মধ্যরাতে সিপিআইএমের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো ঘটনার বৃত্তান্ত। চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাত তখন ২ টো বেজে ৭ মিনিট। হঠাৎই বাড়ির ভারী লোহার গেট ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙলো সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ পরিবারের সদস্যদের। এরপর ফের রাত ২ টো বেজে ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় দরজা ভাঙার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কাঁকসার গুরুদ্বারা রোডে মধ্যরাতে সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দরজা ভেঙে ওপরে উঠে আরও একটি দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় দশ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে যদিও কিছু নিতে পারেনি দুষ্কৃতী দল। কিন্তু সশস্ত্র এই দুষ্কৃতী দল কি কারণে এসেছিলো? তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের সদস্যরা।
সম্ভবত খুনের উদ্দেশেই ৯ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওমপ্রকাশ আগরওয়াল।
দুষ্কৃতী তাণ্ডবের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় তোলপাড় কাঁকসা অঞ্চল জুড়ে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে পানাগড় চেম্বার অফ কমার্সের চিফ অ্যাডভাইজার সহ বাম নেতারা।
ভোরের আবছা আলোয় তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিনের লস্করের দিকে মৃত্যু তখন এগোচ্ছে গুটি গুটি পায়ে। বাড়ি অদূরে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন সাইফুদ্দিন। তাঁর পিছু পিছু ধেয়ে গেল ২টি বাইক বোঝাই ৫ দুষ্কৃতী। তারপরই ভোরের নিস্তব্ধতা ভাঙা গুলির শব্দে জেগে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছির বাঙালবুড়ি মোড়। সিনেমার প্লট একেবারেই নয়, এ হল একেবারে বাস্তব। সিএন-র হাতে তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঠিক আগের মুহূর্তের এক্সক্লুসিভ সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই স্পষ্ট তৃণমূল নেতা খুনের মাস্টার প্ল্যান!
ইতিমধ্যেই, তৃণমূল নেতা খুনে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার তরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তাতেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, বহু আগে থেকেই 'টার্গেট' ছিলেন বামনগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তথা বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্কর। এই খুনের বীজ বপন হয়েছিল বহু আগে। সূত্রের দাবি, তৃণমূল নেতাকে নিকেশ করতে ঘটনার ৪-৫ দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার দুষ্কৃতীদের সুপারি দেওয়া হয়। ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা হয় শার্প স্যুটার। গুলিকাণ্ডের আগের দিন বিকেলের মধ্যেই বামনগাছি এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল সুপারি কিলাররা। এলাকা রেইকি করে তৈরি হয় ফুলপ্রুফ প্ল্যান।
এখন প্রশ্ন, এলাকার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা কি গ্রামে বসেই হয়েছিল? কারা সাজিয়েছিল খুনের ছক? আঙুল কিন্তু তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিনের পূর্ব পরিচিতদের দিকেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান , সাইফুদ্দিন লস্করের গতিবিধির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আততায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে নেতার 'চেনা মুখরাই'।
কেন টার্গেট হলেন তৃণমূলের সাইফুদ্দিন? জানা যায়, বারুইপুর মহকুমা আদালতে মুহুরির কাজ করতেন সাইফুদ্দিন। সূত্রের খবর, জয়নগর থানার 'ডাক মাস্টার' অর্থাৎ 'খবরি' ছিলেন এই সাইফুদ্দিন। দীর্ঘদিনের সিপিএম কর্মী সাইফুদ্দিন তৃণমূলে যোগ দেন ২০১৩ সালে। ২০১৮ তে বামনগাছি পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন সাইফুদ্দিনের স্ত্রী শেরিফা বিবি। ৫ বছর আগে বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি পদ পান সাইফুদ্দিন লস্কর। বর্তমানে সামলাচ্ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যের পদও। সবুজ শিবিরের ছত্রছায়ায় সাইফুদ্দিনের জনপ্রিয়তা, লোকপ্রিয়তা, প্রতিপত্তি আকাশ ছোঁয়। তাতেই কি চক্ষুশূল হয়ে উঠলেন? নেতা খুনের চক্রী কি তৃণমূল দলেরই কেউ? সাইফুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ কেউ এই খুনের মাস্টারমাইন্ড? রহস্যভেদের অপেক্ষা শুধু।
অপরাধীদের ধরতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কলকাতা পুলিশের। শহরজুড়ে প্রায় ৬০টি এমন সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ যেগুলির মধ্যে থাকছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ভিড়ের মধ্যে থেকেও অপরাধীদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে সেগুলি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যামেরাগুলি ফেস রেকগনাইজেশন প্রযুক্তিতে তৈরি। যার মাধ্যমে, কোনও ব্যক্তির ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশের ক্রাইম রেকর্ডে থাকা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবে। এবং অপরাধীরা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে পুলিশ।
এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে সেগুলির নাম ফেস রেকগনাইজেশন ক্যামেরা। ওই ক্যামেরা অপরাধ কমাতে আরও সাহায্য করবে বলে ধারণা তাঁর। এমনকী, কেউ নিখোঁজ থাকলেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্ভয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সেগুলি কেনা হয়েছে। আপাতত ৬০টি ওই ধরনের ক্যামেরা বসানো হচ্ছে
বাগুইআটির আবাসনে বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আয়া। বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পরিচর্যার জন্য আয়া রেখেছিল পরিবার। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়াতেই বৃদ্ধাকে মারধর করে অভিযোগ পরিবারের। বাড়ির সিসি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরাও পড়ে। এরপরই অভিযুক্ত আয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন দিন ধরে শয্যাশায়ী। গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পরিবার সদস্যরা। তখনও আয়ার ওই হাড়হিম করা বৃদ্ধাকে মারের দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে।
সিসি ক্যামেরার দৃশ্য দেখার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত আয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, ঘুমের ব্যাঘাত হওয়াতেই ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে ওই আয়া।
দমদম নাগেরবাজারের বাগানবাড়ি থেকে বৃদ্ধ মালিক কল্যাণ ভট্টাচার্যের পচাগলা দেহ উদ্ধারের দু'দিন পর গ্রেফতার তাঁর গাড়ির চালক। স্থানীয়দের বয়ান এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম সৌরভ মণ্ডল। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে বসিরহাটের বাসিন্দা অভিযুক্ত সৌরভ। উদ্ধার করা হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িটিও।
জানা গিয়েছে, পাঁচিল. টপকে বৃদ্ধের বাড়িতে ঢোকে অভিযুক্ত। তাঁর বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দিঘা যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। বৃদ্ধ রাজি না হওয়ায় ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরেই বৃদ্ধকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকি হত্যার পর বাড়িতে তালা দিয়ে ওই বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে দিঘা চম্পট দেয় অভিযুক্ত। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক টোল প্লাজার রসিদও।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধের গাড়িটি চলতি মাসের ১৫ তারিখ বাড়ি থেকে যশোর রোডের দিকে গিয়েছিল। তবে, গাড়িটি কে চালাচ্ছিল বা কোথায় যাচ্ছিল গত দুদিন ধরে তার উত্তর হাতড়াচ্ছিল পুলিশ।
প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট (Shoot Out)। পেট্রোল পাম্পের এক মহিলা কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) সালানপুর থানার (Salanpur Police Station) অন্তর্গত জেমারী এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যে ভাইরাল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।
যদিও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ওই মহিলা কর্মী মঞ্জু মারান্ডি। তিনি জানান, একটি স্কুটি করে তিন যুবক তেল ভরতে এসেছিল। ৫৫ টাকার তেল ভরে গাড়িতে। তারপর তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু মিস ফায়ার হয়ে যায়। এরপর মহিলা কর্মী সহ পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা ছুটে পালাতে শুরু করে। অপরদিকে স্কুটিতে আসা ওই তিনজনও পালিয়ে যায়। তবে পালানোর আগে আরও একবার গুলি করে জানান মঞ্জু।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে সালানপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
দীর্ঘ ৮ বছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল সিসিটিভি। অরবিন্দ ভবন এবার সিসিটিভির আওতায়। এখন শুধু ক্যাম্পাস ও হস্টেল চত্বরে সিসিটিভি বসানোর অপেক্ষা। ছাত্রদের আচরণে অপমান বোধ করছি, তাই নজদারির প্রয়োজন আছে, দাবি উপাচার্যের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যু সামনে এনেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অরাজকতার ছবি। একপ্রকার নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। র্যাগিং, মাদকের আসর ক্যাম্পাসে বন্ধ করতে ক্যাম্পাস ও হস্টেল চত্বরে সিসিটিভি বসানোর দাবি জোরালো হয় দিনদিন।কেন এতদিন বসেনি সিসিটিভি চারিদিকে উঠেছিল সেই প্রশ্ন।ধীরে ধীরে জোরালো হয় সিসিটিভি তত্ত্ব। এই আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সিসিটিভি বসানোর।ওয়েবেলকে ওয়াক ওর্ডার দেওয়া হয় সিসিটিভি বসানোর। কোথায় কোথায় বসবে সিসিটিভি তা নিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে ইসরোর সঙ্গেও। তবে পড়ুয়া মৃত্যুর ১ মাস অতিক্রান্ত হলেও ক্যাম্পাসে এখনও বসেনি সিসিটিভি। তবে সিসিটিভি চালু হল এবার অরবিন্দ ভবনে। দেওয়া হয়েছে পোস্টার, উই আর আণ্ডার সিসিটিভি।
উপাচার্যের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে যাদবপুরের টিমিসিপি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসাতে হবেই, অরিন্দম ভবনের পাশাপাশি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় বসাতে হবে সিসিটিভি। তবে উপাচার্যের রুমের সামনে সিসিটিভি বসানো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে এসএফআই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে। তাঁদের দাবি এখন সিসিটিভি বসানোতে জোর না দিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অন্য হস্টেলে স্থানান্তর করা দরকার।
ছাত্রদের আচরণে অসম্মান বোধ করেছি, তাই সিসিটিভি অ্যাকটিভ করা হয়েছে, দাবি উপাচার্যের। অন্যান্য জায়গায় সিসিটিভি বসবে ইউজিসির গাইডলাইন মেনেই দাবি উপাচার্যের। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিসিটিভি বির্তক প্রথম না। ২০১৪ সালে তৎতকালীন বর্তমান উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে অরবিন্দ ভবনে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। তবে সেই সময় 'হোক কলরব' ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। এরপর সুরঞ্জন দাস হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য। তিনি এসে খুলে দিয়েছিলেন অরবিন্দ ভবনের সিসিটিভি। তারপর দীর্ঘ ৮ বছর পর ফের সিসিটিভির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়।তবে সিসিটিভি অ্যাক্টিভ করা হলেও স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে কবে থেকে বসানো হবে সিসিটিভি এখন সেটাই দেখার।
সিসিটিভির সূত্র ধরে সোনারপুরে (Sonarpur) বাইক চুরি (Bike Theft) চক্রের হদিশ পেল সোনারপুর থানার পুলিস। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বাইক। ধৃতরা বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সোনারপুর থানার পুলিস জানিয়েছে।
সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভীর বাসিন্দা বিধান দেবনাথ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক চুরি হয়ে যায়। ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরাও পড়ে। তিনি চোরকে চিনহিত করতে পারেন। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করার পর সেই চোরকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে বুধবার পাকড়াও করে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিস এসে তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শানু দেবনাথ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মিলন মাঝি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিসিটিভি বসানো নিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে বিতর্কের আবহেই এই খাতে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল শিক্ষা দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, বিষয়টি অর্থ দফতরের বিচারাধীন ছিল। অর্থ দফতর সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার ফলে এই অর্থ বরাদ্দে কোনও বাধা রইল না। জানা গিয়েছে মোট ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মারা গিয়েছেন ২০ দিন হল। অথচ ক্যাম্পাসে নজরদারির জন্য এখনও পরিকল্পনামাফিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি যাদবপুরে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল উঠতেই মঙ্গলবার তাঁরা পাল্টা দায় ঠেলেন সরকারের দিকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরা তো আর সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারি না। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেটি সরকারি সংস্থা। এ বার তারা কী করছে, কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগাতে প্রাথমিকভাবে প্রায় এই পরিমাণ টাকাই খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
গত বুধবার উপাচার্য বলেছিলেন, যাদবপুরে কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি চলবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়েবেলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা এখনও লাগানো গেল না কেন? ওয়েবেল কি এ ব্যাপারে দেরি বা টালবাহানা করছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওয়েবেলের মতো নামী সংস্থা টালবাহানা করবে কি করবে না বা করছে কি করছে না, সেটা তো আমাদের দেখার কথা নয়। জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। আর একটি নামী সংস্থাকেই দায়িত্ব দিয়েছি। তার ওপর সেই সংস্থা সরকারের। আমরা বলেছিলাম যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। এর পর আর আমরা কী করতে পারি?’’ বিতর্কের আবহে শিক্ষা দফতর প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করায় সিসি ক্যামেরা সংক্রান্ত জট কাটে কি না, তা-ই এখন দেখার।
ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হননি। তাই তাঁরা উপাচার্যের পথ আটকান। যদিও কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বুদ্ধদেব সাউ।
জানা গিয়েছে, যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে সিসিটিভি-সহ একাধিক ইস্যুতে কথা বলতে চান একাধিক ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য আলোচনায় বসার জন্য সোমবার সময় দেবেন বলে আশ্বাস দেন তাঁদের।
কিন্তু, পড়ুয়াদের অভিযোগ, আলোচনা না করেই এদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। সেইসময় তাঁকে আটকে দেন পড়ুয়ারা। ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উপাচার্যের দাবি, তিনি সময় দেওয়ার বিষয়ে কোনও কথা দেননি। যদিও, বেশিক্ষণ চলেনি এই ঘেরাও-বিক্ষোভ। উপাচার্য বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন। শেষে আলোচনায় বসেন তাঁরা।
যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে নতুন করে ফের জলঘোলা শুরু হয়েছে। এখনই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসানো হচ্ছে না ক্লোজ সার্কিট ক্যমেরা। সূত্রের খবর, কর্মসমিতির বৈঠকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই এবিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত ঝুলেই থাকছে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর একাধিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তার মধ্যে সিসি ক্যামেরা না থাকার বিষয়টিও ছিল। স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, খুব শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। যদিও বৃহস্পতিবার সকালে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এখনই কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ব়্যাগিং বা কোনও অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ আটকানোর জন্য সিসিটিভি লাগানো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তাঁদের যুক্তি, এর ফলে পড়ুয়াদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। সেকারণেই বিরোধিতা। যদিও পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই আবার সিসি ক্যামেরা বসানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন।
সিসিক্যামেরা (CCTV Camera) বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। ইতিমধ্যে একাধিক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
এবিষয়ে বুদ্ধদেববাবু জানিয়েছেন, মেইন হস্টেল এবং অন্য হস্টেলেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়েবেল-এর সহায়তায় পুরো কাজটি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইউজিসির-র নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবারও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ছাত্র সংগঠনগুলি। সূত্রের খবর, সেখানে সিসি ক্যামেরা-বসানোর বিষয়টি কোনও ভাবেই মেনে নেবেনা ছাত্র সংগঠনগুলি।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে যেমন ছিল বহিরাগত পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনাগোনা তেমনই ছিল সিসি ক্যামেরা না বসানোর বিষয়টি। তারপরেই কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পরেই রবিবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশাপাশি আগামী দিনে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা যাতে আরও মজবুত করা হয় তার জন্যও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য জানান, আলাদা করে সিসিটিভি নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বদলে অন্য কোথায় দুর্বলতা রয়েছে সেবিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখবেন তিনি।
তাঁর কথায় একাধিক জায়গায় উন্নতি করার পরিসর থাকে। তাই সব বিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখতে হবে। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও আগামী দিনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেবিষয়গুলিও দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
যাদবপুর নিয়ে প্রায় ১০দিন ধরে জলঘোলা চলছে। ছাত্র মৃত্যর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। এই ঘটনার পর শনিবার রাতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে ওই পদে বসানো হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ইউনিটের সভানেত্রী করা হয়েছে যাদবপুরের পড়ুয়া রাজন্যা হালদারকে। সেই ইউনিটের দায়িত্ব পেয়েই সিসিটিভি লাগানোর দাবি নিয়ে শনিবার রেজিস্ট্রারের ঘরে গেলেন তিনি। ১০ দিনের মধ্যে সিসিটিভি লাগানোর দাবি তোলেন রাজন্যা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন খুব একটা মজবুত নয়। এদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এড পড়ছেন রাজন্যা হালদার। সেকারণে তাঁর হাত দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
দায়িত্ব পেয়েই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন রাজন্য। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন নেই। সেই মেশিন লাগানোর ব্যবস্থা করবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৌচালয়গুলিও পরিষ্কারের উদ্যোগ নেবেন তিনি।
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের (Businessman) রাস্তায় ফেলে মারধর (Beaten)। লাঠি, রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) রাসখোলা ঘাট এলাকায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী। ঘটনার পুরো ভিডিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরায়। সিসিটিভি ফুটোজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস (Police)। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকার ব্যবসায়িক মহলে।
এক ব্যবসায়ী জানান, ওই এলাকার বেশকিছু দোকানে চার থেকে পাঁচ জন যুবক চাঁদা আদায় করতে আসে। সেই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ব্যবসায়ীদের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। শুধুমাত্র মারধরেই আটকে থাকেনি। দোকানগুলিতেও লাঠি দিয়ে হামলা করে তারা। দোকানের মধ্যে ভাঙচুড় শুরু করে। এই ঘটনায় গুরুতর আহতও হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যবসা করতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।