পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা। বাবা, মা ও নাবালিকা বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ। অভিযোগ ছেলে এবং বৌমার বিরুদ্ধে। নির্মম এই ঘটনা জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ির অফিসপাড়ার। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি থানায় (mainaguri police station) অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তরা। অভিযুক্ত ছেলে এবং বৌমা পলাতক।
জানা যায়, এই বিবাদের সূত্রপাত তাঁদের একটি জমিকে কেন্দ্র করে। বাবা দুলাল মণ্ডলের কাছে জমি লিখে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল ছেলে তপন মণ্ডল। কিন্তু বাবা রাজি না হওয়ার কারণে প্রায়ই ছেলে তপন এবং তাঁর স্ত্রী বাড়িতে অশান্তি করত বলে অভিযোগ। সোমবার ফের ছেলে এবং বৌমা দুলালবাবুর ওপর চড়াও হয়। অভিযোগ, এদিন সঙ্গে কয়েকজন ভাড়া করা দুষ্কৃতী এনেছিল ছেলে। প্রথমে ছেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কোপ মারে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে মা সন্ধ্যারাণী মণ্ডলকেও কোপ মারে। মাকে বাঁচাতে গেলে নাবালিকা ছোট বোনকেও আঙ্গুলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে দাদা। রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওরকমে ওই তিনজন বাড়ি থেকে পালান। টোটো নিয়ে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে যান। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুলাল মণ্ডলের মাথায় ১৬ টি সেলাই পড়েছে। তাঁর নাবালিকা মেয়ের আঙুলেও সেলাই পড়েছে। আহত হয়েছেন মাও। চিকিৎসার পর তাঁরা ময়নাগুড়ি থানায় আসেন অভিযোগ জানাতে।
দুলালবাবু বলেন, "জমির উপর আমি আমার ছেলেকে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছিলাম। আমার আগের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। পরবর্তীতে আমি আরেকজনকে বিবাহ করি। এখন অল্প কিছু জমি রয়েছে। ছেলে চাইছে সেই জমি তাকে লিখে দেওয়া হোক। এই বিষয় নিয়ে এদিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে আমার ছেলে। আমি চাইছি তার শাস্তি হোক।"
তবে ঘটনার পর থেকে ছেলে ও বৌমা সহ অন্য অভিযুক্তরা পলাতক।