বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে কেটে নেওয়া হল মহিলার চুল। একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লা বাগান গ্রামে।
জানা গিয়েছে, চুল কেটে নেওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হল, সিয়ান মুলুক গ্রামের এক মহিলা পাশের গ্রামের এক ভিন্ন ধর্মের যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভিন্ন ধর্মী ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার তিন মাস পরে ফের তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। যদিও তাঁর স্বামী পুরো বিষয়টিকে মেনে নিলেও গ্রামের বাসিন্দারা তা মানতে নারাজ।
এরপর গ্রামের বাসিন্দারা ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর উপর চড়াও হন। গ্রামের বাসিন্দারা ওই মহিলার চুল কেটে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্বামীকে মারধর করে গ্রাম ছাড়া করে দেন। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি গ্রামবাসীদের ভয়ে। তাঁদের দাবি, যদি তাঁরা থানায় কোনওরকম অভিযোগ করেন তাহলে তাঁদেরও গ্রাম ছাড়া করে দেওয়া হবে।
কেষ্টগড়ে ‘মদ্যপ’ রাজ্য পুলিসের ‘কীর্তি’! নেশার চুর উর্দিধারী। কর্মরত অবস্থায় একেবারে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি খেলেন শান্ত মুখোপাধ্যায় নামের এক পুলিস কর্মী। যা দেখে রীতিমত হাঁসির রোল। টালমাটাল পুলিস কর্মীর গলায় আবার 'কেষ্ট' ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ঘটনায় শোরগোল বোলপুর লজমোড়ে। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিস। ‘অসুস্থ’ বলে সাফাই বোলপুর থানার এক পুলিস আধিকারিকের।
পরে নেশাগ্রস্ত পুলিসকে পুলিসের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দৃশ্যও দেখতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে! উর্দির অবমাননা! এই লজ্জা কার! রাজ্য পুলিসের এহেন কর্মকাণ্ডে সমালোচনার ঝড় সব মহলে। উঠেছে শাস্তির দাবি।
লুঠের রাজত্ব করলে যা হয় তাই হবে। রাজ্যের পুলিস মন্ত্রীকে নিশানা করে কটাক্ষ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।একজন পুলিস কর্মীর অসলগ্ন আচরণ কি শোভনীয়? সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে একজন পুলিস কর্মী যদি মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি খান তাহলে মানুষকে সুরক্ষা দেবে কে?
বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর কানাচি আদিবাসী পাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমি হাঁসদা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মল্লারপুর থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমি হাঁসদার স্বামী বাইরে কাজ করেন। এক মেয়ে সেও বাইরে থাকে। তাই শিশু পুত্র নিয়ে সে বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায় বাড়িতে সুমি ও তাঁর শিশু পুত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মল্লারপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
যদিও পরিবারের দাবি, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে বা কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জন্ম যখন আছে তখন মৃত্য়ু অনিবার্য। তাই বয়সকালে মৃত্য়ুটাকে অনেকেই ভবিতব্য় বলে মেনে নেয়। এমনি এক ঘটনার ছবি ধরা পড়ল সিএন-এর ক্য়ামেরায়। সেখানে দেখা গিয়েছে ঢাক-ঢোল, বাজনা বাজিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ১০৩ বছরের বৃদ্ধাকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের আড্ডা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সিউরি শহরের পথ চলতি মানুষ হঠাৎ শুনতে পান গান, বাজনার শব্দ। আর তা শুনে দৌড়ে দেখতে যান কী হচ্ছে? দেখলেন, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্য সম্পন্নের সময় দেখা যায় হরিনাম সংকীর্তন ইত্যাদির মাধ্যমে তাঁদের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে শশ্মান যাত্রা দেখে ঘাবড়ে যান মানুষ। ১০৩ বছর বয়সী ঠাকুমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে নাতিদের এই আয়োজন।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল এক পুলিস কর্মীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেসরকারি বাসের ধাক্কায় পুলিসের বাইকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট কুঠি গ্রাম মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিস কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি মুরারই থানায় কর্মরত। ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিস গিয়ে ওই মৃত পুলিস কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের কাছেই রয়েছে পশু হাট। এদিন দুপুরে সেই হাট থেকে কতগুলি গরু আসছিলো। আর সেই সময় গরুগুলিকে বাঁচাতে রামপুরহাট থেকে নলহাটি মুখি একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই দিকে যাওয়া বাইক আরহী অর্থাৎ পুলিসের বাইকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বাইক আরহী পুলিস কর্মীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, গরুর হাটের জন্যই প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজ্য়ে শিক্ষা ও রেশন দুর্নীতির পর এবার ধান কেনাবেচায় উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির দেওয়া চার্জশিটে উঠে এসেছে সেই ধান কেনাবেচার দুর্নীতি। অভিযোগ, রাজ্য সরকার কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও সরকারি নির্দেশ না মেনে চলছে কালোবাজারি। এবার সেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কৃষকরা।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর গ্রামের কৃষক বামাচরণ সামন্ত। বৃহস্পতিবার তিনি বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ৬২ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেন। তাঁর অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি ৪ কেজি পাঁচ কিলো এমনকি তিন কিলো করে ধান বেশি নিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগে রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি হয় বোলপুরের কিষাণ মান্ডি চত্বরে।
সরকারিভাবে বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের মধ্যস্থতায় চাষীদের কাছে ধান কেনা হচ্ছে। বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ধান নিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাষীদের কাছ থেকে। যদিও এ বিষয়ে রাইস মিলের ম্যানেজার কোনও মন্তব্য করেননি।
হাসপাতালে কর্মরত নার্সের উপর আচমকা চড়াও হলেন রোগীর আত্মীয়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেল ওয়ার্ডে। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাসপাতালের নার্সরা। সেই সঙ্গে হাসপাতালের বিরুদ্ধে নিরপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় আহত নার্সের নাম মৌমিতা কর্মকার। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে সিউরি থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে যখন মৌমিতা কর্মকার নামে ওই নার্স হাসপাতালে আসেন তখন ডিউটি চলাকালীন আচমকা তাঁর উপর হামলা চালায় রোগীর পরিজনেরা। অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরে ছুরি দিয়ে ওই নার্সের হাত, কান ও গলায় আঘাত করা হয়। সেই সময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই নার্স। তারপর তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও গুরুতর আহত না হওয়ায় আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বীরভূম পুলিস। ধৃতের নাম বাবন সূত্রধর। বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার বেলিয়া গ্রামে। ধৃতের কাছ থেকে একটি 7 mm আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল ওই অভিযুক্ত। বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিস তাকে সেখান থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করে। বাবনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। তার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এর পর বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজত দেয়।
এদিন বাবন সূত্রধরের স্ত্রী মুনমুন সূত্রধর জানান, প্রায় আট বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন। তার পর তাকে এই সংগঠন থেকে সরে যেতে বলেন। পাশাপাশি বাবন কাঠের কাজের ফাঁকে চাষবাস করেন। কিন্তু তার বিভিন্ন থানায় অভিযোগ থাকার জন্য তাকে গ্রেফতার করেছে বলে তার স্ত্রী জানান। এই মামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাইরে ছিলেন বলেও জানান। তার বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া নিয়ে তার দাবি নিজের আত্মরক্ষার জন্য রেখে দিয়ে ছিল।
যদিও বাবন সূত্রধর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত, তাই তৃণমূল কংগ্রেস তার স্ত্রীর পাশে থাকবে বলে জানায়। জানা যায়, বাবনের নামে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ বিভিন্ন থানায় দেশদ্রোহিতা সহ বিভিন্ন মামলা আছে। সেই সব মামলা নিয়েই তদন্ত হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় বীরভূম থেকে মাওবাদী সন্দেহে এক ব্যক্তির গ্রেফতারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের শৈথিল্যের জন্যই কি বাড়ছে এ ধরনের ঘটনা?
মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মানতে নারাজ বাবা। প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের বাবাকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত যজ্ঞ নগর গ্রামে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, গ্রামের গাজু শেখ এবং কুতুবা খাতুন একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের সম্পর্ক মানতে চাননি মেয়ের বাবা-মা। ইতিমধ্যে তাঁরা মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের সাত দিনের মাথায় অষ্টমঙ্গলা করতে এলে সেই খবর পান ওই কুতুবা খাতুনের প্রেমিক গাজু শেখ। তারপর হঠাৎ গাজু শেখ একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে হাজির হয় কুতুবার বাড়িতে। এরপরই কুতুবা ও গাজু একসঙ্গে গাড়িতে পালানোর চেষ্টা করে।
এরপর মেয়েকে তাঁর প্রেমিকের গাড়িতে করে পালাতে দেখেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন মেয়ের বাবা। তারপর গাড়ি না থামিয়ে তারা মেয়ের বাবার উপর গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়ের বাবা কুদ্দুস শেখকে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্য়ু হয় তাঁর। ঘটনার পর মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেও নতুন জামাই এখনো শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছেন।
বোলপুরের শান্তিনিকেতনের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে গাঁজা পাচারের চেষ্টা। ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন পুরুষ ও এক মহিলা। আটক দুটি চারচাকার গাড়ি। তল্লাশি চালিয়ে আটক করা ওই গাড়ি দুটি থেকে মোট বাজেয়াপ্ত করা হয় নব্বই কিলো গাঁজা। মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে শান্তিনিকেতন থানায়। শনিবার মাদক চোরাচালানের অভিযোগে ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মাদক পাচারের জন্য দুইটি সুইফ্ট ডিজাইর গাড়ির ভিতরে তৈরি হয়েছিল বেশ কয়েকটি গোপন চেম্বার। যার ভিতরে রেখে পাচার করা হতো বিপুল পরিমাণ গাঁজা। শুক্রবার বীরভূম বোলপুরের শান্তিনিকেতনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহবশত আটক করা হয় ওই গাড়িকে। এরপর বোলপুরের কোপাই সেতুর উপর মোষঢাল গ্রামের কাছে এক মহিলা সমেত চারজনকে এমনই দুটি চারচাকা গাড়িতে মাদক-সহ গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই গাড়ি দুটির উপর নজরদারি চালাচ্ছিল বেঙ্গল এস টি এফ। গাড়ির তলায় পিছনের ডিকি থেকে ইঞ্জিন পর্যন্ত বিশেষভাবে একটা ট্রাঙ্ক তৈরী করা হয়েছিল। গাড়ির পিছনের লাইট, সামনের লাইটের পিছনে একটি করে সুড়ঙ্গও করা ছিল যার ভিতর দিয়ে কেজি কেজি গাঁজা ছিল ভরা। তবে এই পাচারচক্রে আর কারা কারা যুক্ত, তার জন্য তল্লাশি চলছে।
ফের জাতীয় সড়কে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লরির সঙ্গে বন দফতরের স্করপিও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত এক এবং আহত তিনজন। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার কাঁটাগড়িয়া পেট্রল পাম্পের কাছে ১৪ নং জাতীয় সড়কের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠায়। বর্তমানে আহতরাও রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মোড়গ্রাম থেকে নলহাটি যাচ্ছিল লরিটি এবং অপরদিক বন দফতরের গাড়িটি যাচ্ছিল। সেই সময় লরি ও স্করপিও গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় স্করপিও গাড়ির চালকের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় ওই গাড়িতে থাকা আরও তিন জন। এরপর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যায়। এবং খবর দেয় পুলিসকে। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে গাড়ি দুটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আবার যান স্বাভাবিক হয়।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তবুও এখনও বীরভূমে গরু পাচার চক্র সক্রিয়। যদিও পাচারের আগেই ২০১ টি গরু বাজেয়াপ্ত করল বীরভূম নলহাটি থানার পুলিস। এখনও পর্যন্ত কোনও গরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। রবিবার রাতে বীরভূমের নলহাটি থানার শালবুনী গ্রামের রাস্তা থেকে গরু গুলিকে আটক করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ড থেকে ২০১ টি গরু এরাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় পুলিস গরুগুলি আটক করে। আটক করা গরুগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুধু নলহাটি নয়। রামপুরহাটে প্রায় একশো ও মারগ্রাম কুড়িটি গরু আটক করা হয়েছে। নলহাটি, রামপুরহাট ও মোড়গ্রাম মিলিয়ে মোট চারশোর বেশি গরু আটক করেছে পুলিস। যদিও এই গরুগুলি শুধুমাত্র পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হত না। এই গরুগুলোকে ব্যবসার জন্য এক হাট থেকে আর এক হাটে নিয়ে বিক্রি করা হত বলে জানায় এই সব গরুর মালিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ধার দেনা করে এই গরুর ব্যবসা করে দুটো আয় হয়।কিন্তু বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিস এই গরুগুলো আটক করল তা জানে না এই সব ব্যবসায়ীরা। যদিও নলহাটি থানার পুলিস গরু পাচার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে দাবি।
শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী মেলা হল পৌষমেলা। এ বছরও শান্তিনিকেতনে আয়োজিত হচ্ছে না পৌষমেলা। তিন বছর পর মেলা হওয়ার আশঙ্কা জুগিয়েছিল, কিন্তু সেই আশাও ভেস্তে গেল। সোমবার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথভাবে একটি বৈঠক করে আসন্ন পৌষ মেলা নিয়ে। আর সেই বৈঠকে সব পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনা হয়, এই বছর মেলা হবে না।
তবে আগের বৈঠকে জানানো হয়েছিল, তিনবছর পর এবার ছোট করে হলেও পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। এই খবর শুনে খুশি হয়েছিল হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানা খবর শুনে হতাশ হয়ে পড়েছে তারা।
এ বছর কেন তাদের পক্ষে মেলা আয়োজন করা হবে না তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পাঁচটি কারণ তুলে ধরেছেন। সেই সকল কারণের মধ্যে রয়েছে হাতে অল্প সময় অর্থাৎ সময়ের অভাব। হাতে অল্প সময় থাকার কারণে স্টল বুকিং থেকে শুরু করে পুকুর ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য পরিকাঠামো সীমিত হওয়ার কারণে এই অল্প সময়ের মধ্যে তারা মেলার আয়োজন করতে পারবে না বলেই শেষমেষ জানিয়ে দিল।
আবারও পাচারের আগে অবৈধ কয়লাবোঝাই গাড়ি আটক করল বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। শনিবার ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর দুবরাজপুর থানার পুলিস লক্ষ্মীনারায়ণপুর-রামপুর রাস্তায় একটা ছোট হাতি গাড়ি ও তিনটে মোষের গাড়ি আটক করে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ছোট হাতি গাড়ি ও তিনটে মোষের গাড়ি থেকে প্রায় ১০ টন অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে পাচারকারী সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। আর বাকি যারা ছিল তারা পুলিস দেখামাত্রই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল বলে অনুমান পুলিসের। যদিও পাচারের আগেই সমস্ত ছক বানচাল করে দেয় পুলিস। তবে এই পাচারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজের পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ভাইফোঁটার দিন সকালে মিষ্টি কিনতে বেরিয়েছিল বোন। কিন্তু আর ফেরা হল না বাড়িতে। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল বোনের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটির রামমন্দিরের কাছে। মৃতার নাম রীতা সাউ (২৫)। বাড়ি বীরভূমের মাডগ্রাম থানার ছোচৌকি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ভাইফোঁটা উপলক্ষে দাদা কুশেন সাউ তাঁর বোন রীতা সাউকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইকে চাপিয়ে তাঁর ঝাড়খন্ডের মহেশপুর থানার কানিঝারা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভাইকে ফোঁটা দেবেন বলে নলহাটির রামমন্দিরের কাছে একটি মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি কিনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন রীতা সাউ। সেই সময় একটি ট্রাক্টর তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ট্রাক্টরের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে যান তিনি। ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নলহাটি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠায়। ইতিমধ্য়ে ঘাতক ট্রাক্টর ও তার চালককে আটক করেছে নলহাটি থানার পুলিস।