ব্রেকিং নিউজ
Pure ghee শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে খেতেই পারেন টাটকা, বিশুদ্ধ ঘি
Post By : সিএন ওয়েবডেস্ক
Posted on :2022-01-22 15:00:56
শোনা যায়, পুরাণের যুগে নাকি মূল রান্না হত ঘি দিয়ে। অর্থাৎ রামায়ণ-মহাভারতের পর্বে মাছ-মাংস খাওয়া হত কিনা বিবরণ নেই। কিন্তু পোলাও, সবজি ইত্যাদি রান্না হত রাজবাড়িতে ঘি দিয়ে। অবশ্য বলা হত, ঘি, তেল দিয়ে রন্ধনে পটু ছিলেন দ্রৌপদী। দ্রৌপদীর রান্নার প্রশংসা মহাভারতের পরতে পরতে রয়েছে। তবে ইতিহাসের পাতায় ঘিয়ের রান্নার বিবরণ পাওয়া যায়। আমাদের ইতিহাসে চৈতন্যদেব বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। বৈষ্ণব ধর্মের মানুষ নিরামিষাশী ছিলেন। কিন্তু ওই ইতিহাসে আমরা দেখেছি, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে তাঁরা দুধ-ঘি খেতেন। উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারতের বহু মানুষ নিরামিষাশী। আজও তাঁরা মাছ-মাংসের বিকল্প হিসাবে দুধ-ঘি খেয়ে থাকেন। মুঘল সাম্রাজ্য বা তার আগে ইসলামিক ভারতে ঘিয়ের প্রচলন ছিল। সুলতানদের পোলাও বা বিরিয়ানি মানেই প্রচুর টাটকা ঘি খেতেন তাঁরা। সুলতানরা ভাজাভুজিও খেতেন ঘি ব্যবহার করে।
আজকাল পেটের রোগী বা উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষ ঘি খেতে ভয় পান। কিন্তু ডাক্তারবাবুরা বলেন, ঘি যদি বিশুদ্ধ হয় এবং টাটকা থাকে, তবে পেটের রোগ হওয়ার যৌক্তিকতা নেই। এক সময় পক্স হলে তাঁকে নিয়মিতভাবে ঘিয়ের রান্না খাওয়ানো হত। বড় কোনও রোগমুক্তি হওয়ার পর বেশি করে ঘি-দুধ খাওয়ার পথ্য দিতেন ডাক্তাররা।
আজকাল কি কেউ আর ঘিয়ের লুচি, রাধাবল্লভী কিংবা কচুরি খেয়েছেন? কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টির দোকানগুলিতে আজও শুধু ঘিয়ের খাবার পাওয়া যায়। এই ঘি দিয়ে রসগোল্লা, সন্দেশ ছাড়া সমস্ত মিষ্টি বানানো হত। ঠাকুর রামকৃষ্ণ কলকাতায় থিয়েটার দেখতে গেলে গিরিশ ঘোষ তাঁকে বিশুদ্ধ ঘিয়ের লুচি, আলুরদম খাওয়াতেন। এখনও বাঙালির প্রিয় বিরিয়ানি খেতে গেলে ঘি লাগেই প্রচুর।
করোনা আবহ চলেছে। শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে গেলে অবশ্যই বিশুদ্ধ ঘি খেতেই পারেন ডাক্তারের নির্দেশ নিয়ে। আজও বাজারে বিশুদ্ধ ঘি পাওয়া যায়। কেবল খুঁজতে হবে, নাকি হাতের কাছে পাওয়া যাবে?