
সমকামী বিয়ে নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court)। বিয়ের জন্য ভিন্ন লিঙ্গের দুই ব্যক্তির উপস্থিতি অপরিহার্য কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সমকামী সম্পর্ক যে শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদার উপর নির্ভরশীল নয়, সেকথা পর্যবেক্ষণে বলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। আইপিসির ৩৭৭ ধারাকে প্রত্যাহার করে সমকামিতাকে ‘অপরাধ’-এর তকমা থেকে মুক্তি দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
একজন পুরুষ কিংবা একজন মহিলা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তার পরিপূর্ণ কোনও ধারণা আমাদের কাছে নেই। কারণ, গোটা বিষয়টি শুধুমাত্র তাঁদের যৌনাঙ্গের উপর নির্ভর করে না। বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে মামলার তৃতীয় দিনের শুনানিতে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন— 'যদি সমকামিতা অপরাধ না হয়, তাহলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের মতো স্থিতিশীল বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা কোথায়?' সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'বিয়ে সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাকে নতুন ভাবে সংজ্ঞা দিতে হবে।'
ঝিমিয়ে থাকার পর দেশে ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ (Corona Infection)। দৈনিক আক্রান্ত বিচার করে এই অশনি সংকেত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিবেশে সংক্রমণ রোধে আইনজীবীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) অনুমতি দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলবে, এমনটা জানান তিনি।
দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণের হিসাব, ৪ হাজার ৪৩৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪৬ শতাংশ বেশি। গত কয়েক দিন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এই আবহে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসাবে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রধান বিচারপতি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রকাশ্য বা জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরতে ইতিমধ্যে বেসরকারি তরফে ঘোষণা হয়েছে। শুধু করোনা না, বিশেষ ইনফ্লুয়েঞ্জার হাত থেকে বাঁচতে কিছু বিধি মেনে চলা এই মুহূর্তে আবশ্যিক। এমনটাই বারবার প্রচার করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজের উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি (CJI Lalit) উদয় ইউ ললিত। আগামী নভেম্বরেই দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন চিফ জাস্টিস ললিত। এই মুহূর্তে দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে রয়েছেন তিনি। প্রথামাফিক তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আইন মন্ত্রকের কাছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ললিত। আর তারপরেই একের পর এক রেকর্ডও গড়েছেন তিনি, যার মধ্যে অন্যতম একদিনে সবথেকে বেশি সংখ্যক মামলার নিস্পত্তি করা। তবে আগামী ৮ নভেম্বর ৬৫ বছর বয়স হচ্ছে তাঁর। আর তাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অবসরের বয়সের সময়সীমা শেষ হচ্ছে চিফ জাস্টিস ললিতের। সেই মত নিয়ম মেনেই অবসর গ্রহণ করতে হবে তাঁকে।
মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর অনুযায়ী, দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি নিজের উত্তরসূরির মনোনয়ন পাঠান আইন মন্ত্রকের কাছে। আইনমন্ত্রী সেই নাম সরাসরি পাঠিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী সেই পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন, সবশেষে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমেই নিয়োগ হন সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ বিচারপতি।
চিফ জাস্টিস পদের জন্য এখন সুপ্রিম কোর্টের সবথেকে প্রবীণ বিচারপতি হলেন জাস্টিস চন্দ্রচূড়। তাই নিয়ম মোতাবেক তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন বিদায়ী চিফ জাস্টিস। সব ঠিক থাকলে নভেম্বর থেকে আগামী ২৪ মাস দেশের শীর্ষ আদালতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আসন সামলাবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হলে একটি রেকর্ড গড়বেন তিনি। বাবা যশবন্ত বিষ্ণু (ওয়াই ভি) চন্দ্রচূড়ের মতো ছেলেও হবেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত (Justice UU Lalit)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর এবং বিচারপতি ললিতের পরিবার। স্বল্প সময়ের এই অনুষ্ঠানে বিচারপতি উদয় ইউ ললিতকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। জানা গিয়েছে, মাত্র তিন মাস অর্থাৎ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন বিচারপতি ললিত।
প্রথা অনুযায়ী বিদায়ী প্রধান বিচারপতি তাঁর উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে যান। সেই মোতাবেক বিচারপতি ইউইউ ললিতের নাম শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আইন মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব করেন বিচারপতি এনভি রামান্না। দেশের সদ্যনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি প্রথম ব্যক্তি, যিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থেকে বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হলেন। এর আগে বিচারপতি এসএম সিকরি শীর্ষ আদালতের আইনজীবী থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাম জন্মভূমি মামলা সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ নিষ্পত্তি করেছে, সেই সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ললিত। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে ২০১৯-র ১০ জানুয়ারি, এই মামলার চূড়ান্ত শুনানির আগেই নিজেকে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ললিত।