বিয়েবাড়িতে হুলস্থুল কাণ্ড। প্রায় সময় বরযাত্রী এবং কনেযাত্রীর মধ্যে ঝামেলার খবর শোনা গিয়েছে। কিন্তু এবারে একেবারে অন্য ঘটনা। যার জেরে প্রাণ গেল একজনের। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে দিল্লির (Delhi) রোহিনীর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। জানা গিয়েছে, একটি ব্যান্ডপার্টির চারজনের একটি দল পিটিয়ে হত্যা (Murder) করেছে এক ক্যাটারিং কর্মীকে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, ব্যান্ডবাদক এবং তার সাহায্যকারীদের খাবারের প্লেট না দেওয়ায় তাঁকে প্লাস্টিকের ক্রেট দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল।
মৃতের নাম সন্দীপ ঠাকুর। তিনি দিল্লির কিরারি এলাকার বাসিন্দা। বিয়েবাড়িয়ে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিয়েবাড়ির সব অনুষ্ঠান শেষে ব্যান্ডপার্টির লোকেরা খেতে বসেন। কিন্তু সে সময় থালা কম পড়ে। তখন এক ক্যাটারিং কর্মীকে ব্যান্ডবাদকরা জিজ্ঞেস করেন, থালা কোথায় পাওয়া যাবে? সেই কর্মী তাঁদের বলেন, ‘‘একটু অপেক্ষা করুন। থালা ধোয়া চলছে। এখনই পাবেন।’’ অভিযোগ, এতেই চোটে যান ওই ব্যান্ড কর্মীরা। তারপর হাতের কাছে প্লাস্টিকের ক্রেট পেয়ে ছুড়ে মারে কেটারিং কর্মী সন্দীপকে। সঙ্গে সঙ্গে ক্রেটের আঘাতে জ্ঞান হারান সন্দীপ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু'জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার দিন রাত প্রায় ১টা নাগাদ পুলিসের কাছে ফোন যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
শোকের আবহে নয় অভিনবত্ব আনতে, রীতিমতো ব্যান্ড পার্টি (Band Party during last rites) নিয়ে সৎকারের আয়োজন। এ যেন এক উল্টোপুরানের অন্য ছবি দুর্গাপুরে (Durgapur Family)। শোকের আবহে নয়, বরং আত্মীয়-স্বজনরা গণেশ পাসোয়ান নামের এক বৃদ্ধর দেহ সৎকার করতে গেলেন ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বৃদ্ধ গণেশ। তড়িঘড়ি করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মারা যান অশীতিপর ওই বৃদ্ধ।
তারপর ওই মৃতদেহের সৎকারের ব্যাপারে উদ্যোগী হয় পরিবার। কিন্তু স্বজন বিয়োগের আবহে একটু অভিনবত্ব আনার চেষ্টা কড়া হয়। আর সে কারণেই ওই বৃদ্ধর সৎকার করতে তাসা ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় পরিবার। এভাবেই গণেশ পাসোয়ানের দেহ দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রবাদ আছে , 'মরেও শান্তি নেই'। দুর্গাপুর ডিভিসি মোড়ের বাসিন্দা গণেশ পাসোয়ান নামের ওই বৃদ্ধর কাছে এই প্রবাদবাক্য একটু অন্য অর্থ বহন করছে। শোকের আবহে নয়, আত্মীয়-স্বজনরা গণেশ পাসোয়ানের সৎকার করলো তাসা ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে। মৃতের পরিবার থেকে জানা গিয়েছে, বাবা আর প্রিয়জন একবার চলে গেলে আর তো ফিরে আসে না, তাই এমন অভিনব আয়োজন।