সাতসকালে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল বিকানের-হাওড়া এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের কাছে চলন্ত ট্রেনের উপর হেলে পড়ে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক। ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আসানসোল স্টেশন ছাড়িয়ে ট্রেনটি একটু এগোতেই বিকট শব্দ করে সেটি দাঁড়িয়ে পড়ে।
আসানসোলের ডিপো পাড়া এলাকায় রেল সাইডিং-এর কাছে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, ২১১ বাই ২ নম্বর ইলেকট্রিক পোলটি আচমকাই হেলে পড়ে। খবর পেয়ে রেলের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ট্রেনটি আবার হাওড়ার দিকে রওনা হয়।
গত জুন মাসের ২ তারিখে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল করমন্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরে করমন্ডল এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকের ওপর গিয়ে পড়েছিল। এরপর উল্টো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস সেই বগিগুলোতেই ধাক্কা মারে। এর জেরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেই ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন বহু মানুষ।
সেই ঘটনার স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা। মঙ্গলবারের ঘটনায় সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি আবার ফিরে এল ট্রেন যাত্রীদের মনে।
পোষ্য উট (Camel) খেপে যাওয়ায় বিপত্তি। প্রবাদ বাক্য রয়েছে উট রেগে গেলে মালিকেরও নিস্তার নেই। আর সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটল রাজস্থানের (Rajasthan) বিকানিরের পঞ্চু গ্রামে। মালিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মালিকের মাথা চিবিয়ে, তারপর মাটিতে আছাড় মারে পোষ্য উট। আর তাতে প্রাণ (Death) গেল মালিকের। কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষদের হাত থেকে রেহাই পায়নি উটটি। গাছে বেঁধে লাঠিপেটা করা হল উটটিকে। মৃত্যু হয় সেই পোষ্যরও।
কী হয়েছিল? থার্মোমিটারে পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রির আশপাশে৷ প্রবল গরমের সঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়া তীব্র জলকষ্ট৷ এর মধ্যেই পোষা উটের পায়ে দড়ি বেঁধে রোদে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন মালিক উজারাম৷ পাশ দিয়ে আরও অনেক উট চলে যেতে দেখে সেই উটটিও বাঁধন খুলে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু বাঁধন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছিল না। এরপর রেগে গিয়ে খুঁটি উপড়ে পালাতে চায় উটটি। মালিক এগিয়ে যেতেই আরও রেগে আগুন!
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উটটি মালিকের মাথা কামড়ে তাঁকে শূন্যে তুলে ফেলে। সেই অবস্থায় ছটফট করছিলেন মালিক। তারপরেই উটটি মালিককে আছাড় মারে মাটিতে। মালিকের মাথা ছিল উটের মুখে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উটের মালিকের।
এরপর শোরগোল পড়ে যায় ঘটনায়। আরও অনেকের উপর হামলা করতে পারে ভেবে উটকে ধরার জন্য ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। উটকে যখন বাগে আনে ততক্ষণে উট শান্ত হয়ে যায়। তবুও মরুভূমির জাহাজকে গাছে বেঁধে লাঠি দিয়ে গণপ্রহর করা হল। সেই লাঠিপেঠা সহ্য করতে না পেরে উটটি সেখানেই মারা যায়।