তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ছক জঙ্গিদের। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতা পুলিসের অ্যাডিশনাল কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান, অভিষেকের বাড়িতে হামলার ছক কষছে। এমনকি জঙ্গিরা নাকি এরই মাঝে অভিষেকের বাড়িতে রেইকি করেও গিয়েছে। অর্থাৎ বাড়ির চারপাশে নিঃশব্দে তারা ঘুরে বেড়িয়েছে। আর এই পরিকল্পনায় নাম উঠে আসছে রাজারাম রেগির। মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে একজন এই রাজারাম রেগি। সোমবার তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের আপ্তসহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাজারাম রেগি। তারপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে ঘুরে যায় সে। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার তদন্তে এই জঙ্গির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল।
কলকাতা পুলিসের অতিরিক্ত সুপার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, আজ, সোমবার মুম্বইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজারাম রেগি কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ভিডিওগ্রাফি করেছিলেন, কেন অভিষেকের এবং তাঁর আপ্তসহায়কের ফোন নম্বর নিয়েছিলেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামক স্ট্রিটের অফিসেও তিনি গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন টার্গেট করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতা পুলিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও রাজারাম রেইকি করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
আশঙ্কা ছিল, হুমকিও ছিল হামলার। শনিবার গভীর রাতে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইজরায়েলের বুকে হামলা চালালো ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস জানিয়েছে, 'অপারেশন ট্রু প্রমিসে'র আওতায় ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলের ওপর আছড়ে পড়ে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্রের খবর, ১৮৫টি টি একমুখী "আত্মঘাতী" ড্রোন, ১১০টি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬টি ল্যান্ড-অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইরানের তরফে। তবে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ সেই হামলা অনেকটাই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, ড্রোন নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কাজ করছে মার্কিন সেনারাও। ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেন বাজার শব্দ শোনা গিয়েছে। হামলার এই ঘটনায় ইজরায়েলের এক শিশু আহত হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, ইরানের এই হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ লেবানন স্থিত ইরানের সেনাঘাঁটিতে জোরদার হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত আল-হাজ রাদওয়ান ফোর্সের একটি সামরিক কম্পাউন্ডে বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। এই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে খবর। ইজরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পরে IDF-এর তরফে এটাই প্রথম আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসের ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই হামলার জবাবেই ইরানের এই আক্রমণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো এবং হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি ও কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েলের এই সংঘর্ষ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
ভোটের আগে ফের অশান্তি বাংলায়। এবার বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হামলার আগে এক ব্যক্তি মুখে গামছা বেঁধে সাইকেলে করে এসে বাঁশ দিয়ে সিসিটিভি ভাঙে।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পালটা তৃণমূল সমর্থকরা হাজির হন সেখানে। চলে স্লোগান পালটা স্লোগান। সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বিক্ষোভ চলাকালীন থানায় এসে হাজির হন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। ঘটনার জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। ইডির উপর হামলার পর এবার আক্রান্ত পুলিস। গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে সন্দেশখালির শীতলিয়ার পুলিস ক্যাম্পে ঘটে দুষ্কৃতী হামলা। আর সেই হামলায় আক্রান্ত হন সন্দীপ সাহা নামে একজন পুলিসকর্মী। এই ঘটনায় সন্দেহভাজনভাবে তিন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ সন্দেশখালির শীতলিয়া পুলিস ক্যাম্পে আচমকা হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ক্য়াম্পের পুলিস কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তখনই আহত হন এক পুলিসকর্মী। এরপর তড়িঘড়ি আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে খুলনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ওই আহত পুলিসকর্মীর শারীরিক অবস্থা।
তবে পুলিস ক্য়াম্পে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, কিংবা ঠিক কী উদ্দশ্য়ে ঘটানো হল এমন ঘটনা তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস। গত জানুয়ারি মাসে ইডি হানার পর থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড়া হয়েছিল গোটা রাজ্য়। তারপর একেক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির পর কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তাহলে আবার কী কারণে রণক্ষেত্রে পরিণত হল সন্দেশখালি?
সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। ইডি হামলার পর এবার ভোটমুখে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিষ্ফোরনকাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সদস্য়দের। NIA-এর গাড়ি লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট পাথর। আর সেই ইটের আঘাতে আহত হন দুই এনআইএ আধিকারিক। ভাঙা হয় গাড়ির কাঁচ, এমনকি তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় ইডিকে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিল একাধিক ইডি আধিকারিক সহ চিত্র সাংবাদিকও। ইডির উপর হামালা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্য়ে। এরপর ৬ এপ্রিল শনিবার ফের হামলার মুখে পড়েন এনআইএ। ইতিমধ্য়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ আধিকারিকরা।
ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগর থানা এলাকার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গত ২০২২ এর ২রা ডিসেম্বর তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এনআইএ-এর প্রতিনিধি দল দুজনকে অ্যারেস্ট করেন। নবকুমার পান্ডা, সুবীর মাইতি, মিলন বার, অরুন মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, বলাইচরণ মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, মানব কুমার পড়ুয়া, এবং মনোব্রত জানা। এই ৮ তৃণমূল নেতা কর্মীকে বেশ কয়েকদিন আগেই এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। এরমধ্য়ে মনব্রত জানা ও বলাইচরণ মাইতিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
লোকসভা ভোটের আগে উত্তেজনা যোগী রাজ্যে। হঠাৎ করেই জেলের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক গ্যাংস্টার নেতা মুক্তার আনসারির। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। যদিও জেলের এই দাবি মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, তাঁকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুখতারের ভাই আফজল আনসারির অভিযোগ, এক বার নয়, একাধিকবার স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছে তাঁর দাদাকে।
উত্তর প্রদেশের বান্দার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিকেলের খাওয়া শেষের পর থেকেই তিনি বমি করতে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা জেলের ভিতরেই চিকিৎসা শুরু করেন। তারপর রাত ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ জেলের অ্যাম্বুলান্সে করে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরে আর জ্ঞান ফেরেনি গ্যাংস্টার নেতার। মৃত্যু হয় তাঁর।
উত্তর প্রদেশের মৌ বিধানসভা এলাকার বিধায়ক পদে ছিলেন আনসারি। একাধিকবার সেখান থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একাধিক মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বান্দা জেলে ছিলেন আনসারি। আনসারির মারা যাওয়ার পরেই যোগী সরকার মৌ, গাজিপুর এবং বান্দার নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
৬৩ বছরের আনসারি পর পর ৫ বার মৌ সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবের জেলে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টি অপরাধের মামলা এখনও চলছে। জানা গিয়েছে গত ২৬ মার্চ নাকি মুক্তার আনসারিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেসময় পেটে ব্যাথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রানি দুর্গাবতি হাসপাতালে সুপার জানিয়েছেন, সেখানে তাঁর চিকিৎসা হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই দিকে দিকে অশান্তির ছবি। এবার বাম-কংগ্রেস জোট কর্মীদের উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে মালদার রতুয়া ১ ব্লকের কয়লাপাথর গ্রামে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে বোমাবাজি করে বুথ দখল করেছিল শাসকদল। পুনর্নির্বাচন হয় ও জয় হয় জোটের। তখন থেকেই শাসকের আক্রোশ।
জানা গিয়েছে, ইফতার করে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় জোট কর্মীদের লক্ষ্য করে হঠাৎ অ্যাসিড ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। জ্বলতে শুরু করলে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান আক্রান্তরা। পরবর্তীতে অভিযোগ দায়ের করা হয় রতুয়া থানায়। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামার হঁশিয়ারি জোট কর্মীদের। তবে কি ফের শুরু শাসকের সন্ত্রাস? বিরোধী কণ্ঠ রোধের চেষ্টা?
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার শাসক শিবিরের। অন্যদিকে তৃণমূলকে লুঠেরাদের দল বলে কটাক্ষ বাম শিবিরের। লোকসভা ভোটের মুখে এই ঘটনার জেরে হাওয়া গরম হতে শুরু করেছে এলাকায়। ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তবে ভোটের আবহে জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।
বাইসনের হামলায় মৃত্যু এক। গুরুতর আহত আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার নিশীগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খোকো বাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমণী সরকার (৬৫)। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে থেকেই মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের নিশীগঞ্জ এলাকায় দুটি বাইসন দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মীরা। এরপরেই বাইসনের হামলায় ওই এলাকার দুইজন আহত হয়। তার মধ্যে রমণী সরকার বাড়ির পিছনে কাজ করছিল। সেই সময় পিছন দিক বাইসন এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে নিশীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে কোচবিহারের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সন্দেশখালির পর ফের হামলা সংবাদ মাধ্যমের ওপর। সন্দেশখালির পর এবার সত্য খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে গার্ডেনরিচে আক্রান্ত হতে হল সিএন-কে। রবিবার মধ্যরাতে ঘটে যাওয়া গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল নির্মাণের ঘটনা, বিস্তারিত সম্প্রচার করে সিএন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে, হাসপাতালে পৌঁছে- সব জায়গা থেকে মানুষের কাছে ঘটনার খবর মুহূর্তে ,মূহুর্তে পৌঁছে দিলো সিএন। সেখানে ফের ধেয়ে এল বাধা।
লাইভ সম্প্রচারে থাকাকালীন হঠাৎ চিত্র সাংবাদিককে ক্যামেরা বন্ধ করতে বলা হয়। তারপরেই হাত থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ক্যামেরা। সিএন-এর চিত্র সাংবাদিক বাধা দিতে গেলে তাঁদের গায়েও হাত তোলে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে জড়ো হওয়া কিছু যুবক।
সকাল থেকেই সেখানে থাকা সিএন-এর আরেক চিত্র সাংবাদিক সঞ্জীব চক্রবর্তীর ওপরেও চালানো হয় হামলা। প্রাণভয়ে এক ক্লাব ঘরে আশ্রয় নিলে, সেখানেও পৌঁছে যায় হামলাকারীরা।
২০২৪ এর শুরুতেই সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে যাওয়ায় শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক-সহ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও। তখনও আক্রান্ত হয়েছিওল সিএন। এবারেও, ঘটল একই ঘটনা। বেআইনি বহুতলের রহস্যভেদ হয়ে যাওয়ার জন্যই কি রাগ সংবাদ মাধ্যমের ওপর? এই আক্রমণকারীরাই বা কারা? প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতির প্রশ্ন উঠছেই। সঙ্গে রাজ্যে নির্ভীক ভাবে খবর করতে গেলে সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের থাকতে হবে প্রাণভয়ে? এই প্রশ্নও উঠছে।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইডি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে, সেজন্য আগাম জামিনের আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন। সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷
রাজ্য পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ মতো এখন শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে। ইডিও মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইডি যেন তাঁকে গ্রেফতার না করে। সেই কারণেই আগাম জামিনের আবেদন জানান শেখ শাহজাহান।
ইডি কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায়। হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের সূত্রে তারা শেখ শাহজাহানের নাম জানতে পেরেছে। তার নিজের হাতে লেখা চিঠি থেকে শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। সওয়ালে দাবি করেছে ইডি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাদের মারধর করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। পরে আবার তল্লাশি চালাবার আগেই সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এমনই আদালতে দাবি করেছে ইডি।
এখন চার দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। চলতি সপ্তাহতেই ফের তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে। এদিকে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকেও সিবিআই গ্রেফতার করেছে। গতকাল, সোমবার সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ভোটের আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রাম। কোতুলপুরের লালবাজার এলাকায় তিন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিতরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার রাতে চায়ের দোকানে তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী প্রেমানন্দ বিশ্বাস-এর দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলকে বদনাম করতে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌমিত্র খাঁ। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে প্রতিটি থানা এবং পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি উঠে এসেছে কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন ব্লকে। আর এবার আসরে লোকসভা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘটনা মাথায় রেখে ভীত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্কুল চলাকালীন আচমকাই দুষ্কৃতী হামলা। সোনারপুরের বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ঢুকে পড়ে শুরু করে দৌরাত্ম্য। বেধড়ক মারধর করেছিল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। শিক্ষাঙ্গনে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন আক্রন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গোটা ঘটনায় উঠে এসেছিল পুলিসের উদাসীনতার ছবিও। স্কুলের অন্দরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পর অতিক্রান্ত ৪ দিন। এখনও পর্যন্ত এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের কোনও খোঁজ নেই। কিন্তু যে স্কুলকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই স্কুলের কী পরিস্থিতি? অভিভাবকরাই বা কি বলছেন এই ঘটনার পর? খোঁজ নিল সিএন। স্কুলে থমথমে পরিবেশ। বেলা ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হলেও দেখা নেই পড়ুয়াদের। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়াকে চোখে পড়ল এদিন। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার, বেঞ্চ। স্পষ্ট দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ছবি স্কুল চত্বরে।
কারা যেন দল বেঁধে ঢুকে পড়ে স্যার-ম্যাডামদের ফোনগুলো আছাড় মেরে ভেঙে দিল। তার সঙ্গে চলতে লাগল মারধর। হামলার কথা মনে পড়তে এখনও শিউরে উঠছে পড়ুয়ারা। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়া এলেও, কাটছে না আতঙ্কের রেশ। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।
তবে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আবহে শিক্ষাঙ্গনে এই বহিরাগতের তাণ্ডব কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষক শিক্ষিকারাও। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মতবিরোধের খেসারত দিতে হবে এভাবে তা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। আপাতত আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিরপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের তরফে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অত্যন্ত তৎপর হতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে। আর এই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি-সহ মোট ৫ জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। প্রায় ১৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেদিন মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর আঢ্যকে। তবে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের সময় বনগাঁতেও দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালির ছায়া। আঢ্যকে গ্রেফতারের পর বনগাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে বেরনোর সময় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। হামলার চেষ্টা করা হয় ইডি আধিকারিকদের ওপর। পাশাপাশি ইডি আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুর সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয় এবং গালিগালাজও করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ইডির পক্ষ থেকে। এতদিন পর এই ঘটনা নিয়ে তৎপর হতে দেখা গেল বনগাঁ থানার পুলিসকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করল বনগাঁ থানার পুলিস । সিজিও কমপ্লেক্সে এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিককে প্রায় দেড় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে বনগাঁ থানার পুলিস । সেদিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কোনও ব্যক্তি আহত হয়েছিল কিনা, কটা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল, এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান বনগাঁ থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তের সময়ে সন্দেশখালি এবং বনগাঁতে যেভাবে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে ইডিকে, তাতে রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। পাশাপাশি এই দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম শেখ শাহজাহানকে এখনও আটক করতে না পারায় রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
এবার একই দিনে বুনো হাতির হানায় জোড়া মৃত্যু। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকে। বেশ কিছুদিন ধরে বুনো হাতির হানা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা যায়, শনিবার দুপুরে মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া চা বাগানের নীতু পাইক নামে একজন ঘাস কাটতে বেরিয়েছিল। এরপর রাত হয়ে যাওয়ার বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাঁঁকে খুঁজতে বের হয়। তারপর তাঁরা বাগানে বুনো হাতির দল দেখতে পায় এবং তার কাছেই চা বাগানে নীতু পাইকের মৃতদেহ পড়ে ছিল।
অপরদিকে হাতির হানায় মৃত্যু হয় মাদারিহাটের উত্তর খয়েরবাড়ি বাসিন্দা এতয়া খড়িয়ার (৬০)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তিও গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু রাত হলেও সে বাড়ি না ফেরায় সবাই খুঁজতে বের হয়। কিছুদূর যেতেই এলাকার জঙ্গলের পাশে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
শরীরের একাধিক আঘাত দেখে প্রাথমিক অনুমান, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মাদারিহাট পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রবিবার ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। যদিও হাতির তাণ্ডবে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
বেজেছে যুদ্ধের দামামা। এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল পাকিস্তান। পড়শি দেশে বালোচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিকে নিশানা করেছে পাক ফৌজ বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ। এই ঘটনার কার্যত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে পালটা হামলার দাবি পাকিস্তানের। তবে তেহরানের কোথায় এই হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, এই হামলায় চারজন শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
তবে সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করেছে পাকিস্তানের বাহিনী। যদিও ইরানের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের বিষয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
তবে পাকিস্তানের এহেন পদক্ষেপ কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে না তো? ইতিমধ্যে সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের বুকে ইরানের হামলার পরেই কার্যত ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ইসলামাবাদ। এমনকি এহেন পদক্ষেপ বেআইনি বলেও দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রক জানায়, পাকিস্তানের এহেন কাজের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। যার পরিণতির পুরো দায়ভার ইরানের ওপর বর্তাবে বলেও বার্তা দেয় সে দেশ। আর এরপরেই ইরানের আকাশসীমা পার করল পাকিস্তানের মিসাইল। এমনটাই দাবি পাক সংবাদমাধ্যমের। বলে রাখা প্রয়োজন, পাকিস্তানের দাবি, ইরানে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি , বালোচিস্তান লিবারেশন ফোর্স এর মতো একাধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। আর এই সংগঠনগুলি পাকিস্তানের বুকে নাশকতা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।
সেই সমস্ত সংগঠনের ক্যাম্পগুলিতেও কি আঘাত হেনেছে পাকিস্তান? সে বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সরকারি স্তরে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, বুধবার বালোচিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করে তেহরান ফোর্স। ড্রোনের মাধ্যমে মিসাইল ছুঁড়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক ক্যাম্প। আর এই ঘটনায় পাকিস্তানের দুই শিশু'র মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনা ইরান এবং পাকিস্তানের সম্পর্ককে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকবে বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে ভারত। স্পষ্ট দাবি, আত্মরক্ষা করতেই কোনও রাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ যে নেয় তা আমরা বুঝি। দুর্নীতির প্রশ্নে ভারত সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি নেয় বলেও দাবি মোদী সরকারের।