একজন নয়, দু'জনের সঙ্গে প্রেম করতেন তিনি। মনের মধ্যে একটা সুপ্ত বাসনা ছিল, দু'জন প্রেমিকাই যদি স্ত্রী গত। আর হলও তাই। পরিবারের সব সদস্যকেই রাজি করিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে। শেষে দুই প্রেমিকা ইতি রানি ও মমতার সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন চন্দ্র বর্মন রনি। তবে সেই বিয়ে এক মাসও টিকল না। দুই প্রেমিকাকে নিয়ে পাতানো সংসার ভাঙল।
বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকার ঘটনা। দুজন প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘর পেতেছিলেন ওই যুবক। উত্তর বলরামপুর এলাকার বাসিন্দা ইতি রানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মাস ছয়েক আগে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কবে সে কথা তখনও জানাজানি হয়নি। এরপরই অন্য আরেকজনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রনি। মমতা নামে ওই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে, ওই যুবককে আটকে রাখে এলাকার মানুষজন। পরে মমতার সঙ্গে তার বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। এরপর প্রথম প্রেমিকা ইতি রানিও রনির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। শেষে পরিবারের মতে, ইতি রানি এবং মমতাকে বিয়ে করেন রনি। তবে এক মাসের মধ্যেই শেষ হল তাঁদের তিনজনের সাধের সংসার।
নতুন সংসার পাতার ২২ দিনের মাথায়, ১২ মে স্ত্রী মমতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করলেন রনি। অন্য স্ত্রী ইতি রানিকে নিয়েই সংসার করতে চান তিনি। মমতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়ের উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে রনি এবং মমতার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কেবল জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই 'ত্রিভূজ' সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছিল। ফলে মমতার সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন রনি। দুই প্রমিকাকে বিয়ে করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু আলোচিত এই ঘটনা। বিচ্ছেদের পরও শোরগোল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।