Breaking News
Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে     

ChildMarriage

Court: নাবালিকা বিয়ে রুখতে কী পদক্ষেপ, মোদী সরকার থেকে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

নাবালিকার বিয়ে (Child Marriage) রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Delhi)। বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে এটা জানতে চাওয়া হয়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Justice DY Chandrachud) বেঞ্চ কেন্দ্রকে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য পেশের নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, জুলাই মাসেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

২০০৬ সালে নাবালিকার বিবাহ প্রতিরোধ আইনের প্রয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির অভিযোগ, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত ভাবে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এমনকি কেন্দ্রের নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রককে রাজ্যগুলির কাছ থেকে প্রকৃত বিষয়টি জানারও নির্দেশ দেন শীর্ষ আদালত।  

শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের অপর দুই সদস্য বিচারপতি পিএস নরসীমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। ওই দুই সদস্য এই মামলায় কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন, নাবালিকা বিবাহ রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সত্বর আদালতকে জানাতে হবে।

তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মাধবী দিবান আদালতে জানান, 'কেন্দ্র সরকার দেশের সব মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়স ২১ করার জন্য সংসদে বিল পাশ করিয়েছে।' এমনকি নাবালিকার বিবাহ আটকানোর জন্য রাজ্যগুলিকেই এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিবাহ আটকাতে আধিকারিক নিয়োগ করার দায়িত্বও রাজ্যগুলিকেই দিয়েছিন তিনি, জানালেন মাধবী দিবান। 

one year ago
NCPCR: বাল্যবিবাহ রোধে শিথিলতা এবং পুলিস নিষ্ক্রিয়তা! দফতর সচিবকে দিল্লিতে তলব

পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা এবং বাল্যবিবাহ (Child Marriage) রোধে শিথিলতার অভিযোগ। আর সেকারণেই বাংলার নারী-শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে (Principal Secretary) দিল্লিতে তলব। সূত্রের খবর, ১৬৩০টি বাল্যবিবাহের ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

সূত্রের খবর, ১৬৩০টি বাল্যবিবাহের ঘটনায়, পুলিসকে ইনফরমেশন দেওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এমনকি প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, বাল্যবিবাহ রুখতে তৎপর নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরও খবর, কালেক্টরদের থেকে তথ্য না পাওয়ার কারণে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রধান সচিবকে তলব করা হয়েছিল।

প্রধান সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরে ৬৭৩৩টি বাল্যবিবাহের ঘটনা পুলিসের নজরে এসেছে। ৫০৯৩টি ঘটনায় পুলিসের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ রোধ করা গিয়েছে। চেয়ারপার্সন প্রশ্ন, ১৬৯০টি ঘটনায় পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এছাড়া প্রিয়াঙ্কের আরও অভিযোগ, প্রধান সচিবের দেওয়া তথ্যে এফআইআর সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য নেই। সে জন্যই সংশ্লিষ্ট দফতরের সেক্রেটারিকে তলব করা হয়েছে।


one year ago
Child: 'বাল্যবিবাহে মদতে কড়া ব্যবস্থা'!অসমে পুলিসি ধরপাকড়, ধৃত আড়াই হাজারের বেশি

উদ্বেগজনকভাবে বাল্যবিবাহ বাড়ছিল অসমে (Assam)। বাল্যবিবাহ বন্ধ (Prohibition of Child Marriage Act) করার লক্ষ্যে অনেক প্রচার হলেও কার্যক্ষেত্রে তা ব্যর্থ হয়েছে। তারপরেই অসমের সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য রাজ্যজুড়ে বড় ধরনের অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যের ক্যাবিনেটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অভিযান শুরু হবে। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সেই মতো নির্দেশও দেন পুলিসকে, শুরু হয় ধরপাকড়। রিপোর্ট বলছে, এখন পর্যন্ত ২,৭৬৩ জনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিস। আর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে মোট ৪,১৩৫টি।

অসম পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার বিয়ের অভিযোগে ২১৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন খোজালেতে, নগাঁওতে ১৮৪ জন, ধুবরিতে ১৮৩ জন, বাকসায় ১৫৮ জন, বরপেটায় ১৪৬ জন, বিশ্বনাথে ১৪০ জন, মোরিগাঁওতে ১২৮ জন, বঙ্গাইগাঁওতে ১২১ জন, হাইলাকান্দিতে ১১৮ জন, কোকরাঝাড়ে ১০৮ জন, করিমগঞ্জে ১০৭ জন, কামরূপে ১০২ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে। কেউ বাল্যবিবাহ করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে কোনও জেলা বা জাতি দেখা হবে না। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে POCSO এবং বাল্যবিবাহ বন্ধ আইন অনুসারে মামলা দায়ের করা হবে।”

মন্ত্রিসভায় বলা হয়েছিল, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা করতে এই পদক্ষেপ। সেই কারণেই ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়ের বিয়ে হলে পকসো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ১৪-১৮ বছরের মধ্যে মেয়েদের বিয়ে করলে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

one year ago


Child: বাল্যবিবাহ রুখতে কড়া অসম সরকার, রাজ্যব্যাপী অভিযানে ধৃত ১৮০০! কী হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

বাল্যবিবাহ (Child Marriage) রুখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অসম সরকার (Assam Government)। ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েকে বিয়ে করলেই যৌন হয়রানি এবং পকসো আইনে মামলা করা হবে, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Chief Minister Himanta Biswa Sarma)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই রাজ্যজুড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ অভিযান শুরু করে পুলিস (Police)। আর তাতে ১৮০০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পনেরো দিনেরও কম সময়ে রাজ্যজুড়ে ৪ হাজারেরও বেশি বাল্যবিবাহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যজুড়ে ১৮০০ জনের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি তদন্ত জারি রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেন। তিনি লিখেছেন, বাল্যবিবাহ আইন ভাঙার অভিযোগে রাজ্যজুড়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে ১৮০০ জনের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা কোনও রকম ছাড় পাবে না। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্যভ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা করা। সেই কারণেই ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়ের বিয়ে হলে পকসো আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি ১৪-১৮ বছরের মধ্যে মেয়েদের বিয়ে করলে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।

one year ago
Ghatal: বাল্য বিবাহের আয়োজনে পুলিসি হানা! ছাদনাতলা থেকে গ্রেফতার পাত্র-সহ ৩

বাল্য বিবাহের (Child marriage) গোপন খবর পেয়ে একেবারে ছাদনাতলায় হাজির পুলিস (police)। পাত্র-সহ পাত্রের বাবা, কাকা ও পুরোহিতকে গ্রেফতার (arrest) করল ঘাটাল থানার পুলিস। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal)। জানা গিয়েছে, পার্থ গুছাইত নামে বনহরিসিংহপুর এলাকার এক পাত্রের সঙ্গে গোপমহল মনোহরপুর এলাকার এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। বিয়ে হচ্ছিল বাঘানালার সনৎ চক্রবর্তী নামে এক আত্মীয় বাড়িতে। এই সনৎবাবুই আবার ছিলেন এই বিয়ের পুরোহিত।

বিয়ের খবর পায় ঘাটাল থানার পুলিস। এরপর শনিবার রাতেই বাঘানালা এলাকায় বিয়ের আসরে গিয়ে হাজির হয় ঘাটাল থানার পুলিস। ছাদনাতলা থেকে পাত্র পার্থ গুছাইত-সহ পিতা অশোক গুছাইত, কাকা হারাধন গুছাইত এবং এই বিয়ের পুরোহিত অর্থাৎ সনৎ চক্রবর্তীকে পাকড়াও করে পুলিস। পাত্রীর প্রকৃত বয়স যাচাই করে ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে রবিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়।

প্রসঙ্গত, নাবালিকা বিয়ে বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে অপরাধ জেনেও মাঝে মধ্যেই ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই বিয়ের খবর শোনা যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে পুলিস। এই নিয়ে দফায় দফায় ঘাটাল শহরজুড়ে সচেতনতা শিবির থেকে শুরু করে মাইক প্রচার চলছে।

তারপরেও এই নাবালিকা বিয়ের অভিযোগ শুনে চুপ করে বসে থাকেনি প্রশাসন। প্রশাসনের সাফ কথা, সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে নাবালিকা বিয়ে। আর বালিকা বিয়ের খবর পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।

one year ago