Share this link via
Or copy link
অবশেষে বেহালার বিখ্যাত বীরেন রায় রোডের বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে যাচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। বীরেন রায় রোডের বাড়িটি অবশ্য দীর্ঘদিনের, পূর্বপুরুষের হাতে তৈরি। বাবা চণ্ডী গাঙ্গুলির স্বপ্নের বাড়ি, যেখানে ক্রিকেট প্র্যাকটিসের জায়গাও রয়েছে। প্রয়াত চণ্ডীবাবু এক সময়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন এবং পরে বাংলা ক্রিকেটের কর্মকর্তা হয়েছেন। তাঁদের প্রেস ও প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা, পরিবারের সুনাম যথেষ্ট। তাঁর দুই পুত্র বাংলা ক্রিকেটে সুযোগ পান, কিন্তু বীরেন রায় রোড বিখ্যাত হয় সৌরভের ক্রীড়া কুশলীতে। ভারত বিখ্যাত হওয়ার পরেও ওই পুরাতন বাড়ি সৌরভ ছাড়েননি।
সারা দেশের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা তাঁর বাড়িতে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসে সময় কাটিয়েছেন। সৌরভ ভারতীয় দলে আসার পরে দুর্গাপুজো থাকলেই পাড়ার পুজোতে দিনভর কাটান, ঢাক বাজান তিনি। বেহালার উপর অসম্ভব দুর্বলতা তাঁর। কিন্তু বিখ্যাতরা কে আবার কবে পৈতৃক বাড়িতে থেকেছেন?
এবার ৪৮ বছরে বাড়ি ছাড়তে চলেছেন তিনি। শোনা গেল, দক্ষিণ কলকাতার লোয়ার রডন স্ট্রিটে ২৩.৬ কাঠা জমির উপর নিজাম প্যালেসের কাছে একটি বাড়ি বা বাংলো কিনেছেন তিনি। ক্রয়মূল্য নাকি ৪০ কোটি, এক গুজরাতি ব্যবসায়ী বিনানির কাছ থেকে এই বাংলো কিনেছেন তিনি। জানা গিয়েছে প্রশাসনিক থেকে নিজের ব্যক্তিগত কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল কলকাতার এক প্রান্তে থাকা বেহালা থেকে। নতুন বাড়িতে উঠলেও অবশ্য মনটি তাঁর নাকি পড়ে থাকবে পুরনো বাড়িতে।
অন্যদিকে আরেক বাঙালি ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা, ভারতীয় তথা বাংলা ক্রিকেট প্রশাসনের উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তাঁকে একপ্রকার বাতিল করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল থেকে। তাঁর এই বাতিলকে যথেষ্ট সমালোচনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। প্রতিবাদ করেছেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর। ইদানিং আইপিএলে ওপেনিং ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ফল করছেন ঋদ্ধি, গুজরাত দলে খেলছেন। কিন্তু তাঁর এই বাতিল হওয়ার বিষয়ে বাংলা ক্রিকেট বোর্ড কোনও প্রতিবাদ করেনি। ঋদ্ধি সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তিনি আর বাংলা দলে খেলবেন না। কিন্তু লক্ষ-লক্ষ দর্শক তথা কোচ অরুণলালের অনুরোধে তিনি বাংলাতেই থাকছেন। নিজের পুরাতন বাড়ি ছেড়ে যেতে মন চাইছে না ঋদ্ধির।