Share this link via
Or copy link
ফের উড়ালপুলে দুর্ঘটনা। এবারও চিনা মাঞ্জায় রক্তাক্ত হলেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জখম হন বজবজ পূজালির বাসিন্দা সোমনাথ দোলুই (২৮)। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে সম্প্রীতি উড়ালপুলের উপর দিয়ে আনুমানিক ৩ টে ৫০ নাগাদ তারাতলা যাচ্ছিলেন। সেই সময় বেশ কিছু যুবক জলকলের কাছে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। সেই ঘুড়ির চিনামাঞ্জা দেওয়া সুতোয় গুরুতর আহত হন সোমনাথ। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি উড়ালপুলের উপরেই মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যান। ঠিক সেই সময় তারাতলার দিক থেকে বজবজের দিকে আসছিলেন অপর আর এক মোটরসাইকেল আরোহী। তিনিই সোমনাথকে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর কপালে নাকের উপর থেকে সেলাই করতে হয়।
বারবার সম্প্রীতি উড়ালপুলে একই ধরনের ঘটনা ঘটায় ঠিক পরের মুহূর্তেই মহেশতলার ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ সম্প্রীতি ফ্লাইওভারের উপর মোটর সাইকেল আরোহীদের গাড়ি আস্তে চালাবার পরামর্শ দেন। তবে যতক্ষণ না ফ্লাইওভারের আশেপাশের মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনওভাবেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মা ফ্লাইওভারে চিনামাঞ্জায় নাক কেটেছিল এক মহিলার। মা উড়ালপুল ধরে বিশ্বকর্মা বিল্ডিং থেকে রুবির দিকে স্কুটিতে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই মহিলা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার চিনা মাঞ্জার কারণে জখম হয়েছিলেন অনেকেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর, চিনা মাঞ্জায় জখম হয়েছিলেন যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট রূপম দাস। রবিবার ডিউটিতে যোগদান করতে যাওয়ার সময় আচমকাই ছিটকে পড়ে আহত হয়েছিলেন তিনি।
গত বছর ১৫ অগাস্ট, হাওড়ার পিলখানার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। হাওড়া থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন। হঠাৎ গলায় চিনা মাঞ্জার সুতো জড়িয়ে যায়, আহত হন তিনি।
ওইদিনই, দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে নিমতা মাঝেরহাট এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন একজন ডেলিভারি বয়। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই ঘুড়ির মাঞ্জা আটকে যায় গলায়। আহত হন তিনি।
১ জুলাই, সায়েন্স সিটি থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি। এজেসি বোস রোডের কানেক্টরের কাছে বাইকের চাকায় জড়িয়ে যায় মাঞ্জা। বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তাঁরা।
এইসব ঘটে যাওয়া ঘটনা একাধিকবার সামনে নিয়ে আসা হয়েছে পুলিস প্রশাসনের। প্রশাসনের তরফ থেকে মিলেছে সমাধানের প্রতিশ্রুতি। তাও কমছে না চিনা মাঞ্জার দাপট।