
২৫ ফেব্রুয়ারির পর ফের ১৪ মার্চ। গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তলব করল সিবিআই। ১৪ মার্চ নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ সিবিআইয়ের। সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির থাকতে বলেছে সিবিআই। শেষবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। তখন তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে হাজিরা দেননি। সিবিআইয়ের দাবি, এর আগে দু’বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কখনও নির্বাচনী ব্যস্ততা, কখনও আবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী গ্রেফতারি এড়াতে তিনি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
যদিও অনুব্রতর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি হাজিরা এড়াতে চান না। তবে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত। কিন্তু কলকাতায় সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, শারীরিক অসুস্থতার জন্য। বোলপুরে বাড়ির কাছাকাছি কিংবা কাছাকাছি কোথাও ডাকা হোক তাঁকে। এই মর্মে আইনজীবী মারফৎ চিঠিও পাঠিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
কিন্তু সেই চিঠির তোয়াক্কা না করেই ফের তলব সিবিআই-এর। এর পাশাপাশি ফেব্রুয়ারিতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকেও তলব করা হয়। দেহরক্ষীও হাজিরা এড়িয়েছেন।
তবে এবার এই নোটিসের পর হাজিরা না দিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাল এসএসসি। মামলা গ্রহণ করল ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানির দিন জানা না গেলেও বিষয়টি যে আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে, তা পরিষ্কার। আর সেই কারণেই হয়তো চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরও খুব একটা খুশি হতে পারেননি। তাঁরা সেদিন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা রক্ষা করুন। তাঁরা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ফলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন, প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়েছেন, সেদিনের রায়ে তাঁদের প্রাথমিক জয় হল বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছিল।
আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত। যে যে অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে, তা মান্যতা পেয়েছে আদালতে। মূল অভিযোগ ছিল, নিয়োগে পুরোপুরি টাকার খেলা চলেছে। ফেল করা প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় নাম না থাকা বা অনেক নিচে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন, অথচ বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য়রা।
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, সিবিআই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং এর পিছনে আদৌ কী ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করবে। আগামী ২৭ মার্চের মধ্য়ে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, স্কুল সার্ভিস কমিশন যেভাবে মিস্টেক হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা কোনও টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য হয়নি।
হাইকোর্ট পরিষ্কারই বলেছে, সিবিআই যেহেতু রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নয়, তাই সিবিআইকে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ডিরেক্টর, সিবিআইকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট ডিরেক্টর লেভেলের অফিসাররের নেতৃত্বে এবং ডিআইজি লেভেলের আধিকদের নিয়ে গঠিত হবে কমিটি। হাইকোর্টের নির্দেশ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোনও অফিসার যেন ছাড় না পায়। কারণ, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নিযুক্ত না থাকলে এই ধরনের নিয়োগ কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। সিবিআই অনুসন্ধান করে দেখবে কোনও ধরনের টাকার লেনদেন হয়েছে কি না।
সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের যেমন মনে হবে, সেই ধরনের ব্যবস্থা তারা নিতে পারবে। ১৫ দিন পর রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। ২০ মার্চ ফের শুনানি।
এসএলএসটি-র (SLST) নবম-দশমের নিয়োগে (Corruption) দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে সোমবারই সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (High Court)। সোমবার ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। রায়ের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Stay Order) জারি করার আবেদন জানানো হল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। এ ব্য়াপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানিরও (Hearing) আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। এদিন রাজ্যের ওই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, এসএলএসটি নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদে সোমবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ২৮ মার্চ মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট (Primary Investigation Report) দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। মূলত পরীক্ষায় না বসেও চাকরি পেয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল।
আবেদনকারীদের আইনজীবী সোমবারই জানিয়েছেন, নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত। যে যে অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন (Movement) চলছে, তা মান্যতা পেয়েছে আদালতে। মূল অভিযোগ ছিল, নিয়োগে পুরোপুরি টাকার খেলা চলেছে। ফেল করা প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় নাম না থাকা বা অনেক নিচে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন, অথচ বঞ্চিত (Deprived) হয়েছেন যোগ্য়রা।
হাইকোর্টের নির্দেশ, সিবিআই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং এর পিছনে আদৌ কী ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করবে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্য়ে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
২০১২ সালে ধনেখালি থানায় পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু হয় শেখ নাসিরুদ্দিনের। পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা রাজ্য। আইনজীবী প্রতিম সিংহরায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিস নয়, এই ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। সিবিআই তদন্ত করে ৩০৪ (এ) ধারায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে বলা হয়, পুলিসের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে নাসিরুদ্দিনের।
সিবিআই তদন্তে খুশি না হয়ে নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শেখ নাসিরুদ্দিনের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও সিবিআই শুধুমাত্র গাফিলতির অভিযোগ এনে তদন্তের কাজ শেষ করেছে।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, "রাজ্যের সাধারণ মানুষ যখন পুলিসের তদন্তে খুশি হতে পারছে না এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর ভরসা রাখতে চাইছে, এমতাবস্থায় সিবিআইয়ের এই ধরনের তদন্ত আদালতকে আশ্চর্য করেছে। সিবিআইয়ের তদন্তের হাল যদি এরকম হয়, তাহলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ কার ওপর ভরসা করবে।"
আদালতের নির্দেশ, সিবিআই-এর দিল্লি অফিসের ডিআইজিকে এই ঘটনার অনুসন্ধান করতে হবে। সেই অনুসন্ধান রিপোর্ট আগামী ৩০ শে মার্চের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে জমা করতে হবে।
এসএসসি-র নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন, প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়েছেন, এদিনের রায়ে তাঁদের প্রাথমিক জয় হল বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত। যে যে অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে, তা মান্যতা পেয়েছে আদালতে। মূল অভিযোগ ছিল, নিয়োগে পুরোপুরি টাকার খেলা চলেছে। ফেল করা প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় নাম না থাকা বা অনেক নিচে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন, অথচ বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য়রা।
হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সিবিআই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং এর পিছনে আদৌ কী ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করবে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্য়ে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আনিস-কাণ্ডে (Anish Murder) আমতা থানার দুই পুলিসকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিট (SIT)। একজনের নাম হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং অপরজন সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য দিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজিপি (DGP Manoj Malviya) মনোজ মালব্য। আজ বৃহস্পতিবার আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুজনকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে।
বুধবার ডিজি আনিসের পরিবার-পরিজনকে সিটের তদন্তে ভরসা রাখতে আবেদন করেন। পাশাপাশি তদন্তে সহযোগিতা করতেও বলেন আইপিএস মনোজ মালব্য। তিনি বলেন, 'আমাদের সিটের নেতৃত্বে আছেন দক্ষ আইপিএস মিরাজ খালিদ। পরিবারকে ন্যায়বিচার দিতে ওর নেতৃত্বে সিট ব্যবস্থা নেবে। ১৫ দিন সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যেই পুরোটা সামনে আসবে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলেছেন এই কাণ্ডে উনি বিচার চান।'
তবে তদন্তের স্বার্থে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাধা তৈরি হচ্ছে। বুধবার আক্ষেপের সুরে বলেন ডিজি। ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আনিসের দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুমতি ফিরিয়েছে পরিবার। তাঁর আবেদন,'সিটের উপর ভরসা রাখুন। ওরা নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্যিটা সামনে আনবে।' তিনি আরও বলেছেন, 'কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। এই মামলার তদন্তে আগেই তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
এদিকে, আনিস-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যে সরব ছাত্রনেতার পরিবার। তাদের সুরে সুর মিলিয়েছে নাগরিক সমাজ এবং ছাত্র সমাজ। বুধবার এই দাবির সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের এক অনুষ্ঠানে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আনিস-কাণ্ডে পুলিস দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রশাসনিক স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁদের নিজের ক্ষমতা নেই, তারা সিবিআই সিবিআই করছে। সিবিআই তদন্তে এযাবৎকাল কতজন বিচার পেয়েছে? সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে রাজ্যের পুলিস ব্যবস্থাকে নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।'
এদিন সিবিআই তদন্তের সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম-সহ অন্য মামলার প্রসঙ্গ টানেন। যেখানে সিবিআই তদন্ত করলেও, এখনও ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি। সিঙ্গুরে তাপসী মালিক-কাণ্ডেও কেউ ন্যায়বিচার পায়নি। এদিন নবান্নে এভাবে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, 'পুলিসকে কাজ করতে দিন। মঙ্গলবারের আন্দোলনে মানুষের খুব অসুবিধা হয়েছে। এই সংস্কৃতি মানুষ সহ্য করবে না।'
আনিস-কাণ্ডে (Anish Murder) সিবিআই তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যে সরব ছাত্রনেতার পরিবার। তাদের সুরে সুর মিলিয়েছে নাগরিক সমাজ এবং ছাত্র সমাজ। বুধবার এই দাবির সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। নবান্নের এক অনুষ্ঠানে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আনিস-কাণ্ডে পুলিস দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রশাসনিক স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁদের নিজের ক্ষমতা নেই, তারা সিবিআই সিবিআই (CBI Investigation) করছে। সিবিআই তদন্তে এযাবৎকাল কতজন বিচার পেয়েছে? সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে রাজ্যের পুলিস ব্যবস্থাকে নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।'
এদিন সিবিআই তদন্তের সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম-সহ অন্য মামলার প্রসঙ্গ টানেন। যেখানে সিবিআই তদন্ত করলেও, এখনও ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি। সিঙ্গুরে তাপসী মালিক-কাণ্ডেও কেউ ন্যায়বিচার পায়নি। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির প্রসঙ্গ এদিন তুলেছেন মমতা। এদিন নবান্নে এভাবে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, 'পুলিসকে কাজ করতে দিন। মঙ্গলবারের আন্দোলনে মানুষের খুব অসুবিধা হয়েছে। এই সংস্কৃতি মানুষ সহ্য করবে না।' সুর চড়িয়ে তিনি বলেছেন, 'আইন আইনের পথে চলবে। সবেতেই সিবিআই সিবিআই কড়া হচ্ছে। পুলিসের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যায় হলে প্রশাসনের কাউকে রেয়াত করা হবে না।'
তাঁর প্রছন্ন বার্তা, 'রাজ্য সরকারকে দুর্বল ভাবা বন্ধ করুন। সিপিএম-কে খুশি করতে আসিনি।'
আনিসের মৃত্যুর (Anish Death) পর ৯৬ ঘণ্টা পেরোলেও অধরা অভিযুক্তরা। পাশাপাশি এই মৃত্যু তদন্তে গঠিত সিটে আস্থা নেই শহরের ছাত্র সমাজের। তাই আনিসের হয়ে ন্যায়বিচার চাইতে পথে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা মহাকরণ অভিযানে (March to Mahakaran) নেমেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। নানাভাবে তাঁদের আন্দোলনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল বিশাল পুলিস বাহিনী। বুধবারও আন্দোলনের রেশ চোখে পড়ল।
বুধবার সকালে প্রেসিডেন্সি কলেজের গেটের সামনে ধরনায় বসতে দেখা যায় সেখানকার পড়ুয়াদের। তাঁদের দাবি, আনিসের মৃত্যুর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা তাঁরা হতে দেবেন না বলে জানান। সিবিআই তদন্তের দাবিও করেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও বুধবার একই চিত্র ধরা পড়ল। পড়ুয়াদের অবস্থান-বিক্ষোভের পাশাপাশি বেলা বাড়তে মিছিলেরও ডাক দেন তাঁরা।
যদিও গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনও প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। মোতায়েন মহিলা পুলিসও। টিয়াস গ্যাস, জল কামান ইত্যাদির মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল পুলিস বাহিনী। কয়েকজন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াকে আটকও করে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মৃত ছাত্রনেতা আনিসের দাদাকে উড়ো নম্বর থেকে হুমকি। অভিযোগ, সিবিআই চাইলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্য়ক্তি। এরপরই আনিসের দাদা সাবির খানের অভিযোগ, গতকাল ১.০৪ নাগাদ তাঁর ফোনে এক অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। তবে ওই ফোন নম্বরটি ভারতীয় নয়। +৫০১ নিয়ে ছিল ফোন নম্বরটি। ফোন তুলতেই বলা হয়, সিবিআই তদন্তের দাবি করবেন না। করলেই আপনাকে এবং আপনার বাবাকেও মেরে ফেলা হবে। এই কথা শুনতেই ফোনে রেকর্ডিং শুরু করেন তিনি। এরপর আবারও বলা হয় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালে সবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেব।
তবে এই ঘটনার পরই রাতের ঘুম উড়েছে আনিসের পরিবারের। আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার।
উল্লেখ্য়, মঙ্গলবার রাতেও পুলিসি পাহারা চলেছে আনিসের বাড়ির সামনে। থমথমে ছিল গোটা এলাকা। তারই মধ্য়ে প্রাণনাশের হুমকি। সোমবারই ছাত্রনেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক মঙ্গলবারই আনিসের বাড়িতে যান সিট-এর দুই সদস্য। তবে তাঁরা গেলেও আনিসের বাবা একই দাবিতে সরব। সিট-এর সদস্যের সামনেই জানান, "আমরা এই সিটের উপর ভরসা করছি না। দিদি কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না? যখন আমরা সবাই এবং গ্রামবাসীরা সকলেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি, তখন কেন নির্দেশ দিচ্ছেন না তিনি?"
আনিস মৃত্যুকাণ্ডে মঙ্গলবার, চারদিন বাদেও একই কথা পরিবারের মুখে। গতকালই ছাত্রনেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার আনিসের বাড়িতে যান সিট-এর দুই সদস্য। তবে তাঁরা গেলেও আনিসের বাবা একই দাবিতে সরব।
তিনি সিট-এর দুই সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আমরা এই সিটের উপর ভরসা করছি না। দিদি কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না? যখন আমরা সবাই এবং গ্রামবাসীরা সকলেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি, তখন কেন নির্দেশ দিচ্ছেন না তিনি?" অর্থাৎ তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের কেউই প্রশাসনের উপর আর ভরসা রাখছেন না কোনওভাবেই।
মঙ্গলবার বিকালেও সিট-এর ওই দুই সদস্য সহ উচ্চপদস্থ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক আনিসের বাড়ির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি আনিস যে জায়গায় পড়েছিল, সেই জায়গা সহ পরে তাঁকে বারান্দার যে জায়গায় এনে রাখা হয়, সমস্ত দিকটাই খতিয়ে দেখেন।
তবে তাঁদের কাজে সহযোগিতা করেছে পরিবার। কিন্তু আনিসের ফোন কোনওভাবেই কারও হাতে দিতে নারাজ পরিবার।
গতকালই আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো, সোমবার রাতেই সিট-এর ৩ সদস্যের মধ্যে ২ জন যান আমতা থানায়। সোমবার রাত ২ তো পর্যন্ত বৈঠক হয় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে। এরপর মঙ্গলবার সকালেই আনিসের বাড়ি আসতে পারে সিট-এর সদস্যরা, এমনটাই খবর। তবে তার আগেই মঙ্গলবার সকালেও আনিসের বাবার পরিষ্কার বক্তব্য, "আমরা পুলিস-প্রশাসন অথবা এই সিটের উপর আস্থা রাখছি না। দিদি যদি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন, তবেই তাদের হাতে আনিসের ফোন তুলে দেব। অন্যথা ফোন দেওয়া হবে না।" অর্থাৎ বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনিসের ফোন হস্তান্তরের দাবি জানালেও, তাঁরা একেবারেই ফোন দেবেন না বলেই জানান।
অন্যদিকে সোমবারই সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য জানিয়েছিলেন, এডিজি, সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং এই সিটের দায়িত্বে থাকবেন। এদিনই সিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেবেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
যত সময় পেরচ্ছে, ততই আনিস খুনের রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। আনিসের মৃত্যুর আজ চতুর্থ দিন। কিন্তু তবুও দোষীরা এখনও অধরাই। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব পথে নেমেছে। আনিসের বাড়িতেও আসেন বিভিন্ন দলের মন্ত্রী থেকে বিধায়করা।
আনিস রহস্যমৃত্যুর (Anish Death) তদন্তে নয়া মোড়। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড তিন পুলিসকর্মী। সাসপেন্ড এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম এবং এক হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা। আনিসের মৃত্যুরাতে এঁদের ভূমিকা সন্দেহজনক। অতিরিক্ত পুলিস সুপারের রিপোর্টকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই আমতা থানায় (Amta PS) যান সিটের (SIT) দুই সদস্য। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে থানায় ডিউটিতে ছিলেন তিন পুলিসকর্মী। সিটের সদস্যরা ডিউটি রোস্টার পরীক্ষা করেন। চেয়ে পাঠানো হয় আনিসের মোবাইল ফোনও। এদিন দুপুরের দিকে আনিসের আমতার বাড়িতে যান সিটের ৫ সদস্য। সেই দলে রয়েছেন মিরাজ খালিদ এবং ধ্রুবজ্যোতি দে। তার আগে পুলিস গিতে দেখা করে আনিসের পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের এবং সিটের সদস্যদের ঘিরে চলে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
তাঁরা খতিয়ে দেখেন অতিরিক্ত পুলিস সুপারের রিপোর্ট। থানা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আনিসের বাড়িতে যাবে সিটের তিন সদস্য। যদিও এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় পরিবার। আনিসের পরিবার দাবি, 'কারা সাসপেন্ড হয়েছে, কেন সাসপেন্ড হয়েছে আমরা জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত পুলিসের বাহানা। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। সিটে ভরসা নেই।'
এদিকে প্রাক্তন পুলিসকর্তাদের মত, এই ঘটনায় ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে পুলিস। সর্ষের মধ্যেই ভূত! কোনওভাবে বড় অংশকে ধামাচাপা দিতেই এই সাসপেনশনের নাটক। পুলিসের কাছে হয়তো খবর গিয়েছিল কোনওভাবে মারা গিয়েছে আনিস। তাই তথ্য-প্রমাণ লোপাটের সময় দিতে তারা গড়িমসি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এমনটাই মন্তব্য প্রাক্তন পুলিসকর্তাদের।
অপরদিকে, আমতা থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারকে সিট জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি আমতা থানায় তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গতকাল একটি রিপোর্ট জমা হবার পর এসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্রর হেমব্রম, হোমগার্ড কৃষ্ণনাথ বেরাকে কর্তব্যে গাফিলতি, দুর্ব্যবহারের অভিযোগে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তাদেরকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর।
সিবিআইয়ের পর এবার ইডির হাতে গ্রেফতার গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling) অভিযুক্ত এনামূল হক (Enamul Haque)। শনিবার তাঁকে দিল্লির ইডি (ED Arrest) অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে হাজিরা দিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে এই গ্রেফতারি, এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করলেও, আপাতত জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তে একধিক প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। সে ব্যাপারে জেরা করলেও, সদুত্তর দেননি এনামূল। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। এদিকে, গরু পাচার মামলায় মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেইমতো সকালেই নিজাম প্যালেসে হাজির হন দেব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেবকে নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, জেরায় এনামূল জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ সালে দেবকে দামী উপহার দিয়েছেন তিনি। সেই সূত্রেই অভিনেতা-সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। অপরদিকে, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। তদন্তে নেমে লালাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশ পেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লালা। অবশেষে শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচ পাওয়ার পরই নিজাম প্যালেসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছিলেন লালা। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সিবিআইয়ের হাতে আসে। সেই সূত্রেও উঠে আসে তৃণমূল সাংসদ-অভিনেতা দেব বা দীপক অধিকারীর নাম।
এবার এসএসসি গ্রুপ-সি (SSC group-C) নিয়োগে সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল। সেই রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলা গ্রহণ করে এদিন সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ।
জানা গিয়েছে, আগামি মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই পর্যবেক্ষণ দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ দিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে শুনানি।
এদিকে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ১৫ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। গতকাল ডিভিশন বেঞ্চ গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার যাবতীয় বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর ২ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেয়। সেই নির্দেশকে সামনে রেখেই প্রায় ১ মাস গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল একক বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে প্রাক্তন বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে যে অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত চালাচ্ছিল, সেই কমিটি গতকাল সকালে বাতিল করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআইকেই ফের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৬ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদে সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে একমাসের মধ্যে, এমনটাই নির্দেশ ছিল সিঙ্গল বেঞ্চের।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্য সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।