সাম্প্রতিককালে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় খুন হয়েছেন একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri Pandits Killed)। গত সপ্তাহে রাহুল ভাট নামে এক তরুণকে সরকারি অফিসে ঢুকে গুলিবিদ্ধ করে জঙ্গিরা। তারপরেই নিরাপত্তার দাবিতে পথে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠন। বিক্ষোভ দমাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়েছে পুলিসকে। এই পদক্ষেপে বিতর্কও কম হয়নি। এবার সংবেদনশীল এই বিষয়ে সরব হলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ। দা কাশ্মীর ফাইলসের (The Kashmir Files) মতো ছবি দেশে ঘৃণার আবহ তৈরি করছে। অবিলম্বে এই ধরনের ছবি প্রদর্শন বন্ধ হোক। এই দাবি করেছেন ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah)।
সোমবার এনসি বা ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লা জানান, ভূস্বর্গের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রবিবার তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁর মতে, 'দেশজুড়ে যে মুসলিম বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে তা কাশ্মীরের তরুণ মুসলিমদের রাগিয়ে দিচ্ছে।'
এদিকে, ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উপত্যকায়। গত সপ্তাহে এক কাশ্মীরি তরুণ পণ্ডিতকে গুলি (Shooting) করে খুন করেছিল জঙ্গিরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে। সরাসরি লস্কর-ই ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের প্যাডে ছাপার অক্ষরে হুমকির চিঠি এসে পৌঁছেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হাতে। যেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, “সমস্ত শরণার্থী এবং RSS এজেন্টরা কাশ্মীর ছাড়ো, নয়ত মরবে। রেহাই পাবে না কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও। নিরাপত্তা বাড়ালেও মরতে হবে।
রবিবার জঙ্গি সংগঠনের এই চিঠির খবর সামনে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সূত্র অনুযায়ী, পুলওয়ামার শরণার্থী কলোনির প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে এই চিঠি লেখা হয়েছে। যেখানে পরিষ্কার ভাবে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরি মুসলমানদের হত্যা করছে। ইজরায়েল তৈরি করছে।' এতে এলাকাবাসীদের মনে হচ্ছে ফের কালো দিন ফিরে আসছে উপত্যকায়।