
ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যেও। এবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে পুজোতেই বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নবান্নের। সেই মত সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে এরাজ্যেও। প্রবল বৃষ্টিতে ক্রমশ জলধারনের ক্ষমতা হারাচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার। এর জেরে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ডিভিসি, তাই পুজোর মুখে চার জেলায় বন্যার আশঙ্কা। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার একাংশে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ঝাড়খন্ড পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নিচু এলাকা থেকে তড়িঘড়ি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির জন্য কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেই নিয়ে সোমবারই বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হবে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। ত্রিপল, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায়।
বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন শহর কলকাতায়। মঙ্গলবার সকালে রোদ থাকলেও বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়। এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। যার জেরে বিগত কয়েকদিনের অস্বস্তিকর গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এর কারণ হিসেবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেকারণে একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিজ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
রোদের তাপে তপ্ত গোটা বঙ্গ (Bengal)। তার মধ্যেই স্বস্তির খবর শোনাল হাওয়া অফিস। অবশেষে বৃষ্টির (Rain) দেখা পেতে চলেছেন শহরবাসী। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে। সোমবার যেখানকার তাপমাত্রা সর্বাধিক আকার নিয়েছিল তার মধ্যে দমদম ৪১ ডিগ্রি। এছাড়া পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে দমদম। এতটাই তাপমাত্রা চড়েছে এখানে। রাজ্যের কোথাও আপাতত তেমন তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দুই দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহ চলবে। এছাড় উত্তরবঙ্গের একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের মত পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আপাতত অবশ্য তেমন সুরাহার কোনও আশা নেই। আগামী ২২ এপ্রিল থেকে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই তাপপ্রবাহ কমবে। তাপমাত্রার দাপটও কমবে। অর্থাৎ ৪১ ডিগ্রি থেকে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
নববর্ষের দিনে এক নতুন রেকর্ড বাংলার (West Bengal Weather)। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত ১০ বছরে উষ্ণতম নববর্ষ আজ। শনিবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এপ্রিলের তাপমাত্রা (Temperature) ৪০ ডিগ্রির উপরে উঠেছিল ১০ বছর আগে। ফলে নববর্ষের দিনেও তীব্র দাবদাহের থেকে স্বস্তি নেই রাজ্যবাসীর। জেলায় জেলায় তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এর আগে ১৯৬৯ সালে ১৫-ই এপ্রিল ৪০.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছিল তাপমাত্রা। তারপর ২০১৪-তে ৩৭.১, ২০১৫-তে ৩৫.৫, ২০১৬-তে ৪০ ডিগ্রি, ২০১৭-তে ৩৫.২, ২০১৮-তে ৩৬.৭, ২০১৯-এ ৩৫.৬, ২০২০-তে ৩৬.৫, ২০২১ ডিগ্রি এবং ২০২২-এ ৩৭.৯ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ এপ্রিলের দিন।
আবহাওয়া বিভাগ অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, এখনও গরম থেকে স্বস্তি পাবে না রাজ্যবাসী। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। কলকাতার পাশাপাশি আশেপাশের জেলাগুলোরও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানিয়েছেন আগামী পাঁচদিন এমনই শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দু-তিন ডিগ্রি উপরে রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। গণেশ কুমার জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিলের পর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে। তবে তাঁরা এই বিষয়ে পূর্বাভাস ১৭ এপ্রিলের পর দেবেন।
তাপমাত্রার (Temperature) পারদ যেন চড়চড় করে বেড়ে চলেছে। রোদের তেজে একেবারে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। দহনে পুড়ছে (Weather) শহর কলকাতাও (Kolkata)। এপ্রিল মাসেই রেকর্ড গরম। পরিসংখ্যান বলছে, সাত বছরের মধ্যে উষ্মতম এপ্রিল মাস অনুভব করতে চলেছেন কলকাতাবাসী। ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছবে কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার তাপমাত্রা বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে। তাপপ্রবাহ হতে পারে কলকাতায়ও। বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস আপাতত নেই।
মে মাস পড়েনি এখনও এপ্রিল মাসেই গ্রীষ্মের দহন জানান দিতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৩৭ ডিগ্রি পার করে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে কলকাতা শহরে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চার থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গরমের দাপট কলকাতা শহরে যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে জেলাগুলিতেও। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তো বৈশাখের দহনের মত পরিস্থিতি রয়েছে। ১৫ এপ্রিলের পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এপ্রিলের ১১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, বোলপুর, মুর্শিদাবাদের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রির কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী চার-পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি বাড়বে। বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ হতে পারে। যেমন মালদহ, জলপাইগুড়ি দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সকাল থেকে রোদের ব্যাটিং শুরু হয়েছে কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায়। একেবারে গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। বুধবারের তুলনায় বেড়েছে বৃহস্পতিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গের ২ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বাকি কোনও জেলায়, এমনকি দক্ষিণবঙ্গেও আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। প্রত্যেকদিনই ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার ও রবিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রেও শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ অংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৬ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ।
বৃষ্টির পর এবার তীব্র গরমে হাঁসফাঁস। কয়েকদিন মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও চলতি মাসের শুরুতেই কিন্তু একটা অস্বস্তিকর গরম দেখা গিয়েছে। বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তাপমাত্রা বাড়বে। যার কারণে, সারাদিন ধরে প্রবল তাপে দগ্ধ হবে বাংলা। এই সপ্তাহের তাপমাত্রা ৩৪, ৩৫, এবং ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে কিছুটা তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস থাকলেও দিনের তাপমাত্রা কিন্তু যথেষ্ট বেশি থাকবে।
অর্থাত্ অস্বস্তিকর একটা পরিবেশ থাকবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তেমনটা নয়। তার কারণ এবছর বৈশাখ মাসের আগে থেকেই কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আপাতত ভাবে আজ এবং কাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। গরমের অনুকূল পরিবেশ এই মুহূর্তে বিরাজ করছে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। আবার কালবৈশাখীর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়ার কারণে।
দিনের শুরুতেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আবহাওয়া (Weather) সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। শুক্রবার রাতে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও ঝড়ের তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। এই মরসুমে গরমের ফসল ও বোরো ধানের চাষ হালকা বৃষ্টিতে যথেষ্ট উপকারী। সারাদিন গরম থাকলেও সূর্যাস্তের পর হালকা ঠান্ডা পরিবেশ দেখা যায় সারা রাত জুড়ে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি চলবে শনিবার। দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়াও। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বৃষ্টির জেরে কিছুটা কমবে তাপমাত্রা।
শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। রবিবারও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে।
এখনই বৃষ্টি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না রাজ্যবাসী। এমনটাই খবর আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। আগামী বুধবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চলবে ঝড়-বৃষ্টি (Rain)। রবিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই কয়েকদিন কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা (Temperature) আপাতত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather)। আপাতত মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে।
অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তর-পূর্ব এবং মধ্য ভারতের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এমনকি সপ্তাহের শেষে প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মূলত জম্মু, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং রাজস্থানে শুক্রবার দুপুর থেকেই ভারী বর্ষণ হতে পারে। শনিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরাখণ্ডে। আর সপ্তাহের শেষে শিলা বৃষ্টি হতে পারে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে।
উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। দু'দিন সামান্য বাড়বে তাপমাত্রা। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই।
মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী ঝড়। এমনটাই সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি, কোনও কোনও জায়গায় দমকা হাওয়া থাকবে। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে তুলনামূলক বৃষ্টিপাত বেশি থাকবে। এর সঙ্গে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে এবং অন্য জেলাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত থাকবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে মৌসম ভবন সূত্রে খবর।
বুধবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে। কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রধানত মেঘলা আকাশ থাকবে। আগামী দু-তিনদিন এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ২১ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়তে থাকবে ২ থেকে ৪ ডিগ্রির মতো।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাগুলো, বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ২২ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
পূর্বাভাস থাকলেও শুক্রবার রাতে কালবৈশাখীর দেখা পায়নি মহানগরবাসী। শনিবার সকালেও মেঘলা আকাশ রয়েছে। তবে ন্যূনতম তাপমাত্রা শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে এবার তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কোনও কোনও জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) আপাতত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ২০ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২১ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তারপর তিনদিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে এই আবহাওয়া চলতে পারে ২১ মার্চ বুধবার পর্যন্ত। পাশাপাশি, শনিবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ও ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরমের পর এবার কি তবে বৃষ্টির দেখা? চলতি সপ্তাহেই আবহাওয়ার বড় বদল হতে চলেছে বলে জানায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন হতে চলেছে। যার ফলে পশ্চিমের অর্ধেক জেলাগুলি মেঘে ঢাকা থাকবে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঝড়ো হাওয়া প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
১৪ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যজুড়ে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ঝড়-বৃষ্টি বেশি হবে। বৃষ্টি আরও বাড়বে ১৫ মার্চ থেকে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। যার কারণে তাপমাত্রার হেরফেরের সম্ভাবনা।
মার্চের শুরুতেই তাপমাত্রা (Temperature) বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে সূর্যের তেজ দেখা গিয়েছে। যার কারণে মার্চের শুরুতেই উষ্ণতা (Bengal Summer) বেড়েছে। দোলের দিনেও সূর্যের বেশ তাপ ছিল। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ডিগ্রি বেশি। দিনে দিনে তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমটাও বাড়ছে। আবহাওয়া দফতর (Weather Office) সূত্রে খবর, মার্চ থেকে টানা মে মাস পর্যন্ত কাঠফাটা গরম থাকবে বলে পূর্বাভাস। মার্চের শুরু থেকেই সূর্যের যে তীব্র দাপট দেখা যাচ্ছে,তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, যে দিন যত বাড়বে উষ্ণতাও ঠিক ততটাই বেড়ে যাবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে গরমের তাপও বাড়ছে। এই গরম থেকে রেহাই পাওয়া এখনি সম্ভব নয়।
আপাতত্ বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনকি বয়স্করাও রেহাই পাচ্ছে না। আবহাওয়া এরকম হেরফেরের কারণে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা।
দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) একেবারে পরিষ্কার আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরম। যদিও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) থাকছে দিনভর বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাতের দিকে কিছুটা তাপমাত্রার (Weather) পতন হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, দিন ও রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার কলকাতা ও আশপাশে এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বুধবার এই তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরমেই কেটেছে বাঙালির দোল (Vasanta Utsav)। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রোদের (Temperature) তেজ। এসব কিছুকে তোয়াক্কা না করে সকলে মেতে উঠেছিল রঙের উৎসবের আনন্দে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া (Weather) বদলের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে হালকা একটা ঠাণ্ডার পরশ পাবেন রাজ্যবাসী।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। দিনভর দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের উপরের দিকে জেলাগুলোতে বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গের নিচের দিকের জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। রাত এবং ভোরের দিকে তাপমাত্রা খানিকটা নিম্নমুখী থাকবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা। ১০ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস যেমন রয়েছে তেমনই ১১ মার্চ থেকে তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে লু বওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতাতেও তাপমাত্রার পারদ চড়বে হু হু করে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।