মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর পর এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলি। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে সদ্যোজাতের মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। ‘রেফার’ নিয়ে দায় ঝাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে অকেজো স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ। তার জেরে বেড়েছে রেফার। এবার সেই দাবি ওড়ালেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। তাঁর দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও শিশু রেফার করা হয়নি। এসএনসিইউও ঠিকই আছে। তবে কিছু কিছু পরিষেবা দিতে পিছপা হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে অকেজো এসএনসিইউ। যার জেরে শেষ মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় সব শিশুদের রেফার করা হচ্ছে মেডিকেল হাসপাতালে। কার্যত মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অবক্ষয়কেই দায়ী করেছেন তিনি।
কখনও শিশুর ওজন, কখনও অপুষ্টিকেই দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে প্রদীপের নীচে গাঢ় অন্ধকার। পরিকাঠামো না থাকায় শেষমেশ রেফার রোগই কাড়ল এত গুলো নবজাতকের প্রাণ?
পর পর ৯ জন সদ্যোজাতর মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব ছোটখাটো বিষয় নয়? এদিকে ক্রমশই চলছে দায় ঠেলাঠেলির পর্ব। শুক্রবার হাসপাতালে সদ্যোজাতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সরকারি গাফিলতির দিকে আঙুল তুলে মৃত ৯ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।
রেফার রেফার খেলা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। কিন্তু একই দিনে ১০ জন শিশু মৃত্যুতে, ফের কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। কখনও গাফিলতি, কখনও পরিকাঠামো। আর স্বজনহারা হচ্ছে এবাংলার জনসাধারণ। এটাই যেন ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবাংলার।
মর্মান্তিক! গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ অকেজো হয়ে পড়ায় সেখান থেকে থেকে নবজাতকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হয়। এসএনসিইউ ওয়ার্ড, নবজাতক বিভাগ, শিশু বিভাগ এবং শিশু সার্জারি বিভাগে ছিল মৃত শিশুরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসার তৎপরতাও শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়েও কড়া বার্তা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।
বুধবার বেলা ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে খবর। অন্যদিকে, চিকিৎসা করতে আসা অবিভাবকদের বক্তব্য মেডিকেল কলেজের মাতৃ মা বিভাগের ভিতরে চিকিৎসার অভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছে বহু প্রসূতি। দুর্যোগের দিনে বা রাতে বাইরে প্রসূতিদের আত্মীয়দের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এরকম ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মায়ের সামনে।
গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর মধ্যে বচসা। সেই ঝামেলা গড়াল দুই পরিবারের মধ্যে। যার জেরে প্রাণ হারালো (Death) এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বারাসত (Barasat) থানার পুঁইপুকুর ক্ষুদিমার পল্লী এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই শিশুর মধ্যে গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর বাপ্পা সর্দার নামে একজন এসে একটি বাচ্চাকে মারধর করতে থাকে। সেইসময় বাচ্চাটির দাদু পানু মণ্ডল ঠেকাতে গেলে তাঁকেও বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, বাপ্পা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর বুকে, পেটে,মুখে, পিঠে কিল, ঘুষি মারতে থাকে বৃদ্ধকে। এমনকি সকলে আটকানোর চেষ্টা করলেও থামাতে পারেননি। পাড়ারই একজন ছেলে বাপ্পাকে চেপে ধরলে, বাপ্পা তাঁকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পানু মণ্ডল। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। তবে শেষ পাওয়া খবর, অভিযুক্ত বাপ্পাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ফের মুম্বইয়ের (Mumbai) ব্যস্ত রাস্তায় দেখা মিলল এক অদ্ভূত ঘটনার। ফের একবার ট্রাফিক নিয়ম (Traffice Rules) লঙ্ঘন করার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হল। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তার ৭জন ছেলেকে চাপিয়ে চালাচ্ছে স্কুটি। এই দেখেই কোনও এক পথযাত্রী সেটির ভিডিও করেছেন। এরপর ভিডিও ভাইরাল হতেই তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুম্বই ট্রাফিক পুলিস থেকে জানানো হয়,অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, সেই ব্যক্তির নাম মুনাভর শাহ। সে একটি নারকেলের দোকান চালায় বলে জানা গিয়েছে। তাকেই দেখা গিয়েছে, স্কুটিতে সাত জন বালকদের নিয়ে স্কুটি চালাচ্ছে। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুজন, পাশে একজন, সিটে তিনজন বসে ও পিছনে একজন দাঁড়িয়ে। এইভাবেই চলছে স্কুটি। জানা গিয়েছে, এই সাতজনের মধ্যে চারজনই তার সন্তান ও বাকিরা তার প্রতিবেশীর সন্তান। এই দেখে রাস্তার কেউ একজন এই কাণ্ডের ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ।
এরপর এই ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুম্বই ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও এই ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে।
Not the ride we support!
— Mumbai Traffic Police (@MTPHereToHelp) June 25, 2023
This rider had put the life of all pillion riders and others in danger.
A serious offence u/sec 308 IPC for attempt to commit culpable homicide not amounting to murder has been registered against the accused rider. #FollowRules #SetRightExample https://t.co/PKgCY0grhN pic.twitter.com/q2VmoRi8oj
সন্তান (Children) নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। একথা নিজেই এক সাক্ষাৎাকারে (Interview) জানালেন। তবে সেই পরিকল্পনা পূরণ হয়নি তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইদে মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'কিসি কা ভাই কিসি কি জান'। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। আর এই ছবির জন্যই ভাইজান এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁর বাবা হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেছেন।
সম্প্রতি টিভি চ্যানেলে এক শো-তে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেখানেই সঞ্চালক সলমনকে তাঁর বিয়ে নিয়ে ফের প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেই তিনি বলেন, 'আমার পরিকল্পনা ছিল। তবে স্ত্রীয়ের জন্য নয়, এক সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমার। কিন্তু ভারতীয় আইনে তা সম্ভব নয়। দেখা যাক কী করা যায়।' বাচ্চাদের প্রতি সলমনের যে কতটা টান রয়েছে, তা বারবার দেখা যায় সমাজমাধ্যমে। তাঁর নিজের সন্তান না থাকলেও তাঁকে তাঁর ভাইপো আহিল শর্মার সঙ্গে অনেক সময় কাটাতে দেখা যায়। ফলে এবারে বাবা না হওয়ার আক্ষেপ দেখা গেল তাঁর কথায়।
তবে এখানেই শেষ নয়, সঞ্চালক করণ জোহরের উদাহরণ দিয়ে বললে সলমন জানান, তিনিও সেভাবেই সন্তান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইন বদলে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর তিনি বলেন, 'তবে আমার সন্তানের মা আমার স্ত্রী-ই হবে।'
বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ছাড়া যেন অচল বাচ্চা থেকে বয়স্ক। সবার হাতেই এখন মোবাইল ফোন। বিশেষ করে শিশুদের খাওয়ানোর সময় ফোন হাতে কার্টুনই ভরসা। আবার অনলাইন পড়াশোনার জন্য ফোন তো মাস্ট। কিন্তু এই মোবাইল ব্যবহারের তো অনেক খারাপ প্রভাবও রয়েছে। ফোনের ভালো-মন্দ বুঝে ওঠার আগেই ফোনের প্রতি এই আসক্তি শিশুদের শরীরে এবং মনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে কোন বয়সে শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত, এই নিয়েই চিন্তিত অভিভাবকরা। এই অবস্থায় কী করবেন বাবা-মায়েরা। অথবা কোনও প্রয়োজনে মোবাইল ফোন দিলে কী করা উচিত, যাতে তাদের উপর কোনও খারাপ প্রভাব না পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়ার আগে এই সমস্ত বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া উচিত।
প্রথমত, শিশুদের জানানো উচিত যে, কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কত খরচ হয়। অর্থাৎ মোবাইলের দাম কত, নেট ব্যবহারে কেমন খরচ হয়, তা জানানো উচিত। বাবা-মায়ের আর্থিক পরিস্থিতি কেমন, এসব বিষয়েই জানাতে হবে শিশুকে।
দ্বিতীয়ত, অত্যধিক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে যেমন- মাথা ব্যথা, চোখ দিয়ে জ্বল পরা, চোখ ব্যথা ইত্যাদি সম্পর্কে জানানো উচিত।
মোবাইলে নেট ব্যবহারের ফলে কী কী সমস্যায় পড়তে পারে শিশুরা, সে বিষয়ে জানিয়ে রাখা উচিত তাদের। ফলে ইন্টারনেটের ভালো-মন্দ সবটাই বিস্তারিত জানানো উচিত বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়া আগে।
মোবাইল ফোনের আসক্তি শিশুদের ব্যক্তিত্বের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে এই বিষয়েও শিশুদের জানিয়ে রাখা উচিত।
নিজেদের সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করে বড় করে তোলা বাবা-মায়েদের এক বড় কাজ। কীভাবে তাঁদের ভালো আদর্শ দিয়ে বড় করে তুলবেন, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। বিশেষ করে এই প্রজন্মের বাবা-মায়েরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত। অনেক বাবা-মা সন্তানদের জন্য কঠোর হয়ে পড়েন। ফলে বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কথা বলেছেন, যা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বলা উচিত না।
বাচ্চাদের প্রত্যেকদিনই তাদের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে তাদের উপর কখনও নিজেদের কোনও ভাবনা চাপিয়ে দেওয়া উচিত না। তাদেরকে তাদের মত বড় হতে দেওয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। শিশুদের কখনও 'স্টুপিড', 'মিথ্যাবাদী' বলে ডাকা উচিত না। এতে শিশুদের নিজের প্রতি বিশ্বাস কমে যায়। তাদের কখনও স্বার্থপর বলাও উচিত নয়। কারণ বাচ্চারা সাধারণত বড়দের অত ভাবনা-চিন্তা বুঝতে পারে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা নিজেরাই বুঝতে পারে।
আবার সন্তানদের বেশি মাথায় চড়ানোও যাবে না। বাবা-মায়েদের বিশেষজ্ঞরা বিশেষ করে জানিয়েছেন যে, সন্তানদের সামনে যেন কোনও গালিগালাজ না করা হয়। তাদের কোনও কাজে প্রশংসা করতে পারেন আপনারা, তবে স্মার্ট, জীবনে ব্যর্থ, অলস এসব বলে কটূক্তি করতে যাবেন না। এসব বললে সন্তানদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ড (Fire)। একটি বহুতলে আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে (Blast) মৃত্যু (Death) চার শিশুর। এমনকি আগুনে ঝলসে গেলেন বেশ কয়েক জন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেহরাদুনে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকল। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন দমকলকর্মীরা। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ভিতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারগুলির বিস্ফোরণ ঘটেছে, এমনটাই অনুমান। জানা গিয়েছে, মৃত এই চার শিশুর নাম সোনম, ঋদ্ধি, মিষ্টি এবং সেজল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। সুরত রাম জোশী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেই ঘটেছে এই ঘটনা। তাঁর বাড়িতে মোট ছটি পরিবার ভাড়ায় থাকতেন। এমনকি বাড়ির নিচে একটি আসবাপত্রের দোকান ও একটি রেশন দোকান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহুতলের একটি ঘরে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই বেশ কয়েকটি জোরালো বিস্ফোরণ হয়। দমকল সূত্রে খবর, কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও বাঁচানো যায়নি চার শিশুকে। ওই চার শিশু ছাড়া আরও কয়েক জন আগুনে ঝলসে গিয়েছেন। মূলত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনটাই দাবি দমকলবাহিনীর।
২০২২ থেকেই অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddique) ও তাঁর স্ত্রী আলিয়ার (Aaliya Siddique) সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। তাঁদের দাম্পত্য কলহের কথা জানতে পেরেছে নেট দুনিয়া। তিক্ততার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে প্রতারণা, অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে স্ত্রী আলিয়া। নওয়াজউদ্দিনের মা, আলিয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সন্তানের পিতৃত্ব পরীক্ষার আরজি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন আলিয়া। অন্যদিকে আলিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নওয়াজ। তাঁদের সন্তান কার কাছে থাকবে সেই নিয়ে মামলা চলছে।
সন্তানের হেফাজত পেতে চাইছেন নওয়াজউদ্দিন। কিন্তু আলিয়ার দাবি, তাঁর সন্তানরা তাদের বাবার কাছে থাকতে চায় না। সন্তানরা পিতার স্নেহ পায়নি কোনওদিন। আলিয়া আরও বলেন, 'তাঁর সন্তান ইয়ানি ও শোরা জন্ম থেকে তাঁর কাছেই থাকছে। ভবিষ্যতেও আলিয়ার কাছেই সন্তানরা থাকতে চায় বলে দাবি করেছেন তিনি।' এই টালবাহানার মাঝে বম্বে আদালত নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তানদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের সন্তানকে দুবাই পাঠাতে হবে। সেখানেই পড়াশোনা করছে নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তান ইয়ানি ও শোরা। তবে তারা শেষ পর্যন্ত কার হেফাজতে থাকে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জুন মাসে সন্তানের হেফাজতের শুনানি হবে।
সমবায় সমিতির (Samavay Samiti) গোডাউনের সামনে খেলতে যাওয়া ১০ শিশুকে মারধরের (Child Abuse) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে সমিতির ম্যানেজার-সহ আরও তিন জনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত তিন শিশু। বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর থানার রামডিহা এলাকার ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ ও সমবায় সমিতি ঘেরাও করে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের। ঘটনাস্থলে কোতুলপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের রামডিহা গ্রামের ১০টি শিশু স্থানীয় চোরকোলা রামডিহা আশ্বিনকোটা গ্রামসভা সমবায় সমিতির গোডাউনের সামনে খেলতে যায়। সেই অপরাধে ওই শিশুদের উপর চড়াও হয় সমবায় সমিতির ম্যানেজার-সহ তিন কর্মকর্তা। শিশুদের বেধড়ক মারধরও করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তিনজন শিশু গুরুতর জখম হয়ে পড়লে বুধবারই তাদের আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার প্রথমে রামডিহা গ্রামের জয়রামবাটি দ্বারিকা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে রামডিহা গোপালগঞ্জ সমবায় সমিতির মূল দরজা বন্ধ করে প্রবল বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। পরে পুলিস বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ম্যানেজার-সহ সমবায় সমিতির অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। তাঁদের দাবি, দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি না পেলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি আগামীতে আরও জোরালো আকার ধারন করবে।
তবে অভিযুক্ত ম্যানেজার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ফের বিষাক্ত ফল (Poisonous Fruit) খেয়ে অসুস্থ শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মির্জাপুরের চুনার থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, খেলতে গিয়ে একধরনের ফল নজরে পড়ে শিশুদের। সেই ফলকে বাদাম ভেবে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৬ জন শিশু। দ্রুত অসুস্থ শিশুদের ভর্তি করানো হয়েছে ডিভিশনাল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অসুস্থ শিশুদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার কাশিরাম আবাস কলোনিতে জীবন বিমা নিগম (এলআইসি)-এর ক্যাম্পাসের মাঠে খেলছিল ওই শিশুরা। সে সময় বাদাম ভেবে বিষাক্ত জাট্রোফা ফল খেয়ে ফেলে তারা। তারপর থেকেই পেটে ব্যথা, বমি শুরু হয় শিশুদের। প্রথমে তাদের চুনারের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে ডিভিশনাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আক্রান্ত শিশুর আত্মীয় জয় কুমারী জানিয়েছেন, শিশুরা বাদাম ভেবে কালো ফল খেয়েছিল। স্কুল থেকে এসে খেলতে গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর পেটে ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়া শুরু হয়।
প্রত্যেকদিন ইন্টারনেটে ভাইরাল (Viral Video) হয়ে চলেছে বহু ঘটনা। কেউ কেউ মারণরোগ ক্যান্সারের (Cancer Treatment) সঙ্গে কীভাবে লড়াই করছেন, সেই বিষয়টি ভাগ করে নেয় সকলের সঙ্গে, আবার কেউ কেউ নিজেদের প্রিয়জনের এই রোগের সঙ্গে সংগ্রামের প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করেন সামাজিক মাধ্যমে। তেমনই তুরস্কের (Turkey Hospital) এক হাসপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের উৎসাহিত করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপের ভিডিও নেটিজেনদের মন কেড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের একটি বেলুন দিয়ে সাজানো ব্যাটারিচালিত গাড়ি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সেই গাড়িতে চেপে চিকিৎসা রুমে যাবেন তারা। তুরস্কের ক্যাসেরি শহরের একটি হাসপাতালের এই মনমুগ্ধকর ভিডিও চোখে জল এনে দিয়েছে নেটিজেনদের।
(VIDEO) Turkish hospital gives children electric cars to drive to cancer treatment
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 1, 2023
At a hospital in Turkish city of Kayseri, children with cancer can get on mini battery-operated cars, instead of a stretcher, to go to their treatment room pic.twitter.com/0GjmsKeTac
এরিক্স হাসপাতালের কণিকা অ্যাসোসিয়েশান এবং শিশুরোগের অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান মুসা কারাকুরুকচু নামে এক চিকিৎসকের আবেদনে আন্দুলু এজেন্সির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে চিকিৎসকের দাবি,'মোট ৬টি ব্যাটারিচালিত গাড়ি শিশুদের দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসার জন্য অনিচ্ছুক বাচ্চারা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা এমআরআই স্ক্যানের সময় আনন্দ সহকারে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন গাড়ি চালিয়ে।' আন্তরিকতায় ভরা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার 'ভুয়ো খবরের' মাঝেও মন জোগাচ্ছে নেটিজেনদের।
ফের রাজ্যে বোমায় আক্রান্ত শৈশব, মিনাখা-কুলপির পর মালদহ! মানিকচকে বোমা ফেটে (Bomb blast) আহত দুই শিশু। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, এবং আহত (injured) দুই। ঘটনাটি মালদহের (Maldah) মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুতোলা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক শিশু, বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইটভাটা এলাকায় পড়ে থাকা বলের মতো দেখতে একটি জিনিস দেখতে পায়। সেটা বল ভেবে কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাড়ির সদস্যরা সেটাকে বাইরে ফেলে আসতে বললে শিশুরা বাইরে ফেলতে যায়। এরপরই ঘটে যায় অঘটন। বাড়ির সামনে বোমাগুলো ফেলতেই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে থাকা দুই শিশু আহত হয়েছে। আহত দু'জন আসিরুল ইসলাম (৯) ও আব্দুল মোমিন (৭)। আহতরা নাসু টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তবে ওই এলাকায় কী করে বোমা এলো, তা তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিস (police)। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যেই এসে হাজির হয়েছে বোম স্কোয়াডের টিম। চলছে তল্লাসি।
তবে এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। এদিকে, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সোমবার শিশু দিবস (Children's Day) উপলক্ষে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন পড়াশোনা করার জন্য খুদেদের হাতে ট্যাবও (Tab) তুলে দেন তিনি। মূলত অনলাইন পড়াশোনা করার সুবিধার জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ লক্ষ পড়ুয়ার হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ১০ হাজার টাকা করেও দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর দলের এবং সরকারের (TMC) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে মন্তব্য করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। নিয়োগ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ, এরকম একাধিক বিষয় উঠে আসে তাঁর মুখে।
"কাজ করতে গেলে যদি কেউ ভুল করেন তাহলে তা শুধরে নেওয়া দরকার। ভুল ভ্রান্তি হলে শুধরে নেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু কিছু লোক বাংলাকে ভালোবাসে না। সারাক্ষণ অপপ্রচার আর কুৎসা করেন।" এভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে শাসক দলের প্রতি বিরোধীদের চলা লাগাতার আক্রমণের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো।
চলতি দিনে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে তৃণমূল নেতা অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্য থেকে শুরু করে নাম না করেই পার্থ, অনুব্রত প্রসঙ্গে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের 'এনার্জি বুস্ট' করতে কোনও বিপদে ভয় না পাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
অপরদিকে এদিন শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগ প্রসঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল জমানায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হয়েছে জানিয়ে তার পরিসংখ্যানের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। "আমাদের সময়ে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে ২লাখ ৫৩ হাজারেরবেশি নিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষক প্রায় দেড় লাখ ইতিমধ্যেই নিয়োগ হয়েছেন। ১০ হাজার অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছেন" বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এদিন নাম না করেই একদিকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "বাংলায় বসে বাংলার খেয়ে-দেয়ে পরে দিল্লিকে বলছে বাংলায় টাকা দিও না। আমার বয়ে গিয়েছে দিল্লির টাকা নিতে। বাংলা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। দিল্লিকে মনে রাখতে হবে আমাদের আত্মসম্মান সবথেকে বড় জিনিস, এটা আমাদের গর্ব, আমরা ছিনিয়ে নিতে দেব না।" এককথায় এভাবেই নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের দিকে নিশানা সাধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসূন গুপ্ত: এ বছর ১৪ নভেম্বর, সোমবার দেশব্যাপী পালিত 'শিশু দিবস' (Childrens Day)। লোক দেখানো নয়, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (Jawaharlal Neheru) যথার্থই ভালোবাসতেন শিশুদের। যে কোনও সভা-সমিতিতে গেলে সেখানে বাচ্চা দেখলেই তিনিও শিশু হয়ে যেতেন। শোনা যায়, তাঁর জামাই তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ফিরোজ গান্ধীর মৃত্যুর পরে নাকি প্রচণ্ড অবসাদে ভুগেছিলেন ইন্দিরা। নেহেরু কন্যা-সহ দুই নাতিকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন। এই দুই নাতিদের অন্যতম প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং একসময়ের কংগ্রেস যুব নেতা সঞ্জয় গান্ধী।
কার্যত যখনই সময় পেতেন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল তখনই নাতিদের সঙ্গে খেলায় মত্ত হতেন। নেহেরু পছন্দ করতেন আইনজীবীদেরও, তিনি নিজে ব্যারিস্টার ছিলেন। মহাত্মা গান্ধীও ব্যারিস্টার ছিলেন। ফলে স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত নেতাদের মধ্যে আইনজীবীদের একটা ভূমিকা ছিল। প্রথম স্বাধীন ভারতের মন্ত্রিসভায় নেহেরু অনেক আইজীবীদের মন্ত্রী করে নিয়ে আসেন। চিত্তরঞ্জন দাশের নাতি ঠিকমতো ব্যারিস্টারি পড়ছে কিনা, তার খবরও নিতেন নিয়মিত। পরে ওই নাতিই সিদ্ধার্থ শংকর রায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এরকম বহু ইতিহাস আছে আইনজীবী ও নেহেরুকে নিয়ে।
প্রয়াত অজিত পাঁজার আজ আবার প্রয়াণ দিবস। ১৯৩৬-এ অজিতবাবু এক বর্ধিষ্ণু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারটি ছিল পুরোদস্তুর গান্ধীবাদী স্বদেশী আন্দোলনের। অজিতবাবু এই প্রতিবেদককে জীবদ্দশায় জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা বিদ্যায় আগ্রহ থাকা তাঁর পরিবারে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। তাই আইন পড়া শুরু করেন। কলেজে জীবনে স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। ১৯৬২-র চীন ভারত যুদ্ধের পর নেহেরু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলার পথে তাঁকে লাঠি ব্যবহার করতে হতো।ক্রমে অজিত পাঁজার সঙ্গে নেহেরুর আলাপ হয়। অজিতবাবু তখন আইন পাস করে একদিকে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন অন্যদিকে চুটিয়ে কংগ্রেস করছেন। নেহেরু খুব খুশি হন আরও এক আইজীবীকে কাছে পেয়ে।
তিনি অজিতবাবুকে নবীন প্রজন্মের রাজনীতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার উপদেশ দেন। এঁরা যেন আইন বুঝে দেশের কাজ করে।অজিতবাবু পরবর্তীতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব পান।রাজীব গান্ধীর আমলে কেন্দ্রের মন্ত্রী, নরসিমা রাওয়ের আমলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। শেষে দল ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন এবং জিতে ফের বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন অজিত পাঁজা। সুস্থও হয়েছিলেন কিন্তু মমতার বঙ্গজয় আর দেখে যেতে পারেননি। ভারতীয় রাজনীতির এই দুই বর্ণময় চরিত্র; একজনের জন্মদিন আর একজনের প্রয়াণ দিন।