চিত্রসমালোচক কমল রশিদ খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ইন্দোরের জেলা আদালত। ২০২২ সালে অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী, কমল রশিদ খান ওরফে কেআর কে-র বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে বলেন, 'কেআর কে মাদকাসক্ত। ট্যুইটারে অভিনেতার সামাজিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কমল।' তারপর নানা চেষ্টা করেও এই মামলা থেকে ছাড় পায়নি কমল।
২০২২ সালের জুলাই মাসে কমলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। অভিযোগ, '২৬ জুলাই তাঁকে দু’টি ট্যুইটে হেনস্থা করেছিলেন কমল।' কমলের আইনজীবী জানান, যে টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সেই টুইটগুলি করা হয়েছিল, সেটি ২০২০-র ২২ অক্টোবরে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তার দায়ভার কেন নেবেন কমল? অভিযোগ, মনোজ একা নয় টুইটারে একাধিকবার বলিউড অভিনেতাদের হেনস্থা করেছেন কমল। সলমন খান, শাহরুখ খান থেকে অনুষ্কা শর্মা—কেউই বাদ যাননি। মনোজের আইনজীবীর দাবি, টুইটার হ্যান্ডেল বিক্রির অজুহাত দিয়ে মামলায় শেষ হতে পারে না। তাই এই মামলা চলতে থাকবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০-ই মে।
'যুদ্ধ অপরাধী' তকমা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian Presedent) ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (International Criminal Court)। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে চলবে মামলা। পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সেদেশের শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।' যদিও মস্কো এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
উল্লেখ্য, একই অভিযোগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সরকারি আইনজীবী করিম খান জানিয়েছেন, 'এই গ্রেফতারি পরোয়ানার জেরে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না পুতিন। বিশ্বের ১২৩টি দেশের যেখানেই পুতিন যাবেন, সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।'
ক্রেমলিনের দাবি, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের মতো আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সদস্য নয় রাশিয়া। ফলে ওই জারি করা পরোয়ানা কার্যকর করা রীতিমতো অনেকটা কঠিন।' রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জ়াখারোভা বলেন, ‘‘রাশিয়া এই আদালতের বিচারের আওতায় পড়ে না। তাই এই আদালত কী বলল তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
স্বাভাবিকভাবে আদালতেই এই নির্দেশে আনন্দিত ইউক্রেন। সেদেশের সেনা আধিকারিক টুইটে জানিয়েছেন, 'এই সবে শুরু।' যদিও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে আগামী দিনে পুতিনের উপর যে চাপ বাড়তে চলেছে তা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের নির্দেশ থেকে কিছুটা স্পষ্ট।
বিহারের এক আদালতে (Bihar Court) বড়সড় আইনি জটিলতায় বলিউড প্রযোজক একতা কাপুর এবং তাঁর মা শোভা কাপুর। সম্প্রতি মা-মেয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বেগুসরাইয়ের আদালত। একতার প্রযোজনা সংস্থা বালাজি ফিল্মসের ব্যানারে তৈরি নতুন সিরিজে সেনা এবং তাঁদের পরিবারকে অসম্মান করেছেন। এই অভিযোগে একতা এবং শোভা কাপুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আদালতের।
জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী শম্ভু কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ কোর্টের। অভিযোগ, একতা তাঁর এক সিরিজ়ের মধ্যে জওয়ান পরিবারের অনুভূতিকে আঘাত করেছেন। বালাজির সেই ওয়েব সিরিজের বিষয় এবং একাধিক আপত্তিকর দৃশ্যের বিরোধিতা করে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী শম্ভু।
তবে এই ঘটনার জন্য বেশ কয়েক বার ক্ষমাও চেয়েছেন একতা। কিন্তু তারপরেও কেন জারি করা হল গ্রেফতারি পরোয়ানা? জানা গিয়েছে, কোর্টের তলবে হাজিরা না দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।
কী কাণ্ড! তিনিই বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের নতুন আইনমন্ত্রী। এর তাঁর নামেই কিনা গ্রেফতারি পরোয়ানা। তাও আবার সাধারণ কোনও অভিযোগ নয়, একেবারে অপহরণের মামলা। পরোয়ানা যখন এসেছে, তখন ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। তাই তড়িঘড়ি ওই মন্ত্রী আদালত থেকে জামিন নিলেন। সেও আবার সেই দিনই তাঁকে নিতে হল, যেদিন ছিল তাঁর শপথগ্রহণের দিন। কার্তিকেয় সিং নামের ওই মন্ত্রীকে নিয়ে এখন তোলপাড় বিহারের রাজনীতি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, এ ধরনের কোনও ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। উল্লেখ্য, কার্তিকেয় হলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দলের নেতা। মন্ত্রী নিজেও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এমন কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা তাঁরও জানা নেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৪ সালের। একজন বিল্ডারকে অপহরণ করে খুনের ছক কষা হয়েছিল। আর সেই মমলাতেই অন্য ১৭ জনের সঙ্গে ওই মন্ত্রীও একজন অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়ার পর নীতীশ কুমার আরজেডির তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তেজস্বী যাদব ১৯ আগাস্ট শপথ গ্রহণ করেন। পরে ৩১ জনকে নতুনভাবে মন্ত্রিসভায় আনা হয়, যার মধ্যে সিংহভাগই আরজেডির। তাঁর দলের মাত্র ১১ জন।