রথের দিনেই মর্মান্তিক মৃত্যু। সাঁতার শিখতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু ৯ বছরের এক শিশুর। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় হাওড়ার ওই সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির নাম বিদীপ্ত ঘোষ। জলের মধ্যে অচৈতন্য হয়ে পড়ায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ঘটনার পরই এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। তবে ঘটনার পরই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে প্রশিক্ষক ও সুইমিং পুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
"ট্রেনার জলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। কোনও প্রশিক্ষক নজর দেয়নি। আমার ছেলেকে জলে নামিয়ে মেরে দিল" ছেলের মৃত্যুর পর বিস্ফোরক অভিযোগ বিদীপ্তর মায়ের। মৃতের পরিবার একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন সুইমিং পুলের পরিকাঠামো নিয়ে। প্রশিক্ষক ছাড়াই কীভাবে সুইমিং পুলে বাচ্চাদের ছেড়ে দেওয়া হল? উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে সুইমিং পুলের সিসিটিভি নজরদারি নিয়েও।
অন্যদিকে বিদীপ্তর প্রতিবেশীরা সরব সুইমিং পুলের বিরুদ্ধে। পরিকাঠামো নিয়ে সরব তাঁরাও।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার ওই ক্লাবে সে সাঁতার শিখতে এসেছিল তার মায়ের সঙ্গে। অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে সে সাঁতার শিখছিল। এরপর হঠাৎই সে অতিরিক্ত জল খেয়ে ফেলে। যা প্রশিক্ষকদের নজরে আসার আগেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে বলেই জানা যায়। নজরে আসতেই প্রশিক্ষকেরা তাকে উদ্ধার করে জল বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিশুটি। এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও তারপর হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিস। কীভাবে এবং কার গাফিলতিতে এই মৃত্যু তা তদন্ত শুরু হয়েছে।