বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় রাজ্য বাজেট। ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্যে 'সমুদ্রসাথী' প্রকল্পের ঘোষণা। নয়া এই ঘোষণায় বছরে দু'মাস ৫০০০ টাকা করে মৎস্যজীবীদের দেওয়া হবে। আর তাতে ২ লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আগামী অর্থ বছরের জন্যে আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। আর সেখানেই নয়া এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, মৎসজীবীরা অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে সমুদ্র যান। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগণা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার বহু মানুষ মৎস্য চাষের সঙ্গে যুক্ত। সারা বছর মাছ ধরলেও এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে জুনের মধ্যে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। ফলে চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হয় এই সমস্ত মৎস্যজীবীদের।
এই সমস্ত মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়াতেই 'সমুদ্রসাথী' প্রকল্পের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছরের এই দুমাস ৫,০০০ টাকা করে মৎস্যজীবীদের দেবে সরকার। এমনটাই ঘোষণা রাজ্য বাজেটে। আর এই খাটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব হয়।
ডিএ আন্দোলনের মাঝে ফের বড় চমক মমতা সরকারের। রাজ্য বাজেটে আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন। বাজেট ঘোষণার সময় রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন তিনি।
রাজ্য সরকার চার শতাংশ ডিএ বাড়ালেও কেন্দ্রের সঙ্গে ডিএ-র ফারাক রইল ৩২ শতাংশ। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই রাজ্য সরকারের এই ডিএ ঘোষণা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এখনও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন ৩৪ শতাংশ ডিএ বকেয়া পড়ে রয়েছে তাঁদের।
আগামী মে মাস থেকে কার্যকর হবে নতুন মহার্ঘ্য ভাতা। তবে এই মহার্ঘ্য ভাতায় খুশি নন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা তাঁদের দাবি মতো মহার্ঘ্য ভাতা দাবি করেছেন। লোকসভা ভোটের আগে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজেট পেশের সময় বিজেপির বিধায়করা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। বারবার থমকে গিয়েছিল বাজেট বক্তৃতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্ত হয়ে বিরোধী দলের নেতাদের বাজেট বক্তৃতা শেষ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বিজেপি সাংসদদের নিশানা করে বলেছেন, বিধানসভা ভবন এটি বিজেপির পার্টি অফিস নয়। লোকসভায় বাজেট পেশের সময়ও এই ধরনের আচরণ বিরোধীরা করে না। তাহলে কেন বিধানসভায় এই আচরণ করা হচ্ছে। তারপরেও বিরোধীরা শান্ত হতে চাননি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তাঁদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানান। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন আমি হাতজোর করে বলছি শান্তিপূর্ণ ভাবে বাজেট পেশ করতে দিন। আপনাদের সময় এলে আপনারা সমালোচনা করবেন।
একাধিকবার বিরোধিতার পরে শেষে নির্বিঘ্নে বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এদিন রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বড়সড় ঘোষণা। এক ধাক্কায় ৫০০ টাকা বাড়ল লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। এবার থেকে আর ৫০০ টাকা নয়। প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন সাধারণ বা জেনারেল শ্রেণিভুক্ত মহিলারা। তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলার প্রতি মাসে পাবেন ১২০০ টাকা করে রাজ্য বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। ভাতা বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি উপভোক্তারা।
একই সঙ্গে সিভিক, ভিলেজ এবং গ্রিন পুলিসদেরও ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই ঘোষণায় উপকৃত হবেন কয়েক হাজার পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্যে আর্থিক বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যেখানে একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়। সেখানেই লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। আর এজন্যে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই বর্ধিত টাকা মহিলারা পাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার পরেই করতালি দিয়ে এহেন ঘোষণাকে স্বাগত জানান উপস্থিত শাসকদের বিধাকরা।
২০২১ সালে নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। প্রতিশ্রুতি বাস্তব রূপ পায় সে বছরই নভেম্বরে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির উপভোক্তারা মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্যদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। শুরুতে এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সিরা। ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাঁরা পেতেন বার্ধক্য ভাতা। তবে বর্তমানে ষাটোর্ধ্বরা বার্ধক্য ভাতা-সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা পান। প্রতি মাসে সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে প্রকল্পের টাকা।
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকাকরণের ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। অল্প বয়সি মেয়েদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে সার্ভাইক্যাল ক্যানসার। আর সেই কারণেই ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা হবে। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত।
নির্মলা বলেন, "সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করবে আমাদের সরকার।" তবে কোন পদ্ধতিতে হবে টিকাকরণ, কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে, এখনও পর্যন্ত বিশদ তথ্য খোলসা করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
এদিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় উন্নয়নের জন্যও বিশেষ উদ্যোগের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই চিকিৎসক হিসেবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে চান। সেই লক্ষ্যপূরণ করতেই বিভিন্ন হাসপাতালের পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে আরও মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।” শিশুদের স্বাস্থ্য খাতেও বিশেষ প্রকল্পের ভাবনা রয়েছে।
লোকসভার আগে এটাই দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ বাজেট। কিন্তু এই বাজেটে হতাশ মধ্যবিত্তরা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেটে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বড় কোনও ছাড় দিলেন না করদাতাদের। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আপাতত করকাঠামো অপরিবর্তিত থাকছে। তবে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় সংস্কারে জোর দিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি।
কেন আয়করে ছাড় দেওয়া হল না? নির্মলার ব্যাখ্যা, ‘‘ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।’’ তবে কর আদায়ের পদ্ধতিতে বেশ কিছু সংস্কার ঘোষণা করেছেন নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, করদাতাদের পরিষেবা সহজ করতে ডিসপিউটেড ট্যাক্স বা ট্যাক্স বিবাদের ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১০ পর্যন্ত যাঁদের এই ডিসপিউটেড ট্যাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করে ছাড় দেওয়া হবে। ২০১০ সালের পরে ট্যাক্স বিবাদ থাকলে সেক্ষেত্রেও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। যা ১ কোটি করদাতাকে উপকৃত করবে।
প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থার কথা তুলে ধরতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন যে, ‘আমরা এমন প্রশাসন চাই যার উপরে মানুষের বিশ্বাস থাকবে। মানুষ আগের তুলনায় বেশি রোজগার করছেন। প্রকৃত আয় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। মানুষ আগের তুলনায় ভাল রয়েছেন। গত ১০ বছরে মানুষ নিজেদের আশা আকাঙ্খা বেশি করে মেটাতে পারছেন।’'
যোগাযোগের উন্নতিতে সীতারমণ বাজেটে ঘোষণা করেছেন- তিনটি রেলওয়ে করিডর তৈরি হবে। শক্তি, খনিজ এবং সিমেন্ট করিডর হবে। এছাড়া বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের করিডর এবং ট্রাফিক ডেনসিটি করিডরও তৈরি হবে। এখন আমাদের ১৪৯টি বিমানবন্দর রয়েছে। ভারতীয় সংস্থারা এক হাজারেরও বেশি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। আগামী দিনে আরও সস্তা হবে বিমান সফর। রেলের ৪০ হাজার সাধারণ বগি বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো হবে। ট্রেনের গতি বাড়বে। মেট্রো রেলকে সব রকম সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশের মেট্রো রেলের উন্নয়ন হবে।
দেশের ১ কোটি পরিবার প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট করে সৌর বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পাবে বলেও বাজেটে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনই একলাফে বেড়ে গেল রান্নার গ্যাসের দাম। গোটা দেশেই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি রয়েছে। তার আগে আজই অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ মোদী সরকারের। এই দিনই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেড়ে গেল ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। কলকাতায় ১৯ কেজির বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৮৭ টাকা। ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হয়েছে। গত মাসে এই দাম ছিল ১,৮৬৯ টাকা। অর্থাৎ, কলকাতায় বাণিজ্য়িক সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ১৮ টাকা করে।
তবে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বাড়লেও এখন বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হচ্ছে না। সুতরাং সেদিক থেকে বড়সড় স্বস্তি গৃহস্থ পরিবারের।
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় বড়সড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। এবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা। তার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এদিন ঘোষণা করলেন, মধ্যবিত্তদের জন্য এবার নতুন আবাস যোজনা চালু করা হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের সাফল্যও তুলে ধরেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, "করোনাকালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হলেও পিএম আবাস যোজনার কাজ চলেছে। আমরা প্রায় ৩ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে ওই প্রকল্পে আরও ২ কোটি বাড়ি বানানোর টার্গেট নিয়েছি আমরা। একই সঙ্গে নির্মলার ঘোষণা, দেশের এক কোটি বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি প্রকল্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পবিত্র দিনে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।"
গরীব, মহিলা, যুব সমাজ ও অন্নদাতা (কৃষক), সমাজের এই চার স্তরের মানুষের উন্নতিতে বদ্ধপরিকর সরকার। কারণ, এদের উন্নতি না হলে কোনও সরকার এগোতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলার দাবি, গত ১০ বছরে সাধারণ নাগরিকদের আয় বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে না কোনও কর। গত ১০ বছরে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। বাজেট ভাষণে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কর কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি।
আজ প্রথমবার নতুন সংসদ ভবনে বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট। সূত্রের খবর, এবারের বাজেট তৈরি হয়েছে মূলত দেশের গরীব ও প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে। বাজেটে মহিলাদের এবং কৃষক সমাজের উন্নয়নের জন্য রয়েছে একাধিক পরিকল্পনা।
বিগত ১০ বছরে প্রায় ২৫ কোটি দেশবাসীকে বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করেছে মোদী সরকার। প্রায় চার কোটি কৃষককে কৃষাণ বীমা যোজনা আওতায় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এদিন বাজেট পেশের সময় সীতারমণ বলেন, ১১.৮ কোটি কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কৃষক যোজনার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৩০ কোটি মুদ্রা লোন মহিলা স্বনির্ভরতার জন্য দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের অভূতপূর্ব উত্থান ঘটেছে। সংসদ থেকে বিধানসভায় মহিলাদের উপস্থিতি বেড়েছে। ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে এসেছে। ৩৯০টি বিশ্ববিধ্যালয় তৈরি হয়েছে। মোদী সরকারের মূল মন্ত্র, 'রিফর্ম,পারফর্ম এবং ট্রান্সফর্ম।' একাধিক শহরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ। ৫ বছরে আরও ২ কোটি বাড়ির ভাবনা। ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন প্রদান করা হয়েছে।
মানুষের মনে কুপ্রভাব পড়বে, এমন কোনও ঘোষণা মোদী সরকার বাজেট ঘোষণায় করবে না, মন্তব্য অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশের। নির্বাচন মিটলে পূর্ণাঙ্গ বাজেটে বড় কোনও সংস্কারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এই বাজেটে আগামী দিনে সরকারকে সেই দিশা দেখানো হতে পারে। আয়কর কাঠামো বদলানোর কোনও ভরসা এখনও পর্যন্ত দেননি নির্মলা সীতারমণ, এমনটাই বলছেন অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশ। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই মূল্যহ্রাসে ডিজেলের মূল্য কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন এই অর্থনীতিবিদ। এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কম, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে মোদী সরকার, মন্তব্য অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশের।
এটা যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট, তাই বড় কোনও সিদ্ধান্ত থাকবে না। অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশের সুরই শোনা গিয়েছে অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্তের গলায়। তিনি বলছেন, ২০২৩-২৪ বাজেটের তুলনায় খুব একটা বদল এই অন্তর্বর্তী বাজেটে আনবেন না অর্থমন্ত্রী। তাঁর মত, জিডিপি বাড়ানোয় উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। ভারতের পরপর দুই বছর জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ, যা বিশ্বের অনেক তাবড় দেশের জন্য ঈর্ষার কারণ। এই হার আরও বাড়াতে আগামী দিনে উত্পাদন শিল্পের দিকে হয়তো আরও বেশি নজর দেবে সরকার, মন্তব্য দীপঙ্কর দাশগুপ্তের।
অর্থনীতিবিদ তথা অধ্যাপক সুমন মুখোপাধ্যায় বলছেন, দেশের দেড়-দুই শতাংশ মানুষ করদাতা। তাই সেসব মানুষের প্রত্যাশার অন্যতম কর কাঠামোয় বদল। তাঁর দাবি, রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে, কৃষি বিল আইনে কার্যকর হলে কৃষিজীবীরা উপকৃত হতো। ফলে নিয়ন্ত্রিত হতো মূল্যবৃদ্ধি।
বিশ্বজুড়ে মন্দার বাজার। মার্কিন এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি বৃদ্ধির মুখ দেখছে না। তার মধ্যে ইউরোপ আর এশিয়ায় চলছে যুদ্ধ। কিন্তু এই যুদ্ধ ও আর্থিক মন্দার প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়েনি। আর্থিক সমীক্ষাকারী সংস্থাগুলো ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধিকে কুর্নিশ জানিয়েছে। সিএন-কে এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান দেবাশিস বিশ্বাস।
অর্থনীতিবিদ অর্জিতা দত্তের দাবি, গত আর্থিক বছরে মাত্র ১.৬ শতাংশ মানুষ আয়কর দাতা হিসেবে নথিভুক্ত। ক্ষুদ্র শিল্পে উত্সাহ জোগাতে কেন্দ্র-রাজ্য একাধিক প্রকল্প নিয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে জিএসটি কাঠামোর সীমা বাড়ানোর আবেদন করেন অর্থনীতিবিদ অর্জিতা দত্ত।
অন্তর্বর্তী বাজেট কী, ব্যাখ্যা করলেন অর্থনীতিবিদ অনির্বাণ দত্ত। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী বাজেট আগামী তিন-চার মাসের খরচ চালাতে ঘোষণা করা হয়। তবে পাঁচ বছর আগে ভোট অন অ্যাকাউন্টে সব ঘোষণা করা হয়েছিল। এই বাজেটেও সম্ভবত জনমোহিনী ঘোষণা থাকবে, অনুমান অনির্বাণ দত্তের।
পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট বক্তৃতায় কোন দিশা দেখান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এখন সেদিকে তাকিয়ে আম আদমি।
১৬ জুন সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল আদিপুরুষ (Adipurush)। বিগত কয়েক বছরে রেকর্ড করা বাহুবলি সিনেমার বাজেট ছিল ১৮০ কোটি টাকা, পাঠান সিনেমার বাজেট ছিল ২২৫ কোটি টাকা। সব কিছুকে ছাপিয়ে আদিপুরুষ সিনেমার বাজেট ছিল ৫০০ কোটি টাকা। প্রযোজক সংস্থা জমিয়ে সিনেমার প্রচারও করেছিলেন। কিন্তু সিনেমা হলে গিয়ে মন ভেঙে গিয়েছিল দর্শকদের।
যে রামায়ণের কাহিনী আদিপুরুষের গল্পের প্রেক্ষাপট, সিনেমায় তার যথার্থ প্ৰতিফলণ দেখা যায়নি। তার উপর হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, বিকৃত সংলাপ-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল সিনেমার নির্মাতার বিরুদ্ধে। এমনকি থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল এই নিয়ে। চাপের মুখে পড়ে সংলাপে বদলও আনা হয়েছিল। তবে সব মিলিয়ে সিনেমার আয় খুব একটা কম হচ্ছিল না।
তবে দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমার আয়। অষ্টম দিন পর্যন্ত সিনেমার আয় দাঁড়াল ২৬৩.৩০ কোটি টাকা। যতটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল এই সিনেমা নিয়ে সেই প্রতিফলন দেখা গেল না বক্স অফিসে। সামাজিক মাধ্যমে এবং সিনেমা বিশেষজ্ঞরা সিনেমাটি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, মনে করা হচ্ছে এই কারণেই হলমুখী হচ্ছেন না দর্শকেরা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য বাজেট পেশ। বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী জানান, '৩ লক্ষ ৭১ হাজার দুয়ারে সরকার আয়োজিত। দুয়ারে সরকার বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। এতে ৯ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত।'
আর কী বলছেন মন্ত্রী:
চলছে সংসদের গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশন (Parliament Session)। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতেই নেই তৃণমূল সাংসদ (TMC MLA Mimi) মিমি চক্রবর্তী। দিব্য প্যারিস ভ্রমণে মত্ত যাদবপুরের এই ঘাসফুল সাংসদ। তাঁর সাম্প্রতিক প্যারিস ভ্রমণের (Paris Tour) ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারি আবার মিমি চক্রবর্তীর জন্মদিন। তাই প্রিয় 'বনুয়া'কে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি অপর এক তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এই দুই পরিচিত মুখ পর্দার বাইরে একে অপরের প্রিয় বন্ধু।
জানা গিয়েছে, যাদবপুরের সাংসদ প্যারিসে থাকলেও বসিরহাটের সাংসদ বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। তাও মিমিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি নুসরৎ। ‘বার্থডে গার্ল’-এর ছবি দিয়ে নুসরত লেখেন 'শুভ জন্মদিন।'
এদিকে, প্যারিস ভ্রমণের একাধিক ছবি এখন মিমির ইনস্টাগ্রামে। তবে লোকসভা চলাকালীন তাঁর এই বিদেশ সফর ঘিরে সমালোচনা তুঙ্গে।
আদানি ইস্যুতে (Adani Row) মোদী সরকারকে চাপে ফেলতে যখন বিরোধী শিবির কোমর বেঁধেছে, তখন দুর্নীতি প্রশ্ন পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে (UPA Government) পাল্টা আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। বুধবার সূচি মেনেই রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বলতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকেল ৪টে থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত অর্থাৎ ৭৫ মিনিট সংসদে (Parliament) বক্তব্য রাখেন নরন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্যের পুরো জুড়ে ছিল নিজের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা এবং পূর্বসূরির সমালোচনা।
দুর্নীতি প্রশ্নে ইউপিএ সরকারকে বিঁধতে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, 'বড় বড় দুর্নীতি থেকে মুক্তি খুঁজছিল দেশ। আজ সেই সব দুর্নীতি থেকে দেশ মুক্ত। ইউপিএ আমলের শেষ ১০ বছর কাশ্মীর-কন্যাকুমারী পর্যন্ত শুধু সন্ত্রাসবাদী হামলা। সবাই ভয়ে ভয়ে থাকতেন। জম্মু-কাশ্মীর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, সর্বত্র কেবল হিংসা আর হিংসার ঘটনা। আর ভারতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।' কটাক্ষের সুরে প্রধানমন্ত্রী জানান, 'লোকসভায় মঙ্গলবার কয়েক জনের মন্তব্যের পর পুরো ইকো সিস্টেম নড়ে গিয়েছে। তাঁদের সমর্থকরাও উল্লসিত। আমিও গতকাল (পড়ুন মঙ্গলবার) দেখছিলাম। কয়েক জনের বক্তৃতার পর কিছু লোক খুশি হয়ে বলছেন, ইয়ে হুয়ি না বাত। হয়তো তাঁরা রাতে ভাল ঘুমিয়েছেন এবং আজ সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেননি।' আদতে তাঁর এই মন্তব্যের উদ্দেশ্য যে পরোক্ষে রাহুল গান্ধী, বুঝতে ভুল করেনি ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, 'গত কয়েক বছরে একের পর এক উন্নয়ন হয়েছে দেশে। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতির যখন বেহাল দশা, সেই সময়েও ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে উঠে এসেছে। এটা কি গৌরবের নয়? আসলে কিছু মানুষ এমন ভাবে নিরাশায় ডুবে থাকেন যে, দেশের প্রগতির কোনও কিছুই তাঁদের চোখে পড়়ে না।'
নরেন্দ্র মোদীর সংযোজন, 'ইডি-কে ধন্যবাদ। ভোটাররা যা পারেননি, তা তারা করে দেখিয়েছে। তাদের জন্যই আজ বিরোধীরা এক মঞ্চে জড়ো হয়েছেন। গণতন্ত্রে সমালোচনা জরুরি এবং তা গঠনমূলক হওয়াই অভিপ্রেত। কিন্তু এখানে শুধু সেনাকে গালি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে গালি, আরবিআইকে গালি দিচ্ছেন বিরোধীরা। শুনুন, মোদীর উপর দেশবাসীর ভরসা টিভি চ্যানেলে বসে হয়নি। খবর ছাপিয়েও হয়নি। দেশের জন্য তিনি লড়েছেন। দেশবাসীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে। তাঁর উপর যেভাবে দেশবাসী ভরসা করেন, তা বিরোধীদের চিন্তাভাবনার বাইরে।' মোদী জানান, '১৪০ কোটি মানুষের আশীর্বাদ মোদীর মাথায় রয়েছে। ওটাই আমার সুরক্ষাকবচ। শুধু হার্ভার্ড নয়, বিশ্বের সমস্ত বড় বিশ্ববিদ্যালয় কংগ্রেসকে নিয়ে পড়াশোনা করবে।'
বাজেট অধিবেশনের (Budget Seesion) প্রথম দিন থেকেই আদানি ইস্যুতে (Adani Row) উত্তাল সংসদ। বিতর্ক এবং আলোচনার পরিসর চেয়ে আন্দোলন করছে সরকার-বিরোধী দলগুলো। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি গৌতম আদানির ছবি তুলে ধরে সংসদে সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর প্রশ্ন, 'কীভাবে সব ব্যবসাতে ঢুকে পড়ছে আদানি গোষ্ঠী? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক ঠিক কী?' রাহুলের দাবি, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন যেখানেই তিনি গিয়েছেন, সর্বত্র একটিই নাম শুনেছেন— আদানি, আদানি এবং আদানি।'
মঙ্গলবার লোকসভায় বলতে উঠে রাহুল বলেন, 'তামিলনাড়ু থেকে কেরল, কেরল থেকে হিমাচল প্রদেশ, আমরা একটাই নাম শুনে এসেছি। মানুষ আমার কাছে জানতে চাইছেন, কীভাবে প্রতিটি ব্যবসায় আদানিরা ঢুকে যান এবং প্রতি ব্যবসায় ওই শিল্পগোষ্ঠী সফল হয়েছে!'
এদিন রাহুলের বক্তব্যের মধ্যেই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বিরোধিতার সুর ওঠে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর মন্তব্য, 'শুধুমাত্র বড় অভিযোগ করলেই হয় না। সেই অভিযোগের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে হয়।' দু'পক্ষের এই বাদানুবাদে বাজেট অধিবেশনের পঞ্চম দিনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ।
'কাল তো প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল', বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে এভাবেই কড়া আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে গত কয়েক দিন ধরে নামছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দর। খানিকটা সেই প্রসঙ্গে এভাবে পরোক্ষে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর।
এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সভায় ওই মন্তব্য করেন মমতা। অবশ্য কোন গোষ্ঠীর নাম উচ্চারণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। সভায় তিনি গ্যাসের দামের কথা টেনে বলেন,'গ্যাসের দাম বাড়ালো চার-পাঁচশো টাকা, কমালো চার টাকা। জানেন ওই চারেই হবে ওদের হার, এক দুই তিন চার বিজেপির হবে হার। কাল তো প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল। কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। ৬-৮ জনকে ফোনে রিকোয়েস্ট করেছে, কাউকে ২০ হাজার কোটি টাকা দাও। কাউকে বলেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা দাও। কাউকে বলেছে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও। এই দিয়ে সরকার চলে যদি পরিকল্পনা না থাকে?"
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবিকে নস্যাৎ করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, 'উনার (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) কথা কেউ বিশ্বাস করেন না। অসমাপিকা ক্রিয়ার মতো কথা বললে হবে না। সরকার পড়ে যাচ্ছিল, কোন নথি বা তথ্যের ভিত্তিতে একথা বলা হচ্ছে?'