
পেশায় রসায়নের শিক্ষক। অনেক ছোট থেকেই বামপন্থী রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ছয়বার ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে জিতে সংসদে গিয়েছেন। নয়ের দশকে শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা সিপিএম নেতা তড়িৎ তোপদার। এখন তাঁর জীবন অনেকটাই নিষ্প্রভ। সেই চড়াই-উতরাইয়ের গল্প নিয়েই তথ্যচিত্র তৈরি করছেন ব্যারাকপুরের বর্তমান বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
শুক্রবার ব্যারাকপুরে তড়িৎ তোপদারের বাড়ি যান রাজ চক্রবর্তী। ব্যারাকপুরের বদলে যাওয়ার ইতিহাস শুনেছেন, বোঝার চেষ্টা করেছে। তবে তথ্যচিত্রের বিষয় কী, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও পক্ষই।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তড়িৎ তোপদার। ১৯৯৭ সালে ব্যারাকপুরের মন্মথনাথ বয়েজ স্কুলের শিক্ষক পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতি তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল। প্রাক্তন সাংসদকে নিয়ে বর্তমান বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর তথ্যচিত্র কী নিয়ে হবে, তা নিয়ে জল্পনা থেকেই গেল।
রেল ওভারব্রিজ তৈরির দাবিতে সোমবার সকালে ব্যারাকপুর (Barrackpore) স্টেশনে অবরোধ। নিত্যযাত্রীদের অবরোধের (Blockade) জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনই শিয়ালদহ মেইন শাখায় ট্রেন (Train) চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ব্যস্ত সময় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন একাধিক যাত্রী। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
২০২০ সালে আমফান ঝড়ে ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের মাঝে ওভারব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়, সেই ওভারব্রিজটি নতুন করে বানানো হবে। ভেঙে দেওয়া হয় ওভারব্রিজটি। ৩ বছর কেটে গেলেও তা এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ অবরোধকারীদের। যার ফলে নিত্যযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই প্রতিবাদেই অবরোধ করেন ব্যারাকপুরের নিত্য়যাত্রীরা।
সোমবার নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ-এর ব্যানারে ফুট ওভারব্রিজের দাবিতে রেল রোকোর ডাক দেওয়া হয়ষ ব্যারাকপুর শাখার তরফে স্টেশন চত্বরে মিছিল করেন অবরোধকারীরা। এরপরই ১৪ নম্বর গেটে অবরোধ শুরু করা হয়। আন্দোলনকারীরা ব্যারাকপুর স্টেশন ম্যানেজারের ঘরের সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ব্যারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে ডাকাতি করতে বাধা দেওয়ায়, দুষ্কৃতীদের (Criminal) হাতে খুন হয় ওই দোকান মালিকের ছেলে। এ ঘটনায় প্রায় দেড়দিন পর পুলিসের (Police) হাতে আটক ৩ অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। যদিও এ ঘটনায় পুলিসকে ফের তোপ দেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
পুলিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় তল্লাশিতে নেমে পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তের নাম, সফি খান এবং জামসেদ আনসারি। পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরবাইক। এছাড়া সফিকে রহড়া থেকে এবং জামসেদকে বীরভূমের মূরারই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা অফিসাররা।
ওদিকে ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ব্যারাকপুর ও পলতা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ২৪ ঘণ্টা দোকান বন্ধ রাখা এবং একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন, যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজের ভি,ভি আইপি নিরাপত্তা নিয়ে লজ্জিত তিনি। শুক্রবার সকালে তিনি আরও বলেন, 'আমার নিরাপত্তা নিয়ে চলতে লজ্জা হয়। ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না, আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি! অপরাধীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছেন! জলজ্যান্ত একটি নিরীহ ছেলেকে মেরে দিলো!'
ব্যারাকপুর (Barrackpore) যেন সিনেমার মির্জাপুর (Mirzapore)। ঠিক যেমন মির্জাপুর সিনেমাটিতে খুন কোনও বড় বিষয় নয়, কখনও রাস্তায়, কখনও বাড়ি ঢুকে খুন হচ্ছে, কখনও বা দোকানে ঢুকে খুন। ঠিক যেমনটা ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় ৪০ ঘণ্টা পার, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সানি নামক এক অভিযুক্তকে (Accused) হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডির টিম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিস স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের থেকে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, পুলিসকে ভাবাচ্ছে দুষ্কৃতীদের ডাকাতির ধরন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক গোয়েন্দা আধিকারিকের মতে, দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য নীলাদ্রিকে খুন করাও হতে পারে। যদিও সেটা স্পষ্ট হবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর।
বুধবার সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দোকান মালিকের ছেলে নীলাদ্রির দুস্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর আহত আরও দুই ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুন সিংয়ের দাবি পুলিস তাঁর ভূমিকা সঠিক ভাবে পালন করছে না। পুলিসের উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অর্জুন বলেন, '৪০ কেজি ভুরি নিয়ে হাঁটাচলা করতে পারে না, তাঁরা আবার ডাকাত ধরবে।' শুধু সাংসদ নয়, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রাও ও মৃতের বাবা অর্থাৎ ওই সোনার দোকান মালিক।
সোনার দোকানে খুনের ঘটনাস্থল থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেট অফিসের দূরত্ব ১.৫ কিমি, টিটাগড় থানার দূরত্ব ৩.৩ কিমি, এছাড়া রহড়া থানার দূরত্ব ২.৮ কিমি। এছাড়া ব্যারাকপুর স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এ অবস্থায় বিশেষ জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা কিভাবে ঘটল? প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।
ব্যারাকপুরে (Barrackpore) ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় পুলিসকেই (Police) দায়ী করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। বুধবার সন্ধ্যায় গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এবার এ ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, 'পুলিস ভুঁড়ি নিয়ে দৌড়াতে পারে না, চোর ধরবে কি ?' তাঁর অভিযোগ, প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়ছেন না। তাঁদের অনেকের মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের হাত আছে। আর পুলিশও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এতে রাজ্যের শাসকদলের ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির টিকিটে সাংসদ হয়ে তৃণমূলে ফেরা অর্জুন।
বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ীর পুত্রের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু’জন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেন, 'পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, পুলিশের ভূমিকা সঠিক নয়। পুলিশ-প্রশাসনের উপর মানুষের যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, তাতে আমাদের দলের ক্ষতি হবে।' একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আগেকার পুলিশ অফিসার দেখে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পেত। কিন্তু এখনকার পুলিশ অফিসারেরা অপরাধীদের শায়েস্তা করতে ব্যর্থ। ছোট ছোট বিষয় পুলিশের একাংশ অতি সক্রিয়। কিন্তু অপরাধীরা যে মুক্তাঞ্চল বানিয়ে ফেলছে, তা দেখেও আমরা কিছু করতে পারছি না।’ অর্জুন জানান, এতে সাংসদ হিসেবে তিনি দুঃখিত।
ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে অর্জুন বলেন, 'এক মাসের মধ্যে দুটো খুন হয়ে গেল! এক জন ব্যবসায়ী মারা গেলেন। এক জন মাত্র ৪ লক্ষ টাকা ধার নেওয়ার পর খুন হলেন। আর টিটাগড় থানার ভূমিকাও ঠিক নয়।'
সম্পত্তির জেরে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ প্রোমোটারের (Promoter) বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর (Barrackpore) শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেলিনিপাড়া এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ওই মহিলার মৃতদেহ (Death) আটকে রেখে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সাথী ঘোষ।
জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর দেবপুকুর এলাকায় সাথী ঘোষ ও তার পরিবারের লোকজনদের জমি প্রমোটিংয়ের জন্য নেয় এলাকার স্থানীয় প্রোমোটার বিধান রায়। সাথী ঘোষের জায়গায় প্রোমোটিং এর জন্য তার পরিবারের লোকজনদের তেলিনিপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া করে রাখেন ওই প্রোমোটার। বেশ কয়েকদিন ধরে সাথী ঘোষের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর নামে মোহনপুর থানায় নিখোঁজের ডাইরি করে তার পরিবারের লোকজন।
শনিবার অবশেষে ভাড়া বাড়ির ওপরের ঘর থেকে খোঁজ সাথী ঘোষের মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে মোহনপুর থানার পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রোমোটার বিধান রায় সাথী ঘোষকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই প্রোমোটার। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এই মৃত্যুর পিছনে সম্পত্তি নাকি অন্য কোনও শত্রুতা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
গ্রীষ্মের তাপে (Heat) যখন পুড়ছে বাংলা (Bengal), তখন সরকার বারবার করে সতর্কতা (Caution) জারি করেছে ঠান্ডা পান করুন। নিষ্প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বেরোবেন না। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই তেলে ভাজা অর্থাৎ ভাজাটাই এড়িয়ে চলছে। কিন্তু ব্যারাকপুরের চিত্রটা ঠিক উল্টো। তাহলে ব্যারাকপুরের চিত্রটি ঠিক কি?
শনিবারও রাজ্যের তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীস্মের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল গতকাল অর্থাৎ শনিবার। শনিবার বিকেলে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেল একটি ফুচকার দোকানে ভীষণ লাইন। গরমে যখন সাধারণ মানুষ তেলেভাজা এড়িয়ে চলছেন সেই সময় ওই ফুচকার দোকানে এত ভিড় দেখে অবাক হওয়ার জোড়। এই ভিড়ের আসল কারণ কি? এগিয়ে খোঁজ নিতে দেখা গেল, এই ফুচকার যে টক জল অর্থাৎ ফুচকার সঙ্গে যে টক জলটি দেওয়া হয় সেটিতে বরফ মেশানো, অর্থাৎ টক জলটি বেশ ঠান্ডা।
স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মকালীন বাজারে এই অভিনব উদ্যোগ মন কেড়েছে সকলেরই। ব্যারাকপুরের ওই ফুচকা দোকানীর নাম পবন শাউ। শনিবার পবন সিএন-ডিজিটালের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ফুচকার ওই টক জলে বরফ দেওয়ার কোন বৈজ্ঞানিক কারণ অবশ্য নেই, কিন্তু এই তীব্র গরমে যখন সাধারণ মানুষ তেলেভাজা এড়িয়ে চলছেন, তখন এই বরফ মেশানো টক জলের কুচকায় অনীহা করছেন না কেউই। শনিবার তিনি আরও জানিয়েছেন, ঠান্ডা টক জলের ফলে বিক্রিও অনেকটা বেড়েছে। শনিবার বিকেলে ওখানে ফুচকা খাচ্ছিলেন সুদেষ্ণা চৌধুরী নামের এক তরুণী। তিনি জানান, গরমে কিছু খাওয়াই যাচ্ছে না, কিন্তু ফুচকার সঙ্গে এই ঠান্ডা টক জলের কম্বিনেশনটা দারুন। স্বাদও দারুন। পাশাপাশি ওখানে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন, বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি সুমন সেন, ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সুমন শনিবার বলেন, 'ঠান্ডা টক জলের ফুচকা, বেশ দারুন লাগছে।'
প্রথমে সামনে এসেছিল খড়দহ থানার পুলিসের (Khardaha Police) রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে লরি ও ট্রাক থেকে টাকা তোলার ছবি। এবার সরাসরি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল খড়দহ থানার পুলিসের বিরুদ্ধে। শনিবার এমনই এক অভিযোগ করা হয় ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের দফতরে।
অভিযোগ, সোদপুর সুখচর গীর্জা এলাকার বাসিন্দা এক যুবক রাস্তায় বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে পুলিসের নিগ্রহের শিকার হন। এমনকি গোটা রাত থানার লকআপে কাটাতে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় যুবকের ও তাঁর পরিবারের মারাত্মক অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগ নিয়ে শনিবার ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের দ্বারস্থ হয় সোদপুর সুখচর গীর্জা এলাকার পাঁজা পরিবার।
পরিবার সূত্রে দাবি, পাঁজা পরিবারের সন্তান সমন্বয় পাঁজা গত ১৪ তারিখ রাতে পাশের বাড়ি থেকে বিস্কুট আনতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় খড়দহ থানার একটি টহলদারী অটোতে দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও একজন অফিসার এসে পৌঁছায় ওই স্থানে। এরপরেই শুরু হয় নিগ্রহের পর্ব। সমন্বয়ের দাবি, অটোর মধ্যে থেকে কেউ তাঁর মুখে বারবার টর্চ মারতে থাকেন। তখন সে বলেন যে, আলো তাঁর মুখে না মেরে, রাস্তায় একটু আলো ফেললে খুব ভালো হয়। এই কথা শোনা মাত্রই ওই অটো থেকে দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ার বেরিয়ে আসেন এবং তার ঘাড় ধরে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে বলপূর্বক অটোতে তুলে নেন।
অভিযোগ, অটোতে একজন খাকি উর্দি পড়া অফিসার বসে ছিলেন। কিন্তু তিনি দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সংযত থাকতে বলেননি বরং নির্বাক দর্শক হয়ে সেদিন সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করছিলেন। এরপরেই তাঁকে অটোর মধ্যে চড় থাপ্পর মারে এবং অভব্য ভাষার ব্যবহার করে বলে দাবি সমন্বয়ের। এরইমধ্যে তাঁর মোবাইল থেকে আড়াই হাজার নগদ টাকা নিয়ে নেয় পুলিস বলে অভিযোগ।
সমন্বয়ের মা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁর ছেলেকে ওই রাতে খড়দহ থানায় নিয়ে গিয়ে সারারাত লকআপে আটকে রাখে। থানার তরফে বলা হয়, সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁর ছেলেকে। সকাল আটটার পর তাঁর স্বামী খড়দহ থানায় গেলে, থানার ডিউটি অফিসার বলে তাঁর ছেলেকে কোর্টে পাঠানো হবে। সমন্বয়ের মা, তাঁর ছেলেকে বিনা কারণে মারধর করে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিস যে নির্মম অত্যাচার করেছে তাঁর সুবিচার চেয়েছেন অভিযোগ পত্রে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, থানার আধিকারিকেরা এই সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষদের উপর অন্যায় করছেন। রোজ তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিভিক এবং পুলিস অফিসার গাড়ি থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলছে। সেটারও প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার বেআইনি অটো সরাতে বড়সড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় বেআইনি অটোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়ে আগামি ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন বিচারপতি।
ব্যারাকপুরের সিপি আলোক রাজোরিয়াকে কোর্টের নির্দেশ, একটা বৈঠক ডেকে প্রশাসনকে বেআইনি অটো খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাম-ঠিকানা আছে, তাই খুঁজতে অসুবিধা হবে না। যে ২৫ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। পুলিসকে আরও সচেতন হয়ে বেআইনি অটোগুলিকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশ। আবেদনকারীকে দিতে হবে হলফনামা।
RTO প্রদীপ মজুমদার সশরীরে উপস্থিত থেকে জানান, ৩২ জনকে তাঁরা আপাতত চিহ্নিত করতে পেরেছেন। যার মধ্যে দু'জনের কাছে পারমিশন ছিল। বাকিদের মধ্যে ৫ জন পারমিশন তৈরি করতে দিয়েছে। বাকি ২৫ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি, পুলিসকেও রিপোর্ট দিতে হবে।
ভর দুপুরেই দুঃসাহসিক ডাকাতি! এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর গাড়ি থামিয়ে পুলিস (police) পরিচয় দিয়ে ছিনতাই লক্ষাধিক টাকা অলংকার (ornaments)। ঘটনাটি নিউ ব্যারাকপুর (New Barrackpore) থানার অন্তর্গত এপিসি কলেজের সামনে ঘটে। দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ঘোলা থানার অন্তর্গত নাটাগড় (Natagarh) মহেন্দ্র নগরের বাসিন্দা এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন রায় বিশেষ কাজে মধ্যমগ্রামে (Madhyamgram) এসেছিলেন। রবিবার কাজ সেরে ফেরার পথে আনুমানিক ১২ টা ২০ নাগাদ এপিসি কলেজের সামনে দুজন ব্যক্তি পুলিস পরিচয় দিয়ে নাকা চেকিংয়ের নাম করে স্বপন বাবুর গাড়িটি আটকায়। প্রথমে কাগজপত্র দেখতে চায়, পরবর্তীকালে স্বপন বাবুর কাছ থেকে একটি হীরের আংটি, গলায় সোনার চেন, হাতের ব্রেসলেট সব খুলে একটি কাগজের মুড়ে তা সরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। এরপর নিজের হাতেই ওই দুই ব্যক্তি সোনার গহনাগুলি কাগজে মুড়ে গাড়ির মধ্যে রেখে ওনাকে চলে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পরে স্বপন বাবু যখন গাড়িতে খোঁজ করেন তাঁর অলংকারের, তখন শুধুমাত্র সাদা কাগজটি ছাড়া কোনও গহনার চিহ্ন ছিল না। এরপরই স্বপন বাবু বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
পরবর্তীকালে তিনি নিউ ব্যারাকপুর থানায় গিয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্তে নিউ বারাকপুর থানার পুলিস।
পুজোর আগে বড়সড় সাফল্য ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (Barrackpore Police)। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে (belgharia Expressway) থেকে ১১ কেজি সোনা (Gold Seize) উদ্ধার বেলঘড়িয়া থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়া থানা তল্লাশি চালিয়ে ১১ কেজি সোনা একটি হুন্ডাই গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিস গাড়ির চালক-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন ময়লাখলা এলাকায় বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার পথে টহলদারী পুলিসের সন্দেহ হওয়ায়, গাড়ি চেকিং করতেই ব্যাগের মধ্যে থেকে সোনার বাটগুলি উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। এই ঘটনায় নেতাজিরঞ্জন পাওয়ার, ময়ূর মনোহর পাটিল, গণেশ চৌহান এবং সুরজিৎ মুখার্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কোথা থেকে আসছিল আর কোথায় যাচ্ছিল, সেটা তদন্তাধীন। এমনটাই জানিয়েছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস।
এদিকে, দিন তিনেক আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার সোনা। শুল্ক দফতরের হাতে প্রায় ১ হাজার গ্রামের বেশি ওজনের সোনা-সহ আটক সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয়। ধৃত যাত্রীর নাম মুকেশ আগরওয়াল।
শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর শাখার আধিকারিকেরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে ওই যাত্রী থেকে ২৭টি গোল্ড কয়েন ও তিনটি গোল্ড বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ১১৪০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য ৫৬লক্ষ ৭৮হাজার ৬৯৪টাকা।
কাগজপত্র ঠিক না থাকায় দুধের গাড়ি চালককে কেস না দিয়ে টাকা নেন বলে অভিযোগ খড়দহ থানার (Khardah police station) দুই পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই দুই পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ড (suspend) করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট (Barrackpore Police Commissionerate)।
সূত্র মারফত খবর, চেকিং-এর সময় সোদপুর (Sodepur) বি টি রোডে একটি দুধের গাড়ি থামিয়ে তার কাগজপত্র দেখতে চায় খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাস। গাড়ির কাগজপত্রে কিছু ভুল থাকায় কেস না দিয়ে টাকা দাবি করে বসেন সাব ইন্সপেক্টর। সেইমতো রফা করে টাকাও নেন সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার।
এরপর গাড়ির মালিক খড়দহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনারকে বিষয়টি জানান। গাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সাব ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাসকে সাসপেন্ড করল বারাকপুর পুলিস কমিশনার। পুলিস অফিসারদের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আনার জন্যই এই ধরনের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু নাইজেরিয়ান ফুটবলারের। সময় মতো রেল আধিকারিকরা তাঁকে উদ্ধার করলে, বাঁচানো যেত ফুটবলারের প্রাণ, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। রেলের পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জানা যায়, নাইজেরিয়ান মৃত ফুটবলার বছর ২৪ শের এন গেসান। শনিবার ব্যারাকপুরের দিক থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার সময় টিটাগড়ের গাঁধী প্রেম নিবাসের কাছে আচমকাই ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ২ ও ৩ নম্বর লাইনের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার পর কোনওক্রমে নিজের চেষ্টায় গাঁধী প্রেম নিবাস আশ্রমের কাছে আসেন। তাঁকে আশ্রমের পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি আহত অবস্থায় নাইজেরিয়ান ফুটবলারকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুর বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘণ্টা দুয়েক বেঁচে থাকার পরেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর রেল পুলিস।
ঘটনার পরই ক্ষোভে স্থানীয়রা। রেল যাত্রী ও স্থানীয় একটি অংশের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পরেই যদি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত, তা হলে হয়তো বাঁচানো যেত গেসানকে। তবে এ ব্যাপারের রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) দুর্ঘটনা (Accident)। কেদারতাল অভিযানে (Kedartal expedition ) গিয়ে মৃত্যু (Death) বাংলার ৫ পর্বতারোহীর (mountaineer)। গত সোমবার, ২২ মে গঙ্গোত্রী গোমুখ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ১০ জনের একটি ট্রেকিং টিম (Tracking Team)। তাঁদের মধ্যে একজন বারাকপুরের (Barrackpore) বাসিন্দা। নাম দেবমাল্য দেবনাথ (৫৫)। হাওড়া ডিভিশনের রেলের সিনিয়র সেকশনের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। অন্য ৩ জন গড়িয়ার (Garia) শ্রীপুরের বাসিন্দা। একজন নৈহাটির (Naihati) বাসিন্দা, প্রদীপ দাস।
জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই তাঁরা ট্রেকিং করতে যান। করোনার (Corona) জেরে গত ২ বছর যেতে পারেননি। এবার ফের ট্রেকিং-এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যা বেলা হঠাৎ দেবমাল্য বাবুর বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ আসে। যে গাড়িতে করে তাঁরা যাচ্ছিলেন, সেই গাড়িতে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বার্স্ট করে মৃত্যু ঘটে। ওই গাড়িতে ৫ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রত্যেকের।
অন্যদিকে প্রদীপ বাবুর বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন নৈহাটির পৌর প্রশাসক অশোক চ্যাটার্জী সহ বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তাঁরা এসে বাড়ির লোককে আশ্বস্ত করেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রদীপ দাসের মৃতদেহ বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং নিজেও বিষয়টি দেখছেন বলে জানান তাঁরা।
বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (Nadda-Arjun Meet) সঙ্গে বৈঠকের আগে বেসুরো ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। রবিবার তিনি (Arjun Singh) মন্তব্য করেন, রাজ্য বিজেপি ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার করে রেখে দিয়েছে। বিজেপিতে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেকেই কাজের না! বাংলার রাজনীতির সঙ্গে অন্য রাজ্যের রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না।'
তিনি জানান, সঠিক লোককে সঠিক দায়িত্ব না দিলে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যাবে না।এখানে যাঁদের বিজেপি দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁরা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। সোশাল মিডিয়াতে রাজনীতি করে বড় নেতা হতে চায়। হোয়াটস অ্যাপ আর ফেসবুকে রাজনীতি করে এখানে সংগঠন করা যাবে না। বাংলায় রাজনীতি তৃণমূলস্তর থেকে করতে হবে।
এদিকে, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'অর্জুন সিং বিজেপির টিকিটে জেতা সাংসদ। দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে, নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছে। আমি কিছু বলব না, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলতে পারবে।'