১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Nitish: বিহারে ফের নীতীশের ডিগবাজি, এনডিএ ছাড়তে মুখ্যমন্ত্রী পদে দিলেন ইস্তফা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-09 15:35:03   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: শেষ পর্যন্ত বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙেই গেলো। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী গত ২৪ ঘণ্টায় হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পদ্ম সঙ্গ ছাড়ছেন তিনি। গত সপ্তাহে হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতীশ কুমার ছিলেন অনুপস্থিত। গুঞ্জন সম্প্রতি নাকি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। এমনকি, গত কয়েক দিন ধরে কেন্দ্রীয় বিজেপি আশংকা করেছে হঠাৎই বিদ্রোহী হয়েছেন নীতীশ কুমার। যে কোনও মুহূর্তে ছাড়তে পারেন জোট। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই বুধবার বিকেলে রাজ ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। যেমনটা তিনি ২০১৭ সালে করেছিলেন আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে। সেবার হঠাৎই বিহারের তৎকালীন শাসক বিজেপি বিরোধী জোট ছেড়ে নীতীশ ধরেছিলেন পদ্মের হাত। এবারও সেই মাঝপথে ডিগবাজি দেশের একদা রেলমন্ত্রীর।

মঙ্গলবার বিকেলে একাই রাজ ভবনে যান নীতীশ কুমার। সেখান থেকে যান লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে। সেখানেই আরজেডি, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার মহাবৈঠক। এদিন মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার জানান, দলের সাংসদ-বিধায়কদের সম্মতি নিয়েই এই ইস্তফা এবং এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। বিজেপির সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল।

যদিও বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, 'বিজেপির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, বিহারে ২০২০-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপির সমর্থনে নীতীশ নেতৃত্বধীন জোটে নাকি মস্ত চাপে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি নামেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আসলে প্রশাসন-সহ মন্ত্রিসভার চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছিল বড় শরিক বিজেপি। ইদানিং কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছিলেন না নীতীশ। যাননি রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে। তিনি যেমন মোদির থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন তেমনই সখ্যতা বাড়ছিল লালু প্রসাদের আরজেডির সঙ্গে। তলে তলে নাকি যোগাযোগ চলেছে কংগ্রেসের সঙ্গেও। শোনা গিয়েছে, বিহারের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী সোনিয়া এবং  লালুপুত্র তেজস্বীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন এবং নতুন জোটের বার্তা দেন। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদব এই মুহূর্তে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি। তিনি সেখান থেকেই পুত্র তেজস্বীকে নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। সম্প্রতি ঈদের এক অনুষ্ঠানে তেজস্বীর নিমন্ত্রনে নীতীশ উপস্থিত হয়েছিলেন। উলট পুরাণের শুরু সম্ভবত সেখান থেকেই, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

শোনা গিয়েছে, নীতীশ এই জোটে বিরক্ত তো ছিলেনই পাশাপাশি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের মন্ত্রিসভার পতন ও শিবসেনার ভাঙনে নাকি অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। তখনই নাকি তিনি চূড়ান্ত ভাবে স্থির করেন যে বিজেপির হাত ছাড়বেন। কিন্তু বিজেপি বিরোধীদের নিয়ে যদি নীতীশের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় গঠিত হয়, সেখানে কারা থাকবেন? শোনা গিয়েছে আরজেডির ৭৯, জেডিইউএর ৪৫ এবং কংগ্রেসের ১৯ জনকে নিয়েই মন্ত্রিসভা হবে। এখানে সমর্থন করবে বামেরা তাদের ১৬টি আসন নিয়ে। তাহলে একদিকে বিজেপি ৭৭, অন্যদিকে ১৬০-এর বেশি বিধায়ক সুতরাং রামধনু মন্ত্রিসভা এবারে ফের বিহারে হয়তো হতে চলেছে।


Follow us on :