মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno national park) একের পর এক চিতার মৃত্যুতে বেড়েছে উদ্বেগ। পাঁচ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৯টি চিতার। তার মধ্যে অষ্টম এবং নবম চিতার মৃত্যু হয়েছে বর্ষাজনিত সংক্রমণেই। এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।
ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ”এই নিয়ে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই। বর্ষাকালের পোকার কামড় থেকে তৈরি হওয়া সংক্রমণের বিষয়টি আমার নজরে পড়েছে। দু’টি চিতা ওই সংক্রমণেই মারা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও হয়েছে।” উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মেনে আফ্রিকার একাধিক দেশ থেকে ভারতে চিতা আনা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় কুনোর জঙ্গলে। এ বছর ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে।
মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে গত ৩ অগাস্ট মৃত্যু হয় নবম চিতা ধাত্রীর। এর আগেও কুনোর জঙ্গলের তিন তিনটি চিতার মৃত্যু হয়েছে এই ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের জেরেই। সপ্তম মৃত চিতা তেজস এবং অষ্টম সূরযের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে সেপ্টিসেমিয়ার উল্লেখ করা হয়।
ফের আফ্রিকান চিতার (African cheetah) মৃত্যু কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park)। একের পর এক আফ্রিকান চিতার মৃত্যুতে চিন্তিত কুনো ন্যাশনাল পার্কের কর্মাধ্যক্ষরা। এই নিয়ে গত চার মাসে মোট ৭টি আফ্রিকান চিতার মৃত্যু হল সেখানে। বন দফতরের এক বর্ষীয়ান আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্ভবত নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে আফ্রিকান চিতা তেজসের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কুনোতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
ভারতে চিতা পুনর্বাসন নিয়ে সরকারি ভাবে জাঁকজমক করে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, পর পর ৭টি চিতার মৃত্যুর পর, ফের তা একবার ধাক্কা খেল। গত ২৭ মার্চ, সাশা নামের একটি চিতা, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় মারা যায়। সাশাকে নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল। এরপর, ১৩ এপ্রিল, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা আরও একটি চিতা মারা যায়। তার নাম ছিল উদয়। গত ৯ মে, 'দক্ষ' নামে একটি পুরুষ চিতার মৃত্যু হয়। একেও আনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।
এই তিন জন ছাড়াও, নামিবিয়া থেকে আনা মাদি চিতা 'জ্বালা' গত মার্চে যে চার জন সন্তানের জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে তিন জনই ডিহাইড্রেশনে মারা গিয়েছিল। 'তেজস'-কে নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল সাত।
প্রধানমন্ত্রীর গত বছর তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্য়ে কুনোর জঙ্গলে বেশ কিছু চিতা আনা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কুনোর জঙ্গলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলের জাতীয় উদ্য়ানে নামিবিয়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চারটি চিতার মধ্যে লড়াই বাধে। লড়াই থামাতে একটি চিতাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বনকর্তারা। বন দফতর সূত্রে খবর, নামিবিয়া থেকে গৌরব এবং শৌর্য নামে দু’টি চিতাকে আনা হয় কুনোয়। এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় অগ্নি এবং বায়ু নামের আরও দু’টি চিতাকে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চিতাগুলি নিজেদের মধ্য়ে লড়াই করতে শুরু করে। বনকর্তারা প্রাথমিক ভাবে সাইরেন বাজিয়ে এবং বাজি পটকা ফাটিয়ে তাদের লড়াই থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ না হওয়ায় বনকর্তারা ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন।
ফরেস্ট অফিসার পিকে বর্মা জানিয়েছেন, অগ্নি নামের চিতাটির গায়ে গিয়ে ঘুমপাড়ানির গুলি লাগে। যদিও এখন চিতাটি ভাল আছে বলে জানা গিয়েছে। বন আধিকারিক জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়া চিতাদের মধ্যে নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। তবে এই লড়াইয়ের মারামারিতে অগ্নির শরীরে কোনও আঘাত লেগেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চিতাবাঘের (Cheetah Skin) চামড়া সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বৈকুন্ঠপুর বনদফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে শালুগাড়া রেঞ্জের শিলিগুড়ির (Siliguri) ওলদাবাড়িতে। বন দফতর (Forest Division) সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা ওই চিতাবাঘের চামড়ার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২ ফুট, প্রস্থ আনুমানিক ১ ফুট। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের শালুগাড়া রেঞ্জ। বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ বেলাল আলি। সে চালসার বাসিন্দা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই গাড়িটি ওদলাবাড়ি হয়ে মালবাজারের পথে রওনা হয়েছিল। তার আগেই বন দফতরের কর্মীদের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত যুবক। বন দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় ওদলাবাড়িতে। অভিযান চালিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি আটক করে শালুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। তারপরে গাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় একটি পূর্ণাঙ্গ চিতাবাঘের চামড়া। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে চিতাবাঘের চামড়াটি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল? এমনকি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
দেশে চিতার (Cheetah) বংশবৃদ্ধি করতে নামিবিয়া (Namibia) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে আনা হয়েছিল মোট ২০ টি চিতা। কিন্তু মধ্য়প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) চিতাগুলোকে ছাড়তেই মৃত্যু হয়েছে একাধিক চিতার। ৩ মাসের মধ্যেই পূর্ণবয়স্ক ও শাবক চিতা মিলিয়ে মোট চিতার মৃত্যু হয়েছে ৬টি। ফলে কুনোতে বর্তমানে চিতা রয়েছে ১৪টি। কিন্তু একের পর এক চিতার মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসন। তাই এই মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে এক বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব জানিয়েছেন, দেশে চিতা ফেরানোর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হবে প্রশিক্ষণের জন্য। সেই সফরে তাঁরা চিতা সংক্রান্ত অধ্যয়ন করবেন।
কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী ৬ জুন চিতাগুলির অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি নিজে কুনো জাতীয় উদ্যানে যাবেন। চিতাগুলির সুরক্ষা, সংরক্ষণ এবং পুনরুজ্জীবনের জন্য আর্থিক এবং সমস্ত লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী। এই ঘোষণা তিনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেই নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুপেন্দর যাদব।
ফের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National park) চিতার (Cheetah) মৃত্যু। চলতি বছরের প্রথম থেকেই একের পর এক চিতার মৃত্যু ঘটেই চলেছে। এবারে দুটো শাবকের মৃত্যু হল। কয়েকদিন আগেই একটি দু'মাসের শাবকের মৃত্যু হয়েছে। আর এবারে বৃহস্পতিবারেও একসঙ্গে দু'টি শাবক (Cheetah Cub) প্রাণ হারাল। ফলে একের পর এক চিতার মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বন দফতর থেকে প্রশাসন।
চলতি বছরের ২৪ মার্চ জ্বলা নামের মহিলা চিতা চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। আর এই চারজনের মধ্যে তিনটিরই মৃত্যু হয়েছে। যে একমাত্র চিতাটি বেঁচে রয়েছে, তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দেশে চিতার বংশবৃদ্ধি করতে নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা আনা হয়েছিল। সবগুলো চিতাই মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু একে একে সাশা, উদয়, দক্ষ নামের চিতা শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যায়। আর এবারে চিতাশাবকেরও মৃত্যু হয়ে চলেছে। ফলে কুনো জাতীয় উদ্যানে বর্তমানে মোট ১৭ টি পূর্ণবয়স্ক ও ১ টি শাবক চিতা রয়েছে।
বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রথম যে শাবকটি মারা গিয়েছে, সেটি অপুষ্টিজনিত কারণে বা দুর্বল হওয়ার কারণে মারা গিয়েছে। তবে পরের দু'টি শাবকের ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। আরও জানা গিয়েছে, জ্বলা নামের চিতাটি অর্থাৎ মা চিতাটির স্বাস্থ্য ভালো আছে।
ফের এক চিতার (Cheetah) মৃত্যু কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park)। এই নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মোট ৩ টি চিতার মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে, এবারে যে মহিলা চিতার মৃত্যু হয়েছে তার নাম দক্ষ (Daksha)। দেশে চিতার বংশবৃদ্ধি করতে নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু'ধাপে চিতা আনা হয়েছিল। মোট ২০ টি চিতা আনা হয়েছিল। কিন্তু এবারে দেশে মোট চিতার সংখ্যা দাঁড়াল ১৭। দেশে ক্রমশ চিতার মৃত্যু সংখ্যা বাড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বনদফতরের আধিকারিকদের।
সূত্রের খবর, তবে এবারে চিতার মৃত্যু কোনও রোগের কারণে হয়নি। এক পুরুষ চিতা ফিন্ডার আক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র ফিন্ডা নয়, বায়ু ও অগ্নি নামের চিতা দুটো এই আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ফলে জাতীয় উদ্যানে চিতার সঙ্গে লড়াই করতে গিয়েই মৃত্যু হয় দক্ষের।
উল্লেখ্য, সাশা ও উদয় মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যায়। সাশার কিডনির অসুখ ছিল আর উদয়ের কার্ডিও-পালমোনারি-ফেলিওর-এর ফলে মৃত্যু হয়। আর এবারে চিতা চিতায় মারামারি করতে গিয়েই প্রাণ হারাল আরও এক চিতা।
রবিবার কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) ফের এক চিতার (Cheetah) মৃত্যু হয়েছে। সাশার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা উদয় (Uday) নামের চিতার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রবিবার জানা যায়নি, ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছিল, সোমবার তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে, তারপরেই রিপোর্ট দেওয়া হবে। ফলে রিপোর্ট আসার পর জানা গিয়েছে, কুনোর এই দ্বিতীয় চিতার মৃত্যুর কারণ, কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর। এই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বন দফতরের পশু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, উদয়ের মৃত্যু হয়েছে কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর-এর ফলেই। চিতাটির হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে উদয়ের। বন দফতরের প্রধান বন্যপ্রাণ সংরক্ষক জেএস চৌহান বলেছেন, ‘পশু চিকিৎসকেরা চিতাটির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে দেখেছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর।’
চিফ কনজার্ভেটার অফ ফরেস্ট অ্যান্ড হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স জসবীর সিং জানিয়েছেন, সোমবার ময়নাতদন্তের পরই উদয়ের শেষকৃত্য করা হয়েছে।
ফের মৃত্যু বিদেশ থেকে আনা চিতার (Cheetah)। রবিবার মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল উদয় (Uday) নামক চিতার। রোগে ভুগে রবিবার বিকালে মারা যায় চিতাটি। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চিতা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো এই জাতীয় উদ্যানে।
নামিবিয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আফ্রিকা থেকেও মোট ১২টি চিতা আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যেই ছিল এই উদয় নামের মৃত চিতাটি। রবিবার এই খবর দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের চিফ কনজার্ভেটার অফ ফরেস্ট জেএস চৌহান। রবিবার সকালের দিকে বন দফতরের কর্মীরা লক্ষ্য করেন যে, উদয়কে অসুস্থ দেখাচ্ছিল, কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছিল এটি। এরপর তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বেলা ১১টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি উদয়। চিকিৎসা চলাকালীন বিকেল ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। যদিও ঠিক কোন রোগে তার মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পোস্টমর্টাম করার পরই তা জানা যাবে। এই পোস্টমর্টামের পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিও করা হবে জানা গিয়েছে।
এক মাসের মধ্যেই দুটি চিতার মৃত্যুতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন দফতরের কর্মীদের। প্রসঙ্গত, আগে থেকেই মোট ৮টি চিতা ছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। চিতার সংখ্যা বাড়াতে আরও ১২টি চিতা আনা হয়। তবে মোট ২০টি চিতার মধ্যে থেকে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দুটি চিতার। ফলে, এখন মোট ১৮টি চিতা রয়েছে এই জাতীয় উদ্যানে। উল্লেখ্য, গত মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসে সাশা নামে একটি চিতা কিডনির অসুখে মারা যায়।
মাসখানেক আগেই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো থেকে পালিয়ে গিয়েছে একটি চিতা (Cheetah)। লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল সেই বন্যপ্রাণ। তারপর কুনো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামে সেই চিতার খোঁজ পাওয়া যায়। বন দফতরের কর্মীরা সেটিকে ধরতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় চিতা। শেষমেশ তাকে ঘুমের গুলি ছুড়ে বেহুঁশ করে তুলে নিয়ে এসে কুনোতে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুতেই চিতাটিকে আটকে রাখা যাচ্ছে কুনোতে। বারবার কুনো থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে চিতাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভবঘুরে’।
কুনোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর আবার পালিয়ে গিয়েছে সেটা। তবে এবার কুনো থেকে পালিয়ে ১০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শিবপুরী জেলার মাধব জাতীয় উদ্যানে ঢুকে পড়েছে সেটা। কুনোতে চিতা ছাড়ার পর থেকে কিছু না কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চিতাবাঘের সামনাসামনি হয়ে চিতার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাই চিতাবাঘগুলি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও নামিবিয়ার চিতা নিয়ে চিন্তা বেড়েই চলেছে বন দফতরের। সেক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্য বনাধিকারিক জেএস চৌহান বলেন, 'ওবানের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যতক্ষণ ওবান নিরাপদে, ততক্ষণ আমরা কোনও রকম হস্তক্ষেপ করব না।'
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিন ২০২২-এর ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া (Namibia) থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে মোট ৮ টি চিতা আনা হয়েছিল। তারমধ্যে একটি চিতা 'সাশা' শারীরিক অসুস্থতার জন্য কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছে। এবার খবরে এসেছে, মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে পালিয়ে ২০ কিমি দূরে একটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে। ফলে আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সেই চিতার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
Sheopur, Madhya Pradesh | Cheetah Oban, one of the cheetahs brought from Namibia, entered Jhar Baroda village of Vijaypur which is 20 kms away from Kuno National Park. Monitoring team has also reached the village. Efforts are underway to bring the cheetah back: DFO
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) April 2, 2023
(Video… pic.twitter.com/4iQAoB6tcz
ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার জানিয়েছেন, চিতা 'ওবান' কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে ২০ কিমি দূরে বিজয়পুরের ঝার বরোদা গ্রামে ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পরিদর্শনকারী দল এসে পৌঁছেছে গ্রামে। ওবান নামক চিতাটিকে অভয়ারণ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, এটি সত্যি যে ওবান অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে গ্রামে ঢুকে গিয়েছে, কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ তাদের টিম প্রতি মুহূর্তে চিতাটির উপরে নজর রাখছে ও খুব শীঘ্রই তাকে ধরে ফেলা হবে ও অভয়ারণ্যে ফিরিয়ে আনা হবে।
চিতার বংশবৃদ্ধি করতে মোদী সরকার উদ্যোগ নিয়ে ভারতে এনেছিলেন আটটি চিতা। কিন্তু বংশবৃদ্ধিতে বড় ধাক্কা। নামিবিয়া (Namibia) থেকে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা আটটি চিতার মধ্যে একটি মহিলা চিতার মৃত্যু হল সোমবার। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর 'সাশা' নামের ওই চিতাটিকে ভারতে আনা হয়েছিল। কুনো জাতীয় উদ্যানের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে আসার পর থেকে তাকে ক্লান্ত ও অসুস্থ দেখাত। এরপর তার চিকিৎসা করাতেই ধরা পড়ে কিডনির অসুখে ভুগছে সাশা। এর জন্য চিকিৎসাও শুরু করেছিল বনদফতর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭২তম জন্মদিনে ওই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যনে। এর মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই মৃত্যু হল সাশার। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাশার রক্ত পরীক্ষাতে দেখা গিয়েছিল ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি ছিল। যার মানে তার কিডনিতে ইনফেকশন রয়েছে। তবে বাকি চিতাগুলি সুস্থ আছে বলে জানানো হয়েছে।
কুনো জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সাশাকে অসুস্থ দেখালে পশু চিকিৎসকদের একটি দলকে ডেকে পাঠানো হয়। চিতাটিকে পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান, ডিহাইড্রেশন এবং কিডনির সমস্যা রয়েছে প্রাণীটির। সেই মতো চিকিৎসাও শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে তাতে সাড়াও দেয় সাশা। কিন্তু সোমবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার (Helicopter)। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) মান্ডালায় ভেঙে পড়ল বিমান। মহড়া চলাকালীনই হঠাত্ ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। ঘটনা জেরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং মেজর পদমর্যাদার দুই পাইলট নিখোঁজ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ আচমকাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেলিকপ্টারটির। তারপরই ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। সেনা সূত্রে দাবি, বমডিলার পশ্চিমে মান্ডালা পাহাড়ে ভেঙেছে চিতা।
সেনার পিআরও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, 'বমডিলায় মহড়া চলছিল ওই হেলিকপ্টারের। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটি মান্ডালায় ভেঙেছে। হেলিকপ্টারের খোঁজে ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হয়েছে।'
এর আগে নামিবিয়া থেকে ভারতে চিতা (cheetah) এনেছিল মোদী সরকার। এবার ভারতে ১২টি চিতা আনা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (Union Environment Minister Bhupender Yadav) বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বারোটি চিতাকে উড়িয়ে আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭২ তম জন্মদিনে আফ্রিকার আর এক দেশ নামিবিয়া থেকে দেশে ৮টি চিতা আনিয়ে মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল। ৫টি স্ত্রী এবং ৩টি পুরুষ চিতাকে খাঁচামুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং। কুনোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে থাকা আটটি চিতা প্রতি তিন-চার দিনে একটি শিকারকে হত্যা করছে এবং তারা সুস্থ রয়েছে। একটি চিতা অসুস্থ ছিল কারণ তার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসার পর এখন সুস্থ রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
বিশ্বের ৭,০০০ চিতার বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া এবং বতসোয়ানায় বাস করে। নামিবিয়াতে চিতার সংখ্যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। চিতাই একমাত্র ভারত থেকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। প্রধানত অতিরিক্ত শিকার এবং আবাসস্থলের ক্ষতির কারণে এটি হয়েছে। ১৯৪৮ সালে ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার শাল বনে শেষ দেখা যাওয়া চিতাটি মারা যায়। সেকারণে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০০টি চিতা আনার চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক।
চিতা বাঘের (Cheetah Attack) হামলায় মৃত্যু এক শিশুকন্যার। শনিবার গুজরাতের (Gujrat) জুনাগড়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নরখাদক এই বাঘ ধরতে জঙ্গলে খাঁচা পাতা হলেও, এখনও ধরা দেয়নি ওই চিতা বাঘ।
জানা গিয়েছে, শনিবার স্কুল থেকে ফিরে ঠাকুমার সঙ্গে নদীতে যাওয়ার বায়না ধরেছিল ৭ বছরের মন্নত রাঠোর। বাড়ির লোকেরা শেষ পর্যন্ত তাকে ঠাকুমার সঙ্গে যেতে দিলে, জেলার সোনারদি গ্রামের নদীতে যখন কাপড় ধুচ্ছিল ওই শিশু তখনই আচমকা একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘাড়ে কামড়ে টেনে তোলে নদী থেকে। তারপর ঢুকে যায় জঙ্গলে। ঠাকুমার চিৎকারে আশেপাশের লোকেরা এসে চিতাবাঘটিকে তাড়া করে। একটি ঝোপের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মন্নতকে।
তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক চিতাবাঘকে ধরতে জঙ্গলের আশেপাশে অন্তত চারটি খাঁচা পাতা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠাকুমার চিৎকার শুনে গ্রামের লোকেরা চিতাবাঘকে তাড়া করলেও সে বালিকাকে নিয়ে একটি ঝোপের আড়ালে চলে যায়। গ্রামবাসীরা পাথর ছুড়লে পালায় চিতাবাঘটি। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে।