Breaking News
Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার      Gardenrech Controversy: গার্ডেনরিচের বহু অবৈধ নির্মাণ প্রশাসনের ঔদাসীন্যতা! উঠছে প্রশ্ন...     

Banana

Banana: একদিনেই কালো হয়ে যাচ্ছে কলা? জেনে নিন দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার উপায়

কলা (Banana) স্বাস্থ্যের (HealthTips) পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। আবার অনেকের এই ফল খুব পছন্দেরও। অনেকেই ব্রেকফাস্টের সময় বা মধ্যাহ্ন ভোজের পর কলা খেতে পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, খিদে পেলেই কলা খেয়ে থাকেন অনেকে। এর জন্য ডজন ডজন পাকা কলা বাড়িতেও রাখেন আপনারা। কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পরই সেই কলাগুলি পচতে শুরু করে ও কালো হয়ে যায়।। তবে আর নয়, এবারে কিছু পদ্ধতি মেনে চলুন, যার ফলে কলা অনেকদিন ধরে ভালো থাকবে। এমনকি কালোও হবে না।

কলা ঝুলিয়ে রাখুন: কলা ঝুলিয়ে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যায় না। আসলে কলার কান্ডে ইথিলিন গ্যাস থাকে। যার ফলে কলা পচতে শুরু করে। কিন্তু সমতল জায়গায় কলা রাখলে তা তাড়াতাড়ি পেকে যায় ও পচে যায়। তাই কলা কিনে আনার পরও ঝুলিয়ে রাখা উচিত। এতে ইথিলিন গ্যাস নির্গত হওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয় ও পাকেও ধীরে।

ফ্রিজে রাখুন কলা: অনেকেই ভেবে থাকেন যে, কলা ফ্রিজে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তা পুরোপুরি সত্যি নয়। আসলে কলা ফ্রিজে রাখলে খোসা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই খোসা ছাড়িয়ে এয়ার টাইট কন্টেইনারে কলা কেটে রেখে দিলে তা অনেকদিনের জন্য ভালো থাকে।

কলার বৃন্ত ঢেকে রাখুন: কলার বৃন্ত ছিঁড়ে রাখা উচিত নয়। সবসময় চেষ্টা করবেন কলার বৃন্ত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে রাখার। এতে কলায় পচন ধীরগতিতে হবে।

7 months ago
Special: খড়্গপুরে কবি জীবনানন্দ দাশ

সৌমেন সুর: কবি একসময় কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে। কিছুদিন অধ্যাপনা করার পর এ চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তাঁর জন্মস্থান বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে নিযুক্ত হন। কর্মযজ্ঞ যথাযথভাবে চলছিল, কিন্তু আকাশের কোনে কালো মেঘ দেখা দিলো। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলো, কিন্তু দেশভাগের ফলে তিনি ও তাঁর পরিবার সবকিছু ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। 

কলকাতায় এসে অধ্যাপনার চাকরি খুঁজতে থাকেন, তখন খড়্গপুরের কলেজে অধ্যাপক দরকার--সে বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। হিমাংশু ভূষন সরকার পূর্ববঙ্গ থেকে খড়্গপুরে এসে একটা কলেজে তৈরি করেন। এই কলেজেই জীবনানন্দ অধ্যপক হিসেবে নির্বাচিত হন। সালটা ১৯৪৮। সেই সময়ে কবির অনেকগুলি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ--মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির। এই সময় খড়্গপুর কলেজে একমাত্র ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন সরোজ কুমার ভট্টাচার্য। তাঁর একার দ্বারা এই বিভাগ চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। ১৯৫০ সালে কবি নির্বাচিত হন এই বিভাগে। কলকাতা থেকে খড়্গপুরের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। খড়্গপুরকে ভালোবেসে ফেলেন কবি। তিনি ছিলেন নির্জনতাপ্রিয় ও স্বল্পভাষী। পরিবেশের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়ে ছিলেন সুন্দরভাবে। খড়্গপুর রেল কোয়াটার্স, রেল কারখানা, লাল মাটির পথ, পুকুর, ধানক্ষেত এসব দেখে কবি মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন। 

শোনা যায়, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জন্য তাঁর মন উতলা হয়ে যেতো। প্রতি সপ্তাহের শেষে তিনি কলকাতায় চলে আসতেন। অসুস্থ স্ত্রীর জন্য একদিন তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এইভাবে চলতে চলতে কলেজের চাকরীতে অনিয়ম এসে যায়। একদিন তিনি বাধ্য হয়ে চাকরীতে ইস্তফা দেন। কবির জন্মের একশো বছর পুর্তিতে খড়্গপুর কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে তাঁর আবক্ষ মুর্তি বসানো হয়। কথা হলো, কবি জীবন সংগ্রামে ছিলেন দায়িত্ববান মানুষ। সংসার ও কাব্য সমানভাবে চালিয়ে গেছেন। কিন্তু ভাগ্যের লিখনে মানুষের Destiny বিধাতা লিখে রাখেন আগেই। কবির জীবনেও বুঝি তাই ছিল। যাই হোক খড়্গপুর কলেজে তাঁর কার্যকাল ছিল মাত্র পাঁচমাস বারো দিন। [তথ্যঋণ--অর্নব মিত্র]

10 months ago
Cake: বাড়িতে বানান সুস্বাদু কলা ও আখরোটের কেক

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: শীতের সময় নানা স্বাদের কেক তৈরি করে সবাই মিলে খাবার মজাই আলাদা। অনেক রকমের কেক তো বানিয়েছেন, এবার কলা আর আখরোট দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু কেক। কলা ও আখরোটের কেক তৈরির পদ্ধতি ---- চারটে সিঙ্গাপুরি কলার খোসা ছাড়িয়ে গোল গোল করে কাটুন। এবার একটা নন স্টিকি ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে তাতে ৭৫ গ্রাম চিনি দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না হালকা বাদামী রং হচ্ছে। হয়ে গেলে ওর মধ্যে ৫০ গ্রাম মাখন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। মাখন সম্পূর্ন গলে গেলে ওর মধ্যে গোল গোল করে কাটা কলার টুকরাগুলো দিয়ে নেড়ে মেশান। 

এবার ৭৫ গ্রাম আখরোট দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। একটা পাত্রে দুটো ডিম ফাটিয়ে দিয়ে তার মধ্যে দুই চা চামচ ভ্যানিলা দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মেশান। এবার ৫০ গ্রাম সোয়াবিন তেল দিয়ে নেড়ে মেশান। এবার ১২৫ মিলি দুধ দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন।

এবার একটা ছাকনিতে ২০০ গ্রাম ময়দা ও ১৫ গ্রাম বেকিং পাউডার নিয়ে ছেকে ডিমের মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে এগ ব্যাটারের সাহায্যে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে কলা ও আখরোট এর মিশ্রণটা ঢেলে দিন। খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন।

একটা কেক মোল্ডের ভিতরে ভাল করে মাখন মাখান। এবার ওর মধ্যে কেকের মিশ্রনটা ঢেলে দিন, ঢেলে সমান করে দিন। ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপে প্রি হিট করে কেক মোল্ডটা ঢুকিয়ে আধ ঘন্টা মতন বেক করুন। 

আধ ঘণ্টা বাদে ওভেন থেকে কেক মোল্ড বার করে একটা উলের কাঠি ঢুকিয়ে বার করে দেখুন যদি কাঠির গায়ে কেকের মিশ্রণ লেগে না থাকে তবে বুঝবেন হয়ে গিয়েছে। কেক মোল্ড থেকে কেক বার করে উপর থেকে চিনির গুড় ছড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা করে ছুরির সাহায্যে স্লাইজ করে কেটে পরিবেশন করুন।

one year ago