
পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে মৃত্যু হল তিন জনের। দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আনন্দ মোহন নিজের দশ বছরের ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে গ্রামের বাড়ি বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া থেকে বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানের বাড়িতে ফিরছিলেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার সময় এক নম্বর ক্যাম্পের কাছে একটি পিকআপ ভ্যান ওই শিক্ষকের বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন বাবা ও ছেলে। আহত দু'জনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর থানার বামুনবাঁধ এলাকায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহর থেকে সমাপ্তি লাহা নামের ওই মহিলা আরও দু'জনের সঙ্গে বাইকে চড়ে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বামুনবাঁধের কাছে একটি মারুতি ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন সমাপ্তি লাহা সহ চার জন। আহত অবস্থায় তাঁদেরও বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা সমাপ্তি লাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন হাসপাতালে।
সকালে ছাদে ব্য়ায়ম (Exercise) করতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক ব্য়ক্তির। সোমবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম স্বপন কুমার দে (৭২)। বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন। আচমকাই এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী স্বপন কুমার দে বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায় ভারসাম্য়হীন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর মেয়েকে দেখাশোনা করতেন একজন পরিচারিকা। প্রতিদিন সকালে মেয়েকে পরিচারিকার কাছে রেখে স্বপন কুমার দে প্রাতঃভ্রমণে বের হতেন। তবে এদিন পরিচারিকা কাজে না আসায় স্বপন কুমার দে প্রাতঃভ্রমণে না গিয়ে বাড়ির ছাদে ব্যায়াম করছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, ছাদে ব্য়ায়াম করার সময় কোনওভাবে পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বৃদ্ধের। শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। স্থানীয়রা বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে দাবি করলেও এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল একই পরিবারের মেয়ে ও জেঠিমার। শুক্রবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই দুজনের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার পুলিস জেলার বিষ্ণুপুর থানার হাটখোলা নুর্সিরদার চক গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুজন মৃতের নাম পূর্ণিমা নস্কর (৫৪), চুমকি নস্কর (১৯)। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। বিষ্ণুপুর (Bishnupur) থানার পুলিস (Police) মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ, পাশের পাড়ার সৌরভ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল চুমকির। কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই বিয়েতে অমত দেয় সৌরভ। এরপরেই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। অভিযোগ, তবে অন্য ছেলের সঙ্গে চুমকির নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এই সন্দেহে বৃহস্পিবার রাতে চুমকিকে ডেকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায় সৌরভ। তারপরেই তাঁকে খুন করে। পরিবারের দাবি, চুমকিকে খুন করার সময় তাঁর জেঠিমা পূর্ণিমা দেবী দেখে ফেলেন সৌরভকে। তাই জেঠিমাকে খুন করে রাস্তার পাশের পুকুরে দুটি মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। আর এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক সৌরভ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে জেঠিমার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জেঠিমার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ার পর পুলিস মৃতদেহটি আত্মীয়ের হাতে তুলে দেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পারে, মাথায় একাধিক আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবার ওই ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। সেখানে তদন্ত করার সময়ই পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন আরও একটি মৃতদেহ। মৃতদেহটি ছিল চুমকি নস্করের। তারও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই থানায় খুনের অভিযোগ করে মৃতদের পরিবার। এ ঘটনায় মেয়েটির অন্য এক প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস।
সাত সকালেই এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচা গলা মৃতদেহ (Body) উদ্ধার হল। মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর থানার দ্বাদশবাটি সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর (Bishnupur) থানার পুলিস (Police)। মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে ওই অজ্ঞাতপরিচয়ের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুর থানার দ্বাদশবাটি সংলগ্ন একটি ঝোপে স্থানীয় বাসিন্দারা এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচা গলা দেখতে পায়। এই ঘটনায় তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেয় বিষ্ণুপুর থানায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পাশাপাশি কিভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল আর কিভাবেই বা ওই স্থানে ওই ব্যক্তির দেহ এলো? বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস।
এই ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এই রকমের ঘটনা আগে কোনও দিন এই গ্রামে ঘটেনি। তবে তাঁর অনুমান, দেহটি প্রায় ৪-৫ দিন ধরে পড়ে রয়েছে, যার ফলে গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।
হাজার বছরের পুরোনো মূর্তি উদ্ধার। বিষ্ণুপুর (Bishnupur) ব্লকের উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহর গ্রামে একটি ভগ্নপ্রায় বিষ্ণু মূর্তি (Bishnu) উদ্ধার করল বিষ্ণুপুরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ডিহর গ্রামের এক বাসিন্দা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দারকেশ্বর নদে একটি ভগ্নপ্রায় বিষ্ণু মূর্তি দেখতে পান। তারপর সেটি তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
এই ঘটনা গোপন সূত্রে জানতে পারেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি উদ্ধারকারী ওই ব্যক্তির বাড়িতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক সৌমি দাস, বিষ্ণুপুর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মূর্তিটি একটি ভগ্নপ্রায় পূর্ণ বিষ্ণু মূর্তি। এটি সম্ভবত পাল ও সেন যুগের অর্থাৎ একাদশ দ্বাদশ শতকের মূর্তি। মূর্তিটির বয়স আনুমানিক ১০০০ বছর। ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি। বিষেশজ্ঞদের অনুমান, এই প্রস্তর ভাস্কর্যটি ক্লোরাইড পাথরের। বর্তমানে এই মূর্তিটি রাখা হবে বিষ্ণুপুর যোগেশ চন্দ্র পুরাকৃতি ভবনে।
ফের নোংরা আবর্জনার (Garbage) স্তূপ বিষ্ণুপুর (Bankura) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের (Bishnupur Super Speciality Hospital) ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভেসে বেড়াচ্ছে নোংরা জল। আর তার উপর দিয়েই রোগীরা যাতায়াত করছেন। ফলে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ায় কর্মবিরতি শুরু করেছে সাফাই, ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এক বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
সোনামুখী পুরসভার সাফাই কর্মীদের অভিযোগ, কাজের পারিশ্রমিক না পাওয়ার জন্যই সবাই কর্মবিরতি নিয়েছেন। গত চারদিন ধরেই চলছে এই কর্মসূচি। এর আগেও দুই তিনবার এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তারপরেও একই ঘটনা ঘটে চলেছে। তাঁদের দাবি, প্রায় চার মাসের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। দু-তিন মাসের বেতন দিলে তবেই কাজ শুরু হবে। আর তা না হলে এই কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। প্রত্যেকবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তুু কোনও কাজ হয়নি।
তবে ওই বেসরকারি সংস্থার ইন চার্জ শিবম লাহা বলেন, কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা এবং মাননীয় বিধায়ক। ইতিমধ্যেই সমস্ত কর্মীদের দ্রুত কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ যেমন পরিষেবা পেত তেমনিই পরিষেবা পাবেন।
ইতিমধ্যেই জালনোট কারখানার হদিশ মিলেছে খাগড়াগড়ে। তদন্তে জানা গিয়েছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। খাগড়াগড়ের যে বাড়ি থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক সিরাজুল ইসলাম একজন বিএসএফ অফিসার।
এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে হদিশ মিলল জাল নোট তৈরির কারখানার। জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের সত্যজিৎ সরণীর একটি স্টুডিওতে ওই জাল নোট তৈরি করা হত। গতকাল রাতে ওই স্টুডিও থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে জাল নোট। আটক করা হয়েছে দুজনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে জয়পুর থানার গোপালনগর এলাকায় জুয়ার একটি আসর থেকে গুরুপদ আচার্য নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে বেশ কিছু জাল নোট উদ্ধার হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষ্ণুপুর শহরের সত্যজিৎ সরণীর একটি স্টুডিও ও জেরক্সের দোকানে জাল নোটের কারখানার হদিশ পায় পুলিস। সেখান থেকে একটি প্রিন্টার সহ লক্ষাধিক টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশের দেকানদাররা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওদিন বুঝতেও পারেননি, এখানে এই ধরনের কাজ কারবার চলছে। পরে সব শুনে তাঁরাও অবাক।
বাড়ি থেকে ভোরে মাছের আড়তে কাজে যাওয়ার পথে খুন (murder) হলেন তৃণমূল (trinomul) বুথ কমিটির কোষাধ্যক্ষ। মর্মান্তির ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে (bishnupur)। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শোকাহত পরিবার সহ গ্রাম। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিসবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই তৃণমূলকর্মীর নাম মঙ্গল প্রামাণিক। বাবার নাম সাগর প্রামাণিক। বিষ্ণুপুরের ২২২ নম্বর বুথের তৃণমূলের বুথ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। সোমবার বিজেপি কর্মীর হাতে খুন হয়েছেন ওই কর্মী, এমনটাই অভিযোগ পরিবার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। অভিযুক্তের নাম দেবাশিষ প্রামাণিক। জানা যায়, অভিযুক্ত দেবাশিষের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার কালিপুরে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পার্টি নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল তাঁদের মধ্যে। বছরখানেক আগে দেবাশিষ বিয়ে করে মঙ্গলের ভাইঝিকে। কিন্তু বিয়ের পরেও গন্ডগোল মেটেনি। প্রায় দিনই গন্ডগোল হত বলে অভিযোগ পরিবারের। গতকাল সন্ধ্যাতেও দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ির বাইরে ছিল দেবাশিষ। এরপর আজ ভোরে মঙ্গল মাছের আড়তে যাবার পথেই পিটিয়ে খুন করে দেবাশিষ, এমনটাই অভিযোগ।
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনা শুধুমাত্র গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল চেষ্টা করছে রাজনীতির রং দেওয়ার। পুলিস তদন্তে নেমেছে। বিজেপির এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি খুনের রাজনীতি করে না। বরং তাঁদের কর্মীদের দিকে দিকে আক্রমণ করছে তৃণমূল কর্মীরা।
এদিনই বেলা বাড়তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করে দেবাশিষ, খবর পুলিস সূত্রে।
মগরাহাটের(Magrahat) ছায়া বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। আবারও কুপিয়ে জোড়া খুনের (Murder) চেষ্টা। মৃত এক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন একজন। তাঁকে পাঠানো হয়েছে কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে।
অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন। দুই ভাইয়ের হাতে খুন দাদা। মৃত দাদা দেবাশিস পৌড়ে। আশঙ্কাজনক বৌদি পলি পৌড়ে। বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের ঘটনা। এক কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল দাদা দেবাশিস পৌড়ের সঙ্গে দুই ভাই আশিস পৌড়ে, ও দেবানন পৌড়ের।
অভিযোগ, শনিবার কাকভোরে দুই ভাই হামলা করেন দাদা ও বৌদির উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে। এলোপাথারি কোপাতে থাকে দাদা ও বৌদিকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দেবাশিস পৌড়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পলি পৌড়েকে প্রথমে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ওই মৃত দাদাকে প্রাণের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তিনি থানায় বারবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ কোনও সমাধানই হলনা। আর বৌদি বেঁচে রয়েছে দেখে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা বলে জানান।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে।
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত সর্দারপাড়ার ঘটনা। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নগদ ও ২০ থেকে ২২ ভরি সোনার গয়না মিলিয়ে প্রায় ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা চুরি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছাদের চিলেকোঠার গ্রিল ভেঙে মূলত ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চোরেরা। তারপর ঘরের একাধিক আলমারি ভেঙে সোনার গহনা ২০ থেকে ২২ ভরি ও নগদ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা চুরি যায়। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে ঘটল এই ঘটনা। মূলত, পরিবারের সদস্যরা একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রায় ২৫ দিনের জন্য। অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরে এসে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘরে ঢুকে দেখেন লন্ডভন্ড হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সমস্ত সামগ্রী।
খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। এলাকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
একদিকে পর্যটন, অন্যদিকে বাঁকুড়ার নিজস্ব সংস্কৃতি। এই দুইয়ের মিশেলে মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর এখন জমজমাট। জোড়শ্রেণি মন্দির প্রাঙ্গণে চলছে এবারের 'বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল'। মল্লরাজার বিষ্ণুপুরে ঐতিহাসিক জোড়শ্রেণি মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে এবারের 'বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল'। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই উত্সব চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। তিনদিনব্যাপী চলবে এই উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের মিউজিক ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠান।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শহর বিষ্ণুপুর। রঙবাহারি আলোয় জোড়শ্রেণি মন্দির প্রাঙ্গণ আলোকিত। মার্গ সঙ্গীতে বিষ্ণুপুরের নিজস্ব ঘরানা আছে। বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, 'আমরা গর্বিত বিষ্ণুপুরের মাটিতে দেশের বিদগ্ধ সঙ্গীতজ্ঞরা শাস্ত্রীয় সংগীতের মূর্ছনায় ভরিয়ে তুলবেন অনুষ্ঠান'।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিষ্ণুপুরের মতো জায়গায় এই মনোজ্ঞ বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভাল করার জন্য। বিষ্ণুপুর শাস্ত্রীয় সংগীতের পীঠস্থান। তাছাড়া বিষ্ণুপুরের নিজস্ব ঘরানা আছে। এই মিউজিক ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে বিষ্ণুপুরে আগত পর্যটকদের আমরা স্বাগত জানাচ্ছি'।
ফেস্টিভ্যাল দেখতে আসেন বহু মানুষ। পাশাপাশি পোড়ামাটির হাট বসায় খুশি সকলে। হাটে পোড়ামাটির ঘোড়া থেকে শুরু করে পোড়ামাটির গয়নার সম্ভার। অনেক প্রথিতযশা শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশন বাড়তি পাওনা বলে জানান আগত শহরবাসী।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে পোস্টার (poster) বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরপ্রধানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লিফলেট ছড়ানো হল শহর জুড়ে। চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরপ্রধান হিসাবে গৌতম গোস্বামীকে মানছি না মানব না-- এই পোস্টার ও লিফলেটে (leaflet) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বিষ্ণুপুরে। মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুরের (bishnupur) বিভিন্ন রাস্তায় এই ধরনের পোস্টার ও লিফলেট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। দিন কয়েক আগে বহিরাগত অর্চিতা বিদকে পুরপ্রধান হিসাবে মানছি না লেখা পোস্টার পড়েছিল বিষ্ণুপুরে। পুরসভায় ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এভাবে একের পর এক পোস্টার ও লিফলেট কাণ্ডে রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল (trinamul) শিবির।
বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ওই পুরসভায় বোর্ড গঠন হয়নি। দলের তরফে এখনও ঘোষণা করা হয়নি পুরপ্রধান বা উপ পুরপ্রধানের নাম। তার আগেই সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নব নির্বাচিত পুরপ্রধান হিসাবে নাম ঘুরতে শুরু করে ওই পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম গোস্বামীর। সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই গৌতম গোস্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেউ বা কারা বিষ্ণুপুর শহরের রাস্তায় রাস্তায় লিফলেট ছড়িয়ে দেয়। বিষ্ণুপুর নাগরিক সমাজের নামে ছাপানো এই পোস্টারে লেখা রয়েছে গৌতম গোস্বামী বিগত পুরবোর্ডের বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তাঁকে ডিগবাজির মহানায়ক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে লিফলেটে। ওই লিফলেটে গৌতম গোস্বামীকে পুরপ্রধান হিসাবে মানছি না বলেও দাবি করা হয়েছে।
গৌতম গোস্বামীর দাবি, এই লিফলেটের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিরোধীরা এই পোস্টার দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। দল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজে শামিল। এ ধরণের কাজ করার মতো সময় তৃণমূলের নেই।
বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই আঙুল তুলেছে।
এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। তার আগেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম বিষ্ণুপুরে।
হাসপাতালের বেড থেকে আচমকাই উধাও রোগী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁর খোঁজ মিলল না। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, জলজ্যান্ত মানুষটি গেল কোথায়, তাও আবার মাঝ রাতেই?
তবে রবিবার সকালের ঘটনায় হতবাক পরিবার। হাসপাতাল লাগোয়া একটি পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত আমতলায় গ্রামীণ হাসপাতালের এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা। কেন নজর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের? প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল লাগোয়া একটি পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ। বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেহ শনাক্ত করেন মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। সকালেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তারপর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর সঙ্গে তাঁর বাড়ির লোকজন ছিল। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় বিষয়টি জানিয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর শনিবার রাতে সাড়ে ৪ টে নাগাদ হাসপাতালের বেড থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের উস্থি থানার শেরপুরের ঘটি হারানিয়ার বাসিন্দা গোপাল ঘোষ নামে বছর ৭০-এর ওই ব্যক্তি। এদিনই নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বিষ্ণুপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেন।
মাওবাদীদের নাম করে খুনের হুমকি-চিঠি পাঠানো হল এক প্রধান শিক্ষিকাকে। মঙ্গলবার বিকালে ডাক বিভাগের স্পিড পোস্টের মাধ্যমে মুখবন্ধ খামে ওই চিঠি এসে পৌঁছয় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুণ্ডুর কাছে। ওই খামের মধ্যে দুটি কাগজ ছিল। একটি সাদা কাগজের উপর বাংলায় লেখা রয়েছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তোলা ও ঘুষ নেওয়ার জন্য আপনার মুণ্ডু নেওয়া হবে। অন্য কাগজে একই লেখা রয়েছে ইংরাজিতে। দুটি কাগজেই রাত দেড়টা বলে সময়ের উল্লেখ রয়েছে।
সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা এই দুটি কাগজের নিচে ইংরাজিতে লেখা রয়েছে মাওইস্ট (maoist)। খামের উপরের অংশে প্রেরক হিসাবে নাম লেখা রয়েছে কিষাণ মাণ্ডি। ঠিকানা রয়েছে খড়্গপুরের কৌশলা।
ওই প্রধান শিক্ষিকার দাবি, চিঠিটি পোস্ট করা হয়েছে মেদিনীপুর থেকে। প্রধান শিক্ষিকা এই ধরনের চিঠি আগেও পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এই চিঠি দিয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিষয়টি ইতিমধ্যেই পুলিসের নজরে আনা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে বারবার স্কুলের ঠিকানায় এই ধরনের খুনের হুমকি চিঠি আসায় স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় ওই প্রধান শিক্ষিকা ও তাঁর পরিবার।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত খবর উঠে আসছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। আবারও একই ঘটনা। এবার পূর্ব বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাগি এলাকায় গুলি ও বোমাবাজির অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন একজন। ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বোমের সুতলি ও স্পিল্ন্টার পড়ে রয়েছে। পড়ে আছে গুলির খোল। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। এলাকায় পৌঁছয় পুলিস। বেলা বাড়লেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল হতেই এলাকায় মুড়িমুড়কির মতো বোমা বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে চলে ৮-৯ রাউন্ড গুলি। স্থানীয় মানুষজন জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বীরেন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল। তবে গুলি লক্ষ ভ্রষ্ট হওয়ার কারণে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বীরেন মণ্ডল। বীরেন মণ্ডলের সঙ্গে থাকা ২ জন প্রতিবেশী প্রদীপ নস্কর ও প্রভাত গায়েনকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এরপরই রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে তাঁদের বলে অভিযোগ। প্রভাতকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় মারে দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও প্রাণ বাঁচিয়ে প্রদীপ নস্কর পালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল বলেই অভিযোগ। সেই সময়ই গুলি গিয়ে লাগে প্রদীপ নস্করের বাম পায়ে।
মুড়িমুরকির মতো বোমা বৃষ্টি ও গুলি এবং সঙ্গেই চিত্কার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষজন। এরপরই চম্পট দেয় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল বলেই জানা যায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। স্থানীয় মানুষ ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিস গুলিবিদ্ধ প্রদীপ নস্করকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হসপিটালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। এরপরই চিকিত্সকেরা ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে স্থানান্তরিত করে তাঁকে। তবে এখনও এলাকায় তাজা বোমা পড়ে রয়েছে। ঘটনায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিস জড়িত থাকা সন্দেহে একজনকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, বীরেন ও বেতাল ওই দু'ই ব্যক্তির মধ্যে দুর্গাপুজোর সময় মারামারি হয়। বীরেন মণ্ডল দায়িত্ব পায় এলাকা। তবে দু'জনে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দীলিপ মণ্ডলের অনুগামী বলেই পরিচিত। গত পরশুদিন বেতাল তাঁর দলবল নিয়ে পৈলানে ঢোকে। সেখান থেকে ফের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের সূত্রপাত। বীরেন দায়িত্ব থাকায় বেতাল এলাকায় ঢুকতে যায়। এরপরই বেতালকে ধরে মারধর করে বীরেনের লোক। গতকাল অর্থাত্ শনিবার গভীর রাতে বেতাল বীরেনের এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি ও গুলি চালায়। তবে এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠিকোন্দল বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।