
লোনের টাকা মেটাতে পারছিলেন না। সেই কারণে প্রতিবেশীর ২ বছরের বাচ্চার গয়না চুরি করে তাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে অভিযোগ উঠল মায়ামান বিবি নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাপের মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার সিকদারপুর এলাকায়।
নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল ২বছরের ওই শিশুকন্যা। আচমকাই শিশুটির মা সুমা খাতুন দেখেন তাঁর মেয়ে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হলে এক প্রতিবেশী জানান, অভিযুক্তের কোলে দেখা গিয়েছে বাচ্চাটিকে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই মহিলা অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন।
জানা গিয়েছে, লোনের কিস্তির টাকা জোগাড় করতে শিশুটির গায়ের গয়না খুলে নেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতেই শিশুটিকে শমসেরগঞ্জের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির দেহ উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।
পরপর তিন কন্যাসন্তান। স্ত্রী ও কন্যাদের বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুত্রসন্তানের জন্ম না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে আগেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। রবিবার স্ত্রী ও সন্তানদের খুনের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মালদার গাজোল থানার গোসানিবাগ এলাকার। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
পরিবার সূত্রে খবর, গাজোলের আলতোর গ্রামের বাসিন্দা অর্পিতা মণ্ডল। ১২ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই গৃহবধূর ও তার তিন কন্যা সন্তানকে মারধর করে জোর করে কীটনাশক খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কোনও মতে পালিয়ে গিয়ে দুই মেয়ে গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার থেকে নিখোঁজ (missing) বছর দুয়ের এক শিশু কন্যা (Girl)। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি নিখোঁজ শিশুর খোঁজ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রীতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। অভিযোগ করার পরে ওই এলাকায় পৌছয় পুলিস। পাশাপাশি নিয়ে আসা হয় সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিদের। বাড়ির পাশের পুকুরগুলিতে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই শিশুটির কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই শিশু কন্যাটির নাম আরমিনা খাতুন। আরমিনা খাতুনের মা সারবানু মণ্ডল ও বাবা আইফুল মণ্ডল। শিশুটির মা জানান, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি মায়ের বাড়িতে চলে যান। তারপর থেকে মায়ের বাড়িতেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। বাবা না থাকায় সকলের আদুরে ছিল আরমিনা। বাড়ির সামনেই রোজ খেলাধুলা করত। তবে সোমবার বিকেলেও খেলাধুলা করছিল সে। কিন্তু সন্ধ্যের দিক করে তাকে আর দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তারপর থেকেই চলছে খোঁজাখুঁজি। তিনি দাবি করেন, বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিস তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এলাকার পুকুর গুলোতেও ডুবুরি নামানো হয়েছে।
সৌমেন সুর: বর্তমানে ইন্টারনেট যুগে মানুষের চেতনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বাড়লে কি হবে, কোন এক অদৃশ্য শক্তির যাঁতাকলের হাতছানিতে বিয়ের সম্বন্ধে এখনো দর কষাকষি করে কনেকে বিদায় দিতে হয়। হতভাগ্য পিতার চোখে অশ্রু নেমে আসে। কত কষ্ট করে ধার দেনা করে কিংবা জমি বিক্রি করে নতুবা পি.এফ ফাণ্ডের সব টাকা তুলে, একেবারে নিঃস্ব হয়ে কান্নামিশ্রিত হাসিতে কন্যাকে তুলে দিতে হয়- 'সো কলড' শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত পরিবারের হাতে।
কন্যাদায় একটি বড় দায়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা কন্যার বিবাহ দিতে বাধ্য হন। ফলে সেই তাড়নায় বরের দর অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই হতভাগ্য দেশে রুপ নয়, গুন নয়, প্রেম ভালেবাসা নয়, উচ্চ অর্থমূল্যে বাজারের কাছে নিকৃষ্ট সওদার মতো অপদার্থ যুবকের দল বিক্রি হয় বিয়ের বাজারে। ফলে কন্যার স্বপ্নের পতিগৃহ হয়ে ওঠে জতুগৃহ। অবশেষে রবীন্দ্রনাথের 'দেনাপাওনা' গল্পের হতভাগ্য চরিত্র 'নিরুপমা'র দল জ্বলন্ত চিতায় খুঁজে পায় জীবনের নিস্কৃতি।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, 'কন্যা আমাদের মস্ত বড় দায়। কন্যাদায়ের মতো দায় নেই। একান্ন পরিবারে আমরা দূর ও নিকট, এমনকি নামমাত্র আত্মীয়কেও বাঁধিয়ে রাখিতে চাই- কেবল কন্যাকেই ফেলিয়া দিতে হয়।' ছোট থেকে বেড়ে উঠলো সংসারে, সবার ভালোবাসা অর্জন করলো, আবার কেউ বা মানুষ হলো অবহেলায়। সবাইকে অপেক্ষা করতে হয় আরেকজনের ওপর। সে যদি বিধান দেয় বা পছন্দ করে, তহলে তুমি তার। নইলে পচতে থাকো নিকৃষ্ট পশুর মতো। আসলে পুরুষশাসিত সমাজে নারীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় অবাধ স্বাধীনতা এখনো পুরুষের হাতে। সবকিছু বদলেছে-বদলে যাচ্ছেও। কিন্তু নারীর মূল্য কে বুঝছে, কজন বুঝেছেন? এখনো কাগজে, টিভিতে নারীজাতির দুর্ভাগ্যের রাহুমুক্তি আজও ঘটেনি। আসলে এই উপমহাদেশে মেয়েরা দুর্ভাগ্যের শিকার। শৈশবে তারা পিতার অধীনে, যৌবনে স্বামীর, বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে। ভারতে নারীর পরিচয় কন্যা, পত্নী ও জননী রূপে। তার স্বাধীন কোনো সত্তা নেই। তবে বর্তমানে নারীরা সাবলম্বী হতে পেরেছে। সর্বত্র নারীরা অর্বননীয় উত্থানে পৌছে চলেছে। সব ঠিক আছে। তবে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন দেশে নারীদের প্রতি অত্যাচার অশোভনীয়।
আমার মতে, শিশুকন্যাদের যে সমস্যা তা হলো শিক্ষাগত, সমাজগত, অর্থনীতিগত। শিশুকন্যাদেরও পুত্রসন্তানদের মতো খাদ্য ও শিক্ষা দিতে হবে। এবং সঠিকভাবে মানুষ করতে হবে। যেখানে পিতা অক্ষম সেখানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এসেছে যারা এইসমস্ত কাজ দায়িত্ব সহকারে করছে। আসলে শিশুকন্যাদের ওপর মৌলিক দৃষ্টি দেওয়া একান্তই দরকার।
আম্বানি (Ambani) পরিবারে এল নতুন সদস্য। এবারে লক্ষ্মীর আগমন ঘটল আম্বানি পরিবারে। দ্বিতীয়বারের জন্য বাবা-মা হলেন শিল্পপতি আকাশ আম্বানি (Akash Ambani) ও শ্লোকা মেহেতা (Shloka Mehta)। শ্লোকার কোল আলো করে এল ফুটফুটে কন্যাসন্তান (Baby Girl)। বুধবার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানির বড় বউমা শ্লোকা আম্বানি। ফলে দ্বিতীয়বারের জন্য দাদু-ঠাকুমা হলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। কন্যা সন্তানের আগমনে তাঁদের খুশি যেন আর ধরছে না। এই খবর ৩১ মে প্রকাশ্যে আসতেই বন্যা বয়ে গিয়েছে শুভেচ্ছা বার্তায়।
আম্বানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও আকাশ আম্বানির বন্ধু ধনরাজ নাথওয়ানি টুইটারে প্রথম এই খবর দিয়েছেন যে, আম্বানি পরিবারে নতুন সদস্য অর্থাৎ আকাশ ও শ্লোকা আম্বানির জীবনে কন্যাসন্তান এসেছে। কিছুদিন আগেই শ্লোকা ও তাঁর পুত্র পৃথ্বীর সঙ্গে মুকেশ আম্বানিকে দেখা গিয়েছিল মুম্বইয়ের সিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে। আর তারপরেই এই খুশির খবর। উল্লেখ্য, শ্লোকার অন্তঃসত্ত্বার খবর নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এসেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্লোকার। এরপর ২০২০ সালে তাঁদের প্রথম পুত্র সন্তান পৃথ্বির জন্ম হয়। আর এবারে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন শ্লোকা। তবে তার নাম কী হতে চলেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
অবশেষে মেয়ের মুখ দেখালেন বাঙালি কন্যা বিপাশা বসু (Bipasha Basu)। গত বছর মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন বিপাশা। প্রথমবার মা ও বাবা হয়েছেন বিপাশা ও করণ (Karan Singh Grover)। মেয়ের নাম দিয়েছেন দেবী (Devi)। তাঁর জন্মের পর থেকেই মেয়ের একাধির ছবি, মেয়ের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছেন বিপাশা ও করণ সিং গ্রোভার। কবে সেই একরত্তির মুখ দেখা যাবে তারই আশায় ছিলেন অনুরাগীরা। তবে এবারে প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে মেয়ে দেবীর ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন তারকা যুগল।
বুধবার ইনস্টাগ্রামে মেয়ের দুটি 'কিউট' ছবি শেয়ার করেছেন করণ ও বিপাশা। ক্যাপশনে লেখা 'আমি দেবী, পুরো বিশ্বকে হ্যালো।' পরনে গোলাপি ফ্রক, মাথায় ম্যাচিং ফিতে, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে ক্যামেরার দিকে। মুখে নিষ্পাপ হাসি। এই ছবি শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। লাইক এসেছে প্রচুর, কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সেলেবরাও কমেন্টের পাশাপাশি আশীর্বাদ করেছেন। অনুরাগীদের কেউ বলেছেন, 'করণের কার্বন কপি', আবার কেউ বলেছেন, 'একদম বিপাশার মত দেখতে'। এককথায় বিপাশা করণের আদুরে একরত্তির ছবিতে মেতে নেটদুনিয়া।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর প্রেম করার পর ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বাঙালি রীতি মেনে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বিপাশা এবং করণ। বিয়ের পাঁচ বছর পরে ২০২২-এর অগাস্ট মাসে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খুশির খবর শেয়ার করেন দু’জনে। ১২ নভেম্বর জন্ম নেয় বিপাশা-করণ সন্তান দেবী বসু সিং গ্রোভার।
তৃতীয়বারের জন্য বাবা হলেন মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। জুকারবার্গ ও প্রিস্কিলা চ্যানের (Prischilla Chan) কোল আলো করে ফুটফুটে কন্যা সন্তান এসেছে। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও মেটার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মার্ক জুকারবার্গ শুক্রবার নিজেই এই সুখবর সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে সন্ধ্যার দিকে এই জানান যে, তাঁদের এই কন্যা সন্তানের নাম দেওয়া হয়েছে অরিলিয়া চ্যান জুকারবার্গ।
শুক্রবার দুটো ছবি শেয়ার করেছেন জুকারবার্গ, সঙ্গে লিখেছেন ক্যাপশনও। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে রয়েছেন জুকারবার্গ নিজে, মুখে তাঁর চওড়া হাসি, পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর স্ত্রী প্রিস্কিলা চ্যান সন্তানকে নিয়ে শুয়ে রয়েছেন। মার্ক ক্যাপশনে লিখেছেন, 'অরেলিয়া চ্যান জুকারবার্গকে এই পৃথিবীতে স্বাগত। তুমি আশীর্বাদ।' এই ছবিটি সমাজমাধ্যম শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ও বয়ে গিয়েছে শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা। এই ছবিতে ১০ লক্ষের উপরে লাইক এসেছে।
উল্লেখ্য, মার্ক জুকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রীর আরও দুই কন্যাসন্তান হল ম্যাক্স ও অগাস্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর স্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, ম্যাক্স ও অগাস্টের জীবনে আগামী বছর ছোট বোন আসতে চলেছে। তাঁদের এই খবরে বেজায় খুশি হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
ভক্তদের একপ্রকার অবাক করে কন্যাসন্তানের জন্মের খবর দিলেন গায়ক আতিফ আসলাম (Atif Aslam)। কন্যাকে (baby Girl) পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এই খুশির খবর ভাগ করে নিলেন সকল ভক্ত ও বন্ধুদের সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে সদ্যজাতর একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি, যদিও ঢেকে রেখেছিলেন মেয়ের ছোট্ট চোখগুলি। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন একইসঙ্গে। কন্যাসন্তানের জন্মের পর কেমন আছেন তাঁর স্ত্রী 'সারা' (Sarah) সেকথাও জানিয়েছেন। তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্স শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।
গায়ক এদিন ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'সব অপেক্ষা শেষ আমার হৃদয়ের নতুন রানী এসে গিয়েছে। বাচ্চা এবং সারা দুজনেই সুস্থ রয়েছে।' একইসঙ্গে গায়ক তাদের জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বলেছেন। গায়কের পোস্টে তাঁর বহু বন্ধু এবং ভক্তরা কমেন্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আতিফের স্ত্রী 'সারা' শিক্ষাবিদ। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ বিয়ে করেন দু'জনে। আব্দুল আহাদ ও আরিয়ান আসলাম তাঁদের দুই ছেলে। একসময় ভারতে একের পর এক প্লে ব্যাক গেয়েছেন আতিফ। এখনও সেই গানগুলি শ্রোতাদের প্লে লিস্টে প্রিয় হয়ে রয়েছে।
গানের জগতকে যেমন ভাবে সাজিয়েছেন, তেমনভাবে সেজে উঠছে পরিবারও। স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে এবার জমাটি সংসার করবেন গায়ক।
বলিউডের অন্দরে ফের বড় সু-সংবাদ! রবিবারে ছোট্ট লক্ষীর আগমনের আনন্দে ভরে গেল কাপুর পরিবার। শনিবার থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল তাহলে কি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে সুখবর? আর সেই মতোই রবিবার সকালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের বিলাসবহুল এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে কাপুর খানদানের নতুন সদস্যকে পৃথিবীর আলো দেখালেন আলিয়া। জানা গিয়েছে এদিন রণবীরের (Ranbir Kapoor) সঙ্গেই বৌমার সঙ্গে ছিলেন ঋষি-পত্নী নিতু (Nitu Singh) সিং। সেই সঙ্গে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে উপস্থিত হন আলিয়ার মা সোনি রাজদান, দিদি শাহিন ভাট।
এদিন সকাল সকাল এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে এসে ঢোকে রণবীরের কালো সুপার সিডান গাড়ি। আর তারপর থেকেই জল্পনা আরও জোরদার হয়। অবশেষে রণলিয়ার কোল আলো করে 'ম্যাজিকাল গার্ল'এর আগমন হতেই শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে। একদিকে যেখানে তাবড় সেলেব্রিটিরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, অন্যদিকে সবকিছু শুভকামনা করেছেন ভক্তরাও।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নর্মাল ডেলিভারি হয়েছে আলিয়ার। এবং মা এবং সন্তান দুজনেই ভালো আছে। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় রণবীর এবং আলিয়া মেয়ের নাম নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে।