Share this link via
Or copy link
ছোট্ট একটা স্টেটমেন্ট। কিন্তু ঝড় তোলার জন্য ওইটুকু যথেষ্ট। দাবানলের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল খবর। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) আর রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সম্পর্কের ইতি ঘটে গেল। রেড ডেভিলসের পোশাকি স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, দুপক্ষের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই চুক্তি (mutual agreement) ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্যি কোনটা? পর্তুগিজ (Portuguese) মহাতারকা ক্লাব ছাড়লেন? না ছাড়তে বাধ্য হলেন? মুচমুচে তরজা ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েডে।
সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপ অভিযানে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্লাবের তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় পর্তুগাল শিবির থেকে শুরু করে রোনাল্ডো প্রেমীদের মধ্যে। প্রতিপক্ষ ঘানা নিয়ে অলোচনা কোথায়? আলোচনা যা, সবই ওই রোনাল্ডো নিয়ে। এটাই হয়তো কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু শেষের লড়াইয়ের আগে বিতর্কে তিরবিদ্ধ ক্রিশ্চিয়ানো।
গত কয়েকদিন ধরেই ম্যান ইউ কোচের সঙ্গে সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছিল। টেন হাগের সিদ্ধান্ত না পসন্দ হওয়ায় কখনো ডাগ আউটে না ফিরে সোজা সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন রোনাল্ডো। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওঁকে নামানোই হয়নি পরের ম্যাচে। কখনো বিস্ফোরক ইন্টারভিউ দিয়েছেন সিআরসেভেন। বলে বসেছেন, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তাঁকে ক্লাব থেকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বোঝাই যাচ্ছিল, মধুচন্দ্রিমার পালা শেষ। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝে গাঁটছড়া ভাঙবে সেই আন্দাজ হয়ত কেউই করেননি।
মেগাস্টারের ইন্টারভিউ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি ম্যানেজমেন্ট। ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। লকাররুমে শৃঙ্খলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবার উপক্রম। ম্যাঞ্চেস্টার ম্যানেজমেন্ট ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠান বড়, সেই রাস্তাই বেছে নিলো। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। বিশ্বকাপের পর কোথায় যাবেন তিনি? মেজর সকার লিগ নাকি চেলসি নাকি আবার রিয়েল মাদ্রিদ? যাই হোক, দিনের শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ড অতীত রোনাল্ডোর কাছে। দু'দফায় ৩১৫টি ম্যাচে ১৪৫ গোলের মালিক হয়তো শেষবারের মতো ম্যানচেস্টার ছাড়লেন।