কলকাতা থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে উড়েছিল স্পাইসজেটের একটি বিমান। মধ্যরাত ১টা ৯ মিনিট নাগাদ ১৭৮ জন যাত্রী ও ৬জন কেবিন ক্রু নিয়ে উড়েছিল বিমান। বিমান রওনা দেওয়ার পরেই পাইলট এটিসি-কে জানায় বিমানের ডানায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তড়িঘড়ি বিমান অবতরণ করাতে হবে। এরপরই এটিসি সবুজ সংকেত দেয়, তারপরেই পাইলট ঘুরিয়ে বিমানটিকে আবার অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে।
এরপরই ইঞ্জিনিয়াররা বিমান পরীক্ষা করে দেখে ফুয়েল সংক্রান্ত সমস্যা হয়েছে। যার ফলে বিমানে ডানায় সমস্যা দেখা দেয়। এরপরেই যাত্রীদেরকে বিমান থেকে নামিয়ে লাউঞ্জে আনা হয়। রাতভর তাদের অপেক্ষা করতে হয় বিমানবন্দরের ভিতরে। সকালবেলা যাত্রীদেরকে অন্য বিমানে করে ব্যাংককের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই খারাপ হওয়া বিমানের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষর পক্ষ থেকে।
কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) সোনার বাট কিংবা সোনার গুঁড়ো উদ্ধার যেন নিত্য ঘটনা। শুক্রবার ব্যাংকক থেকে কলকাতায় (Bangkok to Kolkata) আসা নূর সেলিম মহম্মদ নামে এক যাত্রীর থেকে প্রায় ৩৫০ গ্রাম সোনার গুঁড়ো (Gold Paste) উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক বেসরকারি সংস্থার বিমানে কলকাতায় নামলে, নূরকে দেখে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।
তাঁকে আটক করে তল্লাশি চালালে ৩৪৬ গ্রাম সোনার গুঁড়ো উদ্ধার হয়। যাত্রীর গেঞ্জির মধ্যে থেকে ওই সোনা উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য ২ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই সেই সোনার গুঁড়ো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় শুল্ক দফতর।
এদিকে, গত মাসে কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা পাচারের অভিযোগে আটক হয়েছিলেন দুই যাত্রী। অন্তর্বাসের ভিতরে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে সোনার পেস্ট পাচারের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তাদের মধ্যে এক যাত্রীর নাম খালিল আব্দুল। জানা গিয়েছিল, দুবাইয়ের বিমান FZ459 করে ভারতীয় যাত্রী খালিল দুবাই থেকে কলকাতায় আসেন।
ইমিগ্রেশনের তথ্য যাচাইয়ের পর গ্রিন চ্যানেল পেরোনোর সময় শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা খালিলকে প্রথমে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। এরপর জামা-কাপড়ে তল্লাশির সময় সন্দেহজনকভাবে নিজেকে আড়ালের চেষ্টা চালান খালিল। আরও কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর ওই যাত্রীর অন্তর্বাসের ভিতরে কাগজের মোড়কে যত্ন করে লুকিয়ে রাখা সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়।
মেনকা গম্ভীরের (Menoka Gambhir) বিদেশ যাত্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মায়ের শরীর খারাপের জন্য ব্যাঙ্কক যেতে চেয়ে আদালতে দরবার করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা। কিন্তু সেই মামলা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ না শুনে রেগুলার বেঞ্চে পাঠাল। পুজোর ছুটির পর সেই বেঞ্চেই হবে মেনকা গম্ভীরের আবেদনের শুনানি। জরুরি ভিত্তিতে মেনকা গম্ভীরের তরফে শুনানির আবেদন থাকলেও সাড়া দিল না বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
এদিকে, গত মাসে ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে আটকানো হয় মেনকাকে। ইডি নোটিসের কারণে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ঠোকেন মেনকা গম্ভীর। যদিও সেই মামলাও খারিজ হয়েছে হাইকোর্টে।
ইতিমধ্যে ইডি তলবে সাড়া দিয়ে একদিন মধ্যরাতে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। কিন্তু ইডি নোটিশে এএম-পিএম বিড়ম্বনার মুখে পড়েন মেনকা। পরে ভুল শুধরে দুপুর ১২টায় তলব করা হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে। সেই তলবেও হাজিরা দেন মেনকা গম্ভীর।
অসুস্থ মায়ের কাছে ব্যাঙ্কক যেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir)। তাঁর আবেদন, অসুস্থ মায়ের পাশে থাকতে তিনি ব্যাঙ্কক (Bangkok) যেতে চান। এই আবেদনের শুনানি সম্ভবত বুধবার। যদিও মেনকার আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করবে ইডি (ED)। এমনটাই সূত্রের খবর। কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা জানান, ব্যাঙ্ককে তাঁর পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তাই সেখানে যাওয়া দরকার।
এদিনও মেনকার আবেদনে আপত্তি করেন ইডির আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, মামলাকারীর উপর লুকআউট নোটিস জারি রয়েছে। যদিও এর আগে মানেকা ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন। তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এদিন মেনকার আইনজীবীকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকেই ফিরতে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে। ইডির লুকআউট নোটিশ থাকায় তাঁকে বিমানবন্দরে আটকায় ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা। এই ঘটনার দিন দুয়েক বাদেই একদিন মধ্যরাতে ইডির সিজিও কমপ্লেক্স অফস আইনজীবীকে নিয়ে পৌঁছন মানেকা। যদিও ইডি নোটিশে ভুল থাকায় তিনি সকালের বদলে রাতে সিজিও যান। পরে অবশ্য সেই ত্রুটি শুধরে ফের তলব কড়া হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে।