প্রসূন গুপ্ত: গত কয়েক ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নিজের পেজ থেকে তৃণমূলের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে স্বপরিচয় দিলেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। হঠাৎ হলোটা কি ? দু একদিন আগেই তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিলো। মামুলি কিছু কথা। কুশল বিনিময় আর কি। একবারের জন্যও বুঝতে পারা গেলো না যে , তিনি দলের উপর ক্ষুব্দ!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি দলের উপর ক্ষুব্দ নাকি দলের প্রথম সারির কোনও নেতার উপর। গুঞ্জনে যা জানা যাচ্ছে যে, তিনি উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নাকি ক্ষুব্দ। কিন্তু কি এমন হলো যে কুণাল লিখছেন যে, কোনও নেতা অযোগ্য, সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে তারপর নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভর করে ভোটে জিতে আসবেন। কে এই ব্যক্তি ? তিনি যিনিই হন, তিনি ভোটে দাঁড়ান এবং জিতেও আসেন। অর্থাৎ কোনও এক জয়ী নেতা।
পশ্চিমবঙ্গে বা কলকাতায় এমন কোনও বিধায়ক বা কাউন্সিলর নেই ,যাঁর ক্ষমতা আছে যে কুণালের সাথে দুশমনি করবে। তাহলে অবধারিত কোনও বড়োসড়ো নেতা যিনি ভোটে জিতে আসছেন বারংবার। ফের গুঞ্জনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতা। সত্তর উর্দ্ধ বয়স। এক সময়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে রাজনীতি এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের নেতা। কংগ্রেস দল ভেঙে যেদিন তৃণমূল দল তৈরি হয় তখনও তিনি মমতার পাশেই ছিলেন। মাঝে একবার দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে গিয়ে ফের ফেরত তৃণমূলে।
সুদীপ দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির রাজনীতি করছেন। মাঝে একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোপে পরে জেলযাত্রাও হয়েছিল কিন্তু বেরিয়ে আসার পরে দিল্লির রাজনীতির সরকারি দলের সুনজরে আসেন এবং বিভিন্ন কাজে তাঁকে দেখাও যায়। কলকাতার রাজনীতিতে তিনি বড় একটা উৎসাহ দেখান না তবে উত্তর কলকাতায় সংগঠন তাঁর আছে। তিনি পার্লামেন্টে দলের নেতাও বটে। তবে এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটোখাটো নেতাদের খুব একটা পাত্তা দেন না। অন্যদিকে আর এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক খুব খারাপ। কুণাল তাপস দুজনই দলের মুখপাত্র এবং উত্তর কলকাতার জাদরেল নেতা। এবারে প্রশ্ন ঠিক লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে বিকল্প ভাবনা সুদীপের কিছু থাকতে পারে কি ? সবটাই রহস্য।
ফের বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সন্দেশখালি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে নুসরত বললেন, সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন নুসরত। সাংসদ-অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূল বলছে, হয়তো ভুল করে ফেলেছেন নুসরত।
লোকসভা কেন্দ্র সন্দেশখালিতে না যাওয়ার প্রসঙ্গে নুসরত বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন? কিছু পরিস্থিতি এমন রয়ে গিয়েছে। সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। আমি সেখানে গেলে সঙ্গে পাঁচ জনকে নিয়ে যাব এবং এটা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হবে।'
স্পম্প্রতি সন্দেশখালি এলাকায় নারীদের শ্লীলতাহানি সহ জমি দখল, চাষের জমি নষ্ট করা সহ বহু অভিযোগ ওঠে শাহজাহান, তাঁর ভাই সিরাজ সহ তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার। এদের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকার বহু গ্রামের মানুষ, কাঠপোল, বেরমজুর শোঃ বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল নেতাদেড় বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, সেই ঘটনা সামাল দিতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন নুসরত। নুসরতকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, "১৪৪ ধারা অব্দি বুঝতে পারলাম... কিন্তু '১৭৪ ধারা'আজও আমার কাছে অজানাই রয়ে গেল।" তৃণমূলের দাবি, বলার সময় ভুল বলে ফেলেছেন। বিষয়টিকে এত বড় করে দেখা ঠিক হবে না।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই 'রহস্যময়' পোস্টারে ছেয়ে গেল বাংলা। পোস্টারে লেখা 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'। একদিকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলে তোলপাড়, তার মধ্যেই কলকাতা জুড়ে এই পোস্টার। তেরঙ্গা পোস্টারে সবুজ-নীল রঙে শুধুমাত্র লেখা রয়েছে, 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'। তবে কে, কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা এখনও অজানা। তবে ইতিমধ্যে এই পোস্টারকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে লিখেছেন, "বাংলার ভবিতব্য, বিকল্প রাজনীতি"।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের পাশে, হাজরা মোড়ে, এক্সাইড মোড়, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা এবং এন্টালিতে কংগ্রেস অফিসের আশেপাশে এই পোস্টার দেখা যায়। একই রকম পোস্টার দেখা যায় কোচবিহার, মাথাভাঙা, মালদাতেও। পোস্টারে নাম নেই প্রচারক বা প্রকাশকের, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তবে অনেকেই বেশ কিছুদিন ধরে এই বাংলায় বিকল্প রাজনীতির কথা বলে আসছিলেন। ফলে তবে কি এটা তারই প্রতিচ্ছবি? এই নিয়েই প্রশ্ন। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় 'বিকল্প রাজনীতি' চেয়ে পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম ইএম বাইপাস। সেই ইএম বাইপাসে দীর্ঘক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বাইপাসের দক্ষিণ অংশে শনিবার ছ'ঘণ্টা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
উল্লেখ্য, একাধিক রুট ডাইভারশনের কথা জানিয়ে অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিস। আজ শনিবার রাত ১০ টা থেকে রবিবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত ইএম বাইপাসের দক্ষিণ অংশে উভয় দিকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাটুলির কাছে ঘোষপাড়ায় ৪৫ মিটার লম্বা ফুটওভার ব্রিজ বসানোর জন্যই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে সিএমডিএ।
সিএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুট ওভারব্রিজ বসানোর জন্য ঘোষপাড়ার কাছে ক্রেন ও অন্যান্য মেশিন আনা হবে। সেই কারণে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল আনা হবে। যান চলাচলের জন্য একাধিক রুট ডাইভারশনও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোন পথে চলবে যানবাহন:-
•দক্ষিণ থেকে রুবি হাসপাতালের দিকে যাওয়া ভারী যানবাহন গুলিকে পাটুলি মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহন গুলিকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর, রাজা এসসি মল্লিক রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর হয়ে সুলেখা মোড় দিয়ে পুনরায় বাইপাসে পৌঁছতে হবে।
•দক্ষিণ থেকে রুবিমোড়গামী ছোট গাড়িগুলোকে বা যানবাহন গুলোকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর হয়ে পাটুলি আই ব্লক রোডে যেতে হবে। সেখান থেকে মোল্লা রোড ধরে তারা পুনরায় বাইপাসের দিকে যেতে পারবে।
•উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ভারী যানবাহন গুলিকে অভিষিক্তা মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহনগুলি অভিষিক্তা মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টর হয়ে রাজা এসসি মল্লিক রোড ও বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি কানেক্টর হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ছোট গাড়িগুলিকে পিয়ারলেস হাসপাতালের সামনের কাটআউট দিয়ে ঘুরে পঞ্চসায়র রোড, ঢালাই ব্রিজ ও গড়িয়া স্টেশন রোড হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে ঘোষপাড়া অঞ্চলে যাতায়াত করার সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং সেই দুর্ঘটনা রেকর্ড দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটার প্রতিরোধ করার জন্য ফুটওভার ব্রিজ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবার নাটকে ব্যারিকেড! এবার নবদ্বীপ পুরসভা বন্ধ করল উৎপল দত্ত রচিত দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত ‘ব্যারিকেড’-এর অভিনয়। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি নবদ্বীপ রবীন্দ্র সাংস্কৃতিক মঞ্চে এই নাটক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, মৌখিকভাবে ওই নাট্য সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই নাটক করা যাবে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কৃতির মঞ্চে তবে কি রাজনীতি? ফের কি তবে শাসকের রোষের মুখে সংস্কৃতি?
চাকদহ নাট্যজনের সম্পাদক সুমন পালের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, নবদ্বীপ রবীন্দ্র সাংস্কৃতিক মঞ্চে 'ব্যারিকেড' নাটকটি করা যাবে না। এও জানানো হয়, অন্য নাটক হতে পারে কিন্তু ব্যারিকেড করা যাবে না। তাই তাঁদের প্রশ্ন, 'উৎপল দত্তের আরও বেশ কয়েকটি নাটক এই বঙ্গে নিয়মিত অভিনয় হচ্ছে। তাহলে ব্যারিকেড বন্ধ করার কারণ কি রাজনৈতিক না অন্য কিছু?'
তাঁরা বলেছেন,'আমাদের মতন একটি দলের কাছে এই আঘাত আমাদের চলার পথে এক ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে নিয়ে আসছে। কিন্তু আমরা কোনভাবেই "ব্যারিকেড"এর মতন নাটক বন্ধ করতে রাজি নই। আমাদের অন্যান্য প্রযোজনার পাশাপাশি ব্যারিকেড নাটকটির অভিনয় করে যেতে চাই। চাকদহ নাট্যজনের পক্ষ থেকে আপামর মানুষের কাছে আমাদের এই প্রশ্ন। আশা করি আপনারা আমাদের সঠিক পথ দেখিয়ে দেবেন।'
দূষণের কবলে খোদ দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিস। নোংরা আবর্জনা স্তূপে পরিণত হয়েছে সরকারি এই অফিসের দোরগোড়ায়। যেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বারংবার সতর্কবার্তা জানিয়েছে দুর্গাপুর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিস। সেখানে খোদ দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবনের সামনেই এখন ডেঙ্গি আতঙ্ক।
দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবন বার্তা দেয় জনসমাজের পরিবেশ রক্ষার জন্য। কিন্তু আজ সেই ভবনের দুয়ারেই ময়লা আবর্জনার স্তুপ। যার ফলে পথ চলতি মানুষের দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিক বর্জনের জায়গায়, খোদ পরিবেশ ভবনের বাইরে প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি।
দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবনের সামনেই রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস, জিএসটি অফিস, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু এতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মাঝেও সহবস্থান আবর্জনার স্তুপ। স্থানীয়েদের দাবি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিসের সামনে ময়লা আবর্জনায় স্তূপ তৈরী হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাটাই এখন ভীষণ সমস্য়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চারিদিকে যে নোংরা আবর্জনার স্তূপ, সেখানেই মাছি ঘুরছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ডেঙ্গি আতঙ্কও বেড়ে চলেছে।
সমস্ত অভিযোগ মেনে নিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের দু'নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার। তিনি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে পুরো দায়ভার এড়িয়ে যান।
বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। টানা ৮ মাস যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেতুতে। ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী কোনও গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার জন্য বিকল্প রাস্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে ভারী যানগুলি নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
ডি এল খান রোডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে যে গাড়িগুলি আসছে, সেগুলি হসপিটাল রোড, কে পি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পাঠানো হবে। আর এক্সাইড ক্রসিং থেকে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং, সি আর এভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে টালা ব্রিজ, ডানলপ ক্রসিং হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে। আর পোর্ট ট্রাস্টের গাড়িগুলি রাত ১২টার পর সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
আট মাসের জন্য ভারী যান চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই গাড়ি নিয়ে বেরোতে গিয়ে যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই বিকল্প রাস্তা জেনে নিন।
প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বছরের এই একটি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিরা একত্রিত হয়ে পূজায় অংশ নেন। আজকে আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই প্রতিটি দেশে এমনকি পাকিস্তানেও শারদ উৎসব হয়ে থাকে। দুর্গাপুজো বা দীপাবলি। দুর্গাপুজো কিন্তু একান্তই বাঙালির পুজো। যদিও বিহার বা আসামেও পুজো হয়ে থাকে। এবারে আসি কলকাতা শহরে। কলকাতার প্রতিটি অঞ্চল সেজে ওঠে পুজো উৎসবে। বাঙালিরা এমনিতেই ধর্ম নিরপেক্ষ কাজেই সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রবেশ ও আনন্দ করার অধিকার আছে। কলকাতা একেবারেই সেই পথ ধরেই চলে। তবে এটা আধুনিক যুগ, আজকের পুজো শুধুমাত্র দেবী আরাধনা নয়, একটা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগে পুজো বলতে উত্তর কলকাতায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, সিমলা ইত্যাদি থাকলেও ভিড় হতো প্রধানত দক্ষিণ কলকাতাতে। সঙ্ঘশ্রী, সংঘমিত্রা থেকে বালিগঞ্জ, একডালিয়া ইত্যাদি থেকে বেহালা। কিন্তু এটা থিমের যুগ। কে কাকে থিম দিয়ে টপকে যাবে তারই প্রতিযোগিতা থাকে। উত্তর কলকাতাতে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ আকর্ষণ মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং। সারা বাংলার দর্শনার্থীদের কাছে রোনাল্ডিনহো দেখার থেকেও শ্রীভূমির পুজো দেখা অনেক বেশি গর্বের।
সুজিতের পুজোয় কিন্তু মাতৃমূর্তি সাবেকি। কিন্তু তাঁর থিম মণ্ডপে এবং আলোকে। কখনও বুর্জ খলিফা থেকে এবারের ডিজনিল্যান্ড। নিখুঁত নিপাত কাজ। স্বাভাবিক ভিড় প্রবল একেবারে প্রথমা থেকে দশমী অবধি। এবারে বিতর্ক উঠেছে যে, এতো ভিড় এতো গাড়ি যে রাস্তা জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘন্টার ঘন্টা আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু বড় পুজো ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ কুমার থেকে প্রতি প্যান্ডেলে প্রবল ভিড় হয়। কিন্তু কলকাতার দক্ষিণ প্রান্ত যতটা প্ল্যান করে তৈরি উত্তরে তা মোটেই নয়। লেকটাউন অঞ্চলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার অসংখ্য রাস্তা নেই, সেরকম ভিআইপি রোডও। কাজেই ভিড় হবেই। এতো প্রচার থাকলে সকলেরই দেখার ইচ্ছা তো থাকবেই। সমস্ত বিষয়টি একেবারে পুলিশ প্রশাসনের হাতে কাজেই দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। ভিড় হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যানবাহনের দিকে তাকিয়ে সুজিতকে দায়িত্ব নিতে বলেছেন। সুজিতের কাছে ভিড় আটকানোর কোনও মন্ত্র আছে বলে তো মনে হয় না।
বলিউডের অন্দরে নাকি সকলেই সমঝে চলেন তিন 'খান'-কে। শাহরুখ-আমির-সলমান, একসময় তাঁরাই ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করেছেন। ফলে পিঁপড়েও নাকি তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করেন। গুঞ্জন এমনও, এই তিনজনের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য হলেই নাকি অস্তাচলে যাবে কেরিয়ার। বিশেষ করে সলমান খানকে (Salman Khan) সমীহ করে চলেন কমবেশি সকলেই। আর এমন তারকার সঙ্গেই প্রকাশ্য মঞ্চে বিতর্কে জড়িয়েছিল গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। কীভাবে বিতর্কের সূত্রপাত।
বলিউডের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন সলমান খান। এদিকে প্লে ব্যাক গায়ক হিসেবে পুরস্কার ঘোষণা হয় অরিজিৎ সিংয়ের জন্য। পুরস্কার নিতে অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসতে কিছুটা দেরি করেছিলেন অরিজিৎ সিং। মঞ্চে উঠতেই সলমান তাঁকে বলেন, 'ঘুমিয়ে পড়েছিলে নাকি?' উত্তরে গায়ক বলেন, 'আপনারাই তো ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।' অভিনেতা পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, 'এমন গান গাইলে তো লোকে ঘুমিয়ে পড়বে।'
প্রকাশ্য মঞ্চে অরিজিতের উত্তর পছন্দ হয়নি ভাইজানের। মুখে কিছু না বললেও, সলমান তাঁর সিনেমা 'বজরঙ্গী ভাইজান', 'কিক ' এবং 'সুলতান' থেকে অরিজিতের গান বাদ দিয়েছিলেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমেও সলমান খানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অরিজিৎ। একটি পোষ্টে লিখেছিলেন, ' আমি আপনাকে বুঝেছি এবং ওই ঘটনা নিয়ে আমি খুবই দুঃখিত। আমি অনেকবার আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনি বোঝেননি। আমি ক্ষমা চেয়েছি আপনি স্বীকার করেননি। ভুল স্বীকার করে কতবার আপনাকে মেসেজ করেছি আপনি জানেন। 'ওই একই পোস্টে অরিজিৎ সলমানকে বারংবার অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর ছবি থেকে যেন অরিজিতের গাওয়া গান বাদ না দেওয়া হয়। তবুও ভাইজানের অভিমানের বরফ গলেনি এতদিন।
তবে সম্প্রতি সলমানের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল গায়ক অরিজিৎ সিংকে। সেখানে কী হয়েছিল? অরিজিৎ কী আবারও সলমানের সিনেমায় গান গাইবেন? এই নিয়েই এখন জোর চর্চা সামাজিক মাধ্যমে।
নদী আপন বেগে পাগল পারা গানের মতোই তিস্তার এই মুহূর্তে রুদ্ররূপে ছিন্নবিছিন্ন উত্তর সিকিম। পাহাড়-সমতলের দু'কুল ছাপিয়ে তিস্তার প্লাবন। জানা গিয়েছে, বুধবার ভোররাতে হঠাত্ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি আছড়ে পড়ে উত্তর সিকিমের লাচেনের লোনক হ্রদে। সেই জল ধরে রাখতে না পারায় হ্রদ উপচে ভাঙে চুংথাম বাঁধ, আর সেই বাঁধভাঙা জল নেমে আসে তিস্তাতে। হরপা বানের জল নিয়েই এগোতে থাকে তিস্তা, আশপাশে পাহাড়ি সিকিম-সহ সমতলের সব কূল ছাপিয়ে ধ্বংসলীলা চালায়। বিচ্ছিন্ন চুংথাম, লাচেন উপত্যকা। ১৫-২০ মিটার উঁচু জল ধ্বংসলীলা চালায় সিংতামের বারদং সেনা ছাউনিতে। উত্তর সিকিমের তিস্তাপারের বহু বাড়ি, বহু ঘর কাদা জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে। তিস্তার এই রূদ্ররূপে নিখোঁজ অন্তত ২৩ জন সেনা, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজ এবং বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রাউন্ড জিরো পরিদর্শনে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।
প্রাক উত্সব মরশুমে তিস্তার রুদ্ররূপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পর্যটকরা। এই মুহূর্তে উত্তর সিকিমের যা অবস্থা, ফেরার উপায় নেই। কারণ শিলিগুড়ি হয়ে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়ে ডুয়ার্স, গরুবাথান, কালিম্পং, লাভা হয়ে সিকিমে ঢোকার বিকল্প রাজ্য সড়ক। এই অবস্থায় কতদিন ঘরবন্দি, হোমস্টে বন্দি বা হোটেল বন্দি থাকবেন পর্যটকরা, জানেনা কেউ। ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাংটক, নামচির মতো পর্যটনস্থল। ধংস্তস্তূপ সরলে কী দাঁড়াবে অবস্থা, তাও জানে না প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্যাকিয়ং, নামচি, গ্যাংটক, মঙ্গনের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু ০৩৫৯২-২০২৪৬১/২০১১৪৫ এমার্জেন্সি হেল্পলাইন নাম্বার। পর্যটকদের জন্য নোডাল অফিসার হেল্পলাইন নাম্বার ৭০০১৯১১৩৯৩। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সাত জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণহানির সঠিক খবর নিয়ে মুখ খোলেনি কেউই। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিকিমের পর্যটন। প্রাক উত্সবের মরশুমে রাজ্যের একটি অংশে যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা, সেই ক্ষত শুকোতে কমবেশি এক থেকে দেড় মাস। ফলে মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের। সিকিমের এই বিপর্যয় এবং সেনা নিখোঁজের ঘটনায় এক্স অ্যাকাউন্টে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে জরুরি বৈঠকে অডিও বার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু রাজ্যের গা ঘেষা সিকিম, তাই উত্তর সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে, বার্তায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগ কমলে তিস্তা বাঁধ মেরমাতি করবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অডিও বার্তায় তাঁর আবেদন, 'বাড়ি থেকেই সাতদিন ২৪ ঘণ্টা আমি নজরদারি করছি। চিন্তা করবেন না, ভয় করবেন না। প্রকৃতির সঙ্গে কারও লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই। বিপর্যয় মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলছে নবান্ন।'
প্রসূন গুপ্তঃ মঙ্গলবার একটি বিশেষ দিন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিনেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হলো। সুবিশাল লোকসভার কক্ষ, একই রকম রাজ্যসভাও। স্বাধীনতার পরে যতগুলি আসন ছিল দুই ভবনে তা ক্রমশই বর্ধিত হয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সাংসদের সংখ্যাও বেড়েছে। ব্রিটিশদের কালে তৈরি সংসদ ভবন এখন 'হেরিটেজ'। সকালে পদব্রজে সমস্ত সাংসদ নতুন ভবনে উপস্থিত হলেন। মোদী জমানায় অভিনব তো নিশ্চিত। একই সাথে বলতে দ্বিধা নেই পরিবেশ যথেষ্ট ভালো ছিল, সব সাংসদের কাছে পাওয়া এই নতুন ভবন আনন্দের ছিল। মামুলি বক্তব্য ছাড়া তেমন কোনও বিশেষ ভাষণ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সকলকে নিয়ে চলার কথা বললেন। অবিশ্যি তাঁর ভাষণের গোড়ায় বারবার এদিনের গনেশ চতুর্থীর কথা উল্লেখ করেছেন। এমন একটি হিন্দু পূজার মহোৎসবে পার্লামেন্টের উদ্বোধন কতটা সুখের তা উল্লেখ করলেন। একই সাথে সোমবারের মতো ভাষণের বেশ কিছুটা স্থান নিলো প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর প্রশস্তিতে। পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড রয়েছে পন্ডিত নেহেরুর। মোদীর পক্ষে হয়তো তা ভাঙা সম্ভব নয় কিন্তু তাঁর চেষ্টা থাকবে তৃতীয়বারের জন্য জিতে আসার। তবুও বলতেই হয় যে, কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্লোগান তোলা মোদীর মুখে নেহেরুর প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। একেবারে বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একেবারে বলেই দিলেন যে, ঈশ্বর তাঁকে শক্তি দিয়েছেন এই মহিলা বিল পাশ করানোর।
এরপরেই বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরী। অধীর প্রথমে নতুন দিনের সূচনাকে জনগণের হাতেই ছেড়ে দিলেন। গণতান্ত্রিক দেশে সর্বধর্মের প্রয়োজন নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু জানাতে ভুললেন না যে এই মহিলা বিল প্রথম এনেছিলেন প্রয়াত রাজীব গান্ধী। এরপরেই হৈচৈ শুরু হলে অধীর বলেন যে , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই হট্টগোল তাঁকেই অপমান করা। পরে ভারতীয় সংবিধানের বেশ কিছু অংশ পরে শোনান। তখনও বাধার চেষ্টা হয়। অবশেষে স্পিকার ওম বিড়লা বুধবার বেলা ১১ অবধি সভা মুলতুবি করে দেন।
পুজোর আগেই রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ চায় রাজ্য। সেই কারণে, ছুটি রবিবারও বৈঠকে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। নবান্নে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। নবান্ন সূত্রে দাবি, বৈঠকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মোকাবিলায় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চান স্বরাষ্ট্র সচিব। বৈঠকে জেলাশাসকদের সঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাঁদের কাছেও জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।
হুগলি, নদিয়া, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি এবং ম্যালিরিয়ার প্রকোপ রয়েছে যথেষ্ট। জানা গিয়েছে, এই জেলা গুলিকে নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত পুজোর আগে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার উপরে নিয়ন্ত্রণ চাইছে রাজ্য প্রশাসন। তাই জেলাশাসকদের ভূমিকা এই বৈঠকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলাতে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান বেড়েছে। সূত্রের খবর, ১৩ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৫৬৩৯ জন রাজ্যে ডেঙ্গি তে আক্রান্ত। যেখানে, উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৬৯২৫ জন। নদীয়ায় ৩৯৬০ জন, কলকাতা -৩৪১৬, মুর্শিদাবাদ - ৩৪০৭, হুগলী -২৬০০, হাওড়ায় ১৪৬৮, ঝাড়গ্রামে ১১১৭ জন, মালদায় ১০৭৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১০১০জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬৬৩ জন আক্রান্ত। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই খবর, আগস্ট মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৬৭২। জুন মাসে ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিল ৬২৪ জন। জুলাই মাসে এক লাফে সেই সংখ্যা ৩৭৭৮ জন। আগস্ট মাস নাগাদ ১৫ হাজার ৬৭২ জন ডেঙ্গি তে আক্রান্ত হয়। জুন মাস থেকে বাড়ছে ডেঙ্গি তে আক্রান্ত এর সংখ্যা। অসমর্থিত সূত্রে রাজ্যে ডেঙ্গি মৃত্যুর এর সংখ্যা ৩১ জন। সরকারি মতে ডেঙ্গি তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
অভিনেত্রী সারা আলি খান (Sara Ali Khan) তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। সিনেমা হলে তাঁর ছবি দেখতে যেমন দর্শক ভিড় জমান, তেমনই সামাজিক মাধ্যমেও সারার অনুসরণকারী অনেক। সেখানে যেমন পজেটিভ মন্তব্য পেয়ে থাকেন সারা, তেমনভাবে নেগেটিভ মন্তব্যও ঘিরে ধরে তাঁকে। এই যেমন কিছুদিন আগে সারা গিয়েছিলেন কেদারনাথে, আবার তারও কয়েকদিন আগে গিয়েছিলেন মন্দিরে, এই নিয়ে অনেক বিতর্কই হয়েছে। তবে সারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোন মন্তব্য কানে নেবেন, আর কোন মন্তব্য কানে নেবেন না।
এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেছেন, 'আমার কাজের বিষয়ে যেকোনও রকম সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাই। আমি দর্শকদের জন্য কাজ করি এবং তাঁরা যদি আমার কাজ পছন্দ না করেন, তবে আমি আরও ভালো করার চেষ্টা করব। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যদি তাঁদের মতামত থাকে, তা যদি আমার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে হয়, আমার পোশাক নিয়ে হয়, বা এয়ারপোর্টে আমার ব্লো ড্ৰাই না করা চুল নিয়ে হয়, তাহলে আমি তোয়াক্কা করি না।'
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সারার ছবি 'জারা হাটকে জারা বাঁচকে'। আদিপুরুষের মতো বিগ বাজেটের সিনেমার সামনেও চুটিয়ে ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি। এরপর সারাকে দেখা যাবে একেবারে অন্যরকম ছবিতে। দেশাত্মবোধক ওয়েব সিরিজ 'এ বতন মেরে বতন' সিরিজে।
সৌমেন সুর: আজ অদ্ভুত একটা ছবি চোখের সামনে কদর্যভাবে ফুটে ওঠে। যে যার চেয়ার সামলে রাখার জন্য যত রকম প্রক্রিয়া আছে কাজে লাগাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবার দরকার নেই, আমার অস্তিত্ব টিকে থাক এটাই বড় কথা। আজ সারা দেশে একটা ঘৃণ্য চক্রের জন্য মানুষের নাভিশ্বাস উঠে চলেছে। এ যেন এমনই 'অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এই পৃথিবীতে আজ।' জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে আমাদের দেশ, ঠিক চীনের পরেই। ১৪০ কোটি সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে একটা আতঙ্কময় বিভীষিকার পথে এগিয়ে চলেছে। মানুষের সংখ্যা বাড়লে জনসংখ্যা ও খাদ্যের যোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অনিবার্যভাবেই খাদ্যাভাব,অপুষ্টি, দুর্ভিক্ষ মহামারী ইত্যাদি দেখা দেয়। দারিদ্র্যের কবলে পড়ে ছটফট করে মানুষ। চাকরির বাজার ভেঙে পড়ে, যাকে বলে মন্দার বাজার। বেকারের সংখ্যা বাড়ে, প্রতিযোগিতার রেষারেষি তীব্র হয়। মূল্যরোধে চিড় ধরে। সামাজিক অপরাধের মাত্রা বাড়ে। একটা আতঙ্কময় জীবন যাত্রা।
যে কোন উন্নয়নশীল দেশে অর্থনীতি ও জনসংখ্যা পরস্পরের হাত ধরাধরি করে চলে। দুজনের সঙ্গে সখ্যতা দারুন, উৎপাদন ও বন্টন এই দুটোই অর্থনীতির প্রধান বিষয়। এই দুটোই জনসংখ্যা কে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। আজ জনসংখ্যা দুনিয়া জুড়ে মহাসমস্যা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা আরও বেশি। উন্নতিশীল দেশের সমস্যা সেখানে তুলনায় অনেক কম। ভারতের পরিস্থিতি আরো অগ্নিগর্ভ। বর্তমানে ১৪০ কোটি অতিক্রম করে গেছে বোধহয়! এই হারে জনবৃদ্ধি চলতে থাকলে ভারতের অর্থনীতি বিধ্বস্ত হবে। ভারতের ঐতিহ্য সংস্কৃতির উপর নেমে আসবে অভিশাপ। জনবৃদ্ধি হওয়ায় মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বায়ুতে অক্সিজেন কমছে আর কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে, অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, নানা রোগে জনজীবন আক্রান্ত হচ্ছে, আর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। আর কালবিলম্ব না করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য জাতিধর্মনির্বিশেষে সরকারি নিয়ন্ত্রণ কঠোরভাবে প্রয়োজন। নয়া দৃষ্টিকোণ থেকে বাস্তবমুখী নয়া অর্থনীতির রূপায়ন। রুপায়ন না করলে দেশকে দাসত্ব স্বীকার করতে হবে অন্যের কাছে।
ইন্টারনেট সেনসেশন উরফি জাভেদ (Urfi Javed), কেবলমাত্র পোশাকের বিষয়েই সাহসী নয়, মন্তব্যের ক্ষেত্রেও তিনি বেশ সাহসী। তাঁর তোপের সামনে কে রয়েছেন তা নিয়ে বিশেষ বিচলিত হন না। এইবারও যেমন সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে তুলোধনা করলেন তাঁর বেফাঁস মন্তব্যের জন্য।
অভিনেত্রী আমিশা পাটেল (Ameesha Patel) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বলেছেন, মানুষ ভালো ও পরিষ্কার সিনেমার অপেক্ষায় রয়েছে। ঠাকুমা ঠাকুরদার সঙ্গে বসে নাতি-নাতনিরা সিনেমা দেখবে, সেই যুগ একেবারেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ওটিটি সেই যুগ দেবে না। কারণ ওটিটিতে সমকামিতা-গে-লেসবিয়ান ভর্তি।'
অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে সরাসরি তোপ দাগলেন উরফি জাভেদ। তাঁর সামাজিক মাধ্যমে আমিশার ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করে লিখেছেন, 'এরকম সংবেদনশীল বিষয়ে পাবলিক ফিগাররা নিজেদের শিক্ষিত না করেই মন্তব্য করছেন দেখে আমি বিরক্ত হই। ২৫ বছর ধরে কাজ না পেয়ে তিনি তিক্ত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।'
সামাজিক মাধ্যমে সবসময়ই চর্চিত উরফি জাভেদ। তাঁর নানারকম পোশাক নিয়ে কম সমালোচনা হয় না। কিন্তু আমিশা পাটেলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উরফির সমালোচনার সমর্থন করছেন নেটিজেনরা। আমিশাকে দেখা যেতে চলেছে সানি দেওলের বিপরীতে গদর-২ তে। বিস্ফোরক মন্তব্য করে বেশ কিছুদিন ধরে অভিনেত্রীও চর্চায়।