ফের শহরের বুকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক যুবককে আঘাত করার অভিযোগ। শুক্রবার সকালের ঘটনাটি ঘটেছে বজবজে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সেই যুবক। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয় ও অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, অজয় প্রসাদ নামে এক যুবক সকালে বাড়ি থেকে দুধ আনতে যাবে বলে বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় আদিত্য সিং রাস্তাতেই অজয় প্রসাদ কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে অজয়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত আদিত্যকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায় বজবজ থানায়। অন্যদিকে আহত অজয় প্রসাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে কী কারণে ঘটল এই ঘটনা, গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিস।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সিভিক ভ্যালেন্টিয়ারের। ঘটনায় আহত আরও একজন। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বজবজের নোদাখালিতে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সুরজিৎ মণ্ডল (২৯)। বাড়ি সোনাপুর এলাকায়। আহতের নাম ধ্রুব ঢালি। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ওই ভলেন্টিয়ার। এরপর ডিউটি সেরে ধ্রুব ঢালির সঙ্গে বাইকে করে দুইজন মিলে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সাতগাছিয়ার কাছে বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয়রা দেখা মাত্রই তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে মুচিশা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এরপর সেদিন রাতে হাসপাতালে থেকে সুরজিৎ-এর বাড়িতে ফোন করে বলা হয় হাসপাতালে আসার জন্য। তারপর সুরজিৎ-এর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পায়নি। তারপর চিকিৎসকেরা জানায় সুরজিতের শারীরিক অবস্থা অবনতির কারণে তাঁকে কলকাতা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বজবজে (Budge Budge) জোড়া খুনের অভিযোগ। রাস্তা থেকে উদ্ধার দুই বন্ধুর গলার নলি কাটা দেহ (Body)। ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্যর। অনুমান পুরানো শত্রুতার জেরেই এই খুন। ইতিমধ্যে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। অভিযুক্তদের খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
ঘটনাটি ঘটছে শুক্রবার রাতে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই রাতে পান খেতে বেরিয়েছিলেন দুই বন্ধু মহাদেব পুরকায়স্থ ও গণেশ নস্কর। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় দাদার খোঁজ শুরু করেন মাধব পুরকাইতের ভাই। রাস্তায় বেরতেই তিনি দেখেন ধারাল অস্ত্র হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন। এরপরই উদ্ধার হয় দুই বন্ধুর গলার নলিকাটা দেহ।
মাধবের ভাইয়ের কথায়, তিনি দাদার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পাওয়ার পরেই অভিযুক্তরা তাঁকে তাড়া করেন। এরপর তিনি পরিবারের সবাইকে ঘটনাটি জানিয়েই থানায় চলে যান। এরপর পুলিস গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করে খড়িবেরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দুই বন্ধুকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বজবজ যে বাজি কারখানার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র তা প্রমাণ করেছে ইতিহাস। রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঝলসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত সপ্তাহেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এখনও অবধি ১১ জন মারা গিয়েছেন এগরার ঘটনায়। এবার ঘটনাস্থল বজবজ। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামের একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির দোতলায় বিস্ফোরণটি হয়। গত ২১ মার্চ মহেশতলা পুরসভার পুটখালি মণ্ডলপাড়ায়ও বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেখানেও ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান।
এর আগে বজবজে এভাবেই বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেখানেও তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বরের ঘটনা। বজবজ-২ ব্লকের অন্তর্গত নোদাখালি থানার নস্করপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মোহনপুরের আর্যপাড়ার একটি অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেইসময় পরিবেশ দফতর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিস এবং জেলা প্রশাসনকে নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল নজরদারির জন্য। সেই কমিটি যে শুধুমাত্র খাতায় কলমে রয়ে গিয়েছে তা এদিনের ঘটনার প্রমাণ। পরপর এই ঘটনা ঘটেই চলেছে বজবজ, মহেশতলায়। একের পর এক কমিটি করেছে পরিবেশ দফতর ও পুলিস।
এলাকার লোকজন জানান, ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। মা মেয়ে তারা। ৩৫ বছরের মহিলা ও তাঁর ১৩ বছরের মেয়ে। একজনকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সূত্র মারফত খবর, এই বাজি কারখানা একেবারে বেআইনি।
এগরার ঘা এখনও শোকায়নি। তার মধ্যেই ফের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত ৩। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এগরা বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে আঙ্গুল উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পুলিসি তৎপরতা শুরু হয়েছে ওই গ্রামে। পুলিস বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি ও বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় অধিকাংশদের বাড়িতেই বাজি তৈরি হয়। পুলিস সব জানে এবং তা সবই বেআইনি। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই অতিসক্রিয় পুলিস। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের অ্যাডিশনাল এসপি অর্ক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাজি বাজেয়াপ্ত করার অভিযান চলছে। তুবড়ি, চকলেট বোম, চরকা, রকেট, সেল, তারাবাতি, রংমশাল সহ প্রচুর মশলা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই থমথমে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম। তল্লাশি চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠছে। প্রশ্ন উঠছে এগরার বাজি বিস্ফোরণে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন। এরপরে নবান্ন থেকে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু তা পালনে কেন ব্যর্থ পুলিস? ভানুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও কেন বজবজের এই অবৈধ বাজি কারখানার খোঁজ পেল না পুলিস।
ভরদুপুরে বজবজে (BudgeBudge) শুট আউট (Shootout)। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ব্যক্তি এসএসকেএমে (SSKM) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিস জানিয়েছে আহত ওই ব্যক্তির নাম শেখ আলতাব উদ্দিন। পুলিস আরও জানিয়েছে, আহত ওই ব্যক্তি পুরোনো একটি মামলায় আলিপুর কোর্ট থেকে সাক্ষী দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
সূত্রের খবর, ট্রেনে বজবজে ফিরে সেখান থেকে বাইকে ওঠেন ওই ব্যাক্তি। অভিযোগ বাইক লক্ষ্য করে গুলি চালায় শোভরাজ গাজী নামে এক যুবক। গুলি লেগে জখম হন আলতাব। আদালত থেকে বেরিয়ে আলিপুর কোর্টের সাক্ষী দিয়ে ফেরছিলেন তিনি। অভিযুক্ত সোভরাজ গাজীর খোঁজে চলেছি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
ঘটনা আসলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিস বাহিনী। স্থানীয় ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই ওই বাইকের নাম্বার জোগাড় করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
জ্যাঠার হাতে খুন ভাইপো (Nepew)। বুধবার কাকভোরে পূজালী থানার অন্তর্গত পূজালী পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারামপুর দাসপাড়া এলাকার ঘটনা। পুলিস (Police) জানিয়েছে, মৃতের (Death) নাম সহদেব দাস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ওই এলাকায় একটি কালীপুজো হয়। জানা গিয়েছে, সেই কালীপুজোতেই সহদেব দাস মদ্যপান করে বাড়ি গিয়ে তাঁর জ্যাঠা মহাদেব দাসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
পুলিস জানিয়েছে, গালিগালাজ সহ্য করতে না পেরে মহাদেব দাস ধারালো অস্ত্র দিয়ে সহদেব দাসের গলায় আঘাত করেন। এরপরই রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মহাদেব দাস। পরিবারের লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১০টি সেলাই করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর সকালের দিকে সহদেবের শরীরটা আবার খারাপ করতে থাকে। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়, খবর পেয়ে চিকিৎসক সহদেবকে দেখতে আসে। তিনি তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বুধবার সকালেই তাঁকে ফের স্থানীয় বজবজ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা সহদেবকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে সহদেবের জ্যাঠা মহাদেব দাসকে গ্রেফতার করে পূজালী থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার সহদেবের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
ফাঁকা বাড়ির সুযোগে ফের বজবজে (Budgebudge) চুরি। নাসিমা বিবি নামক এক ভদ্রমহিলার বাড়িতে চুরি হয়েছে। বজবজ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মর্ডান এসপি ক্লাবের সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি তাঁর। ঘটনাচক্রে জানা গিয়েছে, নাসিমা বিবির বাবার শরীর অসুস্থ হওয়ায় শনিবার তিনি স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সেই সময় বাড়ি ফাঁকাই ছিল। পরে নাসিমা বিবির বাবা মারা যাওয়ায় শেষকৃত্যের (Funeral) কাজ সম্পন্ন করে মঙ্গলবার বাড়িতে এসে দেখেন সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে। আলমারির লকারও ভেঙে ফেলা হয়েছে। নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে।
পাশাপাশি সোনার গয়না ও অন্য জিনিস মিলিয়ে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলে জানান নাসিমা বিবি। বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চুরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ির এই অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বজবজ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিস। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে (Budgebudge PS)পুলিস।
উল্লেখ্য, এর আগে আরামবাগের গোঘাটেও চোরদের হুজ্জুতি বেড়েছিল। কেন দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে চলেছে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বজবজ-শিয়ালদা শাখায় বজবজ এবং নুঙ্গির মাঝে রেললাইনে উদ্ধার অল্পবয়সী দু'জনের দেহ। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ২, মৃতদের একজন যুবক, অন্যজন যুবতী। বজবজ থেকে শিয়ালদহগামী লোকালের ধাক্কায় এই মর্মান্তিক ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে এটা আত্মহত্যা না নিছক দুর্ঘটনা? সে বিষয়ে স্পষ্ট জানাতে পারেনি স্থানীয়রা। সকাল প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ ১৩ নম্বর রেলগেট লাগোয়া আপ-ডাউন লাইন দিয়ে একইসময়ে একটি ট্রেন বজবজের দিকে যাচ্ছিল, আরও একটি ট্রেন নুঙ্গি আসছিল। সেই সময় শিয়ালদহগামী ট্রেনের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা।
যাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা স্থানীয় নয়। এমনটাই দাবি করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। সম্ভবত রেল লাইন দিয়ে হাঁটার সময় কোনওভাবে ট্রেন আসার শব্দ শুনতে না পেয়ে এই দুর্ঘটনা, মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিকে, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেল পুলিস এবং আরপিএফ।
পারিবারিক বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুনের (murder) অভিযোগ। ঘটনাটি বজবজ (Budge Budge) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের। মর্মান্তিক এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, শোকাহত পরিবার। প্রায় এক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর মৃত্যু (death) হয় আক্রান্ত ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আশফাক আলম, বয়স ৪৭। ওই ওয়ার্ডের কয়লা সড়ক ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত আশফাকের ভাইঝি শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি করে বাপের বাড়ি চলে আসে। এরপর গত রবিবার রাতে আশফাক তাঁর ভাইঝির শ্বশুরবাড়িতে মধ্যস্থতা করতে যান। আর সেখানেই ঘটে এই অঘটন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আসফাককে বেধড়ক মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হল না শনিবার ভোরে হাসপাতালেই তিনি মারা যান।
ঘটনার পরই আশফাকের পরিবারের লোকজন বজবজ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস (police) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, মারধরের ঘটনা অভিযুক্ত পরিবার স্বীকার করে নিয়েছে। তাঁরা বলেন, রবিবার রাতে মারধর করা হয়েছে আশফাককে। পাল্টা তাঁদের অভিযোগ, আশফাকের ভাইঝির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার কারণেই সাংসারিক ঝামেলার সূত্রপাত। কোন পক্ষ ঠিক, জানতে তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিস।
ফের খাস কলকাতায় শুটআউটের (shootout) ঘটনায় চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বজবজ (Budge budge)। সোমবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে যাওয়ার পথেই প্রকাশ্যে চলে গুলি। ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন এক শ্রমিক নেতা। এই দুঃসাহসিক ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, বজবজ জুট মিলের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির (INTTUC) সেক্রেটারি প্রসেনজিৎ মিত্র ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাতে বজবজের কালীপুরে একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় বজবজ থানার অন্তর্গত কালীপুর নিউ সেন্ট্রাল জুট মিলের সামনে গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। এরপরই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে যান। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয় ওই শ্রমিক নেতাকে।
পুলিস (police) সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক নেতা প্রসেনজিৎ মিত্রের পিঠে গুলি লেগেছে। মঙ্গলবার রাতে আহত নেতার অস্ত্রোপচার হলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিস। সঙ্গেই কালীপুর মিল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide)। বজবজ-শিয়ালদহ (Budge Budge- Sealdah) শাখার মহেশতলা (Maheshtala) ১৪ নম্বর রেলগেট-এর কাছে আত্মঘাতী হন এক ব্যক্তি। কেন তিনি আত্মহত্যা করেন? এর পিছনে অন্য কী রহস্য, এখনও কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয়রা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে রেল পুলিসে খবর দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও রেল পুলিস আসেনি। পুলিসের আসতে সময় লাগার কারণে ওই মৃতদেহের উপর দিয়ে চলে যায় একাধিক ট্রেন। পরে রেল পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোরের দিকে মালগাড়িতে একজন কাটা পড়েছে শুনে তিনি দেখতে আসেন। এসে দেখেন মৃতদেহটি দু'টুকরো হয়ে গিয়েছে। ধরের থেকে মাথা আলাদা। রেল পুলিসরা মৃতদেহটি একটি প্লাস্টিকের মধ্যে ভরে ট্রেনে করে নিয়ে চলে যান।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত কলকাতার মহেশতলা (Maheshtala) চত্বর। দিনভর চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। অভিযোগ ওঠে, বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের (Budge Budge Trunk Road) বেহাল অবস্থা মারণফাঁদ সাধারণ যাত্রীদের জন্য। নেই কোনও প্রশাসনিক নজরদাড়ি। এরপর রবিবারই ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের (police) আশ্বাস মেলে বিক্ষোভকারীদের। সেই অনুযায়ী রবিবার রাত থেকেই তিনটি জেসিবি গাড়ি নিয়ে এসে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের বেহাল রাস্তার (road) সারাইয়ের কাজ শুরু করে পুলিস।
প্রসঙ্গত, বজবজ ট্রাঙ্ক রোড দ্রুত সংস্কারের দাবিতে রবিবার মহেশতলার বাটা মোড়ে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করেন। কিন্তু এরপরই ডায়মন্ড হারবার থানার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরূপম ঘোষ নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী (police) ও র্যাফ নামানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন সিপিআইএম কর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মহেশতলা থানায়। ঘটনার প্রতিবাদে মহেশতলা থানার সামনে থেকে বেশ কয়েকজন সিপিআইএম কর্মীরা জমায়েত হতে থাকলে তাঁদেরকেও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১০০ জন সিপিআইএম কর্মীদের এদিন আটক করা হয়। এরপর মহেশতলা থানার সামনেই বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কর্মীরা। ঘটনায় প্রায় আধ ঘণ্টা বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ থাকে। অবশেষে আটক কর্মী-সমর্থকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আশ্বাস মেলে দ্রুত হবে সংস্কার। সেই মতই রবিবারই রাস্তা সংস্কারের কাজে নামে পুলিস প্রশাসন।
বজবজ ট্রাঙ্ক রোড (Budge Budge Trunk Road) দ্রুত সংস্কারের দাবিতে রবিবার মহেশতলার (Maheshtala) বাটা মোড়ে সিপিআইএমের (CPIM) একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সিপিআইএম কর্মীরা বাটা মোড়ে জমায়েত হতে শুরু করে। কিন্তু এরপরই ডায়মন্ড হারবার থানার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরূপম ঘোষ নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী (police) ও র্যাফ নামানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন সিপিআইএম কর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মহেশতলা থানায়।
তবে এখানেই শেষ নয়, ঘটনার প্রতিবাদে মহেশতলা থানার সামনে থেকে বেশ কয়েকজন সিপিআইএম কর্মীরা জমায়েত হতে থাকলে তাঁদেরকেও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১০০ জন সিপিআইএম কর্মীদের এদিন আটক করা হয়। এরপরই সিপিআইএমের জেলা কমিটির সম্পাদক শমিক লাহিড়ীর নেতৃত্বে মহেশতলা থানার সামনে বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কর্মীরা। ঘটনায় প্রায় আধ ঘণ্টা বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ থাকে।
এরপরই বেলা গড়াতেই সিপিআইএমের যে সমস্ত কর্মীদের আটক করা হয়েছিল, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিপিআইএমের জেলা কমিটির সম্পাদক শমিক লাহিড়ী জানান, ৪ দিনের মধ্যে রাস্তা সারাই করে দেওয়া হবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে। যদি তা না হয় তাহলে আবার চারদিন পরে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি করবেন।
এতদিন রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল (hospital) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার রোগীর (patient) পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বজবজের (Budge Budge) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের (nursing home) রোগীর পরিবারের।
মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা নেহা পারভিন। পেটের যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে বজবজের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয় রবিবার। পরিবারের লোকজন যেমনটা জানান, রাত দেড়টা নাগাদ পরিবারের লোকজনদের বলা হয় রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। এর মধ্যেই ভোরবেলা পরিবারের লোকজনের কাছে খবর আসে নেহা পারভিন মারা গিয়েছে। পরিবারের লোকজনদের রোগীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সিকিউরিটি বাধা দেয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতালের এমার্জেন্সি গেট বন্ধ করে দেয় সিকিউরিটি। এবং হাসপাতালের অন্য একটি গেট দিয়ে বেশ কয়েকজন হাতে লাঠি, বাঁশ এবং রড নিয়ে এসে পরিবারের লোকজনের উপর চড়াও হয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের মধ্যে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
পাশাপাশি হাসপাতালে বিল নিয়ে বচসা শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিস। কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে পৌঁছয় বজবজ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ বিশাল পুলিসবাহিনী। পুলিস পৌঁছে আহতদের খড়িবেরিয়া হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য।