
স্কুল যাওয়ার পথে ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা স্কুল বাসের। ঘটনায় আহত তিনজন পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের চন্ডীতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিভাবকেরা এসে তাঁদের ছেলেমেয়েদের উদ্ধার করে নিরাপদে স্কুলের উদ্দেশ্যে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি স্কুল বাস ৩৫ জন ছাত্র নিয়ে যাওয়ার সময় চন্ডীতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাম্পার এর পিছনে ধাক্কা মারে। বাসে থাকা সকল পড়ুয়ায় ভয়ে আঁতকে ওঠে। তাদের মধ্যে তিনজন ছাত্র আহত হয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও তাদের ছেলেমেয়েদের সময় মতো বাসে করে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ খবর আসে চন্ডীতলা এলাকায় দুর্ঘটনার। খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাঁরা। এই স্কুল সময়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেইজন্য অবিলম্বে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
প্রসূন গুপ্ত: মঙ্গলবার ছিল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। অর্থাৎ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলন। এটি সপ্তম বর্ষ। এই সামিট শেষ হলেই নানান জল্পনা ও সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীদের বক্তব্য, শিল্প কোথায় রাজ্যে? কিন্তু বাস্তব সত্যিটা হলো ব্যবসা বা বাণিজ্য শুরু হলে বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ব্যবসায়ীদের কাজ শুরু হলে তা দেখা যায় না, বোঝা যায়। আসলে আমাদের একটি ধারণা আছে এই বাংলায় যে, বাণিজ্য মানেই ঢাউস একটি কারখানা হবে এবং কর্মী সংখ্যা হবে হাজার হাজার। আজকের ভারতে নতুন প্রজেক্ট সেই অর্থে কোথায়? মোদ্দা কথা আজকের ব্যবসার মূল মন্ত্র তুমি বানাও আমি কিনি। মঙ্গলবার কিন্তু দেশ বিদেশের বহু বাণিজ্য প্রতিনিধি কলকাতার বিশ্ব বাণিজ্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এবং তাঁরা প্রতিশ্রুতিও দিলেন লক্ষ কোটি টাকার। এত সত্ত্বেও সভার সব আলো কেড়ে নিলেন মুকেশ আম্বানি এবং সৌরভ গাঙ্গুলি। বলতে দ্বিধা নেই আম্বানিরা এখনও অর্থ ভাণ্ডারে দেশের প্রথম নম্বরে, কাজেই যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতির আলাদা যুক্তি আছে।
এই মুহূর্তে কেন্দ্রের প্রেরণায় দ্রুত আম্বানিদের কাছে এগিয়ে আসছেন আর এক শিল্পপতি গৌতম আদানি। শোনা যায় তিনি গুজরাতের মধ্য মানের ব্যবসা থেকে আজ ভারতে আগামীর অধিকাংশ বাণিজ্যে এগিয়ে চলেছেন। বিরোধী কংগ্রেসের মতে, মোদির কৃপায়। এই নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট বুদ্ধিমতী এবং এখন বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ। তাঁর মুখমন্ত্রীত্বের ১২ বছর কেটে গিয়েছে কাজেই আরও ধারালো হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা। তিনি জানেন আদানিরা এখন বিরোধীদের ব্যাড বুকে রয়েছে। দেরি না করে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি অম্বানিকে 'মুখ' করলেন। আগামীতে মুকেশ এই রাজ্যে আরও বেশি প্রকল্প করবেন তা তাঁর বক্তব্যে উঠেও এলো। রাজ্যের হতে পারতো এমন শিল্প থেকে আদানি থাকবেন কিনা প্রশ্ন তুলে দিলেন। দিনের শেষে দেশের পয়লা নম্বর বণিক তাঁর বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
একই সাথে হঠাৎই ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় সৌরভ গাঙ্গুলি এখন থেকে বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর। কিন্তু শাহরুখকে বাদ দিয়ে সৌরভ কেন? প্রথমত, শাহরুখ তো নামেই ব্র্যান্ড ছিলেন। আদতে তাঁকে দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছিলো না। দ্বিতীয়ত শাহরুখ পেশাদার। কেকেআর ছাড়া সত্যিই তাঁর কলকাতা নিয়ে আদৌ কোনও ভাবনা নেই। সে ক্ষেত্রে সৌরভ বর্তমানে ক্রিকেট বোর্ড থেকে অসম্মানিত (পড়ুন বিজেপি থেকেও ) | তাঁর হাতে দাদাগিরি ছাড়া মানুষের জন্য কোনও ভূমিকা নেই। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ মুহূর্তে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যা অপমানের। দেরি না করে মমতা খেলা দুদিনের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব দিলেন। এ ক্ষেত্রে সৌরভ কাজটা করতে পারবেন এবং আগামী নির্বাচনে কি হয় তা তো সময়েই বলবে।
মঙ্গলে শুরু হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এদিন নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেশন সেন্টারে পৌঁছে গিয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আর তিনি মঞ্চে উঠেই বক্তৃতা দেওয়ার সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন মুকেশ আম্বানি। তিনি মমতাকে বললেন, "আপনি সত্যিই অগ্নিকন্যা।" এছাড়াও তাঁর মুখে শোনা গেল, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।' আবার এদিন একগুচ্ছ বিনিয়োগ নিয়ে উপস্থিত থেকে বাংলার শিল্প এবং কর্মংসংস্থান সম্ভাবনাকে উস্কে দেন রিলায়েন্সের কর্ণধার।
বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে মুকেশ আম্বানির দাবি, সপ্তম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে উপস্থিত থাকতে পেরে তিনি সম্মানিত। বিশ্বমঞ্চ তৈরি করে এই ধরনের বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অভিনন্দনও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, গত চার বছরে রাজ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের পরিসর বেড়েছে, এগিয়েছে বাংলা। আরও বেশি উজ্জীবিত এবং আত্মবিশ্বাসী বাংলা। শ্রদ্ধেয় মমতাদির গঠনমূলক নেতৃত্বের কারণে এই রূপান্তর সম্ভব হয়েছে। এর পর প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ এনে বলেন, 'অটল বিহারী বাজপেয়ী আপনাকে যেমন বলতেন, আপনি সত্যিই অগ্নিকন্যা।'
মঙ্গলবার শুরু হল সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS2023)। দিন ব্যাপী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসেছে নিউটাউনে (Newtown) বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে। নিউটাউনে বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে দু-দিন ব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দেশ ও বিদেশের একাধিক শিল্পপতি।এই উপলক্ষে সেজে উঠেছে বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টার। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। রাজ্যের লক্ষ্মীলাভের আশায় মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, আইটিসি-র এমডি সঞ্জীব পুরী, টিসিজি গ্রুপের পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, জিন্দাল গ্রুপের কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল, নিরঞ্জন হিরানন্দানি, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, রাজন ভারতী মিত্তল, উমেশ চৌধুরী, মেহুল মোহাঙ্কা-সহ রাজ্য ও দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিরা।
সূত্রের খবর এবার আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন, ফ্রান্স সহ বিদেশের মোট ২৮টি দেশের প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার সেক্রেটারি ইলেইন এফ মার্শাল, ইউকে ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড ডেভিস, পোল্যান্ডের মন্ত্রী গ্লেজর্জ টোবিজস্কি ছাড়াও কিম ইউং রক ও ফ্যাব্রিজিও সালাকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রার পর থেকে এবারের বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিকে নজর সব মহলের। নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে তাবড় শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিদের এই চাঁদের হাটে রাজ্যে শিল্পে বড় বিনিয়োগ আসবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারা।
তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল বিদ্য়ালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্য়ালয়ের মধ্য়ে এই নিশংস ঘটনা ঘটনো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে দেখান স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকেরা। ইতিমধ্য়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। চাঞ্চল্য়কর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সুজিত দে। তিনি একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল ওই শিক্ষক। এরপর কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বিদ্য়ালয় যাওয়া বন্ধ করে দেয় নির্যাতিত ওই ছাত্রী। পরিবারের সকলে বারবার কারণ জানতে চাইলে বলতে নারাজ হলেও পরে পুরো বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী।
সমস্ত বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার রাতেই পুণ্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নির্যাতিত ছাত্রীর বাড়ির লোক। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক শুধু ছাত্রী নয় শিক্ষিকাদের সঙ্গেও এমন কান্ড ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। তবে বিদ্য়ালয়ে প্রধান শিক্ষকের এই ব্য়বহারের কারণে বেশ আতঙ্কিত এবং চিন্তিত অভিভাবকেরা।
রাজ্য়ে বারংবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠে আসছে প্রশ্ন। জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের খুন। একের পর এক তৃণমূল নেতার খুনে উত্তপ্ত বাংলা। সেই রেশ কাটতে না কাটতে কোচবিহারের বলরামপুরে খুন ছানা ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ছানা ব্য়বসায়ীকে। ঘটনায় পথ অবরোধে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সুব্রত ঘোষ (৩৫)। বাড়ি দিনহাটার নাজিরহাটে। খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্য়বসায়ী। সেই সময় একদল দুস্কৃতী এসে হামলা চালায় তাঁর ওপর। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর এদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ব্য়বসায়ীকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় তুফানগঞ্জ থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে তুফানগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার কিনারা খুঁজে পায়নি পুলিস। তবে কে কা কী কারণে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক শিশুর। এ ঘটনায় আহত কমপক্ষে ৪০ জন। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে পারাদ্বীপগামী একটি বাসে শুক্রবার রাতে হঠাৎ আগুন লাগে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মাদপুরের কাছে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগুন লেগে একটি শিশুর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের উপর ওই যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন লাগে। এই খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রাও। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই বাসের জানলা ভেঙে যাত্রীরা ঝাঁপ দিতে থাকে। কীভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, বাবুঘাট থেকে বাসটি ছেড়েছিল। খড়গপুর হয়ে ওড়িশার পারাদ্বীপ যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। রাত ৯টা নাগাদ হঠাৎ ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন। অনেক পণ্যও ছিল। চালক লাফিয়ে নেমে পালায়। কিন্তু বাসের প্রধান দরজা বন্ধ ছিল বলে খবর।
শুক্রবার সকালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। বর্ধমান থেকে করুণাময়ী যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। ওই বাসে ছিলেন প্রায় ৫০ জন। প্রত্যেকেই প্রায় আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে ডানকুনি- বর্ধমানমুখী রাস্তায়। বাইক ও গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে , শুক্রবার সকালে একটি বাস বর্ধমান থেকে করুণাময়ী যাওয়ার পথে হরিপাল থানার কানগোই এলাকায় জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। বাসের গতি অনেক বেশি ছিল বলে খবর। অন্যদিকে, ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে ডানকুনি-বর্ধমানমুখী রাস্তায় একটি বাইকের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। বাইকে থাকা দু’জন আরোহী গুরুতর জখম হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লাক্সারি বাস ধাক্কা মারে ২৩৫ নং রুটের একটি বাসে। ধাক্কার জেরে বাসটি ডিভাইডারে উঠে যায়। সোমবার সকাল ৯.১০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার ঠাকুরপুকুর ৩এ বাস স্ট্যান্ডের নিকট। ঘটনায় প্রায় ২১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিসের তৎপরতায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, ২৩৫ নং বাসটি একটি প্রাইভেট গাড়ির উপর উঠে যায়। বাস দুটি ও চার চাকা গাড়িটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এছাড়াও সাতসকালের এই দুর্ঘটনায় রাস্তার ধারে ফল নিয়ে বসা এক ব্যবসায়ীও গুরুতর আহত হয়েছেন। ব্যবসায়ীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বেহালার চৌরাস্তায় ঘটেছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এরপর আবার ঠাকুরপুকুরে। স্থানীয়দের দাবি, ট্রাফিক পুলিসদের আরও কড়া হতে হবে। প্রশাসনকে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
দিঘা নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের কাঁথি বাইপাসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দিঘাগামী একটি চার চাকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। জখম একাধিক। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল ১১৬বি জাতীয় সড়ক। আহতদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
বুধবার বিকেলের দিকে একটি গাড়ি দিঘার দিকে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই উল্টো দিক থেকে একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident) বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক বাস ডিপোয়। বিধ্বংসী আগুনে একের পর এক বাস পুড়ে একেবারে ভস্মীভূত। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুকরুর বীরভদ্র নগরের কাছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা গিয়েছে, বাস ডিপোয় দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোতে হঠাৎ দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। কিছু সময়ের মধ্যেই আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
#WATCH | Private buses parked in a bus depot in Bengaluru's Veerabhadranagar catch fire
— ANI (@ANI) October 30, 2023
Detailed awaited. pic.twitter.com/gC0WAmksCZ
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর বীরভদ্র নগরের কাছে থাকা এক বাস ডিপোয় থাকা বাসগুলোতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এর পর সেই আগুন একের পর এক বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে প্রায় ২২টি বাস আগুনে পুড়ে যায়। বিধ্বংসী আগুন লাগার পাশাপাশি ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। প্রশাসন সূত্রের খবর, কেউ এই ঘটনায় জখম হননি। তবে কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে শিশু যৌন নির্যাতন (Child Abuse) সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক। সূত্রের খবর, শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, ইউটিউব এবং টেলিগ্রামকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন 'ভারতীয় ইন্টারনেট অপরাধমূলক ও ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আর তা কার্যকর করা হবে।'
কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে যে কোনও শিশু যৌন নির্যাতনের কনটেন্ট অবিলম্বে এবং স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে। সেগুলি যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিষয়গুলি আর ছড়াতে না পারে, তার জন্য কনটেন্ট মডারেশন অ্যালগরিদম এবং রিপোর্টিং মেকানিজমের মতো সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এই নোটিশের পরও দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আইটি অ্যাক্টের ৭৯ ধারার অধীনে তাদের নিরাপদ আশ্রয় প্রত্যাহার করা হবে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সপ্তাহের শুরুতে সাতসকালে পথ দুর্ঘটনা। একটি চার চাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাহত হয় যানচলাচল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কেবি ১৬ রুটের একটি বাস গোদরেজ ওয়াটারসাইড থেকে করুণাময়ীর দিকে যাচ্ছিল। আর চার চাকা গাড়িটি নিউটনের দিক থেকে নিকো পার্কের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবোঝাই বাসটি সিগন্যাল ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় আরএস সফটওয়্যার বিল্ডিংয়ের দিক থেকে আসা চার চাকা গাড়িটি সজোরে বাসে ধাক্কা মারে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই উলটে যায় বাসটি। এই ঘটনায় চার চাকা গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণে রক্ষা পেয়েছে ওই গাড়িতে থাকা সকলে। এই ঘটনায় দু'জন বাইক চালকও আহত হয়েছেন।
কথাই ছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে দুটি দিন দলের কর্মীদের সাথে অবস্থান আন্দোলন করবেন। শেষ সময়ে বিভিন্ন বাঁধা আসতে দেখা গেলো। প্রসঙ্গত অভিষেকের এই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ এবং ২৮ অগাস্ট ছাত্র সমাবেশে ঘোষণাই করেছিলেন অতএব এটি নিঃসন্দেহে পূর্ব নির্ধারিত। কিন্তু সমস্যা হয়েছে দুটি। প্রথমত কোর্টের নির্দেশে ইডি অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছে ৩ অক্টোবর, যেদিন তাঁর দিল্লির আন্দোলনে থাকার কথা। অভিষেককে অবিশ্যি এর আগেও 'ইন্ডিয়া' জোটের শেষ বৈঠকের দিনেই ডাকা হয়েছিল এবং তিনি গিয়েওছিলেন। এবারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, থাকতে পারবেন না।
দ্বিতীয়ত অভিষেকের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি দিল্লি সফরের জন্য একটি বিশেষ ট্রেন বুক করেছিলেন, যে গাড়িতে তাঁর দলের অনুগামীদের যাওয়ার কথা কিন্তু শুক্রবার শেষ মুহূর্তে রেলওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে যে, ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়। শুক্রবার অভিষেক নেতাজি ইনডোরে দলের দিল্লি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে মিডিয়ার সামনে জানালেন যে, টাকা জমা সত্বেও ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং দাবি করেন যে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত। তিনি এও বলেন যে, যে ভাবেই হোক দিল্লি যাওয়া হবেই কারণ কয়েক হাজার মহিলা পুরুষ অপেক্ষা করছে।
রাতারাতি ব্যবস্থা যতটুকু করা হল তা এই রকম, প্রচুর বাস ভাড়া করা হয়েছে। সেগুলি যে ভলভো এমন নয়। তবে স্লীপার কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা শুয়ে বসে যেতে পারে। দূরত্ব অনেকটাই। সম্পূর্ণ বিহার, উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে দিল্লি। শনিবার বেলায় যে বাস ছাড়লো তা দিল্লি পৌঁছাতে অন্তত দুটি রাত লেগে যাবে। অন্যদিকে দলের নেতা মন্ত্রীদের অনেকেই রাজধানী এক্সপ্রেসে যাচ্ছেন এমনটিই জানা গেলো মন্ত্রী শশী পাঁজার সূত্র মাধ্যমে। নিঃসন্দেহে এখন এই দিল্লি যাত্রা বড় খবর সারা দেশের কাছে। লক্ষণীয় বিষয়ে থাকবে গান্ধী জয়ন্তী।
পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। শহরে পুজোর মার্কেটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শনি ও রবিবার পুজোর বাজারে ভিড় বাড়তে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা শুরু করার কথা জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শনি, রবিবার ও যে কোনও ছুটির দিন এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ও ডানলপ রুটে বাস চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বিবাদী বাগ, স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে হাওড়া যাবে বাস। দ্বিতীয় ধাপে চিত্তরঞ্জন অ্যাভনিউ, বিবেকানন্দ রোড, হাতিবাগান, শ্যামবাজার হয়ে বিটি রোড হয়ে ডানলপ পর্যন্ত বাস চলবে। ভিড়ের সময় হাওড়া ও ডানলপগামী বাস ৬টি ও তিনটি করে ট্রিপ করবে। দক্ষিণে সর্বাধিক তিনটি রুটে বাস চলবে। গড়িয়াহাট থেকে হাওড়া, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা পর্ণশ্রী। বালিগঞ্জ টার্মিনাস থেকে বাস ছাড়বে।
পুজোর ভিড়ের কথা মাথায়া রেখে এই শনিবার, থেকেই উত্তর ও দক্ষিণে মেট্রো পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এখনই বাড়ানো হচ্ছে না। এবার বাসের পরিষেবাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পরিবহণ দফতরের।