Breaking News
CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের     

BengalGovernor

Governor: শিবপুর-কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থার পক্ষে রাজ্যপাল, কী বলছে রাজভবন

প্রসূন গুপ্ত: ফের রাজ্যের পাশে রাজ্যপাল। তিনি যে জগদীপ ধনকরের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না, তা প্রথম থেকেই তাঁর কর্মপদ্ধতি দেখে বোঝা গিয়েছিল। তিনি শিক্ষিত মানুষ এবং সাহিত্যিক। লেখাপড়ার জগৎ ছাড়াও প্রশাসনের কাজে সুচারু। প্রশংসা পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরও। মোদী বলেছিলেন, তিনি দক্ষ কাজের মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'দিদি যাকে পাঠানো হচ্ছে তাঁকে আপনার পছন্দ হবে।' তিনি নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নতুন রাজ্যপাল আসার পর খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন বোস, ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সরকারের।

এরপর কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভেলে উপস্থিত থেকে বাংলা সিনেমার উন্নয়নে সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন। এরপরেই যেন খানিক সুর কেটে গিয়েছিল রাজ ভবনের সচিব বদলি ঘিরে। কিন্তু এখানে রাজ্য সরকার কোনও সংঘাতে যায়নি।

অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল এমন কিছু বলেননি যাতে সরকার বিপাকে পড়তে পারে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁকে সংবর্ধনা জানায় রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে মমতা ও আনন্দ বোসকে। পরস্পর কুশল বিনিময় করে হৃদ্যতা বজায় রেখেছেন। সম্প্রতি রামনবমীকে কেন্দ্র করে মস্ত সংকট তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাক-বিতন্ডা যেমন হয়েছে আবার সৌহার্দের চিত্রও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সুরতাল কেটে গেলো হাওড়ায়।

শিবপুরে এই রামনবমীকে কেন্দ্র করে একদল যে হৈ-চৈ ও হামলা চালালো বলে  খবর তা মোটেই স্বাস্থ্যকর ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মিছিল, দুষ্কৃতী বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিসের উপর প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এখানেই শেষ নয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবধি পৌঁছয়। শাহ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন।সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখে বোস প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তিনি জরুরিভিত্তিতে পতাকা না দেখে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, যে কেউ যদি ভাবেন মানুষকে বোকা বানাতে হিংসার আশ্রয় নেবেন, তবে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। ইঙ্গিতটি কোনদিকে তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। কাজেই কোনও বেচাল যে বোস বরদাস্ত করবেন না তা বলাই বাহুল্য।

one year ago
Raj Bhawan: আজ রাজভবনে রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি'! আমন্ত্রিতদের তালিকায় কারা

প্রসূন গুপ্ত: সিভি আনন্দ বোস, নতুন রাজ্যপালের তাই নাম। জানা গেলো সিভি আনন্দ অবধি ঠিক আছে। কিন্তু দক্ষিণ ভারতীয় বিশেষ করে কেরালা ও তামিলনাডুর অধিবাসীরা নেতাজি সুভাষকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করেন। ফলে অনেকেরই নাম সুভাষ বা বোস। রাজ্যপালের নাম ওভাবেই এসেছে। আনন্দ বোস একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্র। উচ্চ শিক্ষিত, বহু বিষয়ে বিস্তর পড়াশুনো এবং দেশের প্রশাসনিক বিষয়ে বহু দায়িত্ব সামলেছেন। বোসের লেখা বহু বই আছে যা কিনা দেশের সম্পদ মনে করেন অনেকেই।

রাজ্যপাল প্রচারের আলোর বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। যা কিনা প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকরের একেবারেই উল্টো পথ। তিনি মনে করেন সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে যখন দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন সেই কাজ নিপুনভাবে করা উচিত। এই রাজ্যপাল নিয়োগের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে না জানিয়ে কেন বারবার রাজ্যপাল নিয়োগ করা হচ্ছে। অমিত বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গিতে মমতাকে জানিয়েছিলেন, ইনি অত্যন্ত কাজের মানুষ এবং প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করে চলতে ভালোবাসেন, দিদির নিশ্চয় পছন্দ হবে।

বাস্তবিক আপাতত তাই সত্যি হয়েছে। রাজ্যপাল যেমন খুশি এ রাজ্যে এসে, তেমন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে পেয়ে আনন্দিত। যা কিনা তিনি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি শিক্ষাবিদ ও সিস্টার নিবেদিতার আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীর আমন্ত্রণে গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিষয় নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্যের শতবর্ষ। সেদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলার তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্ব, কিন্তু শেষ বক্তা হিসাবে রাজ্যপাল মানুষের মন জয় করে নিলেন। তিনি বলেছিলেন, সাহিত্য জানতে গেলে রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। রবি ঠাকুরের কাবুলিওয়ালার 'মিনি'-কে জেনে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের কাছে।

তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র না পড়লে ভারতীয় সাহিত্য অসম্পূর্ণ থাকবে। তিনি জানান, তিনি বাংলা সাহিত্য পড়েছেন ইংরেজি অনুবাদে। কিন্তু আসন্ন ৫ বছরে তিনি বাংলা শিখে তাঁর বহু লেখা বইয়ের মতো বাংলাতেও বই লিখবেন। তিনি আবেদন করেন তাঁকে বাংলা শিখতে এবং বুঝতে সহযোগিতা করতে।

অবশেষে তাঁর সেই প্রচেষ্টা বাস্তবের দিকেই যাচ্ছে। আজ সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় তিনি কোনও পণ্ডিতের কাছে বাংলার 'হাতেখড়ি' নেবেন। অর্থাৎ লক্ষ্য তাঁর বাংলা শিক্ষার দিকে। তাঁর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য এবং বিদ্বজন। মমতা অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন সপার্ষদ। উপস্থিত থাকবেন বিজেপি, বাম, কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা বলে আপাতত সংবাদ। কিন্তু থাকবেন না বলে খবর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভ কাজে রাজনীতি থাকছেই, এই প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে আসছে।

 

one year ago
Suvendu: কেন রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট শুভেন্দুর? ট্যুইটে জবাব ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতার

বুধবার রাজ ভবনে নবনিযুক্ত রাজ্যপাল (Bengal Governor) সিভি আনন্দ বোসের শপথ অনুষ্ঠান (Oath Taking Ceremony) বয়কট করেন শুভেন্দু আধিকারী। কেন এই সিদ্ধান্ত, প্রথমে ট্যুইট করে জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। পাশাপাশি বিধানসভাতেও সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। এদিন ট্যুইটে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আসন বরাদ্দ করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। যারা বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে দল বদলে এখন তৃণমূল (TMC) করছেন। দলত্যাগ আইনে এঁদের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি চলছে।'

পাশাপাশি তিনি নবনিযুক্ত রাজ্যপালকে শপথ গ্রহণের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই আসন বিতর্কের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য এবং সম্প্রচার দফতরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই দফতরের দায়িত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, 'শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে আমি এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি কার্যত রাজ ভবনের গেট থেকে ফিরে এসেছি। আমরা সাড়ে ১০টার মধ্যে কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কেন এই সিদ্ধান্ত, তার জন্য একটি ট্যুইট করেছি। যাতে কোনওভাবে ভুল বার্তা না ছড়ায় এবং সত্য উদ্ঘাটিত হয়।' 

তাঁর খোঁচা, 'আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি থেকে, বসার ব্যবস্থাপনা, এসব কিছু কোম্পানির মালিক করেছেন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক অনুষ্ঠান। কোনও রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি নেই। এই অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ, তিন-চার জন মন্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন। তার বাইরে দু'জন বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এঁরা কারা, নাম বলতে চাই না। বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে বিধানসভায় বিজেপি এবং বিধানসভার বাইরে তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে একজন লজ্জা ছেড়ে আবার বনগাঁ তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এঁদের কোন প্রোটোকলে ডাকা হয়েছে? যদি ধরে নিতাম ২৯৪ জন বিধায়ক আমন্ত্রিত তাহলে এই প্রশ্ন করতাম না। এই নিকৃষ্ট রাজনীতির সাক্ষী থাকল বাংলা।'

এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আসন বরাদ্দ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'এই অনুষ্ঠানে কলকাতার লোকসভা এবং রাজ্যসভার একাধিক সাংসদকে সামনের সারিতে বসানো হয়েছে। সেখানে বালুরঘাটের সাংসদ মাননীয় ডক্টর সুকান্ত মজুমদারকে পিছনের সারিতে বসতে দেওয়া হয়েছে। পিছনের সারিতে বসেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। যদি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হন, মালা রায় সাংসদ হন, ডেরেক ও ব্রায়েন সাংসদ হন, তাহলে ডক্টর সুকান্ত মজুমদারও সাংসদ।'           

one year ago


Governor: শপথ গ্রহণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের, নীল হাড়িতে সাদা রসগোল্লা পাঠালো নবান্ন

নির্ঘণ্ট মেনেই বুধবার রাজভবনে (Raj Bhawan) শপথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Dr CV Anand Bose)। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা বিমান বসু। ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা।

নতুন রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানাতে ইতিমধ্যে নীল হাড়িতে সাদা রসগোল্লা পাঠিয়েছে নবান্ন। তবে আসন বিতর্কে এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে সেই শপথ বয়কটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দলও। তবে সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। রাষ্ট্রপতি ভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, যেদিন শপথ নেবেন, সেদিন থেকেই রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হবেন আনন্দ বোস। তাঁর পূর্বসূরি বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত সর্বজনবিদিত।

সেই সংঘাতের পরিবেশ বর্তমান আমলেও থাকবে কিনা, সেই দেখার অপেক্ষায় বাংলায় রাজনৈতিক মহল।

one year ago
Governor: কলকাতায় এলেন নতুন রাজ্যপাল, বুধবার শপথ গ্রহণ

প্রসূন গুপ্ত: সকাল সাড়ে ৯টা বাজতেই নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর (Kolkata Airport) ছুঁল নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ববি হাকিম এবং শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং মুখ্য সচিব প্রমুখ। বিমানবন্দরেই তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় পুলিসের তরফে। শশী পাঁজা অনায়াস ভঙ্গিতে দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় বোসের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। এরপর রাজ্যপাল রাজ্ভবনে (Raj Bhawan) যান, সেখানেই তিনি আজকের দিনটি থাকবেন কিনা জানা না গেলেও জানা গিয়েছে বুধবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন।

দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, যে মুহূর্তে ডক্টর বোস শপথ নেবেন, সেই মুহূর্ত থেকে তিনি রাজ্যের ৫ বছরের স্থায়ী রাজ্যপাল হবেন। অবশ্যই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে এবং শাহ জানিয়েছেন যে এই নতুন রাজ্যপাল আনন্দ বোস ভালো লোক মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হবে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র এই বোস। যিনি দীর্ঘদিন সংবিধানের নানা কাজে যুক্ত। এই আইএএস প্রাক্তনী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কলকাতা থেকেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের পদবি বোস নিয়েই তাঁর নাম বোস, অবশ্য নামের আগে একটি আনন্দও আছে।

তাঁর আগমনে খুশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ইচ্ছা পূর্বতন রাজ্যপাল (ধনকর) মতোই সক্রিয় থাকবে বাংলার রাজ ভবন। যদিও রাজ্যপাল হওয়ার আগে বোস জানান, তিনি সংবিধান মেনেই সরকারকে সহযোগিতা করবেন। তাঁর সঙ্গে মমতার ফোনে কথা হয়েছে। বোসও মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ২৯টি পুরস্কারপ্রাপ্ত বোসকে জ্ঞানের আধার বলা হয়। দেখার বিষয় বাংলা, প্রকৃত সাংস্কৃতিক রুচিবান আদর্শে অচল এবং ৪০টি বই লেখা আনন্দ বোসকে কতটা কাছে পাবে আগামীতে।

one year ago


Oath: বুধবার রাজ ভবনে শপথ সিভি আনন্দ বোসের, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী-বিরোধী দলনেতা

২৩ নভেম্বর, বুধবার বাংলার নতুন রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose) হিসেবে শপথ নেবেন ডক্টর সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতেই তিনি আসবেন রাজ ভবনে (Raj Bhawan)। শনিবার তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। বুধবার রাজ ভবনে (Governor of Bengal) ডক্টর বোসকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। জানা গিয়েছে, ২১ এবং ২৩ তারিখ, কবে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল। ২৩ নভেম্বরকে বেছে নিয়েছেন বাংলার ভাবী রাজ্যপাল।

জানা গিয়েছে, এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বর্তমান অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এদিকে, প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট ডক্টর সিভি আনন্দ বোস সার্নে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নেহেরু ফেলোশিপপ্রাপক ডক্টর বোসের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের পদত্যাগের সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী রাজ্যপাল পেয়েছে বাংলা।

one year ago