Share this link via
Or copy link
কংগ্রেস (Congress) সভাপতি নির্বাচনের লড়াই ত্রিমুখী না চতুর্মুখী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করে ভোটে লড়ার সম্মতি আদায় করেছেন শশী থারুর (Sashi Tahroor)। এবার শর্তসাপেক্ষে এই নির্বাচনে অংশ নিতে চান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সোনিয়া গান্ধীকে সেই মর্মে প্রস্তাব পাঠন গেহলট। তিনি,'রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে সভাপতি নির্বাচন ভোটে তিনি প্রার্থী হতে চান। আমরা রাহুলজিকেই কংগ্রেস সভাপতি চাই। কিন্তু তিনি যদি নিজে ভোটে লড়তে না চান, তবে আমি মনোনয়ন জমা দিতে পারি।'
বুধবার জয়পুর থেকে দিল্লি এসেছেন গেহলটের। রাতে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসতে পারেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শর্ত বা প্রস্তাবে কংগ্রেস হাইকমান্ড মেনে নিলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে গেহলটের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তিনি বুধবার আবার এআইসিসি নিযুক্ত ‘রিটার্নিং অফিসার’ মধুসূদন মিস্ত্রির সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াগত বিষয়ে দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
গেহলট যদি এই ভোটে লড়েন এবং সভাপতি হন, তাহলে তিনি কি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। তবে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মানলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে গেহলটের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হবে। তবে এখানেই থামছে না প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াই। থারুর, গেহলটের পর এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন দিগ্বিজয় সিংহ। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই লড়াইয়ে আমি নিজেকেও বাদ রাখছি না। আমি নই কেন? আপনি কেন এই তালিকা থেকে আমাকে বাদ রাখতে চাইছেন?'