রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর বিবাদ মঙ্গলবার রাতে দেখেছে দিনহাটাবাসী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। একে অপরের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশ বুধবারও রয়েছে। আজই দুপুরে দিনহাটা পৌঁছবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। তিনি পুলিসের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি নিজেও কোচবিহারে যাচ্ছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে গাড়িতে কোচবিহারের দিনহাটা যাবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপালের দিনহাটা যাওয়া প্রসঙ্গে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি লিখেছে, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় শুনলাম আপনি দিনহাটা আসছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবশ্যই নিয়ে আসবেন। রাজ্যপাল এসে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এমনই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
গতকালের ঘটনায় ৪৫ বিজেপি কর্মী, নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। গতকাল রাতে ঝামেলা মিটলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এলাকায়। পুলিসও ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার এই অভিযোগ করেন উদয়ন গুহ। সমস্ত ঘটনার জন্যই বিজেপিকে দায়ী করল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বিজেপি এলাকায় ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। এমন অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপিও একই অভিযোগ আনছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে গোটা সন্দেশখালি। তাই সোমবারই কেরল থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশ্য়ে রওনা দিয়েছেন রাজ্য়পাল। এদিন রাজ্যপাল সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতায় আসেন। দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিককদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, 'আমি কেরলে ছিলাম। যখনই শুনলাম সন্দেশখালিতে ভয়ানক এক ঘটনা ঘটেছে। তৎক্ষণাৎ কেরলের প্রোগ্রাম কাটছাঁট করে ফিরে এসেছি। আমি সন্দেশখালি যাচ্ছি, সন্দেশখালিতে কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখব।'
রাজ্যপাল আসার আগেই সন্দেশখালিতে মহিলারা প্ল্যাকার্ড হাতে বেরিয়ে পড়েছেন। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মিনাখাঁর বামন পুকুরে রাজ্যপালকে দেখা মাত্রই রাস্তার ধারে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। তাঁদের দাবি, 'একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যপাল আমাদের এলাকায় আসছে তাই আমারা সবাই সেই টাকার দাবিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। যাতে রাজ্যপাল আমাদের টাকার কথা কেন্দ্র সরকারকে জানান।'
রাজ্য-রাজ্যপাল (Governor) সংঘাতের আবহে ফের নয়া কর্মসূচির ঘোষণা রাজভবনের। এবার রাজ্যপাল আনতে চলেছেন 'স্পিড প্রোগ্রাম'। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। ওই নির্দেশিকায় নতুন কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, ঠিক এই ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল সই না করার জন্য রাজভবনের হলফনামা চায় হাইকোর্ট। এরপর মঙ্গলবার রাতেই একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজভবন। সেখানে শিক্ষক নির্বাচন কমিটি, উপাচার্যদের একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মোট ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়া একটি মনিটরিং সেলও চালু করা হয়েছে বলে খবর। এই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন রাজ্যপাল স্বয়ং। নাম রিয়েল টাইম মনিটরিং সেল। ফোন বা ই-মেলে অভিযোগ জানানো যাবে। ফোন নম্বর হল 03322001642 ও মেল আইডি হল aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com। সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই জানানো যাবে অভিযোগ।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যেপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এক্রিয়ারের বাইরে গিয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এবার একই অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজ্য-রাজনীতিতে রাজভবন বনাম রাজ্যের সংঘাতে এই ঘটনা নয়া মোড়। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি অভিযোগ করেছেন, উপাচার্য নিয়োগে কোনও আইন মানছেন না সিভি আনন্দ বোস। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন গৃহীত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত কী বলে সে দিকেই আগামী দিনে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে, তাঁর নিয়োগ করা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মাস খানেক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অমিতাভ দত্ত। কিন্তু তিনি প্রাপ্য সমস্ত সুবিধা নিচ্ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে। একই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপর শুক্রবার তাঁকে আচমকা উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা জানা যায়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত কোচবিহার (Cooch Behar)। দিনহাটা (Dinhata), শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) পরপর কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত পরিবেশ। সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)।
রাজ্যপাল বলেন, 'আমি বিশদে বলতে চাই না। যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের ভাবতে হবে। আমার লক্ষ্য পরিস্থিতির উপর নজর রাখা। বর্তমান পরিস্থিতি এখনই বদলাতে হবে। এই পরিস্থিতি অসহনীয়। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'
রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। শীতলকুচি, দিনহাটাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবারও নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর আগে মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে উত্তাপ ছড়ায়। ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
ভাঙড়, ক্যানিংয়ের (Canning) পর এবার দিনহাটা (Dinhata)। উত্তরবঙ্গ সফরেই কোচবিহার যেতে পারেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ঘণ্টায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের এই জনপদ। সেই অশান্ত এলাকা এবার দেখতে যেতে পারেন রাজ্যপাল। জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল আসলে, তাঁরাও দেখাবেন এলাকার আসল চেহারাটা। যদিও রাজ্যপাল কখন কোচবিহার যাবেন, সেই ব্যাপারে এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি রাজভবন।
কখনও তৃণমূল-বিজেপি, আবার কখনও তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা। সোমবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত বারে বারে এলাকায় গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে মঙ্গলবারের ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী মৃত্যু ঘিরে চড়েছে রাজনৈতিক রং। জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেছেন, সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের এ দেশে আনা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও সিভি আনন্দ বোসের যা উত্তরবঙ্গ সূচি তাতে কোচবিহারের কোনও উল্লেখ নেই। ইতিমধ্যেই মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাজ্যপালকে যাওয়ার অনুরোধ করেছে জেলা তৃণমূল। তবে মুর্শিদাবাদ না দিনহাটা, কোথায় যাবেন রাজ্যপাল, তা এখনও ঠিক হয়নি।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশনারকে নিয়োগ করেছিলাম, হলদিয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। একদিকে যখন নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিয়োগপত্র ফিরিয়েছেন বলে শোনা গিয়েছে। অন্যদিকে, তখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাক করে রাজ্যপালের এমন মন্তব্য গোটা রাজ্যে ইঙ্গিত পূর্ণ বলে মনে করছেন সব মহলই।
এদিন হলদিয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, 'মানুষ হতাশ হয়েছে, মানুষের রক্ত নিয়ে দরাদরি করা যায় না।' সূত্রের খবর রাজ্যের মনোনয়ন পর্বে হওয়া হিংসার ঘটনায় ক্যানিং, ভাঙড় সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন খোদ রাজ্যপাল। এরপর তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাঠান। যদিও সেই ডাকে সাড়া দেননি নির্বাচন কমিশনার।'
এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ হওয়া উচিত, আমি যাকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষ আমাকে ভরসা করেছে, আমি যেভাবেই হোক শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।'
যাওয়ার কথা ছিল চেন্নাই (Chennai)। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় অশান্তির অভিযোগ পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে (Canning) গেলেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। এদিন দুপুরে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছিল, তিনি ক্যানিং যাচ্ছেন। সেইমতো এদিন বিকেল নাগাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হন তিনি। ইতিমধ্যেই সেখানার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। বৈঠক করেছেন পুলিস কর্তাদের সঙ্গে। ক্যানিংয়ের আম জনতার সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। শনিবার ক্যানিংয়ে আইসেফ সিপিআইএম কংগ্রেস বিজেপির প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যারা তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। এরপরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন 'রাজনীতিতে পেশি শক্তির ব্যবহার হচ্ছে এটা বন্ধ হওয়া দরকার।'
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে এদিন রাজভবনে কার্যত নালিশ জানাতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মূলত তাঁর থেকে ক্যানিং সম্পর্কে খোঁজ নেন রাজ্যপাল। তারপরেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্তও দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা বন্ধে রাজ্যপাল বদ্ধপরিকর। এর আগে ভাঙড়ে গিয়ে হিংসা বন্ধের বার্তা দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস।
উল্লেখ্য গত বুধবার মনোনয়ন জমা ঘিরে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। ঘটনায় সুনীল হালদার নামের এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল (C V Ananda Bose)। কিন্তু কোনও অংশে শান্তি রইল না পঞ্চায়েতের প্রথম পর্বেই। মনোনয়নের প্রথম পর্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড় ও ক্যানিং। বোমা গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তৃণমূল, আইএসএফের সমর্থক। এছাড়া এখনও মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। যার ফলে বহু জায়গায় বাম, কংগ্রেস, বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি।
সেজন্যই এবার রাজভবনে খোলা হল শান্তিকক্ষ বা পিসরুম। শনিবার রাতে এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করেছে রাজভবন। বলা হয়েছে, ভোট সংক্রান্ত অশান্তি ঠেকাতে রাজভবনে অভিযোগ জানানো যাবে। সেই অভিযোগ পেয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাবে। সেই মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ভাঙড়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। শনিবার ক্যানিংয়েও যান রাজ্যপাল। এরপরই শান্তিকক্ষ খোলার কথা জানানো হয় রাজভবন থেকে। চালু করা হল হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩২২০০১৬৪১।
শরাফ হাউসে (Saraf House) আগুন লেগেছিল বুধবার। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। এবার ওই হাউসের সার্ভার রুম থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এক বৃদ্ধের দেহ। শরাফ হাউসের আগুন লাগার ঘটনায়, রাজভবন (Raj Bhavan) থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল (Governer) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলও। সেই বিল্ডিংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর সেই শরাফ হাউসের সার্ভার রুম থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধের মৃতদেহ। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শ্যাম সুন্দর সাহা নামে বছর ৬৫-এর এক ব্যক্তি। বহু খোঁজের পরেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই শ্যাম সুন্দরের দেহ উদ্ধার হল। সার্ভার রুমে পড়ে ছিল তাঁর ঝলসানো দেহ।
পুলিস সূত্রে খবর, দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছিল যে প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া একটি আধপোড়া আইডেন্টি কার্ড থেকে নাম পরিচয় জানা যায়। শ্যাম সুন্দর উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২-৩ বছর আগে কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু কর্মজীবনে ভাল কাজের জন্য অল্প মাইনে দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বেয়ারার কাজ করতেন ওই শরাফ হাউসে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে আচমকাই শরাফ হাউসে উপরের তলার ক্যান্টিনে আগুন লাগে। সেই আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। জানা গিয়েছে, আগুন থেকে চারটি এসি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ফলে সেই আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাওড়ার (Howrah) পর এবার হুগলির (Hoogly) অশান্তির ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে (Police) কাঁদানে গ্যাস ব্যাবহার করতে হয়। পুলিস সূত্রে খবর, রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ (Internet Service Close) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিষড়া থানার অন্তর্গত সন্ধ্যা বাজার এলাকায়, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন রিষড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বেশ কিছু পুলিসকর্মী। এবার হুগলির ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)।
রাজভবন সূত্রে খবর, রিষড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তার পরেই বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘গুন্ডা এবং দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’
রবিবার বিকেলে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় রিষড়া। ইটবৃষ্টি ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জখম হয়েছেন রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করবে রাজ্য। আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেন আইনভঙ্গকারীরা।' দু'দিন আগে হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডেও চরমে ওঠে পরিস্থিতি। সিআইডির হাতে শিবপুরকাণ্ডের তদন্তভার। যদিও হাওড়া ও হুগলির ঘটনায় রাজ্য পুলিসকেই দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল। হামলার ঘটনায় আহত কিছু বিজেপি কর্মীও। তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: মাঝে মধ্যে জল্পনা কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয়। কল্পনা কি ইচ্ছাকৃত থাকে? থাকতেই পারে তবে ক্ষণিকের এবং যদি থেকেও থাকে তা নিজের সঙ্গে এবং পারিপার্শ্বিক স্থানে যে অর্থহীন হয় দ্রুত! ইদানিং কোনও বিতর্কে না থেকেও পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, শাসক-বিরোধীদের এক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদিও বোসের মতো উচ্চ শিক্ষিত আদর্শবান প্রাক্তন আমলা সেসব গায়ে মাখেন না। বাস্তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত পছন্দের মানুষ আনন্দ বোস।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে আসার আগে শোনা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বোসের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে 'হাতেখড়ি' থেকে বর্তমান শাসকের সঙ্গে সুসম্পর্ক নাকি কেন্দ্র অনুমোদন দিচ্ছে, এমনটাই দাবি রাজ ভবন ঘনিষ্ঠদের। সরস্বতী পুজোর রাতেই আনন্দ বোস উড়ে যান দিল্লিতে। জল্পনা হয়েছিল তাঁকে নাকি ডেকে পাঠানো হয়েছিল 'অতিরিক্ত শাসক সখ্যতা'র কারণে।
হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে, উনি রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন এবং শুক্রবার বহু বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে দেখা ও কথাবার্তা হবে। কারা সেই 'বিশিষ্ট' ব্যক্তি, শুরু হয়েছিল জল্পনা। উঠেছিল প্রশ্ন যে, শাসক দলের সঙ্গে সখ্যতার কারণে অমিত শাহ তাঁকে ডেকে পাঠান। বাস্তবে একেবারেই তা নয়। রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে শুক্রবার তাঁর অবস্থান প্রকাশ করেছেন।
রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে প্রথমে যান একসময়ের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হর্ষবর্ধনের পুত্রর বিয়েতে। পরদিন তাঁর বেশ কয়েকটি কাজের মধ্যে অন্যতম ছিল প্রধানমন্ত্রীর 'পরীক্ষা পে চর্চা'র একটি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করা। তিনি দিল্লির এক বাংলা মিডিয়াম স্কুলে যান এবং ছাত্রদের সাথে এক আসনে বসে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তাঁর আগামী বই "ইফ বার্ডস ক্যান ফ্লাই, সো ক্যান বি" নিয়েও পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেই ছবিই তিনি টুইট করেন।
এ ছাড়াও অন্য দু-চারটি কাজ ছিল তাঁর। কিন্তু কোনও ভাবেই মোদী বা অমিত শাহর সঙ্গে কোনও 'বিশেষ' বৈঠক ছিল না। খুশি মনেই দিল্লি সফর সেরে ফিরছেন রাজ্যপাল, তিনি জেনেছেন তাঁর কাজে খুশি কেন্দ্র।
বাংলা শিখতে রাজ ভবনে হাতে-খড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আগামি ৫ বছরের মধ্যে তিনি বাংলা ভাষা রপ্ত করতে চান। এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বাংলার রাজ্যপাল। সেই লক্ষে পৌঁছতেই সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই 'ছাত্র' হিসেবে বাংলা ভাষা চর্চা শুরু করলেন তিনি। তাই প্রথামাফিক হল তাঁর হাতে-খড়ি। নয় বছরের শিশুকন্যা ইয়াসিনি রায় এদিন রাজ্যপালকে শিশু-গুরু হিসেবে হাতে-খড়ি দিয়েছে। ব্ল্যাক বোর্ডে সিভি আনন্দ বোসের হাত ধরে অ এবং আ লেখায় এই শিশুকন্যা। গুরু দক্ষিণা হিসেবে ইয়াসিনির হাতে উপহার তুলে দেন রাজ্যপাল।
একইভাবে আরও দুই খুদে-গুরু রাজ্যপালকে ইংরাজি থেকে বাংলা অনুবাদ শেখান। মাদার মানে মা এবং আর্থ মানে ভূমি ডক্টর বোসকে শেখানো হয়েছে। তাদের হাতেও তুলে দেওয়া গুরু দক্ষিণা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধ্যক্ষ ছাড়াও ছিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও, তিনি যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন আগেই।
দেশব্যাপী পালিত ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2023)। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা-সহ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রেড রোডও (Red Road Parade)। গত দু'বছর করোনার কারণে অনুষ্ঠানের জাঁকজমক। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শুরু হয় রেড রোড কুচকাওয়াজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। তিনি এই অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক কর্তব্য মেনে অভিবাদন গ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস।
উপস্থিত ছিলেন সপার্ষদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কুচকাওয়াজে ছিল কলকাতা পুলিসের তরফে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'-এর ট্যাবলো। ছিল ক্রীড়া-যুব কল্যাণ দফতরের তরফে বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির ট্যাবলো। রাজ্যের তথ্য সম্প্রচার দফতরের তরফে বাংলার সংস্কৃতি দুর্গাপুজো নিয়ে ট্যাবলো ছিল রেড রোডে।
এই অনুষ্ঠানে দেশনায়ক-মনীষীদের ছবি নিয়ে ১০০ জন ছাত্রীর র্যালিও অংশগ্রহণ করেছিল। ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুলের তরফ থেকে ছিল অংশগ্রহণ। অংশ নিয়েছিল দক্ষিণ সুন্দরবনের একটি স্কুল। পাশাপাশি বর্ধমান গভর্নমেন্ট মডেল মাদ্রাসা (ইংরেজী মাধ্যম) এই প্রথমবার অংশ নিয়েছিল কুচকাওয়াজে। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ গ্রহণ। এছাড়া বিভিন জেলা থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে।
প্রসূন গুপ্ত: সকাল সাড়ে ৯টা বাজতেই নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর (Kolkata Airport) ছুঁল নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ববি হাকিম এবং শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং মুখ্য সচিব প্রমুখ। বিমানবন্দরেই তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় পুলিসের তরফে। শশী পাঁজা অনায়াস ভঙ্গিতে দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় বোসের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। এরপর রাজ্যপাল রাজ্ভবনে (Raj Bhawan) যান, সেখানেই তিনি আজকের দিনটি থাকবেন কিনা জানা না গেলেও জানা গিয়েছে বুধবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন।
দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, যে মুহূর্তে ডক্টর বোস শপথ নেবেন, সেই মুহূর্ত থেকে তিনি রাজ্যের ৫ বছরের স্থায়ী রাজ্যপাল হবেন। অবশ্যই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে এবং শাহ জানিয়েছেন যে এই নতুন রাজ্যপাল আনন্দ বোস ভালো লোক মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হবে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র এই বোস। যিনি দীর্ঘদিন সংবিধানের নানা কাজে যুক্ত। এই আইএএস প্রাক্তনী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কলকাতা থেকেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের পদবি বোস নিয়েই তাঁর নাম বোস, অবশ্য নামের আগে একটি আনন্দও আছে।
তাঁর আগমনে খুশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ইচ্ছা পূর্বতন রাজ্যপাল (ধনকর) মতোই সক্রিয় থাকবে বাংলার রাজ ভবন। যদিও রাজ্যপাল হওয়ার আগে বোস জানান, তিনি সংবিধান মেনেই সরকারকে সহযোগিতা করবেন। তাঁর সঙ্গে মমতার ফোনে কথা হয়েছে। বোসও মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ২৯টি পুরস্কারপ্রাপ্ত বোসকে জ্ঞানের আধার বলা হয়। দেখার বিষয় বাংলা, প্রকৃত সাংস্কৃতিক রুচিবান আদর্শে অচল এবং ৪০টি বই লেখা আনন্দ বোসকে কতটা কাছে পাবে আগামীতে।