিআইকে। শুনানিপর্ব চলাকালীন মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সিবিআইয়ের বোঝাপড়া নিয়েও সরাসরি প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর দুটোর মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে আদালতের কাছে সিবিআই জানায়, এর সঙ্গে অনেক প্রভাবশালীর নাম জড়িত রয়েছে। এরপরেই মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সিবিআইয়ের রিপোর্টে কেন তাৎপর্যপূর্ণ কিছু থাকছে না সেবিষয়েও জানতে চেয়েছেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআই-কে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ সিবিআইকে ওই নোটিস জারি করে।
গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের।
বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআই-কে নোটিস জারি করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কোন পর্যায় আছে, তা জানা দরকার বলেও মনে করেন বিচারপতি। তারপরই জামিনের আবেদন বিবেচনাও করা হবে। এমনই জানিয়েছেন তিনি।
ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, সোমবার এ ঘটনায় বিচারপতি আরও নির্দেশ দেয় পরবর্তী শুনানির মধ্যে সিআইডি-কে নিম্ন আদালতে বাড়তি চার্জশিট জমা দিতে হবে। সূত্রের খবর, প্রজ্ঞাদীপা হালদার পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর সাথে কৌশিক সর্বাধিকারি নামে এই আর্মি হাসপাতালের ডাক্তারের বিবাহ হয়। তারপর চলতি বছরের ২০ জুন প্রজ্ঞাদিপাকে তার স্বামীর ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর মৃতার পরিবার ব্যারাকপুর পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। জুন মাসের ২৩ তারিখে তার স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয়।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন ওই মৃতা। আত্মঘাতী হওয়ার একটি পত্রও পাওয়া গেছে। তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। কিছু প্রমাণ আছে। এর পরিপেক্ষিতে, মামলাকারির আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, মৃতা প্রজ্ঞাদিপা হালদারকে খুন করা হয়েছে, অথচ পুলিস খুনের ব্যাপারকে চেপে গিয়ে পুরো ঘটনা টিকে একটি দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছেন। ঘটনার দিনের ভিডিওগ্রাফী পুলিশের কাছে আছে, কিন্তু তিনি তা আদালতের সামনে আনতে চাইছেন না। তিনি এও জানান যে অভিযুক্ত হলেন তার স্বামী যিনি একজন আর্মি হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি ময়নাতদন্তকারি চিকিৎসককে ফোন করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রভাবিত করার জন্য বলেছিলেন। সেই তথ্য প্রমাণ রয়েছে মামলাকরীদের কাছে।
অভিযোগ, এসবের পরেও এত সময় পেলেও এ ঘটনায় এখনও চার্জশিট দেয়নি সিআইডি। হাইকোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার কথা বলে সময় নেওয়া হয়েছে। অথচ নিম্ন আদালতে নতুন চার্জ সিট দেওয়ার কোনো আবেদন করা হয়নি। এটা খুব অদ্ভুত নতুন করে তদন্ত হচ্ছে, অথচ নতুন চার্জশিট দেওয়ার ব্যাপারে আদালতে কোনও আবেদন করে নি। আরও চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা, নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ জানানো হল না। এরপরেই মামলাকারীর অভিযোগে ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানির মধ্যে সিআইডি কে নিম্ন আদালতে বাড়তি চার্জশিট জমা দিতে হবে এমনই নিদেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কসবা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের পাঁচ তলা থেকে ‘পড়ে’ মৃত্যু হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ শানের। গত ৪ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল মৃত ছাত্রের পরিবার। এবার ওই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মৃত ছাত্রের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, কসবা থানা ৪ সেপ্টেম্বরে ঘটনার সময়ের সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পরিবারকে দিচ্ছে না। পুলিস মিনিট দশেকের একটা ফুটেজ দিয়েছে, যার মধ্যে যে ঘরে শেষবার ওই ছাত্রকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে, সেই ঘরের ফুটেজ নেই।
সূত্রের খবর, মৃত পড়ুয়ার বাবা শেখ পাপ্পু স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি বলে ওই ছাত্রকে বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। এমনি অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।' সেসময় কেবল স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও এখন পুলিশের গাফিলতিকেও দুষছেন ওই মৃত ছাত্রের পরিবার।
এ ঘটনায় মৃতের বাবা স্কুলের প্রধানশিক্ষক, সহকারী প্রধানশিক্ষক এবং আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ এবং ধারা ১২০বি অনুযায়ী খুনের মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু অভিযোগ এখনও অবধি ওই ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে বারবার বলেও লাভ হচ্ছে না। অথচ ওই রিপোর্ট পাওয়ার অধিকার পরিবারের রয়েছে। এঘটনায় এবার ওই মৃত ছাত্রের পরিবার পুনঃরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলা শুনবেন বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে ক্লাব প্রতি ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। এবার এই প্রতিশ্রুতিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন করল এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, আবেদনকারীর নতুন আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিল প্রধান বিচারপতি।
সূত্রের খবর, বিগত বছর গুলিতে রাজ্য সরকার প্রত্যেক ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই সময়ে ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সৌরভ দত্ত। তার আবেদন ছিল যেখানে রাজ্য সরকার ডিএ দিতে পারছে না। যেখানে সরকারি চাকরি প্রাথীদের যোগ্য নিয়োগ দিতে পারছেন না। সেখানে কেন ক্লাব পিছু এত টাকা দেওয়া হবে? যদিও এ বছরে ওই অনুদান বেড়ে ৭০ হাজার টাকা হয়েছে।
কেন পূর্বের বছরের মত এ বছরেও অপুজোতে ক্লাব গুলিতে এত অনুদান দেওয়া হচ্ছে! সেই বিষয়কে ফের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পূর্বের মত জনস্বার্থ মামলার আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত হাওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।
সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় নারী পাচার (women traffickers), নতুন কিছু নয়। কাজের টোপে অন্ধকার কানাগলিতে মিশে গেছে বহু মেয়ে। কিছু ফিরে আসলেও অধিকাংশরই আলোয় ফেরা আর হয়নি। সহজ সরল মেয়েদের টোপ দিয়ে তুলে নিয়ে যেত এমন অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনের বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করে ডায়মন্ড হারবার ফাস্টট্র্যাক থার্ড কোর্ট (Diamond Harbor Fasttrack Third Court)। ২ জনের ১০ বছর ও ১ জনের ৭ বছরের জেল ঘোষণা করেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মথুরাপুরের এক তরুণীকে চাকরি ও প্রেমের প্রলোভন দিয়ে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। তারপর গাজিয়াবাদের এক যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই পল্লীতে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করানো হত। পরবর্তী সময়ে পুলিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা তরুণী সহ বাংলার ৫ মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৭ বছর ধরে চলে সেই মামলা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা হল মিনা সিং, মুসলিমা বিবি ওরফে পিঙ্কি, ফারুক আলি গায়েন। বিচারক মিনা সিং ও ফারুক আলি গায়েনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। আর পিঙ্কিকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ঘটনার পরে তো বটেই, ঘটনার আগেই যদি পুলিসের নজরদারি কড়া হয়, তাহলে হয়ত অন্ধকার থেকে বাঁচতে পারে বহু মেয়ে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় এবার স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসকদের বোর্ড গঠনের ব্যপারে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলায় সামনে এসেছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর কথা উঠে এসেছিল।
পিছনে ভারী কিছু আঘাতের চিহ্ন। ঘাড়ে গভীর ক্ষত। তারপরেও ময়নাতদন্তে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর রিপোর্ট, অথচ ওই মহিলার গলায় কোনো ফাঁসের দাগ নেই, দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। মিথ্যে রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। তা নিয়েই এবার নির্দেশ বিচারপতির।
এদিন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে মামলায় যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে পরে বিবেচনা করবে আদালত। নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কেন নেওয়া হয়নি পদক্ষেপ? সেই প্রশ্ন তুলেই স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি। ৯ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। এখন দেখার পরবর্তী শুনানিতে কোন তথ্য উঠে আসে।