
প্রয়াত হিথ স্ট্রিক। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রী নাদিন তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন অলরাউন্ডারের মৃত্যুর খবর নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই কোলন ক্যানসারে ভুগছেন এই ক্রিকেটার। একই সঙ্গে লিভারের একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। জুলাই মাসেই সেকথা জানা গিয়েছিল। এরপর কয়েকদিন আগেই খবর রটে যায় মৃত্যু হয়েছে হিথ স্ট্রিকের। যদিও তার কিছু পর পুরো বিষয়টিই ভুল বলে জানা গিয়েছিল।
প্রয়াত কিংবদন্তি বাংলা ব্যান্ড (Bangla Band) ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র ‘বাপিদা’ ওরফে তাপস দাস (Tapas Das)। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ফুসফুসের ক্যানসারে। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাপিদার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন দুই বাংলার শিল্পীরা। রবিবার শেষ হল তাঁর লড়াই। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন মহীনের অন্যতম ঘোড়া।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকাশ্যে আসে এই খবর। মারণরোগে ভুগছেন তাপস। ‘বাপিদা’র অসুস্থতার খবর শোনামাত্রই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান শহরের সঙ্গীতশিল্পীরা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে তৈরি করা হয় তহবিল। ‘ফসিলস’ থেকে ‘বর্ণ অনন্য’, শিল্পীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে একাধিক কনসার্টের আয়োজন হয় শহরেই। পরে অবশ্য তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। এসএসকেএম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল শিল্পীর।
সোমবার আমেদাবাদের রং হতে চলেছে ল্যাভেন্ডার। আইপিএলের ম্যাচে সোমবার বিশেষ জার্সি পরে মাঠে নামছে গুজরাত টাইটান্স। তারজন্য রবিবার থেকেই নতুন রঙে সেজেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। যুবরাজ সিং থেকে নীল আর্মস্ট্রং। সঞ্জয় দত্ত থেকে মণীশা কৈরালা। সব ক্যানসারজয়ীদের এই ল্যাভেন্ডার জার্সি গায়ে সম্মান জানাতে চলছেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। একইসঙ্গে এদিন ম্যাচ থেকে ওঠা অর্থ দান করা হবে ক্যানসার নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনেও। উল্লেখ্য ক্যানসারকে জয় করেই এই আইপিএলে গুজরাত দলে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়েড।
গত ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হারলেও, এই আইপিএলে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাতে সিলমোহর বসাতে চান হার্দিকরা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে গুজরাত। তাই এদিনের ম্যাচের তেমন কোনও গুরুত্ব নেই।
কারণ, এই আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকেই গিয়েছে হায়দরবাদ। এই ম্যাচ জিতলেও তাদের প্লে-অফ খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবুও মাক্রামরা চাইছেন এই ম্যাচে গুজরাতকে হারিয়ে শেষবেলায় দু পয়েন্ট কুড়িয়ে নিতে।
জিভের উপরও গজাতে পারে চুল, এমনটাও কখনও ভেবেছেন কি? হয়তো অনেকই মনে করতে পারেন, এমনটা কখনও সম্ভনই নয়। কিন্তু এবারে এমনটাই ঘটেছে এক মহিলার সঙ্গে। সব চিকিৎসকদের কাছে গেলেই জিভ দেখাতে গেলে প্রথমেই জিভ দেখাতে বলে। জাপানের এক মহিলা চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন, সেখানেও সেই চিকিৎসক জিভ দেখতে চাইলে হতবাক চিকিৎসক। জিভ খুলতেই দেখেন তাতে চুল। তবে কেন এমন ঘটে?
জানা গিয়েছে, ৬০ বছর বয়সী সেই বৃদ্ধা রেকটাল ক্যান্সার বা মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত। ফলে গত ১৪ মাস ধরে নানা রকম চিকিৎসার পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে 'মিনোসাইক্লিন' নামে একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই অ্যান্টিবায়োটিক থেকেই এই রকম রোগের উৎপত্তি। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল কেস রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কেমোথেরাপির খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে এই ওষুধ দেওয়া হলে তাঁর উপর উল্টো প্রভাব পড়ে ও 'ব্ল্যাক হেয়ার টাং' নামক রোগ দেখা যায়।
এরপরেই চিকিৎসকরা তাঁকে সেই অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া বন্ধ করে ও অন্য চিকিৎসা করা হয় তাঁকে। এরপর তা ধীরে ধীরে তাঁর জিভ ঠিক হতে থাকে।
বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের (Kartik Aaryan) ভক্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সিনেমার পর্দায়, অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কার্তিক আরিয়ানকে সকলেই একগাল হাসি নিয়ে দেখেছে। উল্লাস ছাড়া যেন কার্তিককে ভাবতেই পারেন না নেটিজেনরা। বাবা-মায়ের প্রতি কার্তিক আরিয়ানের ভালোবাসার কথাও সকলেই জানেন। সেই কার্তিক আরিয়ানের অতীতে যে কী কষ্ট লুকোনো ছিল তা এতদিন কেউই জানতেন না।
এইবার প্রকাশ্যে এল অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার সময়। প্রাণাধিক প্রিয় মায়ের শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ ক্যানসার। কীভাবে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে আজ সুস্থ হয়েছেন তাঁর মা, কীভাবে ছেলে হিসেবে অভিনেতাকে এবং পরিবারকে লড়তে হয়েছে, সেকথা নিজের সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান।
৫ মে নিজের সামাজিক মাধ্যমে কার্তিক তাঁর মা, মালা তিওয়ারির অসুস্থতা নিয়ে লিখেছিলেন, 'ক্যানসার চুপি চুপি আমাদের পরিবারকে নষ্ট করে দিতে চেয়েছিল। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, আশাহত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ধন্যবাদ আমার মায়ের মতো সৈনিকের সহ্য ক্ষমতা, ইচ্ছে শক্তি এবং হাল না ছাড়ার ক্ষমতাকে। আমার ক্যানসারকে সাহসে পরিণত করেছিল।'
বেশিরভাগ ক্যানসার (Cancer) রোগীই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। সেইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এক তরুণীর। ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়ের চিকিৎসার সময় অস্ত্রোপচারের করে জিভের ৯০ শতাংশ বাদ গিয়েছিল ইংল্যান্ডের (England) এক তরুণীর। তারপর থেকে কথা বন্ধ। জানা গিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সি জেমা উইকসের ছ’বছর ধরে জিভে এক ধরনের অস্বস্তি হচ্ছিল। জিভের উপরে সাদা ক্ষত দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। পরে এই ঘটনায় চিকিৎসক (Doctor) জানায়, ওই মহিলার জিভে ও গলায় ক্যানসার হয়েছিল। এমনকি অস্ত্রোপচার করে জিভের একাংশ কেটে বাদ দিতেও হয়েছিল ওই মহিলার।
এই চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের পর পরই কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন তরুণী। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টায় তরুণীর বাহু থেকে টিস্যু নিয়ে নতুন জিভ তৈরি করে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই অস্ত্রোপচারের পরেও তরুণীকে কোনও কথা দেখেন না চিকিৎসকরা। কিন্তু মেয়ে ও বরকে দেখে আবার কথা ফুটল ওই মহিলার মুখে।
স্বর ফিরে আসার পর এক সাক্ষাৎকারে জেমা বলেন, ‘‘আমি নিজেই আমার স্বর চিনতে পারি না। তবে ধীরে ধীরে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। অস্ত্রোপচারের পর পর লোকে আমার কথা বুঝত না, তবে এখন লোকে আমার কথা বুঝতে পারে।’’
প্রাক্তন ক্রিকেটার ও রাজনীতিক নভজোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) বর্তমানে জেলে। এমন সময়েই ক্যান্সার ধরা পড়ল তাঁর স্ত্রীর। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নয়, একেবারে স্টেজ টু ক্যান্সারে (Cancer) আক্রান্ত সিধুর স্ত্রী নভজোৎ কৌর (Navjot Kaur)। এতদিন পাশে ছিলেন স্বামীর। কিন্তু মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি। হতাশ হৃদয়ে স্বামীর উদ্দেশে টুইটারে লিখলেন নিজের মনের কথা। সেই চর্চায় এখন সামাজিক মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত ৩৪ বছর আগের একটি পথ দুর্ঘটনার মামলায় সিধুকে এক বছরের জেলের সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে পাতিয়ালা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তিনি। সিধুর স্ত্রী টুইট করে লেখেন, 'সে এমন এক অপরাধের জন্য জেলে রয়েছেন, যে অপরাধ সে করেইনি। যারা জড়িত রয়েছে তাঁদের ক্ষমা করো। প্রত্যেকদিন তোমার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছি, তোমার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়ে। বরাবরের মতোই তোমার কষ্ট দূর করতে চাইছি, তোমার কষ্টের ভাগীদার হয়ে।'
নভজোৎ কৌর আরও হৃদয়বিদারক লেখা লেখেন তাঁর মারণ রোগের কথা লিখে। তিনি লিখেছেন, ' তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম, দেখলাম বারংবার ন্যায় তোমাকে প্রত্যাখ্যান করছে। সত্য ক্ষমতাশালী কিন্তু তা বারংবার তোমার পরীক্ষা নিচ্ছে। কলিযুগ। মাফ করো, তোমার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারলাম না। আজ ছুরি চলবে আমার উপর। কাউকে দোষ দেওয়ার নেই, কারণ সবই ঈশ্বরের পরিকল্পনা। যথাযথ।'
ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে দেখতে গিয়ে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষর্থী। হাবড়া হাটথুবা হাইস্কুলের ছাত্র অভিজিৎ মিস্ত্রি। সূত্রের খবর, অভিজিতের বাবা পাঁচ দিন ধরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি। আর সেখানেই গিয়েছিল ছেলে অভিজিৎ মিস্ত্রি। সোমবার হাসপাতাল থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় প্রায় দু'ঘণ্টা। আর সেই কারণেই এ বছরের ইতিহাস পরীক্ষায় বসা হলো না অভিজিৎ মিস্ত্রির।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা হাটথুবা হাইস্কুলের ছাত্র অভিজিৎ। পরীক্ষার সিট পড়েছিল জয়গাছি শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যায়তন স্কুলে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভিজিৎ মিস্ত্রির বাবা অজিত মিস্ত্রি ক্যান্সারে আক্রান্ত আর সেই কারণেই কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেখানে বাবাকে দেখা করতে গিয়ে ট্রেনের সমস্যার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে বেশি দেরি করে ফেলে সে, আর বোর্ডের নিয়ম অনুসারে এক ঘন্টার বেশি দেরি করলে সে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। সেই কারণে গেটের সামনে এসে ভেঙে পড়েন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভিজিৎ মিস্ত্রি।
স্থানীয় অভিভাবকরা এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে বোর্ডের কর্তাদের অনুরোধ করেন ছেলেটির মানবিক দিক দেখে যাতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে হাবরা শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যায়তন স্কুলের সেন্টার ইনচার্জ তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি এবং সিএন-এর বুম হাত দিয়ে সরিয়ে দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, 'কিছুটা মানবিক হলে হয়তো ছাত্রের এক বছর নষ্ট হতো না।'
মারণ রোগ ক্যান্সারকে (Cancer Survivor) হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden)। তারপরেই ঘোষণা ক্যান্সারমুক্ত ইউএস প্রেসিডেন্ট (US President)। শুক্রবার একথা জানান বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কেভিন ও কোনর। তিনি জানান, বুকের ভিতর একটি মাংসপিন্ডের বায়োপসি রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্কটরোগে আক্রান্ত। তারপরই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অশীতিপর প্রেসিডেন্টের বুক থেকে চামড়ার একাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তুলে ফেলা হয়েছে। এখনও চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখেন। বাইডেনের চিকিৎসক এ-ও জানান, অন্য প্রাণঘাতী ক্যানসারের মতো প্রেসিডেন্টের শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছিল, বাইডেনের বয়স।
প্রত্যেকদিন ইন্টারনেটে ভাইরাল (Viral Video) হয়ে চলেছে বহু ঘটনা। কেউ কেউ মারণরোগ ক্যান্সারের (Cancer Treatment) সঙ্গে কীভাবে লড়াই করছেন, সেই বিষয়টি ভাগ করে নেয় সকলের সঙ্গে, আবার কেউ কেউ নিজেদের প্রিয়জনের এই রোগের সঙ্গে সংগ্রামের প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করেন সামাজিক মাধ্যমে। তেমনই তুরস্কের (Turkey Hospital) এক হাসপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের উৎসাহিত করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপের ভিডিও নেটিজেনদের মন কেড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের একটি বেলুন দিয়ে সাজানো ব্যাটারিচালিত গাড়ি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সেই গাড়িতে চেপে চিকিৎসা রুমে যাবেন তারা। তুরস্কের ক্যাসেরি শহরের একটি হাসপাতালের এই মনমুগ্ধকর ভিডিও চোখে জল এনে দিয়েছে নেটিজেনদের।
(VIDEO) Turkish hospital gives children electric cars to drive to cancer treatment
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 1, 2023
At a hospital in Turkish city of Kayseri, children with cancer can get on mini battery-operated cars, instead of a stretcher, to go to their treatment room pic.twitter.com/0GjmsKeTac
এরিক্স হাসপাতালের কণিকা অ্যাসোসিয়েশান এবং শিশুরোগের অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান মুসা কারাকুরুকচু নামে এক চিকিৎসকের আবেদনে আন্দুলু এজেন্সির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে চিকিৎসকের দাবি,'মোট ৬টি ব্যাটারিচালিত গাড়ি শিশুদের দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসার জন্য অনিচ্ছুক বাচ্চারা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা এমআরআই স্ক্যানের সময় আনন্দ সহকারে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন গাড়ি চালিয়ে।' আন্তরিকতায় ভরা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার 'ভুয়ো খবরের' মাঝেও মন জোগাচ্ছে নেটিজেনদের।
প্রসূন গুপ্ত: সাহিত্যিক সুকুমার রায় তাঁর লেখনিতে হাস্যরস রাখতেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। তাঁর নাটক 'লক্ষণের শক্তিশেল'-এ আছে কিছু মজাদার সংলাপ। লক্ষণ নাকি শক্তিশেল বাণে জ্ঞান হারানোর পর রামচন্দ্রের বানর সেনারা ক্রন্দন অর্থাৎ কান্না শুরু করেন। যেহেতু তারা বাঁদর অতএব কান্নার সঙ্গে কলাও খেতে থাকে। এই কারণে চালু কথা আছে 'ক্রন্দন ও কলা ভক্ষণ'। এবার নাকি সেরকম কিছু ঘটছে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের জীবনে। তিনি নাকি মানসিক ভাবে বিধস্ত। তাই সব কাজ ছেড়ে তিনি সারাদিন মদ্যপান করছেন এবং কাঁদছেন। কিন্তু হয়েছে কি?
কিম উন জং, একটি নাম এবং বংশানুক্রমে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি 'ওয়ার্কার্স পার্টির' সর্বময় কর্তা। এর আগে ছিলেন তাঁর বাবা কিম জং-ইল। মুখেই সোশালিজম বা কমিউনিস্ট দল। আসলে চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশে রাজ কায়েম করেছে এই পরিবার। এই দেশে হাজারো নিয়ম। কেউ অনুমতি ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে পার্টি যদি বোঝে তবে অনুমতি মিলবে। খেলাধুলা, সংস্কৃতি, শিক্ষা সর্বত্রই চলে কিমের মর্জি। দলের বাইরে বা কিমের বাইরে কোনও অপছন্দের কাজ করলে মৃত্যু অনিবার্য। সর্বদা তটস্থ থাকে আম নাগরিক।
তার মধ্যে অর্থসংকট প্রবল, খাদ্য সামগ্রীতে টান ইত্যাদি তো আছেই। মোটের উপর আতঙ্কে বাস করে সে দেশের নাগরিক। এই কিম ক্ষমতায় আসে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে। বয়স এখন মাত্র ৩৯ বছর। শিক্ষা অজানা, জীবনযাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের হার মানায়। নিজস্ব অসংখ্য বাড়ি এবং প্রতিটি প্রাসাদসম। ১০০-র উপর অত্যাধুনিক গাড়ি, নিজস্ব বিমান। খাওয়া-দাওয়ায় রোজ খরচ কয়েক হাজার টাকা।
ইংল্যান্ডের হুইস্কি, জার্মানির রুটি, ব্রাজিলের কফি, সুইৎজারল্যান্ডের মিষ্টি ইত্যাদি। সঙ্গে আমেরিকার সিগারেট-চুরুট। স্ত্রী থাকলেও তাঁকে দেখভালের জন্য কয়েক ডজন মহিলা পরিচারিকা। স্ত্রীয়ের পরিচর্যায় ব্যাঘাত ঘটলেই হাজত বাস। সেই কিম জং উন নাকি এখন অসুস্থ। শোনা যাচ্ছে এক অদ্ভুত রোগ নাকি বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। কেউ বলছে ক্যান্সার কিন্তু সম্পূর্ণও গোপন থাকছে তথ্য। এই অসুস্থতার জন্য তাঁর মদ্যপান বেড়ে গিয়েছে এবং যুক্ত হয়েছে প্রাণ হারানোর ভয়ে কান্না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ধুমপান এবং মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। শুধু খবরের স্বার্থে এই তথ্য পরিবেশনা
তাঁর পরিবারের (Dutt Family) একাধিক সদস্যদের বিয়োগের সঙ্গে ক্যান্সার (Cancer) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। ক্যানসার থাবা বসিয়ে সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) পরিবারে দাগ রেখে গিয়েছে। মা যকৃতের ক্যানসারে মারা গিয়েছেন। মস্তিষ্কের ক্যান্সারে প্রয়াত প্রাক্তন স্ত্রী রিচা শর্মা! এমনকি নিজের যখন ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন যথেষ্ট নিস্পৃহ হয়েছিলেন বলিউডের সঞ্জুবাবা। ভেবেছিলেন, এই তো সুযোগ, মৃত্যু এলে আসুক!
২০২০ সালে শমশের ছবির শুটিং চলাকালীন সঞ্জয় জানতে পারেন তাঁর ক্যানসার হয়েছে। একটুও বিচলিত হননি, কাজ করছিলেন চুপচাপ। তারপর ছবির প্রচারে এসে নিজমুখেই জানিয়েছিলেন, মারণরোগ আবার বাসা বেঁধেছিল কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। চিকিৎসকের কাছেও যেতে চাননি। যদিও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা দত্ত দায়িত্ব নিয়ে সব কিছুর ব্যবস্থা করান। প্রাণে বাঁচেন সঞ্জয়।
সেই সময় করোনা আবহ, লকডাউন। সঞ্জুবাবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট বলছে ক্যানসার। শুনে কিছুক্ষণ থমকে যান তিনি, তারপরই আবার সপ্রতিভ। পরে দফায় দফায় আরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা। এক্সরে রিপোর্টে দেখা গেল, ফুসফুসে অর্ধেক জলে ভর্তি। পরিবারের আশা ছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যানসারই।
এরপরের গল্প সবারই জানা। মারণ রোগ সেরে ফিরে এসে কেজিএফ-২-র শুটিং। এখন আবার স্বাভাবিক জীবনে বলিউডের মুন্নাভাই।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দীর্ঘ হচ্ছে উৎকণ্ঠা আর অপেক্ষার। বৃহস্পতিবার (Thursday) রাতের পর থেকে অবস্থার উন্নতির নাকি কোনও তেমন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। এমনকি শুক্রবার সকালে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চোখের পাতা নড়ছে না অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। এমনকি কোনও অঙ্গ সঞ্চালনাও দেখা যাচ্ছে না বলে খবর। কোমায় আচ্ছন্ন রয়েছেন, শারীরিক অবস্থার কোনও রকমের উন্নতি হয়নি ঐন্দ্রিলার, বুধবারের পর থেকে একই রকম রয়েছেন তিনি। অত্যন্ত সংকটজনক হলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা, বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ক্যানসার (Cancer) আক্রান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেরেও উঠছিলেন। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তড়িঘড়ি হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই তা সংকটজনক অবস্থার দিকে যেতে থাকে। আইসিইউ-তে রেখে চলছে চিকিৎসা। কিন্তু এখন কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। বুধবার সকালে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে।
জানা গিয়েছে গ্লাসগো কোমা স্কেলও খুব নীচে নেমে গিয়েছে তাঁর। তবে সব বিপত্তি কাটিয় উঠে তিনি আবার ফিরে আসুন, এটাই প্রার্থনা করছেন তাঁর পরিবার, বন্ধু সব্যসাচী, চিকিৎসক এবং আপামর ভক্তরা।
সবে কিছুদিন হয়েছে ক্যান্সারের (Cancer) মতো মরণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছেন তিনি। সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যেই ফের দুঃসংবাদ তাঁর ভক্তদের জন্য। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক (Brain stroke) ছোট পর্দার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। বর্তমানে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভেন্টিলশনে রয়েছেন অভিনেত্রী। অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আচমকাই মঙ্গলবার রাতে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। হাওড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। এর ফলেই অবস্থা গুরুতর হয়েছে।
যদিও স্বস্তির বিষয়, বুধবার কিছুটা শারীরিক উন্নতি হয়েছে ঐন্দ্রিলার। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারলেও শরীরের একদিক পুরো অসাড় এখনও। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে ভালোমন্দ কিছু বলা যাবে না। দীর্ঘ লড়াইয়ে জিতে অবশেষে টেলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি জ়ি বাংলা অরিজিনাল ছবি ‘ভোলে বাবা পার করেগা’- তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐন্দ্রিলা।
এই খবরে একেবারে ভেঙে পড়েছেন তাঁর কঠিন লড়াইয়ের সঙ্গী তথা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। এমনকি গোটা টলিপাড়া এখন ঐন্দ্রিলার সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। ভক্তরাও প্রার্থনা করছেন।
ডেঙ্গির (dengue) প্রকোপ বেড়েই চলেছে রাজ্যে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ফের শহর কলকাতায় (Kolkata) ডেঙ্গিতে বলি এক। মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) এক বাসিন্দা বছর ৫৮-র শিপ্রা দাসের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কলকাতাতে টিউমার এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা (Tumors and Cancers treatment) করতে এসেছিলেন ওই মহিলা। তবে তিনদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে জ্বর (fever) নিয়ে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপরই তাঁর ডেঙ্গি এর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতি তিন মাস অন্তর শিপ্রা দেবী কলকাতায় আসতেন, এমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে, ধূপগুড়ি (Dhupaguri) পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর কৃষ্ণদেব রায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। গত শনিবার থেকে ধুপগুড়ি হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং অ্যাক্টিভ কেস দুটোই রয়েছে এই মূহুর্তে। তবে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন আরও কয়েকজন। আরও জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা চলেছে বেশ কয়েকজনের। পাশাপাশি, বানারহাটেও আরও তিনজন এই মূহুর্তে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। তাঁদেরও চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে বা অন্য সমস্ত লক্ষণ, যেমন ডেঙ্গি আক্রান্তদের থাকে, উপসর্গ নিয়ে যারা চিকিৎসাধীন হচ্ছেন, তাঁদের ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে একদিন পর রিপোর্ট আসছে সরকারিভাবে।