
সিঙ্গুরের নসিবপুরে একই পরিবারের চারজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার। যোগেশ প্যাটেল নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিঙ্গুর থানার পুলিস। ঘটনার ২ মাস পর গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। বুধবার রাতে সিঙ্গুর এলাকা থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার তাকে চন্দননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে একই পরিবারের ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে সিঙ্গুরের নান্দাবাজার এলাকায়। প্রৌঢ় দম্পতি দীনেশ প্যাটেল ও অনুষ্কা প্যাটেলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে প্যাটেল পরিবারের আত্মীয় যোগেশের বিরুদ্ধে। খুন করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশ প্যাটেলের বাবা মাওজি প্যাটেল ও দম্পতির ছেলে ভাবিক প্যাটেলকেও। সেই রাতে মৃত্যু হয় আরও দু’জনের।
প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পারে, ঘটনার দিন প্যাটেলদের বাড়িতে যান আত্মীয় যোগেশ । সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন যোগেশ। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। ফরেনসিকের বিশেষ প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিশেষ নমুনা সংগ্রহ করা হয় ঘটনাস্থল থেকে। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি, সংগ্রহ করা হয় আঙুলের ছাপও। জেলা পুলিসের সঙ্গেই একযোগে চলে তদন্তের কাজ। খুনের পর যোগেশ ও তার ভাই দীপক প্যাটেল পালিয়ে গিয়েছিল। পরে পুলিশ দীপক প্যাটেলকে গ্রেফতার করলেও যোগেশ ফেরার ছিল। খুনের কারণ ব্যক্তিগত শত্রুতা, নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ। অভিযোগ বন্ধুর বাবার বিরুদ্ধে। আনন্দপুর থানা এলাকার ঘটনায় নদিয়া থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার রাতে। অভিযোগ, বন্ধুর বাড়িতে ওই নাবালিকাকে জোর করে মাদক খাইয়ে, যৌন অত্যাচার করে তার বাবা।
পুলিস সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২৮ তারিখের এই ঘটনা। ওইদিন বিকেলে পূর্ব পঞ্চান্ন গ্রামে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। এরপরই বন্ধুর বাবা তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন রাতেই তাকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য়দিকে অভিযুক্ত পলাতক ছিল। হাসপাতাল থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে আনন্দপুর থানার পুলিস তদন্তে নামে। পকসো আইনে মামলার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যায়, ওই নাবালিকা সেখানে যাওয়ার পর বাবা তার মেয়েকে খাবার কিনে আনার জন্য বাজারে পাঠায়। বাড়িতে সে সময় আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাবালিকাকে মাদক খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তার উপর শারীরিক নির্যাতন করে অভিযুক্ত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন নাবালিকার মায়ের বয়ান নেয় আনন্দপুর থানার পুলিস। নাবালিকার সঙ্গেও কথা বলে তারা। সেইসমস্ত বয়ানের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত মহানন্দ মণ্ডলকে নদিয়ার তেহট্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাবালিকার উপর নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে। প্রয়োজনে পুলিস তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদনও জানাতে পারে।
শান্তিপুর লোকালের ফাঁকা লেডিজ কম্পার্টমেন্টে দমদম ও শিয়ালদহ স্টেশনের মাঝে এক মহিলা যাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এর তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে রেল পুলিস। সাফল্যও মেলে হাতেনাতে। সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দমদমের আরপিএফ এবং জিআরপি যৌথভাবে এই অভিযানে নামে। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ অভিযুক্তকে পাকড়াও করে দমদম জিআরপিতে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ স্বীকার করে বলে রেল পুলিসের দাবি। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, শ্লীলতাহানির শিকার বছর ২৪-এর বেহালার তরুণী পেশায় একজন ট্যাটুশিল্পী। শুক্রবার ট্যাটু করার জন্য শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে ফুলিয়া গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার মধ্যে তাঁর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আবার ডাউনে লোকাল ট্রেন ধরেন। ক্লান্ত থাকার জন্য ট্রেনের মধ্যেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন বলে দাবি তাঁর। দমদমে ঘুম ভাঙলে বুঝতে পারেন, তিনি শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। তাকিয়ে দেখেন, সামনে একজন ব্যক্তি এবং লেডিস কম্পার্টমেন্টে আর কোনও মহিলা নেই। মহিলার অভিযোগ, শ্লীলতাহানিতে বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করে ওই ব্যক্তি। টাকাও চায় সে। গলায় সোনার চেন আছে কিনা, মহিলার গলায় হাত দিয়ে দেখে এই ব্যক্তি, এমনই দাবি মহিলার। ঘটনার আকস্মিকতায় কী করবেন, তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এরপর হঠাৎ ফেসবুক লাইভ করার বুদ্ধি খেলে তাঁর মাথায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। অভিযুক্তকে আইডেন্টিফাই করতে সতর্কতার সঙ্গে লাইভ শুরু করেন বলে দাবি মহিলার।
এদিকে ট্রেনটি গ্যালপিং থাকায় বিধাননগর স্টেশনে থামেনি। এমনকী চলন্ত ট্রেনে ইমার্জেন্সি চেন টেনেও ট্রেন থামেনি বলে দাবি তাঁর। শেষে শিয়ালদহে ট্রেনটি ঢোকার মুখে গতি কমতেই ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে নেমে যায় বলে জানান মহিলা। অসহায় মহিলা কোনওরকমে ট্রেন থেকে নেমে শিয়ালদহ জিআরপিতে গিয়ে অভিযোগ জানান। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন মহিলা।
উঃ দিনাজপুরের রায়গঞ্জের অসহায় কুমারী মায়ের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁর সন্তানের পিতা তথা প্রেমিককে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিস। বুধবার রাতেই অভিযুক্ত সনাতন দাসকে রায়গঞ্জ থানার মহীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবককে রায়গঞ্জ আদালতে পাঠায় রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিস৷
উল্লেখ্য, বুধবার সিএন পোর্টালে রায়গঞ্জের এক কুমারী মায়ের খবর প্রকাশিত হয়।
যদিও কুমারী মায়ের সন্তানের পিতা তথা কুমারী মায়ের প্রেমিক অস্বীকার করছিল ওই সন্তানের পিতৃত্ব। অভিযোগ, প্রেমিকের নাম প্রকাশ্যে না আনার জন্য দেওয়া হয়েছিল হুমকিও। অন্যদিকে, বাবার পরিচয় না জানালে পাড়ায় ওই কুমারী মায়ের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এলাকাবাসী। খবর প্রকাশ হতেই সাহায্যের হাত বাড়ায় প্রশাসন। সক্রিয় হয় পুলিস। ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় সমাজকর্মীরা।
বুধবার বিকেলে অসহায় কুমারী মায়ের পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে রায়গঞ্জ মহিলা থানায়। মহিলা পুলিস আধিকারিকরা ছুটে যান রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রেকর্ড করা হয় ওই কুমারী মায়ের বয়ান। এরপরে কুমারী মায়ের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁর প্রেমিক সনাতন দাসকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিস।
তবে ধৃত সনাতন দাস ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছে, ওই কুমারী মায়ের সঙ্গে তার আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল। অকারণে তাকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি ধৃতের।
তবে প্রতিবেশীরা তরুণীর পাশে আছে এবং অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় খুশি।
গত ২৫ শে অক্টোবরের ঘটনা। ওইদিন বিকালে বনগাঁর মণিগ্রাম এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরে ৬টি ৫০০ টাকার নোট দিয়েছিল অমিত প্রামাণিক নামে এক যুবক। ওই টাকা হাতে নিয়ে পাম্পকর্মীর সন্দেহ হয়। তিনি মেশিনে ফেলে বুঝতে পারেন, টাকাগুলি জাল। এরপরই খবর দেওয়া পুলিশে। পুলিশ এসে যুবককে গ্রেফতার করে৷ তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি বান্ডিলে রাখা মোট ২৮ হাজার জাল টাকা৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার ওই চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সাধন ঘোষ ওরফে মনা৷ বাড়ি বাগদা থানার বয়রা এলাকায়।
ধৃত অমিতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছিল, এই সাধনই জাল নোট চক্রের মূল পান্ডা। অমিত গ্রেপ্তারের পর থেকে সাধন পলাতক ছিল। শনিবার রাতে সাধন তার বয়রার বাড়িতে এসেছে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ৷
রবিবার সকালে সাধনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ, অমিত যখন পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে এসেছিল, তার গাড়িতে লেখা ছিল পুলিশ। অর্থাৎ পাম্পকর্মীদের যাতে কোনওরকম সন্দেহ না হয়, তার জন্য পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করেই সে এসেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
হুগলির চণ্ডীতলার নৈটিতে একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তর মৃতদেহ উদ্ধার হল গোবরা স্টেশনের রেললাইন থেকে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার তিন নম্বর লাইনে শ্রীকান্ত ঘোষের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কামারকুণ্ডু জিআরপি মৃতদেহটি উদ্ধার করে। চণ্ডীতলা থানার পুলিস খবর পেয়ে মৃতের পরিবারকে দিয়ে মৃতদেহ শনাক্তকরণ করে।
সম্পত্তি নিয়ে খুড়তুতো দাদা সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে বিবাদ ছিল শ্রীকান্ত ও তপন ঘোষের। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সঞ্জয় সহ তাঁর স্ত্রী মিতালি ঘোষ ও তাঁদের মেয়ে শিল্পা ঘোষকে প্রথমে শাবল দিয়ে আঘাত করে। তারপর চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় শ্রীকান্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চণ্ডীতলা থানার পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে সোমবার অভিযুক্ত তপন ঘোষকে আটক করা হয়। পলাতক শ্রীকান্ত ঘোষের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস। সকালে পলাতকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিসের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে যুবক। দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে চণ্ডীতলা থানার পুলিস।
স্থানীয় বাসিন্দারা আগেই জানিয়েছিলেন, শ্রীকান্ত ঘোষই তিনজনকে খুন করেছে, এ ব্যাপারে তাঁরা নিঃসন্দেহ। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। সঞ্জয় ঘোষ ও তাঁর পরিবারের ওপর খুব অত্যাচার করত শ্রীকান্ত। সঞ্জয় ঘোষরা বাড়িতে না থাকলে ওঁদের বাড়ির টালি ভেঙে দিত। লাইটপোস্টের লাইট ভেঙে দিত। শ্রীকান্ত ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এখন তপন ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই পুলিস খুনের মোটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে চায়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সোমবার। গত ২ রা ডিসেম্বরর সিঙ্গুরের নান্দাড় বাসিন্দা দীনেশ প্যাটেল, তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা প্যাটেল, দীনেশের বাবা মাওজি প্যাটেল ও দীনেশের ছেলে ভাবিক প্যাটেল খুন হন। অভিযোগ ওঠে তাঁদেরই এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গুরের নান্দাবাজারে কাঠ চেরাই কল রয়েছে প্যাটেলদের। কাঠকলের সঙ্গেই তাঁদের বাড়ি। ওইদিন সকালে সেই বাড়িতে যায় প্যাটেলদের আত্মীয় যোগেশ প্যাটেল। সেখানে কোনও কিছু নিয়ে অশান্তির জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে দেয় যোগেশ, এমনটাই অভিযোগ।
নাবালিকা মেয়ের আত্মহত্যার জন্য প্রেমিককে দায়ী করে পুলিশের দ্বারস্থ হল পরিবার। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাওয়াপাড়ার। সোমবার নাবালিকার পরিবার জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছে।
মৃতার মা জানান, বাড়িতে কোনও ঝামেলা ছিল না। মেয়ের অকালে চলে যাওয়ার জন্য দায়ী একমাত্র ওই যুবক। তাঁদের মেয়ের সাথে বেইমানি করেছে সে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
জানা যায়, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঝাকুয়াপাড়ার এক যুবকের মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল ওই যুবক। তার বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি, যুবকের সঙ্গে নাবালিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে বলে অনুমান পরিবারের। হয়তো ওই যুবক অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তাই এই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য ছাত্রীর ওপর মানসিক নির্যাতন চালাত, এমনটাই অভিযোগ মৃতার পরিবারের।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফোনে প্রায়ই এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হত। মারা যাবার আগের দিনও ছেলেটি তাঁদের বাড়ি এসেছিল। এমনকি তাঁদের মেয়ে মারা যাবার পরও অভিযুক্ত ১২ থেকে ১৩ বার ফোন করেছে মেয়ের ফোনে। ছাত্রীর বাবা, মা ক্ষুদ্র চা বাগানের শ্রমিক। শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁরা কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন, মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ। এরপরই জানালা দিয়ে দেখতে পান মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। দরজা ভেঙে দেহ নামিয়ে, প্রথমে স্থানীয় বড়বাড়ি হাসপাতাল নিয়ে যান তাঁরা। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রবিবার ময়নাতদন্তের পর ছাত্রীর দেহ সৎকার করে পরিবার।
কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে যুবক ঘটনার পর থেকেই পলাতক।