Breaking News
Election 2024: শিরোনামে সেই কোচবিহার! তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত শীতলকুচি সহ একাধিক এলাকা      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

ChildDeath

Jalpaiguri: নার্স-চিকিৎসকদের গাফিলতিতে মৃত্যু নবজাতকের! কাঠগড়ায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল

সন্তান প্রসবের সময় দেখাই মিলল না নার্স, চিকিৎসকদের। হাসপাতালের জেনারেল বেডেই সদ্য পৃথিবীর আলো দেখেই প্রাণ হারালো নবজাতক। কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতালের লেবার রুমে নয়, সন্তান প্রসব করেছিলেন হাসপাতালের সাধারণ বেডেই। অভিযোগ, নার্সদের দেখা তো পাওয়া যায়নি। প্রসবের পরেও অবহেলা, গাফিলতিতে প্রাণটাই চলে যায় সদ্য পৃথিবীর আলো দেখতে পাওয়া শিশুটির। প্রশ্ন উঠছে, মায়ের প্রসব যন্ত্রণার কান্না কি পৌঁছয়নি কর্মকর্তাদের কানে?

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন ভেমটিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরিনা পারভিন। প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসক তো দুরস্ত, নার্সদেরও দেখা মেলেনি। অগত্যা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে হাসপাতালেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নুরিনা। পরিবারের ছোটাছুটি চিৎকার- চেঁচামেচির প্রায় দীর্ঘ সময় পর ছুটে আসেন সকলে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। অভিযোগ, সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে আলাপ আলোচনা, চা পানে ব্যস্ত ছিলেন কর্তব্যরত নার্সরা। হাসপাতালের বেডেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন প্রসূতি। বেডেই নোংরার মধ্যে পড়ে থাকে সদ্যোজাত। শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই মৃত্যু হয় নবজাতকের। ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার বিএমওএইচের।

5 months ago
Malda: চিকিৎসার গাফিলতিতে সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর অভিযোগ বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে

আবারও চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medical negligence) শিশু মৃত্যুর (Child Death) অভিযোগ। অভিযোগ তুলে চাঁচলের (Chanchal) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান শিশুর পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলো চাঁচল থানার পুলিস।

জানা গিয়েছে, চাঁচল এলাকার বাসিন্দা সোমা পারভিন গত বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সিজার করার পর সেদিন রাতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। জ্বরে আক্রান্ত হয় সদ্যোজাত ওই শিশু কন্যা। এরপরও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনওরকম চিকিৎসা করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার রাতে ওই শিশু কন্যার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে। শনিবার ভোররাতে মারা যায় ওই শিশু কন্যা।

এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোম ভাঙচুর চালান মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা ন্যায় নার্সিংহোম চত্বরে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাঁচল থানার পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মাতৃদুগ্ধ পান করতে গিয়ে ওই শিশু কন্যার শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যেহেতু সেখানে স্পেশাল কেয়ার ইউনিট নেই তাই তাকে সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করা হয়। এদিকে সমগ্র ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, চাঁচলে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে নার্সিংহোম। কিন্তু সেগুলিতে থাকছে না স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পরিকাঠামো। প্রশ্ন উঠছে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতর কতটা নজরদারী চালাচ্ছে।

7 months ago
Alipurduar: বেহাল রাস্তা, নিয়ন্ত্রণ সামলাতে না পেরে চলন্ত বাইক থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে ৬ মাসের শিশু

বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর (Child Death) ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তার বলি ৭ মাসের শিশু। বাইক থেকে দুই সন্তান ছিটকে পড়ে তোর্সা নদীতে।এক সন্তানকে কোনওভাবে বাঁচাতে পারলেও জলের তোড়ে তলিয়ে যায় ৭ মাসের শিশুটি। ফালাকাটা আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) নির্মীয়মান মহা সড়কের বালুরঘাটের চর তোর্সা ডাইভারসনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফালাকাটা থানার পুলিস (Police) ও ফালাকাটা দমকলের একটি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় তোর্সা নদীতে কয়েক ঘন্টা তল্লাশির পরই নদীর ভাটি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে শিশুটির দেহে উদ্ধার হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। 

সূত্রের খবর, বুধবার রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ফালাকাটা থেকে সাহেবপোতার বাড়িতে ফিরছিলেন উত্তম দাস নামের ওই ব্যক্তি। তবে আলিপুরদুয়ারের নির্মীয়মান মহা সড়কের বালুরঘাটের চর তোরসা ডাইভারসনের ওপর দিয়ে আসার সময় যান জটে পড়েন তাঁরা। সেই সময়ই এক গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এই ঘটনার পরেই হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে তোর্সা নদীতে পড়ে যায় দুই সন্তান। 

স্থানীয সূত্রে খবর, সন্তানদের বাঁচাতে অন্ধকারেই তোর্সা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই দাম্পত্তি। কোনও রকমে এক সন্তানকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারলেও  জলের স্রোতে ভেসে যায় তাঁদের ৭ মাসের দুধের সন্তান। 

এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই এলাকায় মহা সড়কের কাজ থমকে আছে। সাধারণ মানুষ নিত্যদিন এই ভোগান্তির শিকার হয়ে সংগ্রাম কমিটি গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।

8 months ago


Nabanna: বেহালায় দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব নবান্নের, কড়া শাস্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বেহালার দুর্ঘটনায় পড়ুয়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় এবার সক্রিয় নবান্ন। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় লালাবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।

শুক্রবার সকালে বেহালা-চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের। তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিসের সিপি বিনীত গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিস ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। পরবর্তীতে আর এরকম হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

উল্লেখ্য, স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার করার সময় লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বড়িষা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের (৭)। বেহালার নবপল্লীতে বাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তাঁর বাবা সরোজ কুমার সরকার। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরও মৃত্যু হয়।

এদিকে, শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয় বেহালা চৌরাস্তা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বড়িশা হাই স্কুলের সামনে পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে স্কুল গেটের সামনে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস। স্কুল ক্যাম্পাস ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক খুদে। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।

9 months ago
Behala: বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়াই কাল হল! দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুতে রণক্ষেত্র বেহালা

ভোরে বাবার হাত ধরে স্কুলে বেরিয়েছিলেন ক্ষুদে শিশুটি। হঠাৎ মাটি বোঝাই একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। তাঁর বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করেন। এবার এ ঘটনার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঘটনাস্থল বেহালা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাস্তা অবরোধ, এরপর পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, লাঠিচার্জ। অবশেষে ঘাতক লরিটি ও লরিচালক কে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।

সূত্রের খবর, ভোর বেলায় এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের খুদে পড়ুয়ার, এরপরেই মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ভ্যানে। বেশ কয়েকটি সরকারি বাসও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। স্থানীয়দের বিক্ষোভে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোড। পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘুষ নিয়ে অভিযুক্ত লরি চালককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তবে সকাল ১০টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে ওই ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করে হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিস। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের হাতে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর বেহালার পরিস্থিতি সামাল দিতে কনভার্ট বাহিনী ‍্যাব পাশাপাশি বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়ন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলতে গেলে এক পশলা বচসা, এরপরই বিক্ষোভ তুমুল আকার ধারণ করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে হয় পুলিসকে। পুলিস এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তা। রাস্তায় আটকে প্রচুর যানবাহন। চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।

পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে লরি চালকটিকেও। এই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করা হবে।

9 months ago


School: স্কুল টিফিনে খেলতে খেলতে বিপত্তি! হৃদযন্ত্র বিকল, মৃত্যু প্রথম শ্রেণির ছাত্রের

স্কুলে টিফিন চলাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু (Death) এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলে (School)। ইতিমধ্যেই মৃত শিশুর বাবা-মা স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর নাম পিয়ের লুই (৫)। নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল লুই। স্কুলের ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন করতে যায় লুই। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলের মাঠে খেলাও করে সে। খেলা করতে করতে হঠাৎই লুই মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে। এই অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকরা দূরে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলেন লুই বোধহয় মশকরা করছে। যায় ফলে তাঁরা লুইকে তুলতে এগিয়ে যাননি। 

সূত্রের খবর, বেশ অনেকক্ষণ ধরেই মাঠে শুয়ে ছিল লুই। যার ফলে সন্দেহ হয় স্কুলের শিক্ষকদের। তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন লুইয়ের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও ময়নাতদন্তের পরই লুইয়ের মৃত্যুর কারণ জানা যায়। ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর কারণেই মৃত্যু হয় শিশুর। তবে চিকিৎসকের মতে, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে হয়তো বাঁচানো যেত ওই শিশুকে। 

লুইয়ের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন লুই তার বাবার সঙ্গে স্কুলে যায়। লুইয়ের আগে থেকে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখেননি বাবা-মা। এমনকি লুই স্কুলে গিয়ে দুটো ক্লাসও করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লুইয়ের পরিবার অভিযোগ তুলেছে স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

12 months ago
Murder: সম্পত্তিগত বিবাদের বলি সাত বছরের শিশু, শিলচরে হাড়হিম কাহিনী

পরিবারের সদস্যের হাতে খুন (Child Murder) সাত বছরের এক শিশু। সম্পত্তিগত বিবাদে  মতবিরোধ চলছিল কয়েকদিন ধরে। অসমের (Assam Incident) শিলচর এলাকার এই খুনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, শনিবার পারিবারিক এই বিবাদ বিশাল আকার নেয়। সে সময় বাড়ির অন্য সদস্যরা রাগের মাথায় উত্তেজিত হয়ে এক মহিলার দিকে ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসেন। তা দেখে বাড়ির ছোটো সদস্যরা ভয়ে মা-কে জড়িয়ে ধরতেই এক শিশুর গায়ে ছুরি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খুদের। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। 

সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরের এই খুনের ঘটনা চাউর হতেই তদন্তে নামে পুলিস। এই ঘটনার ভিত্তিতে কঠিন পদক্ষেপ নেয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্পত্তিগত বিবাদে প্রায় অশান্তি লেগে থাকতো ওই বাড়িতে। ঘটনার দিন চরম আকার নেয় ঝামেলা।ঝামেলা গড়ায় খুনোখুনিতে। মৃত শিশুর মাকে মারতে উদ্যত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরা। যার ফলে আচমকাই ছুরির ঘা গিয়ে লাগে শিশুর শরীরে। পুলিস জানিয়েছে, খুনের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


one year ago
Death: খেলার ছলে খালে পড়ে ভেসে গেল ২ বছরের শিশু, উদ্ধার মৃতদেহ

খালের জলে ভেসে ওঠে এক শিশুর দেহ (Child Death Body)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) উস্থি থানার (Usthi Police) লালপোল এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উস্থি থানার পুলিস। শিশুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে পাঠায় পুলিস। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আফফান লস্কর। জয়নগর থানার ধপধপি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বাবা-মায়ের সঙ্গে উস্থিতে মামার বাড়িতে এসেছিল আফফান। শনিবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাটের ক্রিক খালের পাশে খেলতে যায় সে। খেলার সময় অসাবধানতায় খালের জলে পড়ে তলিয়ে যায় বছর ২ এর আফফান লস্কর। সেই সময়ই খালে জোয়ারের টান থাকায় নিমেষেই জলের স্রোতে তলিয়ে যায় ২ বছরের শিশু। পরে আফফানের খোঁজে খালের জলে তল্লাশি শুরু করে তাঁর পরিবার।

পরে খবর দেওয়া হয় উস্থি থানার পুলিসকে। উস্থি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাট খালে তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও খোঁজ মেলেনি ওই শিশুর। এরপর রবিবার সকালে ওই খালের মধ্যেই ভেসে ওঠে শিশুটির দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত গোটা এলাকা।

one year ago


Adeno: জ্বর-শ্বাসকষ্টে জারি মৃত্যু! শহরের হাসপাতালে আড়াই বছর, সাত মাসের ২ শিশুর মৃত্যু

শহরের হাসপাতালে অব্যাহত জ্বর-শ্বাসকষ্টে শিশুমৃত্যু (Child Death)। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২৪ ঘন্টায় অন্তত চার শিশুর মৃত্যু। রবিবার সকালে বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও দুই শিশুর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক আড়াই বছরের শিশুকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার কার্তিকপুরের বাসিন্দা। জ্বর থেকে নিউমোনিয়া হয়। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার বা পিকুতে (PICU) ভর্তি ছিল শিশুটি। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার আইসিইউ-তে বেডের প্রয়োজন থাকলেও তা পাওয়া যায়নি। 

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চৈতালের বাসিন্দা ৭ মাসের শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। গত ৯ দিনে বিসি রায় হাসপাতালে মোট ৩৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বিসি রায় হাসপাতাল শহরের অন্যতম পেডিয়াট্রিক কেয়ার হাসপাতাল। তবে রবিবার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ বিভাগ খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিক। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা মানুষদের। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিদিনই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে ফিভার ক্লিনিক। তবে রবিবার কেন বন্ধ এই বিভাগ তা স্পষ্ট নয়। এমনটাই অভিযোগ রোগী পরিবারের। 

অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিত্রটা একটু আলাদা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘন্টায় ২৪ জন অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশু ভর্তি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগে। তবে গত ৪৮ ঘন্টায় কোনও শিশুর মৃত্যুর খবর নেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে স্বস্তির খবর মিললেও শিশুমৃত্যু অব্যাহত  বিসি রায় হাসপাতালে। 


one year ago
Infection: শহরের হাসপাতালে ফের অ্যাডিনোর বলি প্রায় এক বছরের শিশু

ফের অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) বলি প্রায় এক বছরের শিশু। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) মৃত্যু হয় শিশুটির। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর অভিযোগ শিশুর পরিবারের। জানা গিয়েছে, শাসন থানার অন্তর্গত গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই শিশু। গত রবিবার পরিবারের সদস্যরা শিশুকে ভর্তি করেছিলেন বিসি রায় হাসপাতালে। তিনদিন চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। বাড়িতে এসে ফের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয় শিশুটি। এরপরেই মৃত্যু হয় শিশুর (Child Death)।

পরিবার সূত্রে খবর, একমাস আগে শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। প্রথমে বারাসাত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে ছেড়ে দেন। পরে আবার নতুন করে জ্বর-সর্দি-কাশি হলে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানেও তিনদিন চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। গত তিনদিন আগে ফের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সেখানেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় শিশুটি। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তা আগে কেন জানানো হয়নি। একের পর এক শিশু মৃত্যুতে ঘুম কাড়ছে রাজ্যের। তারপরেও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির ছবি দেখছে সাধারণ মানুষ। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। 

মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বৈঠকে জানান, প্রত্যেকটি শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালগুলিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমানে শিশুর ডাক্তার। তারপরেও কেন শিশু হাসপাতালগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন সিলিন্ডার, অভিযোগ সাধারণ মানুষের। 

গত ৬ দিন আগে কামালগাছির এক ছয় মাসের শিশু জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় ক্যানিং হাসপাতালে। কিন্তু প্রথমে ক্যানিং থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে চিত্তরঞ্জন থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বিসি রায় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির। 

one year ago


Cheetah: অন্ধকারের সুযোগে শিশুর উপর চিতাবাঘের হামলা, কামড়-আঁচড়ে মৃত একরত্তি

রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে চিতাবাঘের (Leopard Attack) হামলায় মৃত্যু দেড় বছরের এক শিশুর। বাড়ির সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় খুদের পরিবার সেই বন্যপ্রাণকে তাড়া করে। শিশুকে (Child Death) ফেলে পালালেও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সেই খুদের।

জয়পুরের জামওয়া রামগড় এলাকার এই ঘটনায় এখনও আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে খেলছিল শিশুটি। সন্ধ্যার অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অতর্কিতে ওই বাড়ির সামনে হানা দেয় চিতাবাঘ।

শিশুর উপর হামলে পড়ে, তাকে কামড়ে, টেনে-হিঁচড়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটি কেঁদে ওঠে। তার কান্না শুনে ছুটে আসেন অন্যরা। বাঘটিকে তাড়া করলে শিকার ছেড়ে জঙ্গলের পালায় সে। শিশু তখনও জীবিত থাকলেও, গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিশুর। বন দফতর সূত্রে খবর, চিতাবাঘটি ক্ষুধার্ত ছিল। সেই কারণেই জঙ্গল ছেড়ে খাবার খুঁজতে খুঁজতে সে লোকালয়ে ঢোকে। সন্ধ্যায় শিশুটিকে একা পেয়ে আক্রমণ করে। জানা গিয়েছে, রামগড় লাগোয়া জঙ্গল থেকেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘ।


one year ago
Birbhum: দাদুর বাড়িতে খেলতে-খেলতে বোমা ফেটে জখম দুই শিশু! ৫ দিন পর মৃত এক

ফের বোমার ঘায়ে (Bomb Blast) রক্তাক্ত শৈশব। এবার বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার একডালা গ্রামে বোমা ফেটে মৃত এক শিশু। জানা গিয়েছে, ঘটনার ৫ দিন পর কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় বছর ছয়ের সোহন শেখের। চোখ গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন তার তুতো ভাই রোহন শেখ। দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছয় বছরের সোহন এবং সাত বছরের রোহন শেখ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তথা মৃত শিশুর দাদু জামিরুল ইসলামের মাটির বাড়ির চিলেকোঠায় খেলা করছিল দু'জন। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দ পান গ্রামবাসীরা।

জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় দুটি শিশুর মুখ পুড়ে যায়, দু হাতে ক্ষত ছিল। ঘটনার দিন তাদের উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং শনিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় দুজনকেই। সেখানেই বুধবার ভোররাতে মৃত্যু হয় এক শিশুর। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া ক্ষত বেশি থাকার কারণে, প্রেসার লো হয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সোহন শেখের। মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই মৃত্যু।

বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনেকক্ষণ ঘরে বারুদের গন্ধ এবং দেওয়ালে চিড় দেখা গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত জামিরুলের দাবি, চকলেট বোমা নিয়ে খেলা করার সময় বিপত্তি। এমনকি, তিনি তৃণমূল কর্মী নয় বলে দাবি করলেও, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জামিরুলের সঙ্গে শাসক দলের সম্পর্ক স্বীকার করে নিয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, জামিরুল কোন দল করেন না, সাধারণ কৃষক। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও বোমা উদ্ধার করেনি মারগ্রাম থানার পুলিস। তবে গ্রেফতার নিহত শিশুর দাদু জামিরুল ইসলাম। স্থানীয়রা অবশ্য দাবি করছেন, বিস্ফোরণের শব্দ চকলেট বোমা ফাটার মতোই। কিন্তু পুলিসের প্রাথমিক ধারণা, চকলেট বোমা বিস্ফোরণে এত বড় ঘটনা ঘটে না। বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল, এটা ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস।

মৃতের পরিবারের দাবি, যে বাজি ছিল তাতে এমন কিছু বিস্ফোরক ছিল তার জেরে এত বড় ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর মৃত সোহন শেখের মা জামিনা খাতুনের দাবি, 'বাড়িতে কোনও বোমা ছিল না। বিয়ের জন্য আনা আতসবাজির পুরনো প্যাকেট নিয়ে ওরা খেলছিল। প্যাকেট পুরনো দেখে আমরা ভেবেছিলাম কিছুই হবে না। কিন্তু তারপরেই বিস্ফোরণের শব্দ। কী থেকে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না। রোহন এবং সোহন পড়া দু'জনে সবসময় একসঙ্গেই থাকে।'

বুধবার সকালে জামিনা খাতুন জানান, 'বিয়ে বাড়ির আতসবাজির প্যাকেট খেলতে খেলতে পুরো ধরিয়ে দিয়েছিল। একটা একটা করে আগুন ধরালে হয়তো এই দুর্ঘটনা ঘটত না। এই ঘটনায় আমাদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। আতসবাজির মধ্যে কী ছিল, কিছুই বুঝতে পারছি না। এমনকি আমার বাবাকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবা আমার ছেলেদের খুব ভালবাসতো।'


one year ago
Death: মুম্বইয়ের ক্লাবে বিশ্বকাপ দেখতে মগ্ন বাবা-মা, ছ’তলা থেকে পড়ে মৃত্যু শিশুর

মুম্বাইয়ের (Mumbai) মেরিন ড্রাইভের গারওয়ার ক্লাবে রবিরাতে সকলে মেতে উঠেছিলেন কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) আনন্দে। কিন্তু মুহূর্তেই সেই আনন্দ পরিণত হল শোকে। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ সবাই খেলা দেখতে ব্যস্ত। সেই সময় ছ’তলার সিঁড়ির রেলিং গলে নীচে পড়ে মারা (death) যায় ৩ বছরের হৃদয়াংশ রাঠৌর।

রবিবার ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচ চলছিল। সকলেই উত্তেজিত মেসির হাতে কাপ দেখার জন্য। জানা গিয়েছে, ওই ক্লাবের সহসভাপতি রাজ পুরোহিত ক্লাবের ৪০০ সদস্যের জন্য সাততলায় জায়েন্ট স্ক্রিন বসান। উল্লেখ্য, রাজ পুরোহিত একজন বিজেপি নেতাও। সকলে সেদিন ম্যাচের আনন্দ উপভোগ করছিলেন। তখনই শুনতে পান ভারী কিছু পড়ার শব্দ। সকলে দৌড়ে যান। গিয়ে দেখেন নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৩ বছরের শিশুটি। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা হৃদয়াংশকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পুলিস সূত্রে খবর, হৃদয়াংশ তার বাবা-মা এবং দিদির সঙ্গে মেরিন ড্রাইভের কাছে ওই ক্লাবে গিয়েছিল। বছর এগারোর একটি ছেলের সঙ্গে ছ’তলায় ওয়াশরুমে গিয়েছিল হৃদয়াংশ। সেখান থেকে ফেরার সময় পা পিছলে সিঁড়ির রেলিং গলে পড়ে যায়। আওয়াজ পেয়ে ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে আসে। তারপর হৈচৈ পড়ে যায়।

হৃদয়াংশের বাবা অবিনাশ ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। শিশুটির এক আত্মীয়ের অভিযোগ, সিঁড়ির রেলিং কাচ দিয়ে ঘেরা ছিল। কিন্তু রেলিংয়ের একটা জায়গায় কাচ ভাঙা ছিল। সে জায়গাটা ফাঁকা ছিল। খেলা দেখানোর আয়োজনের আগে এই জায়গাটি ঠিক করা উচিত ছিল বলে দাবি শিশুটির আত্মীয়ের। জায়গাটি ঠিক থাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না বলে অভিযোগ।

মেরিন ড্রাইভ থানার পরিদর্শক সন্তোষ আভাদ বলেন, "দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখনও অবধি ক্লাবের বিরুদ্ধে কোনও অবহেলার মামলা দায়ের করা হয়নি। আরও তদন্ত চলছে। মাথায় আঘাতের পরে চিকিৎসা চলাকালীন ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে। রাত ২ টোর দিকে মারা যায়। ছেলেটির বাবার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।"

one year ago


Malaysia: ভোররাতের ভূমিধসে মালয়েশিয়ায় এক শিশু-সহ মৃত ১২, নিখোঁজ ২০

মালয়েশিয়ার (Malaysia) রাজধানী কুয়ালালামপুরের (Kuala Lumpur) উপকণ্ঠে সেলাঙ্গর রাজ্যে শুক্রবার ভোররাত ৩ টেয় ভূমিধসের (landslide) ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৫ বছরের শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত (Death)। এখনও নিখোঁজ ২০ জনেরও বেশি। সেলাঙ্গরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রাস্তার পাশের একটি ফার্মহাউসে ক্যাম্পিং করার সুযোগ রয়েছে। সেখানেই ক্যাম্পিং করতে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক। সব মিলিয়ে তাঁরা ছিলেন ৯২ জন। এদের মধ্যে ৫৯ জনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ ২২ জন এবং আহতদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায় মালয়েশিয়ার ডিজাস্টার অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ।

জেলা পুলিস প্রধান সুফিয়ান আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার অভিযানের জন্য বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ৪০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। অধি দফতরের  পরিচালক নোরাজাম খামিস বলেছেন, ভূমিধসটি ক্যাম্প সাইটের আনুমানিক ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতা থেকে পড়েছিল এবং প্রায় এক একর (০.৪ হেক্টর) এলাকা জুড়ে ছিল।

এদিকে, জীবিতদের সন্ধানে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মীরা। উল্লেখ্য, সেলাঙ্গর হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাজ্য এবং এর আগেও রাজ্যটি ভূমিধসের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চলে এখন বর্ষা চলছে, তবে সেখানে গত রাতে কোনও ভারী বৃষ্টি বা ভূমিকম্পের মতো ঘটনা ঘটেনি। এক বছর আগে মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

one year ago
Death: মর্মান্তিক! মালদহে খেলতে খেলতে পুকুরে পড়ে ডুবে মৃত্যু দুই শিশুর

মর্মান্তিক ঘটনা! খেলতে খেলতেই পুকুরের জলে পড়ে গিয়ে ডুবে মৃত্যু (death) দুই শিশুর। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি মালদহের (Maldah) চাঁচলের হারোহাজারা গ্রামের। খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলকায়, শোকের ছায়া পরিবারে। মৃতদেহ (deadbody) দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই শিশুর নাম আনিমুল হক বয়স ৪ বছর এবং তাসমিরা খাতুন বয়স ৩ বছর। মঙ্গলবার দুপুরে তারা দু'জনে পুকুর পাড়ে খেলা করছিল। ঠিক সে সময় খেলতে খেলতে আচমকাই জলে পড়ে যায় আনিমুন। আনিমুলকে বাঁচাতে ছুটে আসে তাসমিনা। তারপরে সেও জলে পড়ে যায়। এরপর দুজনেরই জলে ডুবে মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি করে জলে নেমে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। 

one year ago